শীতে বাচ্চাদের যত্ন - শীতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য

জ্বর কেন হয়শীতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটি খুব জরুরী একটি টপিক। যাদের বাচ্চা আছে তারাই জানে যে বাচ্চার সঠিকভাবে যত্ন না নিলে স্বাস্থ্যের খুব অবনতি হয়। বিশেষকরে শীতকালে বাচ্চাদের জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি ইত্যাদি খুব বেশি হয়ে থাকে। 

শীতে-বাচ্চাদের-যত্ন

প্রিয় পাঠক, যেকোনো শীত মৌসুম আসার সাথে সাথে আপনার বাচ্চার যত্ন ও তদারকির ব্যাপারে আপনাকেই সজাগ হতে হবে। তাহলে বাচ্চা সুস্থ থাকলে আপনি ও মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। নিম্নে ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা করছি।

পেজের সূচীপত্রঃ শীতে বাচ্চাদের যত্ন - শীতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য

শীতে বাচ্চাদের যত্ন

শীতে বাচ্চাদের যত্ন নিয়ে এখানে লিখতে চলেছি। প্রিয় পাঠক, শীতকালে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, এই সময়ে আপনার বাচ্চা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়বে ঠান্ডা আবহাওয়া ও সুষ্ক বাতাসের কারণে। আপনার বাচ্চার সঠিক যত্ন না নিলে শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্যান্য শীতকালীন রোগ হতে পারে। 

আপনার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হলে আপনার বাচ্চার সঠিক ও কার্যকর কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। নিম্নে বাচ্চার যত্ন নেওয়ার উপায়গুলো ১০ পয়েন্টে লিখছি। 

পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরানোঃ শীতে আপনার বাচ্চাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো বাচ্চাদেরকে সঠিক পোশাক ও বস্ত্র পরাতে হবে। প্রিয় উপস্তিতি, আপনার শিশু বাচ্চাটির হাত, পা ও মাথা গরম রাখার জন্য টুপি, স্কার্ফ, মাফলার এবং গ্লাভস পড়াবেন। আর সহজে শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার বাচ্চাটিকে একাধিক ঈশ্বরের কাপড় পড়ালে বাচ্চাটির শরীর গরম থাকবে এবং বাচ্চারা আরাম বোধ করবে। 

ত্বক আদ্র রাখাঃ শীতকালে আপনার বাচ্চাদের ত্বক আদ্র রাখার জন্য বিশেষ খেয়াল রাখবেন, কারণ শীতের শুষ্ক আবহাওয়া বাচ্চাদের ত্বককে রুক্ষ করে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনি বাচ্চাদের ত্বকে বিশেষ রকমের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন তাহলে বাচ্চার ত্বকের শুষ্কতা কমবে। 

শীতকালে বাচ্চাদেরকে গরম পানিতে বেশি সময় ধরে গোসল করানো এড়িয়ে চলা উচিৎ, কেননা এতে করে বাচ্চার ত্বকের প্রাকৃতিক আদ্রতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ শীতকালে আপনার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাদ্য বা খাবার খাওয়ানো জরুরী। আপনি বেশি পরিমাণে খাওয়াতে পারেন শীতকালীন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যথা কমলা, লেব এবং টক জাতীয় ফল, যা সর্দি, কাশি এবং ফ্লুর ঝঁকি কমাবে। 

তাছাড়া, দুধ, ডিম, মাংস এবং বিভিন্ন রকমারী শাক সবজি বাচ্চাদের খাবার লিস্টে যোগ করবেন।

নিয়মিত হাত ধোয়াঃ শীতকালে নিয়মিত বাচ্চাদের হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, কারণ এ সময় ফ্লু ও অন্যান্য সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। যে সময়গুলোতে নিশ্চিতভাবে হাত ধোয়াবেন তা হলো খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহার করার পর এবং বাড়ীর বাহির থেকে বাড়ীতে আসার পর। 

আর হাত ধোয়াবেন সাবান, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য জীবানু নাশক উপাদান দিয়ে। এই হাত ধৌত করালে ভাইরাস, জীবাণু ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া-ছত্রাক এর সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়ক হবে।

আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পর্যাপ্ত পানি পান করানোঃ শীতকালে বাচ্চাদের তৃষ্ণা কম থাকার কারণে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে না। যার ফলে তাদের শরীর সুষ্ক থাকে কিন্তু ত্বক ও শরীর আদ্র রাখতে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করানোর জন্য বাচ্চার অভিভাবককে সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরী। 

এক্ষেত্রে, পানি শরীরের অভ্যন্তরীণ টেম্পারেচার বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহযোগিতা করে এবং ফিজিক্যাল বা শরীরকে ডিহাইড্রেশন বা পানির ঘাটতি থেকে বাঁচায়।

ইনডোর গেমসের মাধ্যমে সক্রিয় রাখাঃ শীতের সময় ঠান্ডায় আউটডোর বা বাসার বাইরে বাচ্চাদের ইনডোর গেমস বা বাসার ভিতরের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করা উচিত। এটি করলে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সাধন অব্যাহতভাবে বজায় থাকবে। 

যে সমস্ত ইনডোর খেলা রয়েছে সেগুলো হলো যেমন পাজল, শিক্ষামূলক খেলা এবং অন্যান্য ইনডোর খেলাধুলা যেগুলো মন ভালো রাখবে এবং শারীরিকভাবে অ্যাক্টিভ বা সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাঃ শীত মৌসুমে আপনার বাচ্চাটি পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছে কি না সে দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদেরকে নিয়মিত ঘুম পাড়ানো তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং প্রাত্যহিক কাজের মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করবে। 

তাই নির্দিষ্ট সময়ে বাচ্চাদেরকে ঘুমায়ে দেওয়া এবং সঠিক রুটিন মেনে ঘুমের বিষয়টি ফলো করা উচিত। 

ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে সুরক্ষাঃ শীতকালে বাচ্চাদের যে সমস্যাগুলো অহরহ ঘটে এবং খুবই সাধারণ অসুখ সেগুলো হল যথাক্রমে সর্দি, কাশি এবং ফ্লু। বাচ্চাদেরকে ঠান্ডা জনিত অসুখ থেকে সুরক্ষিত রাখতে তাদের যথেষ্ট গরম কাপড় পরানো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা এবং নিত্যনৈমিত্তিক হাত ধোয়া বা পরিষ্কার রাখার অভ্যাস করানো অতীব জরুরী। 

আবার বিশেষতঃ বাচ্চাদের শীতকালে ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়েও জরুরী ভিত্তিতে খেয়াল রাখতে হবে। 

হিটার ব্যবহারে সতর্ক থাকাঃ যদি আপনার ঘরে বাচ্চাকে গরম করার জন্য কোন হিটার থাকে যা আপনি ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি তাপমাত্রা কন্ট্রোলের ব্যাপারটিও দেখে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরের বাতাস বেশি শুকিয়ে না যায়। 

আপনি যদি শীতকালে বাতাসের আদ্রতা বজায় রাখতে চান তাহলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া হিটারের খুব কাছে যেন বাচ্চারা ঘেঁষতে না পারে সেটিও লক্ষ রাখবেন, কারণ এতে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার রিস্ক থাকে। 

পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাঃ সুধী, আপনার বাচ্চাটির কল্যাণের জন্য আপনার ঘরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যকীয় একটি ব্যাপার। কারণ ঘরের বাহির থেকে ঘরের ভিতরে বিভিন্ন ধুলোবালি ঢুকতে পারে যেগুলো সদা সর্বদা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং সম্ভাব্য সংক্রমণ থেকে বাচ্চাদেরকে দূরে রাখতে হবে। 

বাচ্চাদের রুমের টেম্পারেচার বা ঘরের তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রিত রাখুন এবং পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া-ছত্রাক ও জীবাণু থেকে দূরে রাখতে ঘরকে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার রাখুন।

এছাড়াও, শীতে বাচ্চাদের যত্ন নিতে এবং সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে সঠিক ও যথার্থভাবে তদারকি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শীতকালীন পোশাক-আশাক, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং শীতকালীন রকমারী খেলা খেলানোর মাধ্যমে আপনার বাচ্চাটিকে শীতের বিভিন্ন রোগ-ব্যধি ও ঠাণ্ডাজনিত অসুবিধগাগুলো থেকে রক্ষা করতে পারবেন। 

এই ১০টি পয়েন্ট মেনে চল্লে আশা করা যায় যে আপনার শিশুটি শীতে থাকবে সুস্থ ও নিরাপদ। 

শীতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য

শীতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের তদারকি বা দেখাশুনা ঠিকমত নেওয়া শীতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার নামান্তর। এ জায়গায় শীতকালে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় সেটি আলোকপাত করছি। শীতকালে আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ ভাবে যত্ন নিন, কারণ ঠান্ডা আবহাওয়া তাদের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে। 

এজন্য শীতের সময় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান, সঠিক পোশাক পরান এবং আপনাদের বাচ্চাদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আরো যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন সেগুলো হলো তাদের ত্বক বা চামড়া আদ্র রাখুন, তাদের পরিবেশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখুন এবংতাদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শুধু গড়ে তুলুন। 

নিয়মিত হাত ধোয়ানো ও হাইড্রেশন বা পানি শুণ্যতা পূরণ রাখলে শীতকালীন রোগ থেকে ঝুঁকি হ্রাস হওয়া সম্ভব। এইভবে আপনার বাচ্চা বা শিশুটি সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকবে এবং বিভিন্ন রোগ-বালা ও অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা পাবে এবং শীতে বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটিও পালন হবে। 

শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন

শীতে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটি লিখছি। শীতে বাচ্চাদের শরীরের চামড়া বা ত্বক শুষ্ক বা রুক্ষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ঘটে থাকে। তাই বাচ্চাদের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিনের ত্বক পরিষ্কার রাখতে হালকা ফেসওয়াশ প্রয়োগ করুন। শীতে বাচ্চাদের গোসলের সময় বেশি গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কারণ এতে তাদের ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে। 
শীতে-বাচ্চাদের-ত্বকের-যত্ন
আর বাইরের ঠান্ডা হাওয়া থেকে ত্বককে আদ্র রাখতে তাদের উষ্ণ বা গরম কাপড় পরিধান করান। আর পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন। আরো কিছু বিষয় হলো বেশিক্ষণ ভিজে কাপড় ও ভিজা ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন না। আর বিভিন্ন উপকারী তেল দ্বারা ত্বক মালিশ করুন। তাহলে ত্বকের আদ্রতা ঠিক থাকবে এবং বাচ্চার ত্বক ভালো থাকবে।

শীতে বাচ্চাদের গোসল

শীতে বাচ্চাদের গোসল নিয়ে এখানে লিখছি। শীতে বাচ্চাদের গোসল করানোর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা বাচ্চাদের অভিভাবক বা মায়েদের জরুরী। এক্ষেত্রে, আপনার শিশুকে অতিরিক্ত গরম বা উষ্ণ পানি দিয়ে স্নান বা গোসল করাবেন না। আর প্রতিদিন গোসল না করিয়ে সাত দিনে ২ থেকে ৩ দিন তিন গোসল করানো সেইফ বা নিরাপদ। 

গোসল সম্পন্ন করার পর আপনার বাচ্চাটিকে বিভিন্ন ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ওয়েল বা তেল ব্যবহার করুন। যাতে করে শরীরের ত্বক আদ্রতা হারিয়ে শুকিয়ে না যায়। আর শীতকালে অধিক সময় ধরে শিশুটিকে গোসল করানো থেকে বিরত থাকুন। আর গোসলের জায়গাটি যেন গরম হয় ঠাণ্ডা না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

শীতে বাচ্চাদের খাবার

শীতে বাচ্চাদের খাবারগুলো পুষ্টিকর হওয়া অত্যন্ত ইম্পোরট্যান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ইমিউন সিস্টেম ডিফিসিয়েন্সি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেন ঠিক থাকে সেদিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এইজন্য পরিমাণ মতো আপনার বাচ্চার খাদ্য তালিকায় তাজা শাক-সবজি, মৌসুমী ফল, বিভিন্ন ফল ও সবজির রস যেগুলো শরীর গরম রাখবে এবং পুষ্টি যোগাবে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। 

শীতকালীন বাচ্চাদের খাবারে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন যেমন ডাল, ডিম এবং মাংস ইত্যাদি। আর প্রচুর পরিমাণে পানি পান ও আদ্র খাবার গ্রহণ করাতে হবে যাতে শরীর পানি শূণ্য না হয়ে যায়।  এছাড়া, মধু, বাদাম, বাদাম জাতীয় বিভিন্ন খাবার খাওয়াতে হবে যেন বাচ্চাদের এনার্জি বা শক্তি বজায় থাকে। কমলা, গাজর, বিনস, মসুর ডাল এবং ব্রাকলি ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন। যেগুলোতে ত্বক ও পেট এর সুক্ষা প্রদানকারী শক্তি রয়েছে। অর্থাৎ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী।

শীতে বাচ্চাদের প্রসাধনী

শীতে বাচ্চাদের প্রসাধনী নিয়ে লিখছি। শীতে বাচ্চাদের ত্বক কোমল ও নরম রাখতে বিশেষ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করবেন যেন আপনার বাচ্চার ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা পায়। এক্ষেত্রে, আপনার প্রিয় ছোট্ট সন্তানের জন্য বিশেষ ধরনের ক্রিম, ময়েশচারাইজার বা মালিশ, লিপবাম ব্যবহার করবেন যেগুলো ঠোঁট ফাটা ও ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতায এড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। 

আপনি আপনার প্রিয় ছোট্ট সোনামণির জন্য ন্যাচারাল ইলিমেন্ট বা প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনে ব্যবহার করতে পারেন যা ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতিকর সাইড ডিফেক্ট বা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করবে। রেগুলোর ত্বকের যত্ন নিতে উপাদানগুলো ব্যবহারে শীতে শিশুর ত্বকের স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে। তবে যে কোন উপাদানই ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন না কেন সেটি রাসায়নিক মুক্ত কিনা খেয়াল করে দেখুন। তবে হালকা কেমিক্যাল থাকলে তেমন ক্ষতি করবে না। 

শীতে বাচ্চাদের জ্বর | শীতে বাচ্চাদের জ্বর হলে করণীয়

শীতকালে বাচ্চাদের জ্বর হওয়া প্রায় ঘটে থাকে। যদি আবহাওয়া পরিবর্তন হয়, বা শুষ্ক হওয়া বয়ে যায় বা বিভিন্ন ধুলোবালি উড়ার কারণে ধুলোবালিতে মিশ্রিত ক্ষতিকর জীবাণুর দ্বারা আপনার বাচ্চাটির জ্বর হতে পারে। অথবা, নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি না করানোর কারণে ডিহাইড্রেশনের জন্য সমস্যা হতে পারে। 

তাই নিয়মিত বাচ্চাদের জ্বর মাপার যন্ত্র বা  থার্মোমিটার সব সময় বাড়ীতে প্রস্তুত রাখতে হবে এবং নিয়মিত মেপে দেখতে হবে। খুব বেশি না হলে হালকা গরম পানির পট্রি বাঁধুন কপালে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন ও তরল খাবার দিন। আর জ্বরের ঔষধের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মাফিক পদক্ষেপ নিন।

শীতে বাচ্চাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা

শীতে বাচ্চাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। কারণ, বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে ও যতটুকু থাকে তা একটুতেই দুর্বল হয়ে যায়। ঠান্ডা হওয়ার ফলে বাচ্চারা সহজেই সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় ভুগে থাকে। ডায়রিয়া, কোষ্ঠ্যকাঠিণ্য, পেট ফাঁপা ও পেট খারাপও হতে পারে। 
শীতে-বাচ্চাদের-ঠান্ডাজনিত-সমস্যা
তাই এসময় গরম পোশাক পরানো, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো ও যথেষ্ট বিশ্রাম গ্রহণ করানো ইত্যাদি করানোর জন্য গার্জিয়ানের ভ্রক্ষেপ রাখা উচিত। সতর্কতা অবলম্বন করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাইজিন মেনে চল্লে আপনার প্রিয় সন্তান সংক্রমণের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বিভিন্ন পরামর্শ নিতে সুচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

শীতে বাচ্চাদের কাশি 

শীতে বাচ্চাদের কাশি নিয়ে এখানে লিখছি। শীতে বাচ্চাদের কাশি একটি অতীব সাধারণ বিষয়, যে বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। যেমন শুষ্ক বাতাস, ঠান্ডা আবহাওয়া ও বিভিন্ন জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণ এর প্রতিক্রিয়ার জন্য শ্বাসনালী ও ফুসফসু প্রভাবিত হওয়ার ফলে কাশি হয়। 

আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ১৫ স্বাস্থ্য উপকারিতার বিস্তারিত

তাই এই সময়ে বাচ্চাদের সঠিকভাবে যত্ন নিন, বাড়ির পরিবেশকে আদ্র ও পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং বাচ্চার পোশাক-আশাক, বিছানা পত্র এবং অন্যান্য ব্যবসার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো স্বচ্ছ ও সুন্দর রাখুন। আর রোদ্র কাপড় ও বিছানা গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে শুকান তাহলে জীবাণু চলে যাবে। আর ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়ান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। 

লেখকের শেষ কথা

শীতে বাচ্চাদের যত্ন এর ব্যাপারে উক্ত ব্লগ বা আর্টিকেলটি লেখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় প্রিয়ে, আপনি উক্ত ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং বাচ্চাদের শীতকালীন সমস্যাগুলো এড়াতে সজাগ থেকে পদক্ষেপ নিন। আরো এরকম নিত্য নতুন ও সমৃদ্ধশীল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট আব্দুন নূর আইটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ। 

প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ

শীতে বাচ্চাদের গরম রাখার উপায়?

শীতে বাচ্চাদের গরম রাখার উপায় হলো পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরান, ইনডোর গেমসের সাথে যুক্ত রাখুন এবং হিটার প্রয়োগ ও সুষম খাদ্যের ব্যালেন্স ঠিক রাখুন। 

শীতে কি বাচ্চারা বেশি ক্লান্ত হয়?

হ্যাঁ, শীতে বাচ্চারা বেশি ক্লান্ত হতে পারে।

শীতকালে বাচ্চাদের ঘুমানোর সময় কি মোজা পরানো উচিত?

হ্যাঁ, শীতকালে বাচ্চাদের ঘুমানোর সময় মোজা করানো উচিত।

শীতকালে বাচ্চাদের হাত গরম রাখার উপায়?

শীতকালে বাচ্চাদের হাত গরম রাখার উপায় হলো ভালো মানের হাত মোজা বা গ্লাভস পরাতে হবে, হাতের যত্ন নিতে হবে মাঝে মাঝে হাত পরিষ্কারক পদার্থ দিয়ে ধৌত করতে হবে।

শীতকালে বাচ্চাদের কতক্ষণ ঘুমানো প্রয়োজন?

শীতকালে বাচ্চাদের প্রতিদিন ১০-১২ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url