তাহাজ্জুদের দোয়া কি এবং কখন তা বলতে হয় এটি অনেকেরই অজানা
১০০+ স দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নামতাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয় ব্যাপারটি অনেকেই জানে না, বিশেষকরে যারা সাধারণ
মানুষ তাহাজ্জুদ পড়ে তারা। তাহাজ্জুদ নামক ইবাদাহর মাধ্যমে অনেক কিছু সমাধান হয়ে
যায়।
প্রিয় পাঠক, আপনি ও যদি একজন সালাতে তাহাজ্জুদ গোযার হয়ে থাকেন এবং জানেন না যে
কখন সলাতুল লায়ল বা তাহাজ্জুদের নামাজের যে বড় দোয়াটা আছে তা কখন বলতে হবে? তবে
আপনার জন্য আজকের এই লেখাটি আপনার জন্য সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
তাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয়
তাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয় ব্যাপারটি এখানে সুষ্পষ্ট করার চেষ্টা করছি।
শাব্দিক বিশ্লেষণ: প্রথমত কিছু কথা বলা দরকার তাহাজ্জুদ ইবাদত নিয়ে।
আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে তাহাজ্জুদ শব্দটি হচ্ছে আরবী শব্দ। যেটি আরবী ব্যকরণ
অনুপাতে বাবে تفعل এর মাসদার। এর অর্থ হলো রাত্রে জেগে উঠা বা জেগে থাকা।
তাহাজ্জুদের প্রতিশব্দ বা Synonym বা مرادف (সমার্থক) শব্দ হলো صلاة الليل বা
রাতের নামাজ।
আরো পড়ুনঃ নামাজের ভিতরে বাহিরে ১৩ ফরজ কি কি বিস্তারিত জানুন
পারিভাষিক অর্থ: সলাতুত তাহাজ্জুদ বা তাহাজ্জুদের নামাজ হলো ঐ নামাজ যেটা রাতে
কিছু ঘুমিয়ে নিয়ে রাত্রে উঠে বা জেগে পড়া হয়। আবার কেউ বলেন যে, রাত্রে ইশা
নামাজের পর শুয়ে পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া এবং রাতে কিছুক্ষণ ঘুম পেড়ে জেগে গিয়ে যে
নামাজটা আদায় করা হয় তাই তাহাজ্জুদের নামাজ। এই সংজ্ঞাটি সূরা মূযযাম্মিল এর
প্রথম আয়াত থেকে সাবেত হয়েছে।
তবে এ বিষয়টি অর্থাৎ রাত্রে কিছুক্ষণ ঘুম যাওয়ার পর উঠে গিয়ে নামাজ
পড়া ইসলামের প্রথম যুগে করা হতো। মানে সূরা মুজাম্মিল অবতীর্ণ হওয়ার
পর আল্লাহর রাসূল (সা) তার সাহাবীদের নিয়ে প্রথম এক বছর, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তখন
ফরজ হয় নাই, তো সেই সময় বাধ্যতামূলক বা ফরজ স্বরুপ একটু ঘুমিয়ে নিয়ে আবার
জেগে গিয়ে নামাজগুলো পড়তেন।
তাহাজ্জুদ সম্পর্কে কুরআনের আয়াত:
সূরা বানী ইসরাইলের 79 নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "و من الليل فتهجد
به نافلة لك عسي أن يبعثك ربك مقاما محمودا" অর্থাৎ রাতের কিছু অংশ কুরআন
পাঠ সহ তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করুন (হে নাবী!), আশা করা যায় যে আপনাকে আল্লাহ
তায়ালা প্রশংশিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন বা উঠাবেন। এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা
রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়তে বলেছেন এবং পাশাপাশি কুরআন ও তেলাওয়াত করতে
বলেছেন।
একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, কোরআন তেলাওয়াত করা হচ্ছে উত্তম কাজ যা স্পষ্ট
হাদিসে রয়েছে। আর রাত জেগে জেগে কোরআন তেলাওয়াত করা আরো উত্তম কাজ বা
ফজিলতপূর্ণ কিংবা সওয়াবের কাজ। আর আপনি যদি রাতের সালাত বা তাহাজ্জুদের
নামাজে অফ কোরআন তেলাওয়াত বেশি বেশি করতে পারেন তাহলে আরো অত্যন্ত এবং অত্যাধিক
বেসি পূণ্যের কাজ।
কারণ, কোরআন তেলাওয়াত তো পূণ্যে বা নেক কাজ অবশ্যই, আবার নামাজের ভিতরে কোরআন
তেলাওয়াত আরো পূণ্যের কাজ এবং তাহাজ্জুদের নামাজের কোরআন তেলাওয়াত করা আরো বেশি
সওয়াব বা পূণ্যের কাজ। যেহেতু আল্লাহর নবী (সা) এক হাদীসের ভিতর বলেছেন
যে রমজানের সিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ সিয়াম হচ্ছে মহররমের
সিয়াম, আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুতের
নামাজ।
এখন আসি তাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয় এবং তার দোয়াগুলো কি ও কেমন
সেদিকে। প্রিয় পাঠক, আমরা ইতিমধ্যেকার আলোচনার দ্বারা ফুটিয়ে তুলেছি
যে তাহাজ্জুদের নামাজটা সাধারণত রাত্রে শোয়ার পর অর্থাৎ এশার সালাত আদায় করে
অনর্থক কোনো কাজে সময় নষ্ট না করে আল্লাহর নবী ঘুমিয়ে যেতে বলেছেন। যেন
শেষ রাত্রে উঠতে বা ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে
পড়তে সমস্যা না হয়।
হাদিসের ভিতরে আল্লাহর নবী (সা) স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, শেষ রাতের তৃতীয়াংশে
বা যখন রাত্রির তিনভাগের দুই ভাগ চলে যাবে তখন উঠতে হবে এবং তাহাজ্জুদের
নামাজ আদায় করতে হবে। আরো স্পষ্ট করছি যে প্রায় রাতকে তিন ভাগ করে
শেষভাগের শুরুতে অর্থাৎ প্রায়ই আড়াইটা বা তিনটা বা সাড়ে তিনটার দিকে মানে
রাত ছোট বড় হিসেবে খেয়াল করে এই নামাজটা পড়তে হয়।
আর তাহাজ্জুদের যে বিশেষ দোয়া এই দোয়া বা দোয়া গুলো পড়তে হবে ঘুম থেকে উঠেই
চোখ কচলাতে কচলাতেই ঘুম ঘুম থেকে উঠার দোয়া বলার পরে ঐ তাহাজ্জুদের
লম্বা দোয়াটা বলতে হবে। তাহাজ্জুদের লম্বা দোয়াটা হচ্ছে বাংলাতে শব্দগুলো এমন__
আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আন্তা ক্বায়্যিমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি অমান ফী হিন্না
অলাকাল হামদু আন্তা নূরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি...এই ভাবে ইত্যাদি শব্দ গুলো বলতে
হবে।
তার আগে আরো কিছু দোয়া আছে আপনি পারলে সেগুলো বলতে পারবেন। আমি দোয়াগুলো
আরবিতে লিখে দিব। প্রিয় পাঠক, আপনার সুবিধার জন্য আমি সিরিয়ালে কখন
কোন দোয়া বলতে হবে স্পষ্ট করে ইঙ্গিত দিচ্ছি বাংলায়। সর্বপ্রথমে আপনি ঘুম
থেকে উঠার দোয়া বলবেন "আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আহয়ানা বা'দা মা আমাতানা ওয়া
ইলাইহিন নুশূর" এটি।
এর পরে বলবেন "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু
ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর" এটি। এরপর "সুবহানাল্লাহি
ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার" এটি। এরপর
বলবেন, রাব্বিগ ফিরলি বা আল্লাহুম্মাগফিরলি। এরপর তাহাজ্জুদের
লম্বা দীর্ঘ দোয়াটা যদি পারেন তাহলে বলবেন।
এটি বলতে পারলে অনেক সওয়াবের ভাগীদার হবেন বা অধিকারী হবেন। আর সেই দোয়ার শুরু
অংশ আমরা ইতিপূর্বে বল্লাম। অর্থাৎ 'আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আন্তা ক্বয়্যিমুস
সামাওয়াতি ওয়াল আরযি...' এটি।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়
তাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয় এটি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা
করেছি। আবারো এখানে সংক্ষেপে সুস্পষ্ট করছি। তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া
যেগুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন রকম। তাহাজ্জুদ নামাজ সাধারণত তারাবির নামাজের
মত করেই পড়তে হয়। তারাবির নামাজ যেমন দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয় অনুরূপ
তাহাজ্জুদ নামাজের দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
মূলত রমজান মাসে যে তারাবির নামাজ পড়া হয় এটি মূলত তাহাজ্জুদের নামাজ বা
যাকে হাদিসের ভাষায় বলা হয় সালাতুল লাইল বা রাতের নামাজ। তাই রমজান মাসে
তারাবি পড়ার কারণে তাহাজ্জুদ পড়তে হয় না তবে যদি কেউ তারাবিও পড়ে আবার
শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ নামাজও পড়ে তাতেও সমস্যা নেই, বরঞ্চ আরো সওয়াবের ভাগিদার
হবে।
আর তাহাজ্জুদ নামাজ না পড়লেও তারাবির নামাজ পড়ার হুকুম হলো, তারাবীহ পড়া
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বা প্রায় ওয়াজিবের কাছাকাছি একটি সালাত। রমজান মাসে
তাহাজ্জুদ না পড়ে তারাবি পড়াটাই উত্তম। কেউ তারাবী নামাজ না পড়ে তাহাজ্জুদ পড়তে
চাইলে হয়ে যাবে তবে তারাবীহ জামায়াতের সাথে পড়া হয় এবং যত বেশি লোক হবে তত বেশি
সওয়াব পাওয়া যাবে।
যাইহোক, তাহাজ্জুদ নামাজের যে দোয়াগুলো রয়েছে সেগুলো পড়া সওয়াবের, না পড়লে যে
তাহাজ্জুদ হবে না এমনটি নয়। মানে দোয়াগুলো পড়লে সওয়াব হবে না পড়লে কোনো পাপ হবে
না বা সমস্যা হবেনা। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হবে যে সময়ে সেটি হলো শেষ রাতে, রাত
ছোট বড় যাই হোক না কেন বছরের যেকোনো সময় রাত দুইটার পরে ফজরের আগ পর্যন্ত পড়লেই
হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য এশা নামাজে বেতরের নামাজ পড়তে হবে না। তাহাজ্জুদের
নামাজ পড়তে উঠে দুই দুই রাকাত পড়ে ৮ রাকাত বেতর পড়বেন, এরপর ৩ রাকাত বেতর পড়বেন।
সবমিলিয়ে এগারো রাকাত পড়বেন। অথবা, দুই দুই রাকাত ১০ রাকাত পড়বেন, এটি হবে
তাহাজ্জুদ। আর সবশেষে এক রাকাত বেতর পড়বেন। তাহলে সব মিলিয়ে ১১ রাকাত হয়ে
যাবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া সমহূ
তাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয় এটি তো জানলেন। এখন জানবেন যে দোয়াগুলো পড়তে
হবে সেগুলো প্রথমত আরবীতে, এরপর উচ্চারণে বাংলায় লিখব যারা আরবী পড়তে জানেনা আমার
প্রিয় অতি সাধারণ পাঠকদের জন্য। তো চলুন জেনে নিই তাহাজ্জুদের বিশেষ দোয়াগুলো,
যেই দোয়াগুলো পড়ে আল্লাহর কাছে যা চাবেন তাই পাবেন, এটি আল্লাহর রাসূল (সা)
হাদীসে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
তবে, আরেকটি বিষয় হলো দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তিনটি সূরতে দিয়ে থাকেন। ১) যা
চাবেন তা সাথে সাথে দিবেন, ২) যে জন্য দোয়া করলে ঐ টা না দিয়ে আপনার সাথে ঘটতে
যাওয়া একটি বিপদ দূর করে দেন, এবং ৩) এই দোয়ার রেজাল্ট টা পাথেয় বা সওয়াব আকারে
সঞ্জিত বা জমা রাখেন, এবং ঐটা সওয়াবগুলো কাল ক্বিয়ামতে আপনার আমল নামায় দিয়ে
আমলনামা ভারী করে থাকবেন।
নিচে দোয়া বা দুয়াগুলো দিচ্ছি পড়ুন, মুখস্থ করুন এবং আমল করার চেষ্টা করুন
ইনশাআল্লাহ। দোয়াগুলো সিরিয়ালে দিচ্ছি। যেভাবে দিব একের পর এক পড়বেন। ছোট
দোয়াগুলো পড়বেন এরপর বড় দোয়াগুলো পড়বেন। আর ছোটগুলো না পড়লেও সমস্যা নাই, বড়
দোয়াটা পড়বেন ঘুম থেকে উঠে ঘুম থেকে উটার দোয়া বলার পর।
1) الحمد لله الذي احيانا بعد ما اماتنا و اليه النشور বাংলা উচ্চারণ হলো আলহামদু
লিল্লাহিল্লাযি বা'দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
2) لا اله الا الله وحده لا شريك له الملك و له الحمد و هو علي كل شيء قدير বাংলা
উচ্চারণ হলো লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল
হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর।
3) سبحان الله و الحمد لله و لا اله الا الله و الله اكبر ولا حول و لا قوة الا
بالله الهم اغفرلي او رب اغفر لي বাংলা উচ্চারণ হলো সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু
লিল্লাহি, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, ওয়ালা হাওলা ওয়া কুওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহ, আল্লাহুম্মাগ ফিরলি অথবা রব্বিগ ফিরলি। এই দোয়াগুলো পড়ে আল্লাহর
কাছে যা চাইবেন আল্লাহ সেটাই ক্ববুল করবেন এর গ্যারান্টি রয়েছে হাদীসে। এবং এরপর
ওযু করে যেই সালাত বা নামাজ আদায় করবেন সেটাও আল্লাহর দরবারে ক্ববুল হবে। হাদীস
সহীহ বুখারী ও মুসলিম। বর্ণনাকারী উবাদাহ ইবনে সামিত্ব (রা)।
4) اللهم لك الحمد انت نور السماوات والارض ومن فيهن ولك الحمد انت قيوم السماوات
والارض ومن فيهن انت الحق ووعدك الحق ولقائك الحق والجنه حق والنار حق والساعه حق
اللهم لك اسلمت وبك امنت وعليك توكلت واليك انبت ولك خاصمت واليك حاكمت فاغفر لي
ما قدمت و اخرت و اسررت و اعلنت انت الهي لا اله الا انت বাংলা উচ্চারণ হলো
আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আমনতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি ওয়া মান ফীহিন্না
ওয়ালাকাল হামদু, আন্তা ক্বয়্যূমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি ওয়া মান ফীহিন্না, আন্তাল
হাক্কু, ওয়া ওয়া'দুকাল হাক্কু, ওয়ালিকাউকাল হাক্কু, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান
নারু হাক্কুন, ওয়াস সায়াতু হাক্কুন, আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়াবিকা আমানতু,
ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া লাকা খ-স্বমতু, ওয়া ইলাইকা
হাকামতু, ফাগফিরলী মা ক্বদ্দামতু, ওয়া আখখারতু, ওয়া আসরারতু, ওয়া আ'লানতু, আনতা
ইলাহী, লাইলাহা ইল্লা আনতা।
এই দুয়াটা বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন রকম রয়েছে। প্রিয় রিডার, হাদীসের অনেক দুয়া
রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন বর্ণনাকারীর বর্ণনায় একেকজন একেকভাবে বর্ণনা করেছেন শব্দের
হেরফের করে। কিন্ত দোয়ার মূলভাব প্রায় একই, শুধু শব্দগুলো উলটা পালটা করে এসেছে,
এতে কোনো সমস্যা নাই।
আরো পড়ুনঃ সিজদার ক্ষমতা কতটুকু - সিজদার ফজিলত
আমরা যেই দোয়া এখানে লিখলাম এটি তাহাজ্জুদের দোয়া এবং কখন এটি বলতে হবে আমরা
ব্যক্তি করেছি। সহীহ আদাবুল মুফরাদে ৬৯৭ হাদীসে রয়েছে। ইমাম আলবানী এটিকে সহীহ
বলেছেন। সহীহ বুখারী ৭৩৮৫ ও মুসলিমে ৭৬৯ এ বিভিন্ন শব্দে এসেছে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
তাহাজ্জুদের দোয়া কখন বলতে হয় বিষয়টি এই ব্লগটিতে সুস্পষ্ট করে লেখার
চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি আল্লাহকে ভয় করুন, এবং
এক্ষেত্রে আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য এবং নিজের আমলনামা সওয়াব বা নেকি বা
পূণ্য দিয়ে ভারি করার জন্য রাতে উঠে রাত জেগে জেগে তাহাজ্জুদ পড়ুন এবং কোরআন
তেলাওয়াত করুন এবং অসংখ্য নেকি কামিয়ে নিন।
তাহলে আমার ব্লগ বা আর্টিকেল লেখাটি স্বার্থক হবে বলে বিশ্বাস করছি। আরো এমন
ব্লগ বা আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url