কিসমিস খাওয়ার ৪০টি+ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং নিয়ম জানুন

চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়মকিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকেরই জানা নেই। প্রিয় গ্রাহক, কিসমিস আঙ্গুরের একটি শুকনো রুপ যা খেলে ক্ষতিরকর দিকের পাশাপাশি বেশ উপকার ও মিলে। কিসমিস সম্পর্কে এখানে ৪০টি উপকার ও অপকার এবং তা খাওয়ার নিয়মগুলো লিখব। 

কিসমিসের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তো চলুন দেরি না করে শুকনো আঙ্গুর বা কিসমিস কিংবা ভিন্ন স্পেলিং কিশমিশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ। আপনি জানবেন ব্লগটি মূলত কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা এই শিরোনামে 

পোস্ট সূচীপত্রঃ কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা ও নিয়মগুলো।

কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো অনেক লোকের জ্ঞানের বাইরে। তো প্রিয় রিডার, কিসমিস হলো ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক শুকনো ফল যা আঙ্গুর থেকে তৈরি হয়। এটি নিউট্রিশন বা পুষ্টিতে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত আসফুল বা উপকারী। তবে কিছু ক্ষেত্রে, এর ডিসঅ্যাডভান্টেজ বা ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে। নিম্নে কিসমিসের বিভিন্ন উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো উল্লেখ করছি।

কিসমিসের উপকারিতাগুলো --

১। এনার্জি বৃদ্ধিঃ কিসমিস প্রাকৃতিক শর্করার উৎ যা দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।
২। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ ক্যালসিয়াম ও বোরন রাসায়নিক উপাদান য়য়েছে যা বোনস বা হাড়ের উন্নতি করে।
৩। রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধঃ এতে উচ্চ আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিন বাড়ায় ফলে রক্তশূণ্যতা প্রতিরোধ করে।
৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়নঃ কিসমিসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ করে।
৫। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করনঃ এর পলিফেনল হার্ট ডিজিজের রিস্ক কমিয়ে হৃদয় সুস্থ রাখে।
৬। দৃষ্টিশক্তির উন্নতঃ এতে থাকা ভিটামিন এ এর ফলে চোখে দেখার শক্তি উন্নতি ঘটায়।
৭। দাঁতের ক্ষয় রোধঃ এর ওলোনোলিক অ্যাসিড দাঁতের জন্য ভালো।
৮। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমায়।
৯। ওজন হ্রাস করনঃ প্রাকৃতিক শর্করা থাকার জন্য ক্ষুধা কমিয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনে এবং ওজন কমায়।
১০। ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার অজানা উপকারিতা

১১। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ এর ফাইবার বা আঁশ খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমায়।
১২। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধঃ কিসমিস অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোধে হেল্প করে।
১৩। কিডনির পাথর প্রতিরোধঃ কিশমিশে ম্যাগনেসিয়াম কিডনি বা বৃক্কের স্টোন বা পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে।
১৪। পেটের ব্যাকটেরিয়া কন্ট্রোলঃ সব ব্যাকটেরিয়া খারাপ নয় অর্থাৎ ভালো ও খারাপ দুই রকমেরই ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক রয়েছে। তো কিসমিস ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সহায়তা করে। 
১৫। মেটাবলিজম বৃদ্ধিঃ কিসমিসের ভিটামিন এবং মিনারেল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে।
১৬। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ এতে থাকা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শর্করার মাত্রা সুনিয়ন্ত্রণ করে।
১৭। হজমশক্তি বৃদ্ধিঃ এতে প্রাকৃতিক প্রবায়োটিক থাকায় হজম প্রক্রিয়া উন্নয়ন করে।
১৮। কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করনঃ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১৯। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নতিঃ কিসমিসে থাকা বোরন উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২০। ত্বকের দাগ হ্রাস করনঃ কিসমিস নিয়মিত গ্রহণে ত্বকের দাগ ও ব্রণ কমায়।
২১। চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ কিসমিসে থাকা আয়রন ও ভিটামিন চুলকে করে মজবুত ও প্রখর।
২২। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহঃ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বা বিষ বর্জ্য দূর করে।
২৩। লিভার ডিটক্সিফায়িংঃ আবার এটি লিভার বা যকৃতকে ডিটক্সিফায়িং বা যকৃতের টক্সিন দূর করে পরিশোধন করে।
২৪। চোখের ক্লান্তি দূর করনঃ কিসমিসে চোখের জন্য সুরক্ষাকারী উপাদান বিদ্যমান।
২৫। মাংসপেশি শক্তিশালী করনঃ কিসমিসের পটাশিয়াম প্রোটিন মাসল বা মাংসপেশিকে মজবুত করে।
২৬। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ কিসমিসের আয়রন ব্লাড সার্কুলেশান বা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
মহিলাদের মাসিকের সময় ক্লান্তি দূর করনঃ এতে থাকা আয়রন অবশ্য মহিলাদের মাসিকের সময় ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে।
২৭। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানের উপস্থিতিঃ কিসমিসে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি যা শরীরের যেকোনো প্রদাহ বা ঘায়ের বিরোধী শক্তি হিসেব কাজ করে। 
২৮। হরমোন নিয়ন্ত্রণঃ শরীরের হরমোন বা শরীর রসের ব্যালেন্স বা ভারসাম্য বজায় রাখে।
২৯। পাচনক্রিয়া ঠিক রাখাঃ এটি ফাইবার সমৃদ্ধ যা পাচনক্রিয়া বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
৩০। ব্রজ্য পরিষ্কারঃ যেকোনো দৈহিক টক্সিন বা বর্জ্য উপাদান দূর করে সেটা চামড়া মানে বাহ্যিক এবং ভিতরের সব।

সব কিছুর নিয়ম রয়েছে, তো এক্ষেত্রে কিসমিস খাওয়ারও ব্যালেন্স ঠিক করে খেতে হবে। খুব বেশি পরিমাণ বা অতিরিক্ত খেলে উপকারের চেয়ে উলটো ক্ষতিই হবে। যে অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে তা নিম্নরুপ।  

০১। ওজন বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের কারণে ওজন বাড়তে পারে।
০২। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিঃ এক্সট্রা ভক্ষণের ফলে ব্লাডের কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা বাড়তে পারে।
০৩। দাঁতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাঃ বেশি পরিমাণে খাওয়ায় দাঁতের ক্ষয় রোগ হতে পারে।
০৪। এলার্জি সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাঃ কিসমিস কিছু মানুষের জন্য এলার্জি হতে পারে।
০৫। অতিরিক্ত ফাইবারে পেটের সমস্যা সম্ভাবনাঃ অতিরিক্ত ফাইবার বা আঁশ হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
০৬। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত হওয়ার কারণে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের অসুবিধা করতে পারে।
০৭। ডায়রিয়ার ঝুঁকিঃ বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
০৮। রক্তচাপ হ্রাসকরনঃ হাই পটাশিয়াম উপাদান ব্লাড প্রেসার বা রক্ত চাপ কমিয়ে দিতে পারে।
০৯। কিডনি সমস্যার সম্ভাবনাঃ কিডনি বা বৃক্ক রোগীদের জন্য বেশি পরিমাণটা ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
১০। পেট ফাঁপা সমস্যাঃ এক্সট্রা ফাইবার বা অতিরিক্ত আঁশের কারণে পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে।

আরো কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিভিন্ন ভাষায় ওয়েব সাইট ও ভিডিও সোর্স রয়েছে যেগুলো রিসার্চ করলেই জানতে পারবেন।

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত ব্যাপারটি হলো আপনি প্রতিদিন প্রায় ৩০ গ্রাম বা দুই টেবিল চামচ কিসমিস খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, ভিটামিন বা বলবর্ধক এবং খনিজ নানা উপাদান সরবরাহ করতে সহায়ক হয়। পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়া, ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি এবং শর্করা কন্ট্রোলে অসুবিধা হতে পারে। সুতরাং আপনি পরিমিত মাত্রায় কিসমিস ভক্ষণ করুন।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে লিখছি। আমরা ইতিমধ্যে জানিয়েছি কিসমিস খেলে কি উপকার হবে তবে এখানে জানাচ্ছি যে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি ধরনের উপকারগুলো হয়। আপনি কিসমিস ভিজিয়ে খেলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া দূর করে, কারণ ভেজানো কিসমিস আয়রনের শোষণ সহজ হয় যার ফলে এটি রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রক্তস্বল্পতা বিপক্ষে কাজ করে। 
কিসমিস-ভিজিয়ে-খাওয়ার-উপকারিতা
ভিজানো কিসমিসে ফাইবার বেশি পরিমাণ থাকায় এটি হজম প্রক্রিয়া ঠিক করে। এছাড়া এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ও প্রত্যকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা এবং আরো নানাবিধ ও উপকার প্রদান করে।প্রত্যেকদিন সকালবেলা খালি পেটে আপনি যদি কিসমিস খান তাহলে শরীর ডিটক্সিফাই হবে অর্থাৎ দেহের ভিতর বিভিন্ন টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ দূর হবে।

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার বিভিন্ন অপকারিতা উপরে লিখেছি। আবার এখানে ৫টি কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা লিখছি।
  • অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রাকৃতিক শর্করা ওজন বৃদ্ধি করে।
  • ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • বেশি খেলে দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাবিটি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ফাইবার বাঁশের কারণে এসিডিটি, পেট ফাঁপা এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
  • যাদের বিশেষ খাবার এলার্জি রয়েছে তাদের কিসমিসেও এলার্জি হতে পারে।

কালো কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা

কালো কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো এখানে ৫টি করে লিখছি। প্রিয় পাঠক, উপরে যে উপকারিতাগুলো লিখেছি সেগুলোই মূলত উপকারিতা ও অপকারিতা। আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি। দেখুন ও পড়ুন। 

প্রথমে কালো কিসমিসের উপকারিতাগুলো --
  1. কালো কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখবে।
  2. এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক করবে।
  3. আপনার ত্বকে কালো কিসমিসে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল বার্ধক্য রোধ করবে।
  4. এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আপনার রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করবে।
  5. কালো কিসমিসে থাকা ফাইবার আপনার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে।
দ্বিতীয়ত, কালো কিসমিসের অপকারিতাগুলো --
  • বেশি খেলে এতে থাকা উচ্চ ক্যালোরির কারণে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে খাওয়ায় এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
  • অতিরিক্ত ভক্ষণে এটি আপনার দাঁতের ক্ষয় এবং ক্যাভিটি তৈরি করতে পারে।
  • অনেক ফাইবার থাকায় এটি আপনার পেটে গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • বিশেষ মানুষদের ক্ষেত্রে, কালো কিসমিস পরিমাণে বেশি খেলে এলার্জির সমস্যা করতে পারে।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

শুকনো কিসমিস খেলে আপনার শরীরে প্রচুর এনার্জি যোগ হবে, কারণ এতে রয়েছে প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট। এটি হজম শক্তির উন্নতি করবে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখবে। এছাড়া, শুকনো কিসমিস এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমাতে সহায়ক হবে, 

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা জানুন

কারণ এতে আয়রনের পরিমাণ ভালো রয়েছে।এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বা টক্সিন দূরকারী ক্ষমতা বৈশিষ্ট্য এর জন্য ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয়

প্রতিদিন কিসমিস খেলে কি হয় নিম্নে উল্লেখ করছি। তো বন্ধু, একটি টেবিলে সুন্দর করে সাজিয়ে লিখছি প্রত্যেকদিন কিসমিস খাওয়ার প্রভাব। 
ক্র. বিষয় বিবরণ
০১ এনার্জি বৃদ্ধি কিসমিসে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় এটি শরীরে এনার্জি বাড়ায়।
০২ হজম শক্তি উন্নত এটি পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং হজম শক্তি উন্নতি করে।
০৩ রক্তশূন্যতা কমানো নিয়মিত কিসমিস খেলে রক্তশূন্যতা কমানোর পাশাপাশি আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
০৪ ত্বকের উজ্জ্বলতা কিসমিস ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক এবং ত্বককে করে উজ্জ্বল।
০৫ হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম

কিসমিস ভিজে পাওয়ার নিয়মটি এখন লিখছি। এ মর্মে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার জন্য সর্ব প্রথম একটি বাটি বা পাত্রে কিছু শুকনো কিসমিস নিন এবং তাতে পরিমাণ মতো পানি যোগ করুন। এরপর ৮-১০ ঘন্টা বা রাতভর কিসমিসগুলো ভিজিয়ে রাখুন,

যাতে কিসমিস ফুলে ওঠে এবং তার পুষ্টিগণ বের হয়ে আসে। সকালে ভেজা কিসমিস গুলি পানি থেকে বের করে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। তাহলে এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সচেতন জীবন যাপনকে উন্নত করবে। 

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমরা ইতিমধ্যে লিখেছি প্রায় সেরকমই তবে আবারো এখানে স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। এটি অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে, কারো এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা রয়েছে যা ওজন বৃদ্ধিতে জন্য দায়ী। 
কিসমিস-ভিজিয়ে-খাওয়ার-অপকারিতা-বা-ক্ষতিকর-দিকগুলো
আবার এই ভিজানো কিসমিসে প্রচুর শর্করা উৎপন্নের কারণে ডায়াবেটিসের জন্য ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়। তাছাড়া, পেট ফাঁপা ও গ্যাস ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে ভিজা কিসমিসে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো লিখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আমরা উক্ত ব্লগ বা আর্টিকেলটির মধ্যে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আরো বিভিন্ন টপিক কাভার করেছি। আর্টিকেলটি পড়ুন মনোযোগ সহকারে এবং এনজয় করুন কিসমিস খাওয়া যাকে ইংরেজিতে রেইজিন বলা হয়। আরো এরকম ব্লগ পেতে সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।

প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ

খালি পেটে কিশমিশ খেলে কি হয়?

সারাদিন কাজ করার এনার্জি বৃদ্ধি সহ নানা উপকার হয়।

প্রতিদিন কিসমসি ভেজানো পানি খেলে কি হয়?

প্রতিদিন কিসমিস ভেজানো পানি খেলে হজম শক্তি উন্নতি হয়, রোগব্যাধির প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ওজনের ভারসাম্য ব্যালেন্সড হয়।

কিসমিস কিভাবে খাবো?

ভিজিয়েও খেতে পারেন আবার প্রতিদিন ৫-১০টা দানা খেতে পারেন। 

প্রতিদিন ১০ টি  কিসমিস খাওয়া যাবে কি?

হ্যা।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়?

সকালে উঠে উপকার মিলবে। সকালে এনার্জি পাবেন, শরীর ডিটক্সিফাই হবে ইত্যাদি।

ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি ঘুম আসে?

হ্যা, ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে এটি ঘুম আসতে সাহায্য করে।

সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা কি কি?

কিসমিস সেক্সের ক্ষেত্রে সেক্স এনার্জি বা শক্তি বৃদ্ধি করে, লিবিডো (Libido) বাড়ায় এবং সেক্সুয়াল নানা স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সহায়তা করে।

ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া যাবে কি?

হ্যাঁ, ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া যাবে।

কিসমিস খেলে কি মোটা হয়?

হ্যাঁ, অতিরিক্ত কিসমিস খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিশমিশ কয়টি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়?

কিসমিস ভিজিয়ে রাখতে সাধারণত ৩-৪ গুণ পানি ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ এক কাপ কিসমিস এর জন্য তিন চার কাপ পানি প্রয়োজন। 

দিনে কয়টি কিসমিস খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ টি কিসমিস খাওয়া উচিত।

১ কেজি কিসমিসের দাম কত?

বর্তমান বাজার অনুসারে ১ কেজি কিসমিসের দাম বাংলাদেশে ৫৬০ থেকে ১১২০ টাকা। তবে ব্র্যান্ড অনুসারে বেশ কম হতে পারে।

কিসমিস কি সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হয়?

হ্যাঁ, কমপক্ষে ৮-১০ ঘন্টা মানে রাত ভর ভিজিয়ে রাখতে হবে।

সকালে কিসমিস ভিজিয়ে খেলে কি হয়?

এনার্জি বৃদ্ধি, হজমের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয় এবং আরো নানান উপকার হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url