মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার ২১টি উপায়

ঘরে বসে আয় করার উপায়বর্তমান সময়ে ঘরে বসে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়সমূহ্ ব্লগটিতে জানতে পারবেন। আপনি এটি প্রতিমাসে আয় করতে সক্ষম হবেন যদি সঠিক স্ট্রাটেজি এবং গাইডলাইন ও টিপস এন্ড ট্রিকস মেনে কাজ করতে পারেন তাহলে নিশ্চয় সম্ভব। 
মাসে-২০-হাজার টাকা-আয়-করার-উপায়
আজকের আর্টিকেলটিতে মাসে ২০ হাজার টাকায় করার ৩০টি উপায়ের আইডিয়া উপস্থাপন করব। প্রিয় পাঠক, মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলো বুঝেলে বর্তমানে কোন ব্যাপার বা অসম্ভবের কিছুই না। তবে আপনাকে এজন্য পরিশ্রম, দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং আপডেটেড থাকার কোন বিকল্প নেই। 

পোস্টের সূচীপত্রঃ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

কপিরাইটিং

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর একটি হলো বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বা পণ্য কিংবা সার্ভিস বা সেবা বিক্রি করার জন্য অতি আকর্ষণীয় ও চমৎকার একটা কপি বা ডিস্ক্রিপশন লেখা। এটা লিখে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বর্তমানে এর ডিমান্ড বা চাহিদা বাজারে ডে বাই ডে বাড়তেছে। তাই আপনি কপিরাইটিং শিখে আপনার কাঙ্ক্ষিত আয় শুরু করতে পারেন। 

ই-বুক রাইটিং

ই-বুক রাইটিং ভালো একটি পেশা হতে পারে। ই-বুক মানে অনলাইন বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন টপিকে বই লিখার কাজ করা। ই-বুক রাইটিং আপনার জন্য খুব সুন্দর একটি ডিমান্ড ডিবেল জব হতে পারে। আপনি এক্ষেত্রে আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা কি কাজে লাগিয়ে ইবুক লিখে অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপলোড করে বিক্রি করে খুব ভালো মানের হ্যান্ডসাম একটা আয় শুরু করে দিতে পারেন।

গেস্ট পোস্ট রাইটিং 

গেস্ট পোস্ট রাইটিং মানে হল আপনি অন্য যে কোন ব্যক্তির বই, ব্লগ কিংবা আর্টিকেল নিজের দক্ষতা এর উপর ভিত্তি করে লিখতে পারেন। যেটি লিখে আপনি আপনার চাহিদা সম্পন্ন আর্নিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে যেমন আইডিয়া থাকা লাগবে তদ্রূপ একটা বইকে সুন্দর করে গুছিয়ে কিভাবে লিখতে হয় তার পদ্ধতি ও জানা থাকা লাগবে। 

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ব্যবসা করে কোটি হওয়ার কিছু কার্যকরী উপায়

এবং আপনি যদি কোন ব্যক্তির ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করতে চান তাহলে ব্লগ রাইটিং এর ওপরও দক্ষতা থাকা লাগবে।

স্টক ফটো ও ভিডিও বিক্রয় 

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় এর আরো একটি উপায় হলো আপনি বিভিন্ন মাইক্রো স্টক ওয়েবসাইট গুলোতে আপনার হাতের স্মার্টফোনটি দ্বারা বৈচিত্র্যময় ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ফটো বা ছবি তুলে কিংবা ভিডিও ধারণ করে আপলোড দিয়ে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে আপনার ফটো বা ভিডিও যত মানুষ ডাউনলোড করবে কিংবা কিনে নিবে তত বেশি আপনার লাভ হবে বা আর্নিং হবে। তবে এই জন্য আপনাকে রেগুলার কাজ চালিয়ে যেতে হবে তাহলে উচ্চমানের ইনকাম করা সম্ভব হবে।

অনলাইন গেমিং

বর্তমানে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেমিং করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এইজন্য আপনাকে গুগল কিংবা বিং এ সার্চ করে অনলাইন গেমিং লিখলেই বিভিন্ন ধরনের সাইট বা ওয়েবসাইট চলে আসবে। 

তো আপনার সামনে আসা সাইট গুলো ব্রাউজিং করে আপনি অনলাইনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে গেম খেলতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে আপনি একটা হ্যান্ডসাম আয় করতে পারেন।

ডোমেইন রেসেলিং

ডুমেন্ট রিসেলিং করেও আপনি আয় করতে পারেন। তো এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন ডোমেইন সাইটগুলোতে ব্রাউজিং করে কম দামে ডোমেইন কিনে রেখে দিতে হবে। 

এবং একটা সময় এগুলোকে যে দামে আপনি নিয়েছেন তার চেয়ে একটু দামে আপনি আপনার নিজের একটা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বা আপনার নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে খুব ভালো মানের একটা আয় জেনারেট করতে পারবেন।

ব্লক চেইন টেকনোলজি 

ব্লক চেন টেকনোলজি এর ওপর দক্ষতা অর্জন করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। ব্লক চেইন টেকনোলজি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। আপনি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন ক্রিপ্টো কারেন্সি ট্রেডিং, ব্লক চেন প্রজেক্ট বিনিয়োগ এবং ব্লক চেইন ডেভলপমেন্ট বা উন্নয়ন এর উপর ভিত্তি করে। 

অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়গুলো জানা ও দক্ষতা অর্জন করা দরকার সেগুলো হচ্ছে যথাক্রমে,
  • Cryptocurrency exchange 
  • Blockchain project 
  • Blockchain development 
  • NFT marketplace ইত্যাদি।

আইটি সাপোর্ট 

আইটি সাপোর্ট একটি অতি দ্রুত ইনকামের মাধ্যম। আপনি এক্ষেত্রে কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান ও আইডিয়া নিয়ে সামনে পদক্ষেপ নিতে পারেন। এই আইডি সাপোর্টের মাধ্যমে আপনি অনেক উন্নত ও ভালো মানের আয় করতে পারবেন। 

আইটি সাপোর্ট এর এই কাজটি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। কোম্পানিতে চাকরি করে কিংবা নিজের ব্যক্তিগত একটা আইটি সেন্টার খুলে সেবা দিয়ে ইনকাম বা আয় করতে পারেন। 

ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন 

ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন মানে ভাষা অনুবাদ। এই কাজটি করে আপনি ঘরে বসেই একটি হ্যান্ডসাম স্যালারির চাকরি করতে পারেন বিদেশি কোন বায়ারের বা কোম্পানির ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হয়ে। এছাড়াও আপনি অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনার ভাষার উপর দক্ষতা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্রে, ওয়েবসাইটে এবং ব্লগে আর্টিকেল লিখে আপনি আয় করতে পারেন। 

আপনি এই ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও কাজ করে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো যথা, 
  1. আপওয়ার্ক 
  2. ফাইভার
  3. ফ্রিল্যান্সার 
  4. গুরু 
  5. পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে আয় বা ইনকাম করতে পারেন। আপনি এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ও মানের এবং দামের ক্রিপ্টো ক্রয় করে রেখে একটা সময় দাম বাড়লে আপনি উচ্চ দামে বিক্রি করতে পারেন। আবার আপনি ক্রিপ্টো কারেন্সি এর এর ভিতরে ট্রেডিং, স্টেকিং এবং ক্রিপ্টো ভিত্তিক প্রজেক্ট এর উপরে অংশগ্রহণ করে আয় বা আর্নিং করতে পারেন। 

তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে ক্রিপ্টোমার্কেট অত্যন্ত অস্থিতিশীল একটি মার্কেট যেখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক ও গবেষণা করে করতে হবে।

অনলাইন কনসাল্টিং 

অনলাইন কনসাল্টিং মানে হল অনলাইন বা ইন্টারনেটে কনসাল্টিং বা পরামর্শ প্রদান করে আপনি আয় বা আর্নিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন বিষয় বা একটি বিষয়ের উপরে ভালোভাবে দক্ষতা এবং এক্সপেরিয়েন্স বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে এবং তার ওপর ভিত্তি করে আপনি মানুষকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সাজেশন প্রদান করে আয় করতে পারবেন। 

আপনার কনসাল্টিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির যে বিষয়গুলির উন্নতি হতে পারে এগুলো হলো যথাক্রমে, 
  • মার্কেটিং এর অগ্রগতি বা উন্নতি 
  • ফিন্যান্স বা অর্থনৈতিক ডেভেলপমেন্ট 
  • বিভিন্ন প্রোগ্রামিং এর অগ্রসরতা 
  • ব্যবসা বা বাণিজ্যে প্রফিটেবল হওয়া ইত্যাদি।
আপনি এ বিষয়টি বাড়িতে বসে বা আপনার নিজের ব্যক্তিগত ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার নিজের ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কনসাল্টিং সেবা প্রোভাইড করতে পারেন।

পডকাস্টিং

পডকাস্টিং বর্তমানে খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম যে উপায়ে আপনি সম্ভাবনাময় আয় করতে পারবেন। আপনি এক্ষেত্রে এটিকে একটি খুব ভালো কর্মক্ষেত্র ও কর্মযজ্ঞে পরিণত করতে পারেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আপনি বিভিন্ন গেস্ট বা মেহমানকে ডেকে তার সাথে একটা অডিও বা ভিডিও পডকাস্ট বা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে কিংবা গল্পের মাধ্যমে সময় কাটিয়ে সেটিকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস প্ল্যাটফর্মে আপলোড দিয়ে আয় বা ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। 

তো এ ব্যাপারে আপনার শ্রোতাদের সংখ্যা যত বাড়বে আপনার আইবা ইনকামের ব্যাপারটিও তত বৃদ্ধি পাবে। তবে যেকোন প্ল্যাটফর্মে সফল হওয়ার জন্য যে বিষয়গুলো দরকার সেগুলো হলো যথাক্রমে,
  1. ইন্ডাস্ট্রি বা মেহনত বা পরিশ্রম 
  2. প্যাশন বা ধৈর্য্য 
  3. ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা ইত্যাদি 

রিসেলিং কিংবা পূণঃবিক্রয়

রিসেলিং মানে যে কোন বিষয়, প্রোডাক্ট, সার্ভিস অন্য কোন কোম্পানি বা ব্যক্তির কাছ থেকে কিনে নিয়ে সেটাকে লাভ ঠিক রেখে পুনরায় তা বিক্রি করে দেওয়া। তো এই রিসেলিং বা পুনঃ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা হ্যান্ডসাম আয় বা ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এটি ড্রপশিপিং  কি এফিলিয়েট এর মাধ্যমেও আর কি করা যায়। 
রিসেলিং-কিংবা-পূণঃবিক্রয়
এক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশি ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করতে হবে না খুব হালকা একটা বিনিয়োগ করলেই বা মূলধন সাথে নিয়ে আপনি এটি শুরু করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে 20 থেকে 30 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন মাসে।

ফিটনেস কোচিং 

ফিটনেস কোচিং মানে স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ বা স্পেশালিটি অর্জন করে আপনি এদিকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে আয় বা ইনকাম করতে পারেন। এটি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় এবং লাভ জনক পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার যদি ফিটনেস সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান বা ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনি ফিটনেস বিষয়ে মানুষকে ফিট রাখতে হেল্প করতে পারেন এবং ফিটনেস সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান প্রদান করে ফিটনেস কোচিং এর মাধ্যমে একটি দুর্দান্ত আয় করতে পারেন। ফিটনেস কোচিং এর ধরন গুলো নিম্নের মতো হতে পারে, 
  • প্রাইভেট কোচিং 
  • গ্রুপ ক্লাস 
  • অনলাইন কোচিং 
  • ফিটনেস 
  • এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইত্যাদি।

ড্রাইভিং শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার 

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলোর আরো একটি হলো ড্রাইভিং শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করেও আপনি আয় করতে পারবেন। আজকাল ড্রাইভিং শেয়ারিং অ্যাপ গুলো খুব ভালো মানের আয়ের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি যদি অতিরিক্ত আয় করতে চান তাহলে নিজে একটি বাইক বা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এবং সেখানে ড্রাইভিং শেয়ারিং অ্যাপ এর মাধ্যমে যাত্রী সংগ্রহ করে যাদেরকে চাঁদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে সহজেই আয় করতে পারবেন। আপনার ইনকামটা বিভিন্ন বিষয়ের উপরে কম বেশি হতে পারে। যথা, 
  • আপনি কত ঘন্টা কাজ করছেন 
  • আপনি কোন শহরে কাজ করছেন 
  • আপনি কত কমিশনের অ্যাপ ব্যবহার করছেন

হোমমেড ফুড ডেলিভারি 

হোমমেড ফুড মানে বাড়িতে তৈরি খাবার ডেলিভারি করেও আপনি যথেষ্ট পরিমাণে হ্যান্ডসাম আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার রান্নার দক্ষতা, কোয়ালিটি বা মান এবং আপনার খাবারের চাহিদা মার্কেটে কেমন রয়েছে তার উপরে নির্ভর করবে আপনার আয়ের মাত্রা বা পরিমান। 

এ জন্য আপনাকে মার্কেটে বা বর্তমান বাজারে কোন খাবারে চাহিদা কেমন এবং আপনার খাবারের মানটা যেন বললদের তুলনায় ভাল ও উন্নত হয় সেদিকটা বিবেচনা করতে হবে, এবং কাস্টমার বা গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে হবে তাহলে আপনার ২০ হাজার টাকা আয় করা কোন ব্যাপার না খুব সম্ভব।

ইভেন ম্যানেজমেন্ট

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলোর আরো একটি হলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট মানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এর ব্যবস্থাপনা করা। তো বর্তমানে ইভেন ম্যানেজমেন্ট আয়ের একটি সম্ভাবনাময় মাধ্যম ও উপায় এবং এদিকে আপনি দুর্দান্ত ক্যারিয়ার হিসেবে গড়তে পারেন। এ ব্যাপারটিতে আয়ের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি এক্ষেত্রে বিভিন্ন জনের বা ব্যক্তিদের বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানির বিভিন্ন টাইপের আচার-অনুষ্ঠান 

এবং বিভিন্ন সময় যে বিভিন্ন কনফারেন্স বা সম্মেলন গুলো হয় সেই অনুষ্ঠান ইত্যাদি ডিরেকশন বা পরিচালনা করে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আপনি এছাড়া একজন ইভেন্ট ম্যানেজার হিসেবে যে বিষয়গুলো কভার করতে পারবেন সেগুলো হলো যথাক্রমে, 
  • ভ্যেনু বুকিং
  • ক্যাটারিং 
  • ডেকোরেশন 
  • অতিথি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।

ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় 

ডিজিটাল পণ্য হল এমন সব পণ্য যেগুলো ডিজিটালই বা বিভিন্ন সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। আর এই পণ্যগুলোকে হাত দিয়ে ধরা যাবে না বা এগুলোর কোন শরীর নেই বলতে কিংবা পারেন একটা ভার্চুয়াল বস্তু। ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় করার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। যেমন আপনার স্কিল বা দক্ষতা ব্যবহার করে ই-বুক লিখতে পারেন, বিভিন্ন টপিকের উপরেও অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন, 

অথবা বিভিন্ন সফটওয়্যার, গ্রাফিক্স বা মিউজিক ইত্যাদি ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল বা বিক্রি করতে পারেন‌। ডিজিটাল পণ্য হচ্ছে এমন পণ্য যেগুলো একবার তৈরি করলে আর দ্বিতীয়বার তৈরি করতে হবে না এটা আজীবন থেকে যাবে। এবং এটির মাধ্যমে আপনি আজীবন ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এই ডিজিটাল পণ্যগুলোকে যে মাধ্যমগুলোতে ডিউটি করতে পারবেন সেগুলো হলো যথাক্রমে, 
  • বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস 
  • সোশ্যাল মিডিয়া 
  • আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি 

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলোর আরো একটি হলো হ্যান্ডমেড বা হাতে তৈরি পণ্য বিক্রি করে আপনি সম্ভাবনাময় আয় বা ইনকাম করতে পারেন। এটি খুব আপনার জন্য লাভজনক আয়ের মাধ্যম বা উপায় হতে পারে। 

আপনি এক্ষেত্রে আপনার নিজের বিভিন্ন সৃজনশীল তাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসে হ্যান্ড মেড বা নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন আইটেমের প্রোডাক্ট বা পণ্য তৈরি করবেন, এবং সেগুলোকে বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বা সামাজিক মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। আপনার হ্যান্ডমেড বা হাতে তৈরি পণ্যগুলো হতে পারে যেমন,
  1. গহনা
  2. বাচ্চাদের বিভিন্ন আইটেম 
  3. হাতে তৈরি বিভিন্ন খাবার 
  4. সুতার তৈরি আইটেম 
  5. কাপড় 
  6. আর্ট ওয়ার্ক ইত্যাদি।

ডেটা এনালাইসিস রিপোর্টিং 

ডেটা এনালাইসিস রিপোর্টিং সম্প্রতি সময়ে খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি প্রফেশন বা পেশা। ডাটা এনালাইসিস রিপোর্টিং এর কাজ হল বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ড তাদের নিজেদের কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের ডেটা বা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণের জন্য এবং রিপোর্ট বা প্রতিবেদন কিংবা ফলাফল বের করে আনার জন্য একজন এক্সপার্ট হায়ার করে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায়

এক্ষেত্রে আপনি তাদের ডেটা এনালাইসিস রিপোর্টিং এর উপরে একটা দক্ষতা অর্জন করে সেই কোম্পানির হয়ে ২০ হাজার+ টাকার স্যালারি বেইসে কাজ করতে পারেন। এই কাজটি চাহিদা বর্তমান বাজারেও খুব বেশি রয়েছে। তো আপনার যদি ডেটা এনালাইসিসের স্ট্রাটেজি বা কৌশল গুলো আয়ত্ত থাকে তাহলে আপনি কাজে নেমে গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকেও সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

রিমোট টেক সাপোর্ট করে ২০ টাকা মাসে আয়

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলোর আরো একটি হলো আপনি রিমোট টেক সাপোর্ট বা দূর থেকে কিংবা নিজের দেশে বসে বিদেশি লোকদেরকে টেক বা প্রযুক্তিগত বিষয়ে সাপোর্ট ব্ন সহযোগিতা করার মাধ্যমে আপনার হ্যান্ডসাম আয় করার একটি উপায় এটি হতে পারে। আপনি এক্ষেত্রে সাধারণত পার আওয়ার বা প্রত্যেক ঘন্টায় ও মিনিমাম ১৫ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে আয় করতে পারেন। তবে যে যত বেশি অভিজ্ঞ হবে তার আয় বা আর্নিং তত বেশি হবে। 
রিমোট-টেক-সাপোর্ট-করে-২০-টাকা-মাসে-আয়
আপনি এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইটগুলিতে বায়ার বা ক্লায়েন্টদেরকে রিমোট টেক সাপোর্ট সার্ভিস প্রদান করেও হ্যান্ডসাম অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনেক সময় বিভিন্ন জব সাইট বা জব মার্কেটপ্লেস গুলোতে স্থায়ী কাজ পাওয়া যায়। যেখানে আপনি মাসিক সেলারির ভিত্তিতে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়গুলো এখানে ২১টি লিখেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি উক্ত ব্লগ বা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার যে ২১ টি উপায় আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম তা অনুধাবন বা উপলব্ধি করে আপনার আয় বা ইনকামের ক্যারিয়ার সেটআপ করতে পারেন। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকলে আরও এরকম উপকারী ও সমৃদ্ধশালী আর্টিকেল বা ব্লগের আশা করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url