আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সহজ কাজআউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস যেভাবে পাবেন তা আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, মার্কেটপ্লেস ক্লাইন্ট পাওয়া খুব ডিফিকাল্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। একটি ক্লাইন্টের জন্য অনেক শ্রম দিতে হয়, টাইম স্পেন্ট করতে হয়, আর রাত জাগাতো আছেই। 
আউট-অফ-মার্কেটপ্লেস-থেকে-ক্লাইন্ট-হান্টিং-হ্যাকস
তাই, ফ্রিল্যান্সার রা আজ মার্কেটপ্লেস তথা ফাইভার, আপওয়ার্কে যতটুকু টাইম তার ১/৪ ভাগ টাইম আউট অফ মার্কেটিপ্লেসে দিলেই ক্লাইন্ট পাওয়ার অনেক পরিমাণে সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, দেরি না করে বিষয়টি নিম্নে খুলাখুলি বলার চেষ্টা করি চলুন।

পেজ সূচীপত্রঃ

আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস

বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক ফ্রিল্যান্সিং জগতে আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লায়েন্ট হান্টিং দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মার্কেটপ্লেস নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করার সুবিধা হল সময় ও অর্থ বাঁচাতে পারবেন। এবং দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্কে স্থাপন করতে পারবেন। তবে এটি সহজ নয়, আর এই জন্য সঠিক কৌশল/হ্যাকস জানা জরুরী। 

আরো পড়ুনঃ লিড জেনারেশন কি - লিড জেনারেশন কত প্রকার স্পষ্ট আকারে জানুন

এখানে এমন দশটি গুরুত্বপূর্ণ হ্যাকস তুলে ধরব যেগুলো আপনাকে আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট/বায়ার/প্রোস্পেক্ট খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস নিয়ে ২১টি কৌশল/উপায়/পদ্ধতি/স্ট্রাটেজি/টিপস এন্ড ট্রিকসগুলো যেটাই বলেন সেগুলো নিম্নে শেয়ার করছি।

সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকর ব্যবহার

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন Linkedin, Twitter অথবা Facebook ইত্যাদিতে প্রফিশনাল ব্যাক্তি বা পেশাদারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন। আপনার প্রোফাইলটিকে পেশাদার হিসাবে সাজিয়ে রাখুন এবং সেখানে আপনার দক্ষতার বিবরণ দিয়ে রাখুন। এতে টার্গেটেড পোস্ট ও কমেন্টের মাধ্যমে নিজের প্রতি ক্লায়েন্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। 

নিয়মিত ক্লায়েন্টের আকর্ষণ করতে সফল কাজের এক্সামপলগুলো দিয়ে রাখুন। এর মাধ্যমে আপনি বায়ার বা ক্লাইন্টদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ বা কমিউনিটিতে অংশ নিয়ে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।

পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং তৈরি করা

নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন খোঁজার অন্যতম প্রধান কৌশল। একটি পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করুন, যেখানে আপনি আপনার কাজের মডেল বা নমুনা, এক্সপেরিয়েন্স-অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্ট রিভিউ শোকেশ করে রাখুন। একই সাথে অনলাইন প্রোফাইলে একটি ব্র্যান্ড বেইস পরিচয় তৈরি করুন। প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট শেয়ার এবং ব্লগ/আর্টিকেল লিখে নিজের দক্ষতা তুলে ধরুন। এটি ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার প্রতি আস্থা বাড়াবে এবং আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করা

অনলাইন এবং অফলাইনে বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। এ জন্য কনফারেন্স, সেমিনার বা ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করে নিজেকে উপস্থাপন করুন। ভিজিটিং কার্ড বিতরণ এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নতুন ক্লাইন পেতে পারেন। 

এমনকি ভার্চুয়াল ইভেন্টেও যোগ দিয়ে গ্লোবাল ক্লাইন্টদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হতে পারবে। আপনি যদি আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস এর এ টিপসটি ভালোভাবে কাজে লাগান তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে আপনি ক্লাইন্ট পাবেন।

ইমেইল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করা

আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস আরো এক উপায় হলো  ইমেইল মার্কেটিং। এখনো এই ইমেইল মার্কেটিং কৌশল ক্লায়েন্ট খোঁজার একটি কার্যকর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের জন্য কাস্টমাইজ ইমেইল তৈরি করুন, যেখানে তাদের প্রয়োজনীয় সমস্যা এবং সমাধানের প্রস্তাব ও থাকবে। 

আর এটিতে একটি স্পষ্ট সাবজেক্ট লাইন এবং ব্যক্তিগত পরিচিতি তুলে ধরা ও নিশ্চিত করুন। পাশাপাশি ফলোআপ ইমেইল পাঠাতে ভুলা যাবে না। তাহলে এই কৌশলটি প্রয়োগ করলে এটি দীর্ঘমেয়াদী  কাজের সুযোগ তৈরি করতে সহায়ক হবে।

ক্লাসিফাইড সাইট ব্যবহার করা

অনেক ক্লাইন্ট তাদের প্রোজেক্টের জন্য ক্লাসিফাইড সাইটে পোস্ট দেয়, যেমন Craiglist, Gumtree, Poshmark এবং এর বাইরের কিছু ফোরাম সাইটস। নিয়মিত এই সাইট গুলো চেক করুন এবং আপনার স্কিলস বা দক্ষতার সাথে মিল থাকা কাজের জন্য আবেদন করুন। এ প্লাটফর্মগুলোতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি। কারণ এখানে প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

ওয়ার্ড অফ মাউথ রেফারেল

সন্তুষ্ট ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে রেফারেল পাওয়ার নতুন ক্লাইন্ট পেতে দারুন কাজ করে। যে ক্লায়েন্টদের সাথে আগে কাজ করেছেন তাদের কাছে আপনার সার্ভিস বা পরিষেবা সুপারিশ করতে অনুরোধ করুন। এছাড়াও, প্রফিশনাল নেটওয়ার্ক বা পেশাদার পরিচিতদের মাধ্যমে রেফারেল চাইতে পারেন। রেফারেল সিস্টেমটা কাজ পেতে সহজ করে দেয় এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে আস্থা তৈরি করে।

ফ্রিতে ভ্যালু ক্রিয়েট করা

আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফ্রিতে ভেল্যু ক্রিয়েট করা। নতুন ক্লাইন্ট আকর্ষণ করার জন্য বিনামূল্যে ভ্যালু দেওয়া একটি অতীব কার্যকর পদ্ধতি। আপনি আপনার দক্ষতা নিয়ে একটি ছোট ডেমো কাজ করুন বা বিনামূল্যে গাইড বা টুল শেয়ার করতে পারেন। এটি ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার দক্ষতা প্রমাণ করবে এবং তাদের আস্থা অর্জন করতে সহায়ক হবে এবং পরবর্তীতে তারা আপনার সেবা নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী থাকবে।

ব্লগিং এবং গেস্ট পোস্টিং করা

নিজের ব্লগে বা প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট লিখে নিজের দক্ষতা তুলে ধরুন। ব্লগে নির্দিষ্ট সমস্যা এবং তার সমাধানের প্রোজাল বা প্রস্তাব পেশ করে আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এটি দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্টদের খোঁজার একটি কার্যকর কৌশল এবং এটি অতিরিক্ত আপনার পোর্টফলিওকে সমৃদ্ধ ও সুসজ্জিত করবে।

পেশাদার ফোরাম এবং কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকা

অনলাইনে পেশাদার ফোরাম যেমন কোরা (Qoura) বা রেডিট (Reddit) এ সক্রিয় থাকুন। ফোরামে ক্লায়েন্টদের প্রশ্নের উত্তর দিন এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য শেয়ার করুন। এতে করে আপনি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। পাশাপাশি এমন পেশাদার (প্রফেশনাল) কমিউনিটিতে অংশ নিন যেখানে আপনার দক্ষতার প্রাসঙ্গিক ( Skills Relevent) ক্লাইন্টরা উপস্থিত থাকে।

সময়ের সঠিক ব্যবহার করা

সময়ের সঠিক ব্যবহার ক্লায়েন্ট খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক/উপায় হ্যাকস। রাতের বা দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় ক্লায়েন্ট হাটিং এর জন্য বরাদ্দ করুন এবং নিয়মিত নতুন কৌশলে ক্লাইন্ট হান্টিংয়ে চেষ্টা করুন। ক্লাইন্টদের টার্গেট বা লক্ষ্য এবং ডিমান্ড বা চাহিদা সম্পর্কে জানুন এবং তাদের সমস্যার উপর ভিত্তি করে সমাধান প্রস্তাব করুন।
সময়ের-সঠিক-ব্যবহার-করা
মানে কিভাবে কি করলে ক্লাইন্টের সমস্যাটির সমাধান হবে তা নিশ্চিত করে প্রোপাজাল সেন্ড করুন। নিয়মিত প্র্যাক্টিস বা অনুশীলন এবং পরিশ্রম আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে।

পোর্টফোলিও হাইলাইট করে প্রস্তাব পাঠানো

আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস এর আরো একটি পার্ট হলো পোর্টফোলিও হাইলাইট করে প্রোপাজাল পাঠানো। যে কাজগুলোতে আপনি দক্ষ সেগুলোকে হাইলাইট করে ক্লাইন্টদের কাছে প্রস্তাব পাঠান। প্রজেক্ট ভিত্তিক একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন যা প্রাসঙ্গিক Example হিসাবে কাজ করবে এবং আপনার কাজের মান ও সময়মতো ডেলিভারি এবং সমস্যার সমাধানের দক্ষতা দেখিয়ে ক্লায়েন্টদের ট্রাস্ট বা বিশ্বাস অর্জন করুন। প্রস্তাব পাঠানোর সময় প্রাসঙ্গিক সমস্যার সমাধানের স্ট্রাটেজি বা কৌশল তুলে ধরলে ক্লায়েন্ট সহজে আগ্রহী হবে।

স্থানীয় ব্যবসার সাথে যোগাযোগ করা

স্থানীয় (Small Business) ছোট ব্যবসাগুলোর অনেক সময় ডিজিটাল Services বা সেবা বা ফ্রিল্যান্সিং সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের ইচ্ছা বা চাহিদা সম্পর্কে জানুন। একটি শক্তিশালী প্রেজেন্টেশন বা প্রপোজাল তৈরি করে দিন, যা তাদের ব্যবসার উন্নতির পথ দেখাবে। স্থানীয় মার্কেটে কাজ করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়বে যা ভবিষ্যতে (In Future) আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করতে প্রবলভাবে সাহায্য করবে।

সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম ব্যবহার করা

ক্লায়েন্ট খোঁজার জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার এবং টুলস ব্যবহার করতে পারেন। যেমন Hubspot, Linkedin Sales Navigator অথবা Appolo.io। এ টুলগুলো সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের তালিকা বা লিস্ট তৈরি এবং তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করে। এই সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করলে  আপনার সময় বা টাইম বাঁচাবে আর এই সময়টার সঠিক প্রয়োগ করতে পারলেই লাভবান হতে  পারবেন। এবং আপনি আরো সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করতে পারবেন।

ইন্ডাস্ট্রিভিত্তিক কৌশল প্রয়োগ করা

আপনার দক্ষতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি বা ক্ষেত্র নির্বাচন করুন। যেমন যদি আপনি ডিজাইনিং এ দক্ষ হন তাহলে ই-কমার্স বা রিটেইল বা খুচরা ব্যবসার ক্লায়েন্টদের টার্গেট করুন। নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা গুলো সমাধানের প্রস্তাব দিলে আপনি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করলে আপনার দক্ষতা আরো গভীর হবে এবং ক্লায়েন্টদের কাছে এস্পেশালিস্ট বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ এবং পডকাস্টে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা

অনেক ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ এবং পডকাস্টে ক্লায়েন্ট খোঁজার হান্টিং এর জন্য টিপস এবং ট্রিকস শেয়ার করা হয়। তো আপনি ক্লাইন্ট বা বায়ার বা প্রোস্পেক্ট পেতে এই ব্লগগুলো পড়া এবং পটকাস্ট শুন্তে পারেন। এটি আপনাকে নতুন আইডিয়া দিতে পারে, পাশাপাশি ব্লগ পোস্টে কমেন্ট বা পডকাস্টে আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেকে ব্র্যান্ডেড বা পরিচিত করুন তাহলে এটি আপনার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করবে এবং নতুন ক্লাইন্ট পেতে সাহায্য করবে।

মেন্টর বা কোচিং নেটওয়ার্কে যোগদান করা

যারা ইতিমধ্যে সফল ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা তাদের থেকে পরামর্শ নেওয়া আপনাকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে বা কোচিং নেটওয়ার্কের যোগ দিয়ে ক্লায়েন্ট হান্টিং এর উন্নত কৌশল শিখতে পারবেন। তারা আপনাকে নতুন সুযোগের কথা জানাতে পারবে এবং সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবে। এটি নতুন ক্লাইন্টদফের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার কার্যকরী একটি হ্যাকস বা টিপস। এটি ও একটি আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস এর মাঝে অন্যতম।

অনলাইন কোর্স এবং ওয়ার্কশপ চালানো

আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে অনলাইন কোর্স করুন বা ওয়ার্কশপ আয়োজন করুন। এটি আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত করার জন্য সাহায্য করবে এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আপনি যদি ডিজাইনিং, মার্কেটিং বা কোডিং বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে এ বিষয়ে ক্লাইন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন। এভাবে আপনি শুধু ক্লাইন্ট বা বায়ারই নয়, বরং দীর্ঘ মেয়াদী সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন এবং প্রোসপেক্ট কে পার্মানেন্ট করতে পারবেন।

ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা

ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার দক্ষতা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করুন। উদাহরণস্বরূপ, "টপ ১০টি সহজ উপায়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন" এমন শিরোনামে ভিডিও তৈরি করলে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবে। এ ধরনের কনটেন্ট আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াবে এবং সরাসরি আপনার কাজের ক্লাইন্ট বা গ্রাহকের সাহতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন।

কোল্ড কলিং কৌশল ব্যবহার করা

যদিও কোল্ড কলিং একটি পুরনো কৌশল। তবে এটি এখনো কার্যকর হবে, যদি যে কোনো মূল্যে ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের চাহিদা বুঝাতে ক্যাপাসিটি থাকে এবং কনভিন্স করতে চেষ্টা করলে দোষের কিছু নেই, ক্লাইন্ট কনভার্সন হতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আপনার স্কিলস বা দক্ষতা কিভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে তা তুলে ধরুন। কোল্ড কলিং এ ধৈর্য এবং আত্মবিশ্বাস জরুরী, কারণ এটি ধীরে ধীরে সফলতা আনায়ন করে।

প্রো এক্সপার্ট কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ করা

অনেক অনলাইন কমিউনিটি এবং ফোরাম রয়েছে যেখানে এক্সপার্টস বা বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়ে কাজের অপারচুনিটিস বা সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে, যেমন Behance, Dribble, Flickr অথবা Toptal ইত্যাদির মত প্ল্যাটফর্মগুলো। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নিন

এ প্লাটফর্মগুলোতে Active বা সক্রিয় থাকুন এবং নিজের পোর্টফলিও ও প্রোফাইল আপডেটেড রাখুন এবং রিলেভেন্স বা প্রাসঙ্গিক কমিউনিটিতে আপনার কাজ শেয়ার করলে ক্লায়েন্টদের নজর কাড়তে ভূমিকা রাখবে।

ক্লাইন্ট রিটেনশন এবং আফসেল কৌশল অবলম্বন করা

কেবল নতুন ক্লাইন্ট খোঁজা নয় বরং পুরনো ক্লায়েন্টেনদের ধরে রাখা ও গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য তাদের প্রয়োজন বুঝে আপসেল বা তাদের ব্যবসা কিভাবে উন্নতি হবে এবং তার উপায় কি এটি ক্লিয়ার করে অফার করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি তাদের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে ভবিষ্যতের মেইনটেনেন্স বা এসিও (SEO) সেবার প্রস্তাব দিন।
ক্লাইন্ট-রিটেনশন-এবং-আফসেল-কৌশল-অবলম্বন-করা
এভাবে আপনি নতুন ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার চেয়ে পুরাতন ক্লায়েন্টদের সাথে বেশি স্থায়ী এবং লাভজনক সম্পর্ক তৈরি করুন। তাহলে এর দ্বারা আপনার ক্লায়েন্ট পারমানেন্ট হবে আর একজন ক্লায়েন্ট সাথেই কাজ করে শেষ করতে পারবেন না। তাই হ্যাকস বুঝে প্রয়োগ করুন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আউট অফ মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লাইন্ট হান্টিং হ্যাকস এবং টিপস ও ট্রিকস সম্পর্কে আর্টিকেলটি লেখার চেষ্টা করেছি। আউট অফ মার্কেটপ্লেস ক্লায়েন্ট হান্টিং কঠিন মনে হলেও সঠিক কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে তার সহজ করা সম্ভব। উপরের ২১ টি পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি সরাসরি ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কে গড়ে তুলতে সফল হবেন। 

নিয়মিত অনুশীলন এবং ধৈর্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আরো এ রকম সমৃদ্ধশীল ব্লগ পেতে আব্দুন নূর আইটি ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url