ঘরে বসে আয় করার উপায়অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্প্রতি সহজলভ্য, তবে এটি নিয়ে সুকৌশল,
সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। অনলাইন ব্যবসায় সঠিক
মার্কেট রিসার্চ ও অপরিহার্য।
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি অনলাইন ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার ব্যবসার উপায়গুলো জানেন
তাহলে অবাক না হয়ে পারবেন না। প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজে স্বতন্ত্র করতে হলে গুণগত
মান ও কাস্টমার সার্ভিস খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে ব্লগটি জুড়ে বিষয়টি পড়তে থাকুন।
পেজ সূচীপত্রঃ অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায়
অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায়
অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায় নিয়ে এখানে লিখছি। বর্তমানে
ইন্টারনেটের প্রসার ও অনলাইন প্লাটফর্মের উন্নতির ফোনে ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশে অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ব্যবসা করে
সফলতা অর্জন করতে চান এবং কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাহলে
তা সম্ভব।
এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা ও সুকৌশলের মাধ্যমে দৃঢ় মন মানসিকতা নিয়ে সামনে
আগাতে হবে। নিম্নে অনলাইনে কোটিপতি হওয়ার জন্য কার্যকরী কিছু উপায়
লিখা হলো।
ব্যবসার সঠিক ধারণা নির্বাচনঃ আপনার জন্য অনলাইনে সকল ব্যবসা শুরু
করার প্রথম পদক্ষেপটি হলো আপনি একটি কার্যকরী ব্যবসার ধারণা নির্বাচন করুন।
ব্যবসার ধরন যেমন হতে পারে ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস
বিক্রয় করতে পারেন, ড্রপশিপিং বা ডিজিটাল পণ্য বেচার ব্যবসা করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ফ্রি ইনকাম সাইট 2024 বিস্তারিত পড়ে বুঝুন
আপনি যেহেতু বাংলাদেশের মার্কেটে ব্যবসা করতে চান সেহেতু বাংলাদেশের মার্কেটে কি
ধরনের চাহিদা বেশি পেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করে সঠিক ব্যবসা আপনার জন্য সিলেকশন
বা বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী একটি ব্যাপার। সময় বা মৌসুম অনুপাতে কোন
পণ্যের ডিমান্ড কেমন ও কতটুকু বেশি তা গভীরভাবে রিসার্চ করে পণ্য নির্বাচন
করুন।
মার্কেট রিসার্চ ও প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণঃ সকল ভাবে ব্যবসা করার জন্য
আপনি ভালোভাবে মার্কেট রিসার্চ করুন যেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আজ অনলাইনে
প্রতিযোগিতামূলক টিকে থাকা অত্যন্ত টাফ ব্যাপার। তাই আপনি যদি বাজারে টিকে
থাকতে চান আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর ইউনিকনেস বা অনন্যতা এবং
মানুষ কতটুকু মূল্যায়ন করে সেটি জানতে হবে।
এছাড়াও, আপনাকে যেটা গবেষণা করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার
প্রতিযোগিরা কিভাবে ব্যবসা করছে এবং তার পরিচালনা করছে এবং বিশেষ করে তাদের
থেকে নিজেকে কিভাবে স্বতন্ত্র করতে পারবেন সেই কলা কৌশলটি নিজেকে বের করতে হবে
এবং আপনাকে এক অনন্য কৌশল তৈরী করতে হবে। যাতে তাদেরকে ব্যবসায় পরাজিত করে নিজের
জায়গাটা পোক্ত করতে পারেন এবং নিজের একটা ব্র্যান্ড ভ্যেলু মেইক করতে পারেন।
কার্যকরী অনলাইন মার্কেটিং পরিকল্পনাঃ অনলাইনে আপনার ব্যবসার সাফল্য
অনেকটাই নির্ভর করবে আপনি কিভাবে মার্কেটিং করছেন, আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি
কেমন এবং আপনার মার্কেটিং কলা কৌশল ও ব্যবসার ডেভলপিং রুলস গুলো কেমন তার
উপর। আপনার এক্ষেত্রে যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকা যে বিষয়গুলোত অত্যন্ত
দরকারী ও জরুরী তা হলো সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রি ও পেইড মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস
সম্পর্কে যথেষ্ঠ ধারণা থাকা এবং ওয়েব পেজ বা ওয়েবসাইট এসইও,
যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট গুগল, বিং ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করিয়ে ব্যবসার
উন্নয়ন করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি ভিডিও মার্কেটিং করতে পারেন, কন্টেন
মার্কেটিং করতে পারেন এবং এগুলো বর্তমান মার্কেটে খুবই জনপ্রিয়
কৌশল। আর বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে সঠিক
কাস্টমার টার্গেটিং করে আপনার পণ্য সেলিং গ্রোথ করতে পারেন।
ই-কমার্স প্লাটফর্ম ব্যবহার করাঃ বর্তমান আপনি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম
গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার ব্যবসা স্কেল আপ করার অন্যতম সুবিধা
হচ্ছে আপনি সহজেই একটি অনলাইনে বিগ কাস্টমার বেইস বা বড় গ্রাহক এর
ভিত মজবুত করতে পারবেন। আপনার জন্য বাংলাদেশে ই-কমার্স
সাইটগুলোতে আপনার পণ্য বিক্রি করা অত্যন্ত সহজ হতে পারে।
যেমন খুব জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট দারাজ, আজকের ডিল এবং বিক্রয় ডট
কম এর মত প্লাটফর্ম গুলোতে নিজের পণ্য লিস্টিং বা তালিকাভুক্ত করে বেচা বিক্রি
শুরু করতে পারেন। যেগুলোর অনেক সাইটে ফ্রি ও পেইড লিস্টিং করে ও
অ্যাডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে আপনার পণ্যটি সবার আগে নিয়ে এসে পণ্যটির বিক্রয়কে
দ্রুততর করতে পারেন। এছাড়াও, শপিফাই উ-কমার্স প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিজের একটি
স্টোর বা অনলাইন দোকান খুলেও আপনার প্রোডাক্ট সেল দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং বা সার্ভিস বেইস ব্যবসাঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং বা নিজের সার্ভিস বিক্রি করে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা
খুবই জনপ্রিয়তার সাথে কাজ করছে। এমনকি বাংলাদেশে অনেকেই একটি সার্ভিস
এজেন্সি খুলে নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে কাজ নিয়ে এসে কাজ
করিয়ে নিয়ে খুব মোটা অংকের মানে কোটিপতি হওয়ার ব্যবসা করছে।
আপনি যে সার্ভিসগুলো দিয়ে এজেন্সি বেস ব্যবসা করতে পারেন সেগুলো হলো
যথাক্রমে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ভিডিও
এডিটিং ইত্যাদি।
আপনার যদি লিখিত সার্ভিস গুলোর মাধ্যমে একটি ভালো মানের
ব্যবসা করতে চান আজই একটি এজেন্সি দাঁড় করানো আরম্ভ করুন। তাহলে ফাইভার,
আপওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার, গুরু এবং ফ্রিল্যান্সার ডট কম ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে
কাজ নিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং স্বপ্নীল কিছু অর্জন করতে পারবেন।
ড্রপশিপিং ব্যবসার পসিবিলিটিঃ ড্রপ শিপিং ব্যবসা করে আপনি কোটিপতি
হয়ে যেতে পারেন যেখানে আপনি তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে তাদের নিজেদের একটি পণ্য
নিয়ে সরাসরি গ্রাহকের কাছে মোটা অংকে বিক্রি করতে পারেন। যেই পণ্যটি
আপনাকে আপনার নিজস্ব কোন ফিজিক্যাল স্টোরে স্টক বা জমা করতে হয় না এবং
বিনিয়োগ ও তুলনামূলক কম করতে হয় আবার অনেক সময় বিনিয়োগ ও করতেও হয় না।
শপবেইস বা প্লাসবেইস, শপিফাই বা আলি এক্সপ্রেস এর মাধ্যমে আপনি ড্রপশিপিং
প্রোডাক্ট নিয়ে তাদের থেকেই হোস্টিং এবং অন্য জায়গা নিয়ে একটি ডুমেইন নিয়ে একটি
স্টোর ক্রিয়েট করতে পারেন এবং বিশেষ করে প্লাসবেইস, শপিফাই অথবা আলি এক্সপ্রেস এর
থেকে পণ্য নিয়ে পণ্য মার্কেটিং বিক্রি করে কোটি হওয়ার মত ব্যবসার মডেল দাঁড় করাতে
পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়াঃ আপনি আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া
ইনফ্লুয়েন্সার হয়েও মোটা অংকের অনলাইন টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন
ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার অথবা টিকটক এর
মত সোশ্যাল বা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একটি ভালো সংখ্যার ফ্যানবেইস বা
ফলোয়ার, সাবস্ক্রাইবার বেইস গড়ে তুলতে পারেন।
এরপরে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানির সঙ্গে কাজ করে তাদের প্রোডাক্টকে
আপনার পেজ বা চ্যানেলে প্রমোশন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যে ব্র্যান্ড বা
কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার চ্যানেলে বা পেইজে প্রমোশন বা প্রচার করছেন তাদের কাছ
থেকে একটা মোটা অংকের বিনিময় গ্রহণ করে আপনি ব্যবসার মতো সফলতার সাথে কাজ করতে
পারেন।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রয়ঃ আপনি ডিজিটাল প্রোডাকটস যেমন ই-বুক, সফটওয়্যার
কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন টেপ্লেট বিক্রির মাধ্যমে সহজেই অনলাইন ব্যবসা করে কোটি
টাকা কামিয়ে কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। আপনার যদি কোন স্পেসিফিক বা নির্দিষ্ট
বিষয়ে এক্সপার্টিজ বা দক্ষতা থাকে তাহলে সে বিষয়ে আপনি সার্ভিস প্রদানের ব্যবসা
করতে পারেন।
বাংলাদেশে আপনি এমন অনেক উদ্যোক্তা পাবেন যারা অনলাইনে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করার
মাধ্যমে জাস্ট একটি পিডিএফ বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে গেছেন। আপনিও এ ব্যাপারে
পিছিয়ে না থেকে বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করে একটি ডিজিটাল যুগ উপযোগী
এবং মার্কেট খাবে বা কাস্টমারের চাহিদা রয়েছে প্রচুর এমন ডিজিটাল পণ্য
অনলাইনে প্রফিটেবল ব্যবসা করতে পারেন।
কাস্টমার সার্ভিসের গুরুত্বঃ অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে সবচেয়ে যে
বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হচ্ছে কাস্টমার কি চায় সেটি। কাস্টমারের
চাওয়া বিষয় দিয়ে আপনি পূরণ করতে পারলে এটি অনলাইন ব্যবসায় অনেক বড় ভূমিকা
রাখবে। আপনার তাদের সাথে সঠিক সময়ে উপযুক্ত ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার
করে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগের বিষয়টি মজবুত করতে হবে।
আর তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসার সদোত্তোর দিতে হবে, তাদের সব বিষয়ে
সমাধান করতে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে, তাদের পণ্যের মানটা যেন ভাল হয় ও
তাদের বাছাইকৃত ও চাহিদার পণ্যটি যেন তাদের হাতে যায় সেতি ভীষণভাবে গুরুত্ব দিতে
হবে।
উন্নত কাস্টমার সার্ভিস কৌশল আপনার কমার্শিয়াল সিচুয়েশন বা ব্যবসার
অবস্থাকে অনেক উপরে তুলবে এবং গ্রাহকদের কাছে বিশ্বস্ত করবে। অনেকেই বলে,
গ্রাহকই হলো আপনার ব্যবসার মূল ভিত্তি এবং তারা পূজনীয়।
ধৈর্য এবং কৌশলগত পরিকল্পনাঃ অনলাইনে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ভীষণ
অপরিসীম বা সীমাহীন ধৈর্য থাকতে হবে এবং কৌশলগত পরিকল্পনাগুলো প্রখর ও
তীক্ষ্ণ হতে হবে। অনলাইনে যার যত বেশি ধৈর্য এবং ব্যবসা করার স্ট্রাটেজি বা
কৌশল অনেক সূক্ষ্ম ও গভীরতম তারাই অনলাইন ব্যবসায় কাঙ্খিত সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে
পারে।
অনলাইনে আপনার সফলতার জন্য আপনার ব্যবসার ভিতটাকে ধীরে ধীরে শক্ত করতে হবে এবং
ব্যবসা ও ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালুটাকে বাড়াতে থাকতে হবে।
প্রতিনিয়ত অনলাইন ব্যবসার যে আপডেট গুলো হচ্ছে বা আসতেছে সেগুলোর সাথে
নিজেকে আপটুডেট রাখতে হবে এবং মানিয়ে চলতে হবে।
অনলাইনে আপনার ব্যবসার সফলতার
জন্য দীর্ঘ মেয়াদী একটি সুগভীর আইডিয়া, পরিকল্পনা এবং রোড ম্যাপ ডিজাইন
করতে হবে এবং কনসিস্টেন্সি বা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চেষ্টা ও প্রচেষ্টা অব্যহত
রাখতে হবে।
আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায়গুলো বা
বাংলাদেশে সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে না পারেন তাহলে আপনার
কাঙ্খিত ব্যবসায়িক স্বপ্ন অপূরণীয় হয়ে থেকে যাবে। সঠিক ব্যবসার নির্বাচন, ব্যবসার
কন্টেস্ট বা প্রতিযোগিতা অ্যানালাইসিস এবং ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিগুলো
সঠিকভাবে প্রয়োগ করে আপনি আপনার এই ব্যবসার মাধ্যমে একজন কোটিপতি বিজনেস ম্যানে
পরিণত হতে পারবেন।
অনলাইনে কোটিপতি হওয়ার ব্যবসা
অনলাইনে কোটিপতি হওয়ার ব্যবসা করার কিছু কার্যকরী ও যুগোপযুগী উপায় নিম্নে পেশ
করছি যেগুলোর প্রতি নজর দিলে আপনি আপনার কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
এই জন্য লাগবে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা, প্রতিভা ও অনলাইনে কিভাবে ব্যবসা করে সফল
হওয়া যায় মানে কোটিপতি হওয়া তা লার্নিং এর বিষয়টি চালিয়ে যেতে হবে। নিম্নে লিস্ট
আকারে ১০টি উপায় লিখলাম।
- ই-কমার্স ব্যবসা
- ড্রপ শিপিং
- ফ্রিল্যান্সিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইউটিউবিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
- অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি
- ব্লগিং
- পডকাস্টিং
- সোশ্যাল মিডিয়া ইনক্লুসার হওয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লিখছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি
সীমিত পন্ডিতের ব্যবসা শুরু করতে চান যা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তবে এটি
যদি আপনি সঠিক উদ্যোগ এবং পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে পারেন তাহলে সফলতার সাথে
ব্যবসায় কাঙ্ক্ষিত বিষয়টি অর্জন করা সম্ভব।
ছোট ব্যবসাগুলোর ঝুঁকি কম থাকে, বড় প্রতিষ্ঠান লাগেনা, বাড়ী থেকেই শুরু করা যায়
এবং ধীরে ধীরে ছোট থেকে অনেক বড় ব্যবসায় পরিণত করা যায়। নিম্নে অনলাইনে ব্যবসা
করে কোটিপতি হওয়ার উপায়গুলোর ২৫টি এখানে লিখছি যা ১০ হাজার টাকায় ১ম শুরু করতে
পারবেন।
- হ্যান্ডমেড জুয়েলারি ব্যবসা
- হোমমেড ফুড ডেলিভারি
- মোমবাতি তৈরী ও বিক্রি
- প্রিন্টেড মগ বা কাস্টম গিফট
- টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা
- ছোটদের খেলনা বিক্রি
- প্লান্ট নার্সারী বা ইন্ডোর প্লান্ট বা উদ্ভিদ বিক্রি
- অনলাইন রিসেলিং বা ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি
- মিনিকেক বা পেস্ট্রি শপ
- হস্তশিল্পের সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি
- কাস্টম গ্রিটিং বা শুভেচ্ছা বা সংবর্ধনা কার্ড বানিয়ে বিক্রি
- রুম ডেকোরেশন বা ঘরবাড়ি সাজানোর সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি
- হাতে তৈরি সাবান বিক্রি করে ব্যবসা
- অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বা ডাটা এন্ট্রি/ কন্টেন রাইটিং
- গিফট বক্স তৈরি করে ব্যবসা
- মোবাইল এক্সেসরিজ বিক্রি
- পাপোস বা ডোরম্যাট বিক্রি করে ব্যবসা করা
- মিনি ফুড স্টল বা পানি, পুরি, ঝালমুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে ব্যবসা
- হস্ত শিল্পের কাপড় বুনিয়ে বা টেক্সটাইল ব্যবসা
- ফটোগ্রাফি সার্ভিস বা ইভেন্ট বা প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি
- অনলাইন টিউটরিং বা গৃহ শিক্ষকতা সার্ভিস
- ফেস মাস্ক বা প্রোটেকটিভ গেয়ার তৈরী করে বিক্রি
- হোম মেইড স্কিন কেয়ার প্রোডাকটস বা পণ্য বিক্রি
- কার্ড বোর্ড ক্রাফট তৈরীর ব্যবসা
- লো বাজেট ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি করে ব্যবসা
কোন ব্যবসা করে বড়লোক হওয়া যায়
কোন ব্যবসা করে বড়লোক হওয়া যায় ব্যাপারটি নিয়ে নিম্নে অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি
হওয়ার উপায় এর কতেক লিখছি যেগুলো খুব কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ।
- ইলেক্ট্রনিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা
- রিয়েল এস্টেট ডেভলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
- টেকনোলজি স্টার্টআপ বা সফটওয়্যার/ অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- ফ্রাঞ্চাইজিং ব্যবসা
- আন্তর্জাতিক ট্রেডিং বা আমদানি ও রপ্তানির ব্যবসা
- ফিনটেক কোম্পানি বা ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি
- অটোমোবাইল ডিলারশিপ
- কন্সট্রাকশন কোম্পানি
- ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসা
- রেস্তোরাঁ বা হোটেল ব্যবসা
- রিনিউএবল এনার্জি বা সৌরশক্তির ব্যবসা
- হেলথ কেয়ার এবং হাসপাতাল ব্যবসা
- লজিস্টিক এবং সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট
- ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি বা স্টক মার্কেট বা ভেঞ্চার Capital
শূণ্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়
শূণ্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ও অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায়সমূহের এখানে
কিছু লিখছি যেগুলো খুব সম্ভাব্য ও প্রত্যাশা জাগায়।
- ব্যবসা শুরু করা যা ছোট থেকে বড় পর্যায়ে নিয়ে যায়
- প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর ব্যবসা
- আউটসোর্সিং করে ইনকাম করা
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কমিশন আয়
- ই-কমার্স স্টোর চালু করে ভ্যারাইটিজ ক্লথ বিক্রি করা
- ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসা করা
- প্রপার্টি বা সম্পত্তির বেচা-কেনার ব্যবসা করা
- অনলাইনে শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম তৈরী করে আয় করা
- ফেসবুক পেজ তৈরী করে ভিডিও বানিয়ে ব্যবসা করা
-
ইউটিউবে চ্যানেল ডিমান্ডফুল ভিডিও আপলোড করে আয় করা
- ব্লগিং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ইনকাম করা
অনলাইন ব্যবসা করে কোটিপতি
অনলাইন ব্যবসা করে কোটিপতি হতে চাইলে নিম্নের ব্যবসার লিস্ট টি ফলো করতে
পারেন।
- ডিজিটাল প্রোডাকটস বিক্রি করা যথা ই-বুক, পিডিএফ, টেমপ্লেট ইত্যাদি।
-
সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সার্ভিস প্রদান করা যেমন কোর্স ও সফটওয়্যার ইত্যাদি।
- ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করে পূণরায় বিক্রি করা
- ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য প্রমোশন।
-
অনলাইন কোচিং বা মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালিয়ে অর্থ উপার্জনের ব্যবসা করা।
রাতারাতি অনলাইনে কোটিপতি হওয়ার উপায়
রাতারাতি অনলাইনে কোটিপতি হওয়ার উপায় নিয়ে নিম্নে পেশ করছি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং বা কম দামে কিনে বেশি দামে সঠিক টাইম সেন্সে বিক্রি
করা।
অনলাইন গেমিং বাই স্পোর্টস বা নিজে ভালো খেলোয়ার হয়ে ভাড়ায় খেলা।
ভাইরাল কন্টেন্ট নিয়ে ভিডিও তৈরী করে স্পন্সরশিপ থেকে অর্থ উপার্জন করা।
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি
অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায়গুলো নিম্নে কয়েকটি লিখছি।
1. শপিফাই, উ-কমার্স এর মত প্লাটফর্ম ব্যবহার করে স্টোর বানিয়ে কাপড় বিক্রি করা।
2. সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ও টিকটকারের মাধ্যমে কাপড় বিক্রি
ক্রা।
3. ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে অন্যের কাপড় নিয়ে বিক্রি করে ইনকাম করা।
4. নিজের ব্র্যান্ড ভেলু তৈরী করে নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি
করা।
5. বেশি ফলোয়ার বা বেশি ফ্যানওয়ালাদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা।
অনলাইনে কোন ব্যবসায় লাভ বেশি
অনলাইনে কোন ব্যবসায় লাভ বেশি বিষয়টি এখানে সংক্ষিপ্ত কথায় লিখার চেষ্টা
করছি।
- পণ্য মজুদ না করে অনলাইনে যেকোনো পণ্য বিক্রি করেলি লাভ বেশি হয়।
- ডিজিটাল পণ্য যেমন ই-বুক, সফটওয়্যার ও কোর্স বিক্রি করা।
আরো পড়ুনঃ
খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ওয়েব ডেভলপমেন্ট সার্ভিস বিক্রি করা।
-
অ্যাফিলিয়েট পণ্য বা অন্যের পণ্য বিক্রি বিনিয়োগ ছাড়াই মুনাফা অর্জন করা যায়।
-
স্টক ফটোগ্রাফি বা ফটো বা ভিডিও বানিয়ে মাইক্রো স্টক সাইটগুলোতে বিক্রি করা।
লেখকের শেষ মন্তব্য
অনলাইনে ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার উপায় নিয়ে আর্টিকেল বা ব্লগটিতে লেখার চেষ্টা
করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি অনলাইন ব্যবসা করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাহলে
আপানার সময়, শ্রম, সাধনা, চেষ্টা-প্রচেষ্টা, পরিকল্পনা, ধৈর্য এবং ধারাবাহিকভাবে
লেগে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। দেখবেন আপনার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আরো
সমৃদ্ধশালী ব্লগ পেতে আব্দুন নূর আইটি সাইটটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।
প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ
সহজে কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়?
সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম এবং ধারাবাহিকভাবে কাজ করার মাধ্যমে সম্ভব।
অনলাইন বিজনেস কি করা যায়?
ই-কমার্স বা অনলাইনে একটি স্টোর তৈরী করে পণ্য বিক্রি করা।
কিভাবে কোটিপতি হওয়া যায়?
সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত উদ্যোগের মাধ্যমে।
কিভাবে লাখপতি হওয়া যায়?
বুদ্ধিভিত্তিক ধারাবাহিক কাজ করার মাধ্যমে।
১০ বছরে কি কোটিপতি হওয়া যায়?
হ্যাঁ, সম্ভব যদি কন্সেস্টেন্সি বা রেগুলারিটি মেইনটেইন করে কাজ করে।
কত টাকা সঞ্চয় করে কোটিপতি হওয়া যায়?
নির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ নেই, তবে পরিকল্পনা ও সঠিক বিনিয়োগের উপর এটি নির্ভর করে।
কত টাকায় ধনী হওয়া যায়?
শূণ্য টাকা থেকেও ধনী হওয়া যায়, যদি নিজের গভীর বুদ্ধিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো
যায়।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url