কলার খোসার রহস্যে ঘেরা ১৫টি উপকারিতা পড়ুন

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাকলার খোসার উপকারিতা সাধাণত ফেলে দেওয়া হয়, কিন্ত এটি নানা গুণের সমাহার। কলার খোসা ত্বকের যত্ন, রুপচর্চা, মুখ ফর্সা এবং গৃহস্থালী কাজে সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। 

কলার-খোসার-উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে লিখতে চলেছি কলার খোসার এমনি ১৫টি উপকারিতা যা সাধারণত অনেকের কাছে রহস্যের মত। কলার খোসার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা বা ক্ষতি ও রয়েছে। নিম্নে বিষয়টি আলোচনা করছি।

পেজ সূচীপত্রঃ কলার খোসার উপকারিতা 

কলার খোসার উপকারিতা 

কলার খোসার উপকারিতা ব্যাপারটি এখানে আলোকপাত করছি। মূলত কলার খোসায় অনেক উপকারী গুণ অন্তর্নিহিত যেটা মানুষ অবহেলা করে ফেলে দেয়। এটি কেবল কলার ছাল বা আবরণই নয় বরং এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনেনা এটিকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হয়ে থাকবে। নিচে কলার খোসার ১০টি উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ

ত্বকের যত্নঃ কলার খোসা আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যা ত্বকের দাগ, ব্রণ এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি কলার খোসা বা ছাল দিয়ে আপনার ত্বক বা চামড়ায় হালকাভাবে ঘষা দিলে তাহলে ত্বক বা চামড়া মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে। এছাড়াড়া, ত্বকের জ্বালা-পোড়া ভাব হ্রাস করতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ কলার খোসায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ যা আপনার দাঁত কে করবে ধবধবে সাদা। আপনি প্রতিদিন খোসার ভিতরে অংশ দিয়ে আপনার দাঁত ঘষলে দাঁত আপনার দাঁত প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতার ন্যায় হয়ে যাবে। এটি আপনার দাঁতে কোন দাগ থাকলেও তা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্ষত অপসারণঃ আপনার শরীর পুড়ে গেলে সে জায়গায় যদি কলার খোসা ব্যবহার করেন তাহলে এটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এবং নির্দিষ্ট জায়গার ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করবে। কলার খোসায় থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার ক্ষতটি দ্রুত কমাতে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়াও, খোসার ভেতরের দিকটা ক্ষত জায়গায় লাগালে আরাম পাবেন এবং ব্যথা কমবে। 

আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ১৫ স্বাস্থ্য উপকারিতার বিস্তারিত

ঘুমের উন্নয়নঃ কলার খোসায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম আপনার বেশি স্থির করতে সাহায্য করবে, যেটা মানসিক প্রেসার কমাতে পারে এবং আপনার ঘুমের মান উন্নত করতে পারে। আপনি যদি ঘুমের সমস্যায় ভুগেন তাহলে কলার খোসা আপনার জন্য হতে পারে এক বিশেষ রেসিপি যা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারবেন।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধঃ কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা টক্সিন দূরকারী পদার্থ। নির্দিষ্ট এই উপাদান গুলো আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, হজম শক্তি উন্নতি করতে এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার খাদ্য তালিকায় এটি যুক্ত করতে পারেন তাহলে তা আপনার জন্য এক প্রসেসড ফুড হতে পারবে।

প্রাকৃতিক সারঃ যেকোনো বৃক্ষ বা গাছের যত্নের জন্য কলার খোসা প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করতে পারে। খোসার মধ্যে রয়েছে যে পটাশিয়াম এবং অন্যান্য নিউট্রিশন এলিমেন্ট টা আপনার গাছ বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। গলার খোসাটি ছোট ছোট টুকরা করে আপনার ফসলি মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে আপনার মাটির যে গাছ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ এগুলো শিকড় শক্ত হবে এবং ফুল ও ফল উৎপাদনে সহযোগিতা করবে।

চুলের যত্নঃ আপনি আপনার চুলকে বা চুলের স্বাস্থ্যকে উন্নত ও ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনি কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে, কলার খোসার ভেতরের অংশ আপনার চুলের গোড়ায় লাগালে চুল মসৃণ এবং উজ্জ্বল হবে। এটি অবশ্য আপনার চুলে কোন খুশকি থাকলেও তা কমাতে সাহায্য করবে। আপনি যদি নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলের রুক্ষতা দূর করবে এবং চুল পড়া বন্ধ করবে। 

মাথাব্যথা হ্রাস করণঃ কলার খোসার উপকারিতার আরও একটি হচ্ছে আপনার মাথা যদি প্রচন্ড ব্যথা করে তাহলে এটি ব্যবহারে মাথা ঠান্ডা করতে কার্যকরী হবে। এক্ষেত্রে, খোসাটি আপনি কয়েক মিনিটের জন্য আপনার বাসায় ফ্রিজ থাকলে তাতে রেখে দিন তারপরে সেটি একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে তা মাথায় লাগান দেখবেন মাথা অনেক শীতল হচ্ছে এবং আপনি আরাম পাচ্ছেন। এটি আপনার ব্লাড সার্কুলেশন বা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে এবং বিভিন্ন ব্যথা প্রশমন করতে সাহায্য করবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ কলার খোসায় যেহেতু প্রচুর ফাইবার বা আঁশ রয়েছে যা আপনার হজমে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে হজম যখন ঠিক হবে তখন কোষ্ঠকাঠিন্য ও দূর করবে এবং পাচনতন্ত্রকে বা নাড়ি-ভূড়ির সিস্টেমকে সুস্থ রাখবে। আপনি আপনার দৈনন্দিন এর খাদ্য তালিকায় ফাইবার উপাদান হিসেবে যুক্ত করতে পারেন কলার খোসা যা খেয়ে নিয়মিত উপকার পাবেন।

পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্নতাঃ আপনি কলার খোসা দিয়ে আপনার ঘরের বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার করতে পারেন। গলার খোসার ভেতরের অংশ দ্বারা আপনার বাড়িতে থাকা বিভিন্ন কাঁচ, স্টিলের পাত্র এবং আরো বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিষ্কারের মাধ্যমে উজ্জ্বল করতে পারবেন। যেটি ব্যবহার করলে ন্যাচারাল ক্লিনার হিসেবে কাজ করবে এবং কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের প্রয়োজন কমবে।

ত্বকের ময়েশ্চারাইজারঃ কলার খোসা আপনার ত্বকের জন্য আপনি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এতে খোসার ভিতরের সাইডটি আপনার ত্বকে ঘষলে ত্বক হবে হাইড্রেট এবং শুষ্কতা দূর হয়ে আদ্র হবে। এটি আপনি নিয়মিত ব্যবহার করে আপনার ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখতে পারবেন।

খাবার মাংস নরম করনঃ আপনি কলার খোসা আপনার খাবার মাংস নরম করার একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতির হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে, রান্নার সময় মাংসের কলার খোসা দিবেন তাহলে এটি মানুষের টেক্সচার পাল্টে নরম রাখতে সাহায্য করবে এবং এটি মাংসের স্বাদও বাড়তিভাবে যুক্ত করবে। 

ইঁদুর প্রতিরোধ ও দমনঃ ডিয়ার রিডার, আপনি আপনার বাড়িতে থাকা ইঁদুর করতে পারবেন কলার খোসা প্রয়োগ করে। এক্ষেত্রে এটি দীর্ঘ কয়েকদিন জমিয়ে রেখে দিন এবং যখন পচা ভাব হবে তখন এটি ইঁদুর প্রাদুর্ভাব এর জায়গায় রেখে দিলে ইঁদুর তাড়ানোর মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। কেননা, এর গন্ধ ইঁদুরের জন্য বিরক্ত হবে এবং বাসা থেকে পালিয়ে যাবে। 

চুলের উজ্জ্বলতার সহায়কঃ আপনি খোসা প্রয়োগ করে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবেন এবং আপনার চুল হয়ে যাবে ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ও সৌন্দর্য মন্ডি ও সুশোভিত এবং এর দ্বার আদ্রতা ভাব ফিরে পাবেন এবং আপনার চুল হবে দেখতে অতি আকর্ষণীয়।

ফেস মাস্ক বা পেস্ট হিসেবে প্রয়োগঃ আপনি কলার খোসা দিয়ে ন্যাচারাল ফেস মাস্ক বা পেস্ট তৈরি করতে পারবেন। খোসা প্রয়োগের পদ্ধতি হলো খোসা মধু ও দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট হবে আর সেটি মুখে লাগাতে হবে যা করলে ত্বক পরিষ্কার হবে, ব্রণ কমবে এবং ত্বকের ব্রাইটনেস বাড়াবে ও সতেজ রাখবে। 

এ ছাড়াও, কলার খোসার উপকারিতা আরো রয়েছে যা রিসার্চ করলে বের করতে পারবেন। বর্তমান মর্ডান যুগ একটু চোখ কান খোলা রাখলেই পেয়ে যাবেন কলার ছালের আরো বিভিন্ন বেনিফিটস। ব্রাউজিং ক্ষমতা থাকলে অনেক অজানা জানা হয়ে যায়। 

কলার খোসার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক

কলার খোসার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে নিম্নে আলোচনা করছি। প্রিয় রিডার, কলার খোসার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও বিদ্যমান। যেমন এতে কিছু মানুষের জন্য এলার্জি রয়েছে যা ত্বককে জ্বালা-পোড়া বা চুলকানোর কারণ হিসেবে দায়ের করতে পারে। বাকী লিস্ট আকারে নিচে উল্লেখ করছি।

১। যেখানে সেখানে কলার খোসার ফেললে এটি পোকামাকড়কে আকর্ষণ করতে পারে যার দ্বারা পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

২। কলার খোসা ভালোভাবে না পেকে প্রয়োগ করলে কিছু মানুষের পেট খারাপ, গ্যাসের পরিস্থিতি বা অ্যাসিডিটি ইত্যাদি হতে পারে বিশেষকরে সেনসিটিভ ব্যক্তিদের জন্য।

৩। বাজারের কলায় ব্যবহৃত কেমিক্যাল, ফরমালিন এবং কীটনাশক খোসার উপরে থাকার কারণে ভালোভাবে সেটিকে পরিস্কার না করলে স্বাস্থ্য হানিকর হতে পারে। 

৪। কলার খোসা সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এবং এটি ইউজ করলে ময়লা ও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে, বিশেষভাবে গৃহস্থালি বা বাড়ীর কাজে ব্যবহার করলে।

কলার-খোসার-অপকারিতা-বা-ক্ষতিকর-দিক

৫। আবার এতে ফাইবার বা আশের পরিমাণটা বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা পেট খারাপ ও পেট ফাঁপা ইত্যাদি হতে পারে। তাই সতর্কতার সাথে খান ও প্রয়োগ করুন!

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা ব্যাপারটি এখানে আলোকপাত করছি। কলার খোসা ত্বকের যত্নের জন্য আপনি এটিকে একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফলে এতে উপস্থিত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আপনার ত্বকের বৈচিত্রময় দাগ, ব্রণ এবং অন্যান্য স্পটগুলো দূর করতে সাহায্য করবে। 

তাছাড়াও কলার খোসাটি আপনার ত্বকে বা চামড়ায় ঘষা দিলে আপনার নির্দিষ্ট ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং এটি আপনার শুষ্ক ত্বকের আদ্রতা বা ভিজা ভাব ধরে রাখতে হোক সহায়ক হবে।

কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার বিষয়টি এখানে বিবরণ দিচ্ছি। আপনি কলার খোসা আপনার ত্বকে ব্যবহার করলে এটি দ্বারা আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন, দাঁত সাদা করতে পারবেন এবং চুলের উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে। নিম্নে লিস্ট আকারে লিখছি। 
  1. আপনার ত্বকের যত্নে কাজ করবে।
  2. আপনার কালো দাঁত সাদা করবে।
  3. আপনার চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করবে।
  4. আপনার উদ্ভিদের পুষ্টি ও সার হিসেবে কাজ করবে।
  5. ঘর পরিষ্কারক উপাদান হিসেবে কাজ করবে।
  6. আপনার জীবনের আরো বহুমুখী কার্যকরী উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

কলার খোসা মুখে মাখলে কি হয়

কলার খোসা মুখে মাখলে যা হয় বিষয়টি এখানে কয়েক লাইনে তুলে ধরছি। আপনি যদি গলার খোসা আপনার মুখে মাখেন তাহলে এর দ্বারা আপনার মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে, ব্রণ ও দাগ কমাতে সাহায্য করবে। এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট বা টক্সিন বিরোধী শক্তি এবং ভিটামিন সি ত্বকের বিভিন্ন রেখা বা দাগ হ্রাস করে ত্বককে মসৃণ করে তুলবে। 

এছাড়াও, আপনার ত্বকের প্রদাহ ও জ্বালা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে, আপনি এটি নিয়মিত ব্যবহার করে আপনার ত্বককে রাখবেন স্বাস্থ্যকর ও দীপ্তিময়।

চুলের যত্নে কলার খোসা

চুলের যত্নে কলার খোসা সম্পর্কে এখানে সংক্ষেপে বলছি। আপনি যদি গলার খোসা চুলের যত্নের জন্য প্রয়োগ করেন তাহলে সত্যিই এটি অত্যন্ত কার্যকরী হবে। আপনি আপনার চুলকে মসৃণ, উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারবেন এর ভিতরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক তেলের মাধ্যমে। এছাড়াও, এটি --
  • আপনার চুলের খুশকি দূর করবে।
  • চুল পড়া রোধ করবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাবে।
  • প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
  • এবং ন্যাচারাল তেল হিসেবে কাজ করবে।

কাঁচা কলার উপকারিতা

কাঁচা কলার উপকারিতা নিয়ে এখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে লিখছি। প্রিয় পাঠক, কলা বিভিন্নভাবে খেয়ে এবং ব্যবহার করে আপনি উপকার পেতে পারেন। যেমন আপনি কাঁচা কলাকে রান্না করে খেতে পারেন। আর যেভাবে এটিকে খান না কেন আপনি এর ভিতরে থাকা উপকারগুলো নিশ্চিতভাবে পাবেন। নিম্নে কাঁচা কলার উপকার গুলো লিখছি। 
  • আপনার হজম শক্তির উন্নয়নকারী হিসেবে কাজ করবে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
  • রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে।
  • এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করবে।

কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি 

কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি বিষয়টি এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরছি। কলার খোসা আপনার জমিন বা ভূমির প্রাকৃতিক সার হিসেবে সহজেই তৈরি করতে পারবেন এবং পরিবেশ বান্ধব হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তো কলার খোসা দিয়ে সাপ তৈরি করার পদ্ধতি হলো খোসাগুলো ছোট ছোট টুকরো করে মাটিতে মেশাবেন এবং এতে উপস্থিত পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম গাছের শিকড় কে করবে পুষ্টিময় এবং গাছগুলোকে দ্রুত বৃদ্ধি করবে। 
কলার-খোসা-দিয়ে-সার-তৈরি
এছাড়াও, চলার খোসা আপনি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারবেন এবং সেই পানিগুলো গাছের গোড়ায় দিলে এটা ফার্টিলাইজার বা সার হিসাবে কাজ করবে। এরকমভাবে কলার খোসা দিয়ে সার তৈরি করে ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না এবং গাছগুলোও স্বাস্থ সম্মত হবে এবং গাছের গোড়া শক্ত হবে এবং আগা বাড়বে কিন্ত পড়ে যাবে না।

কলা দিয়ে মুখ ফর্সা

কলা দিয়ে মুখ ফর্সা করা কলার খোসার উপকারিতা আরো একটি টপিক যা এখানে সংক্ষেপে কয়েক লাইনে লিখছি। ডিয়ার রিডার, কলার খোসায় যেয় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক হবে যদি আপনি এটি ইমপ্লিমেন্ট বা ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে - সারা শরীর ব্যথা করে কেন?

এতে করে, কলার মসৃণ পেস্ট স্ট আপনার ত্বকে লাগালে ত্বকের আদ্রতা বৃদ্ধি হবে এবং দাগ দাগগুলো কমে যাবে। এটি অবশ্য ত্বক বা চামড়ার মৃত সেল বা কোষগুলো দূরীভূত করে আপনার ত্বককে করবে আরো মসৃণ ও উজ্জ্বল। নিয়মিত আপনি কলার খোসা ব্যবহার করে আপনার ত্বকের ন্যাচারাল জেল্লাটা ফিরে আসবে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

কলার খোসার উপকারিতা বিষয়টি ব্লগ বা আর্টিকেলে সুস্পষ্ট করে লেখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি কলার খোসা দিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত উপকারটি এই ব্লগ বা আর্টিকেলটি পড়ে পেতে চান তাহলে মনোযোগ দিয়ে ব্লগটি পড়ে ফেলুন। আশা করা যায় আপনি কলার খোসায় থাকা উপকারগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে পাবেন। আরো এরকম উপকারী আর্টিকেল বা ব্লগ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।

প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ

কলার খোসার english কি?

ব্যানানা পিল (Banana Peel)।

মুখে কলা মাখলে কি হয়?

মুখের ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।

কলার ছাল মুখে দিলে কি হয়?

আপনার মুখ বা মুখের চামড়া প্রাকৃতিক ও লাবণ্যময় হয়।

কলা খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়?

হ্যাঁ, কলা খেলে আপনার পেটের বিভিন্ন টক্সিন দূর হবে আর যার মাধ্যমে একটা সময় ত্বক ফর্সা হবে।

কলার খোসা গাছে দিলে কি হয়?

কলার খোসা গাছে দিলে গাছ উর্বর হয়, গাছের গোড়া শক্ত হয় এবং ন্যাচারাল সার হিসেবে কাজ করে।

কলার খোসা কি ভালো সার?

হ্যাঁ, ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করবে ছোট ছোট টুকরো করে মাটিতে মিশিয়ে দিলে।

কলার খোসা কি গাছের উপকার করে?

হ্যাঁ, কলার খোসা গাছের উপকার করে যে গাছটি ওই মাটিতে থাকলে যে মাটিতে কলার খোসা ছোট টুকরো করে মিশিয়ে দেওয়া হয়। 

কলার খোসা মুখে লাগালে কি হয়?

আপনার মুখের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং মুখের ত্বকের মরা কোষগুলো জীবিত হবে ইত্যাদি।

ব্রণের জন্য কলার খোসা কি ভালো?

হ্যাঁ, ভালো।

কলার খোসা ছাড়ানোর উপকারিতা কি?

ও খোলার খোসা ছাড়ানোর অন্যতম উপকারিতা হলো এটি সহজে হজম সৃষ্টি করে, আপনার শরীরের পুষ্টিকর উপাদান হিসেব কাজ করবে, এতে থেকে আপনি পাবেন ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url