নানা রকম শারীরিক গন্ডগোলে ফলের ব্যবহার
সুস্থ থাকতে পাতিলেবুর ব্যবহার ও উপকারনানা রকম শারীরিক গন্ডগোলে ফলের ব্যবহার সম্পর্কে জানা অনেকেই জানতে চায়। আজকের আর্টিকেলে ফলের বিভিন্ন উপকার নিয়ে লিখছি যা শরীরের সুস্থতার জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় হল অন্তর্ভুক্ত করা মানেই আমাদের শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করা।
প্রিয় পাঠক, নানা রকম শারীরিক সমস্যা যেমন হজম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের যত্ন ইত্যাদিতে ফল ব্যবহার হয়। সুস্থ জীবনযাপনে নিয়মিত ফল ভক্ষণে কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া, ফলের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো শরীর থকে টক্সিন বিষক্রিয়া দূর করে। নিম্নে এ সম্পর্কে লিখছি।
পেজ সূচীপত্রঃমদ্যপানে আসক্তি কমাতে
সেদ্ধ আপেল দিনে ৩-৪ বার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে মদ্যপানের আসক্তি তো কমবেই তাছাড়া যে কোন উত্তেজক দ্রব্যের প্রতি যেমন ড্রাগের নেশা এবং আস্তে আস্তে মনে ঘৃণা জন্মাতে আরম্ভ করবে। সিদ্ধ করার অসুবিধে থাকলে কাঁচা আপেলই খাওয়া যেতে পারে, তবে সিদ্ধ করে খেলে বেশি ফলদায়ক হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ আলু (Potatoes) এর তুলনা জগতে মেলেনা
একই ফল বা উপকার পাওয়া যেতে পারে যদি ফলসা, খেজুর, ডালিম, আমলকি, নারিকেলের শ্বাঁস খাওয়া যায়। ডালিম, ফলসা এবং পাতিলেবুর শরবত করে খেলে আরো ভালো হয়।
একশিরা রোগে
এই অসুখে অনেক পুরুষই আজকাল ভোগেন। অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া থেকে এই অসুখের সূত্রপাত হয়। এসব রোগীকে দুধে কিসমিস দিয়ে ফুটিয়ে খেতে হবে। তরকারির মধ্যে আলু, গাজর ও ডুমুর খুব উপকার দেয়। পানি পিপাসা পেলে গরম পানি খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
শুকনো কাশিতে
শুকনো কাশিতে প্রতিদিন সকালে যদি কয়েকটি পাকা আলু চা ( প্লাম যা শুকিয়ে আলু বোখরা হয়, যতটা পারেন খেতে হবে, ধরুন ১৫ টা) ছেলে এই অসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। জ্বর থাকলেও এতে কমবে। গরম লেগে জ্বর হলেও খুব তৃষ্ণা পেলে এই ফল রোগ উপশম করবে। এই ফলটা সব সময় পাওয়া যায় না, তবে বেশিরভাগ গরম কালেই পাওয়া যায়। অন্য ঋতুতে টাটকা ফল না পেলে শুকনো আলু বোখরা খেতে পারেন।
কৃমি রোগে ফলের ব্যবহার
যারা বেশি মিষ্টি খান তাদেরই এই রোগ বেশি হয়। আর এই রোগ থেকে আরো নানাবিধ পীড়াদায়ক অসুখের উৎপত্তি হয়। অল্প একটু পাকা তালপাতা বা খেজুর পাতা বেটে নিয়ে পাতি লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে যদি কিছুদিন খাওয়ানো যেতে পারে তাহলে কৃমি নাশ হবে।
যদি ২৫ গ্রাম প্রায় দুই টেবিল চামচ মত আখের গুড় এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা যায় এবং সকালের টয়লেটে যাওয়ার আগে এই গুড় পানি খেয়ে নেওয়া যায় তাহলে পায়খানার সঙ্গে সব কৃমি অব্যর্থভাবে বেরিয়ে যাবে। এটি কিছুদিন নিয়মিত খেতে হবে।
অর্শ রোগে রক্তপাতে
প্রতিদিন সকালে লবণ দিয়ে জাম খেলে যে দু তিন মাস জাম পাওয়া যাবে আর কি সে মাসগুলোতে খেলেই রক্তপাত বন্ধ হবে। পরপর কয়েকটি বছর যে সময় জ্যাম পাওয়া যাবে এই চিকিৎসা নিলে অর্শ ও রক্তপাত সেরে যেতে পারে।
অন্য অসুখে জামের চিকিৎসা
শরীরের জ্বলুনি, লিভার বা যকৃত ও প্লীহা বা পিলে বৃদ্ধিতে আগে অর্শের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেমন বলা হয়েছে সেই রকম ভাবেই প্রতিদিন যে সময়ে জাম পাওয়া যায় সে সময়গুলোতে সকালে লবণ দিয়ে জাম খেলে উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যে ফল
বিকেল চারটের মধ্যে নিজের সুবিধের মতো সময়ে যখন যে ঋতুতে যে ফল পাওয়া যায় সে ফল এবং আরো নানাবিধ ফল যতটা খেতে পারবেন ততটা খেয়ে নিন। এই ফলের তালিকা শসা প্রত্যেকদিন থাকবে। পাকা পেঁপে, শাকা আলু, সবেদা, পেয়ারা, কলা, গরমকালে পাকা আম, লিচু, বর্ষাকালে আনারস, কাঁঠাল, নাশপাতি, শীতকালে কমলালেবু, আপেল ইত্যাদি ফল প্রচুর পরিমাণে খান।
আরো পড়ুনঃ যে সকল রোগের ন্যাচারাল উপকারী হতে পারে কাঁচা আমলকী
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই দু গ্লাস পানি খেলে পেটের নানাবিধ সমস্যা সারে। এবং বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url