মসুর ডালের ২৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার অজানা উপকারিতামসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতার ব্যাপারে জানতে হবে স্বাস্থ্য সচেতনদের। এটি প্রোটিন, ফাইবার সমৃদ্ধ যা হৃদপিন্ড ও হজমে সহায়ক। এবং মসুর ডাল স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী এক উপকরণের নাম।

মসুর-ডালের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

প্রিয় পাঠক, মসুর ডাল পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি উপাদান যা বাংলাদেশের লোকেদের জন্য প্রধান খাবারগুলোর অন্যতম। তবে অতিরিক্ত বা ভুল উপায়ে খেয়ে ফেললে কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর প্রভাব ও দেখা দিতে পারে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করছি।

পেজ সূচীপত্রঃ মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা

মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা

মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে এখানে লিখছি। প্রিয় পাঠক, মসুর ডাল আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। মসুর ডাল প্রতিদিন খাবার তালিকায় আপনি আদর্শ খাবার আমিষ হিসাবে হিসাবে রাখতে পারেন দৈনিক ৬টি আদর্শ খাবার( শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট বা চর্বি, মিনারেল বা খনিজ, ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ, প্রোটিন বা আমিষ ও জল ইত্যাদি) থেকে। নিম্নে ১৫টি মসুর ডালের উপকারিতা লিখছি।

১) প্রোটিনের উৎসঃ মসুর ডাল প্রোটিন বা আমিষের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি নিরাপিষভোজী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য প্রোটিন বা আমিষের ঘাটতি পূরণ করার জন্য দায়িত্ব পালন করবে। 

২) পাচনতন্ত্রের জন্য ভালোঃ মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, ফলে এটি হজম শক্তি বাড়িয়ে দয়। আবার কষা পায়খানা প্রতিরোধ করে। তার মানে আপনি বুঝতেই পারছেন যে এটি পাচনতন্ত্র বা হজম সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে।

৩) ওজন কমাতে সহায়কঃ এটি আপনার জন্য উপযুক্ত খাদ্য বা খাবার হতে পারে আপনার ওজন কমানোর সহায়ক উপকরণ হিসাবে। কারণ এতে খুব কম পরিমাণ ক্যালোরি থাকে যা ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই মসুর ডাল আপনার নিত্য দিনের আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

৪) হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেঃ মসুর ডালে রয়েছে টক্সিন দূরকারী উপাদান, যার ফলে এটি রক্ত ফ্রেশ করবে এবং ব্লাড প্রেসার কমাবে। অবশেষে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করবে বা কমাবে।

৫) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবেঃ মসুর ডালে যে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স রয়েছে তা কম হয়ে থাকে বিধায় এটি রক্তে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার পরিমাণ কন্ট্রোল করতে সহায়ক হয়।

আরো পড়ুনঃ কলার খোসার রহস্যে ঘেরা ১৫টি উপকারিতা পড়ুন

৬) আয়রন সমৃদ্ধঃ মসুর ডালে উচ্চ মাত্রার আয়রন বা স্বাস্থ্যসম্মত লৌহ উপাদান থাকায় এটি রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে এবং এটি অনবরত শরীরকে কার্যকরী আয়রনীয় করতে সাহায্য করতে থাকবে।

৭) এনার্জি বাড়ায়ঃ মসুর ডালে যে প্রোটিন বা ফাইবার থাকে তা শারীরিক শক্তি বা এনার্জি বৃদ্ধি করতে এবং দূর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।

৮) চামড়ার স্বাস্থ্য উন্নত করেঃ এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে এটি ত্বকের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বক বা চামড়াকে মসৃণ করে তোলে।

৯) হাড় শক্তিশালী করেঃ মসুর ডালে রয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত উপাদান ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেগুলো শরীরের বোনস বা হাড়গুলোকে শক্তিশালী করে এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো করে।

১০) ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ মসুর ডালের আবার রয়েছে ভিটামিন বা ভাইটামিন বা বলবর্ধক এবং মিনারেল বা খনিজ উপকরণ যেগুলো ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ইমিউন সিস্টেমটাকে উন্নত করতে থাকে।

১১) কোলেস্টেরল কমায়ঃ মসুর ডালের ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, রক্তনালী গুলোকে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে।

১২) ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়কঃ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য ফিজিক্যাল টক্সিন দূরকারী উপাদান মসুর ডালে রয়েছে যেগুলো ক্যান্সার বা পঁচন রোগের রিস্ক কমায়।

১৩) রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি করেঃ মসুর ডালে যে আয়রন বা লৌহ উপকরণ এবং অন্যান্য ব্লাড উন্নতকারী উপাদান রয়েছে যেগুলো রক্ত সঞ্চালন সহজ ও উন্নত করতে ভূমিকা রাখে।

১৪) মন ভালো রাখেঃ এই খাদ্য উপাদানটিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বিঁ ৬ মস্তিষ্ক বা ব্রেইনের কার্যক্রমকে ডেভলপ করে, যার ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি হয় এবং ভালো রাখে।

১৫) ত্বকের খারাপ দাগগুলো রোধ করেঃ মসুর ডালের অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ত্বক বা চামড়ার বলিরেখা বা ব্যাড স্পটগুলোকে রোধ করে এবং বার্ধক্যের ছাপ বা লক্ষণগুলোকে দূর করে দেয়।

মসুর ডালের অপকারিতা

উচ্চমাত্রার প্রোটিন ক্ষতিকর হতে পারেঃ আপনি কিডনি বা বৃক্ক রোগী হয়ে থাকলে অতিরিক্ত মসুর ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন যা কিডনির উপর প্রেসার ক্রিয়েট করে।

পাচনতন্ত্রে সমস্যা হতে পারেঃ এটি অতিরিক্ত খেলে আপনার পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটি বা অম্লতার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মূত্র সমস্যাঃ পিউরিন নামক এক ধরণের উপাদান থাকায় এটি এক্সট্রা গ্রহণে ইউরিক এসিড এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে যা মূত্র সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের ভারসাম্যহীনতাঃ মসুর ডাল অতিরিক্ত খেলে অন্য নিউট্রিশন বা পুষ্টির চাহিদা কমিয়ে দিতে যেমন জিংক ও ক্যালসিয়াম এর চাহিদা।

এলার্জিঃ মসুর ডালের কিছু মানুষের এলার্জি বা অতি প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেটি ত্বক বা চামড়ার সমস্যা বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।

মাথা ব্যথাঃ শরীর ফারমেন্টেশন হয়ে মাথা ব্যথা হতে পারে কতেক লোকের এক্সট্রা মসুর ডালের খাওয়ার ফলে।

কিডনি পাথরঃ মসুর ডালে অক্সালেট রয়েছে যা কিডনি রোগে ভোগা লোকদের মসুর ডাল সেবনে ক্ষতির কারণ হতে পারে কারণ এই অক্সালেট পাথর তৈরী সহায়ক হয়।

দাঁতের ক্ষতিঃ মসুর ডাল অতিরিক্ত খেয়ে দাঁত ভালোভাবে না ধৌত করলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যেতা পারে।

অতিরিক্ত ক্যালোরিঃ মসুর ডালে ক্যালোরি কম থাকা স্বত্তেও তা এক্সেস খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।

শক্তি হ্রাসঃ মসুর ডালে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা কম থাকায় এটি অত্যধিক সেবনে মাঝে মধ্যে শরীরের শক্তির কমতি বা ঘাটতি অনুভূত হতে পারে।

এছাড়াও, মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা আরো রয়েছে যা গবেষণা করলেই পেয়ে যাবেন। এটি স্বাস্থ্যকর হলেও সঠিক পরিমাণে না খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই বেশি খাওয়ার আকর্ষণ থাকলে পুষ্টিবিদদের সাজেশন নেওয়া উচিত।

মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয়

মসুর ডাল খেলে কি মোটা হয় নিয়ে লিখছি। মসুর ডালে ক্যালোরি ও ফ্যাট এর পরিমাণ থাকে, যার ফলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। তবে এক্সট্রা খেলে ওয়েট বা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে যদি উচ্চ ক্যালোরি সম্পন্ন খাবারের সঙ্গে খেয়ে ফেলেন। সঠিক পরিমাণ করে এটি খেলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ ওজন বজায় রাখে। নিম্নে লিস্টে কয়েটকটি কথা রইল।
মসুর-ডাল-খেলে-কি-মোটা-হয়
  • মসুর ডাল কম ক্যালোরি থাকে বিধায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়ক হয় এবং পেট ভরিয়ে রাখে।
  • অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ার পসিবিলিটি থাকে।
  • মসুর ডালের প্রোটিন মাসল বা পেশি গঠনে সাহায্য করে, চর্বি জমতে থাকে।
  • সঠিক মাত্রায় খেলে এটি ওজন কন্ট্রোলিং এ সহায়তা করে।

রাতে ডাল খেলে কি মোটা হয়

রাতে ডাল খেলে কি মোটা হয় নিয়ে লিখছি। রাতে ডাল খেলে ওয়েট বৃদ্ধি করেনা, যেহেতু এর ভিতর ফ্যাট কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে যা পাচনক্রিয়ায় সহায়ক হয়। তবে অত্যধিক খাওয়ার ফলে ক্যালোরি জমে গিয়ে ওয়েট গেইন করতে পারে।

  1. ডালে ফ্যাট পরিমাণে কম তাই ওজন বৃদ্ধ করেনা।
  2. ডালে ফাইবার থাকায় পেট ভরিয়ে রাখে।
  3. এক্সেস খাওয়ায় ওজন বাড়াতে পারে।
  4. রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি না করে ক্যালোরি জমতে পারে।
  5. সঠিকভাবে খেলে ডাল স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর।

মুগ ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা

মুগ ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে এখানে লিখছি। মুগ ডাল অত্যন্ত ভিটামিন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার যা নিউট্রিশনের চাহিদা পূরণ করে। এটি হজমশক্তি উন্নত করে, ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হেল্প করে। তবে অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা ও গ্যাস হতে পারে। নিম্নে মুগডালের উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো লিখছি। 

মুগ ডালের উপকারিতাঃ
  • প্রোটিনের উৎস যা পেশি শক্তশালী করে।
  • কষা পায়খানা দূর করে ও হজম পাওয়ার বাড়ায়।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • হার্ট রোগের রিস্ক কমায়।
মুগ ডালের অপকারিতাঃ
  • অত্যধিক খেলে পেটের গ্যাস হতে পারে।
  • কতেক লোকের এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
  • বেশি খেলে হজম সমস্যা হতে পারে।
  • ব্লাড প্রেসার কম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • কিছু সময় খাদ্যনালির অস্বস্তি হতে পারে।

খেসারি ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেসারি ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে লিখছি। এটি প্রোটিনের সোর্স। অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এতে ফাইবার, ভিটামিন ও অন্যান্যা আরো উপাদান রয়েছে। সঠিকভাবে না খেলে নার্ভের সমস্যা হতে পারে।  দীর্ঘ দিন খেলে নিউরোটক্সিক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। নিচে খেসারি ডালের উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো লিপিবদ্ধ করছি।

উপকারিতাঃ
  1. প্রোটিন সমৃদ্ধ।
  2. দেহে শক্তি যোগাতে সহায়ক।
  3. পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।
  4. সহজ ও দ্রুত রান্না করা যায়।
  5. হজমে সাহায্য করে ফাইবারযুক্ত হওয়া কারণে।
অপকারিতাঃ
  1. অতিরিক্ত খাওয়াতে নার্ভের ক্ষতি হতে পারে।
  2. নিউরোটক্সিক হতে পারে।
  3. কিডনির পাথর জন্মদায়ক হতে পারে।
  4. হজম সমস্যা ও গ্যাস এর সমস্যা তৈরী করতে পারে।
  5. দীর্ঘ মেয়াদী খেলে পঙ্গুত্বের কারণ হতে পারে।

ত্বকে মসুর ডালের উপকারিতা

ত্বকে মসুর ডালের উপকারিতা নিয়ে লিখছি। এটি ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে সুবিধা দিতে পারে, যা ত্বক বা চামড়ার মৃত সেল বা কোষ দূর করে এবং উজ্জ্বল করে। এটি ত্বকের বিভিন্ন খারাপ দাগ দূর করে। এটি আবার ফেস প্যাক হিসাবে তৈরী করে রেগুলার ব্যবহার করলে ত্বক আরো মসৃণ ও সফট বা নরম হয়ে উঠে।

মসুর ডালের উপকারিতাঃ
  • ত্বক এর মৃত সেল বা কোষ দূর করে।
  • ত্বকের কালার ফর্সা ও উজ্জ্বল করে।
  • ব্রণ বা ছোট ফোড়া ও অন্য দাগ দূর করতে সহায়ক হয়।
  • ত্বকের কোমলতা ও মসৃণতা সৃষ্টি হয়।

মুখে মসুর ডালের উপকারিতা

মুখে মসুর ডালের উপকারিতা নিয়ে চলেন বলি। এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ন্যাচারাল এক্সফোলিয়েটর রুপে কাজ করে এবং ত্বককে মৃত কোষের হাত থেকে বাঁচায়। নিয়মিত আপনি সেবন করলে ত্বকের উজ্জলতা ও মসৃণতা  বাড়াবে।
  1. ত্বকের মরা কোষ অপসারণ করে।
  2. ত্বকের ব্রাইটনেস বাড়ায়।
  3. ব্রণ ও দাগ ধবংস করে।
  4. ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে।
  5. ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যের সিমপটোম কমায়।

মসুর ডাল খেলে কি গ্যাস হয়

মসুর ডাল খেলে কি গ্যাস হয় বিষয়টি এখানে লিখছি। মসুর ডাল কিছু মানুষের জন্য গ্যাসের কারণ হতে পারে। মসুর ডালে ফাইবার বা আঁশ বা প্রোটিন বা আমিষ বেশি থাকায় কতেক লোকের হজমে সসস্যা তৈরী করতে পারে, আর এই জন্য পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তবে সকলের জন্য এমনটি হয়না। তবে মসুর ডাল সঠিকভাবে ধুয়ে ও রান্না করে খেলে তেমন সমস্যা হয় না। নিম্নে আরো রইল।

আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ১৫ স্বাস্থ্য উপকারিতার বিস্তারিত

  • এর ফাইবার হজমে সময় নেওয়ার জন্য গ্যাস হতে পারে।
  • সঠিক ধুয়ে পরিষ্কার না করলে গ্যাস হতে পারে।
  • এতে ফাইটিক এসিড থাকায় গ্যাস তৈরী করতে পারে।
  • বেশি খেলে হজম প্রক্রিয়া ব্যহত করে এবং গ্যাস হয়।
  • এলার্জিশীল লোকদের সমস্যা  তৈরী করতে পারে।

মসুর ডাল খেলে কি এলার্জি হয়

মসুর ডাল খেলে কি এলার্জি হয় নিয়ে এখানে লিখছি। কিছু মানুষের জন্য মসুর ডালে এলার্জি হতে পারে। আপনি যদি প্রোটিন বেশি এলার্জিক হয়ে যান তাহলে আপনার জন্য এটি এলার্জির অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এটে অনেক পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ রয়েছে। এটি মূলত ত্বকের ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি বা চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখে পানি ঝরাতে দায়ী হতে পারে।
মসুর-ডাল-খেলে-কি-এলার্জি-হয়
মসুর ডাল খাওয়ায় এলার্জির কারণ --
  • এর মধ্যে থাকা প্রোটিন দেহে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া বা অ্যালার্জি তৈরী করতে পারে।
  • আগে অন্য ডাল জাতীয় কিছু খাওয়ায় অ্যালার্জির সমস্যা হলে মসুর ডালে সমস্যা হতে পারে।
  • ত্বকের ছোঁয়ায় ডালের চূর্ণ আসলে এলার্জির সমস্যা করতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে উক্ত আর্টিকেল বা ব্লগটিতে লেখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়লে মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতার দিকগুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে আপনার বোঝগুলো। আরো এরকম নিত্য ও উপকারী ব্লগ পেতে আব্দুন নূর আইটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।

প্রায় জিজ্ঞাসিতা প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ

মসুর ডাল খেলে কি ক্ষতি হয়?

হ্যাঁ, মসুর ডাল খেলে হজম ও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।

প্রতিদিন কত গ্রাম মসুর ডাল খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন ২০-৪০ গ্রাম মসুর ডাল খাওয়া উচিত।

ডালের উপকারিতা কি কি?

প্রোটিনের উৎস, ফাইবার সমৃদ্ধ, কম ক্যালোরি সম্পন্ন, ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত, হৃদরোগের দমন, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি,সুস্থ ত্বকের উন্নয়ন, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হতে পারে।

প্রতিদিন কি মসুর ডাল খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন মসুর ডাল পরিমিত খাওয়া যায় তবে মাঝে মাঝে গ্যাপ দিয়ে খাওয়া ভালো।

মসুর ডাল কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

মসুর ডাল সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু মানুষের জন্য হজম, গ্যাস ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url