চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম - how to eat chia seeds

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতাচিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে জানতে হলে সঠিক পদ্ধতি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ছোট্ট সুপারফুডটি প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ যা খেলে হজম শক্তি বাড়ে, হার্ট সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়। 

চিয়া-বীজ-খাওয়ার-নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে কিভাবে চিয়া সিড বা চিয়া বীজ খেতে হয় এবং চিয়া বীজ খেলে কি উপকার ও অপকার হয় তার বিভিন্ন উপায় সহকারে বর্ণনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ!

পোস্টের সূচীপত্রঃ চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম জানুন

চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম

চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখানে লিখছি। প্রিয় পাঠক, চিয়া বীজ বা চিয়া সীড অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও শক্তিশালী একটি সুপার। স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের মাঝে বর্তমান বিশ্বব্যাপী চিয়া বীজ অত্যধিক জনপ্রিয় এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠে যাচ্ছে। চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং উচ্চমাত্রার ফাইবার। তবে সঠিক নিয়মে ও সঠিক পদ্ধতিতে চিয়াবীজ না খেলে আপনি যে উদ্দেশ্যে খাচ্ছেন সে উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই নিম্নে বিস্তারিতা চিয়া সিড বা বীজ খাওয়ার নিয়ম লিখছি।

চিয়া বীজ কিভাবে খাওয়া যায়? বিষয়টি পয়েন্ট আকারে বলছি।
পানিতে ভিজিয়ে খাওয়াঃ চিয়া বীজ পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম হল পানিতে কম্পক্ষে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। শুধু পানি বলে কথা নয় দুধ বা অন্য যেকোনো লিকুইড বা তরলে প্রায় আধা ঘন্টা রাখলে ছোট চিয়া সীডের দানাটি ফুলে যায় এবং এটি জেলির মত রুপ নেয়। জেল সদৃশ দ্রবণটি খেলে সহজে হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করবে এবং পুষ্টি গুণ বাড়বে এবং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ করবে।

জুসে মিশিয়ে খাওয়াঃ চিয়া বীজ খাওয়ার আরো একটি নিয়ম হল স্মুদি ও জুসে মিশিয়ে খাওয়া যা খুব জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিউট্রিশন বা পুষ্টির আরো একটি মাত্রা যোগ করলেন। জুসে মিশানোর সিস্টেম বা নিয়ম হল এক গ্লাস ফলের স্মুদিতে এক চা চামচ চিয়া বীজ প্রদান করবেন যা কিছুক্ষণ জুসে রাখলে বহুগুণ পুষ্টিতে ভরপুর একটি সুস্বাদু পানীয় হয়ে যাবে এবং এটি একটু ঘণ করে নেড়ে খেলে অনেক টেস্ট পাবেন।

সালাদ এবং ওটমিলের উপর ছিটিয়ে খাওয়াঃ চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো সালাদ ও ওটমিলের উপর ছিটিয়ে খাওয়া। এটি যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় অনুরূপ নিউট্রিশনও বাড়ায়। আবার এটির আরো একটি বৈশিষ্ট্য হল দই বা নোনতা খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে আরেক ধরণের ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায়। বিশেষত সালাদ বা ওটমিলের সাথে খাওয়াটা প্রচুর খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ হয়ে যায়। 

পুডিং তৈরী খাওয়াঃ চিয়া বীজ দিয়ে চিয়া পুডিং তৈরি করা আরো একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার হয় যেটি সকালে নাশতা হিসেবে এবং বিকেলে স্ন্যাক বা হালকা নাশতা হিসেবে খাওয়া যায়। চিয়া পুডিং তৈরি করার নিয়ম বা পদ্ধতিটি হল দুই টেবিল চামচ চিয়া বীজ এবং এক কাপ বাদাম এক কাপ দুধে মিশিয়ে রেখে দিন। এরপর সকালে দেখবেন যে একটি পুডিং তৈরি হয়ে গেছে এবং তাতে মধু বা ফল মিশিয়ে আপনি একটি পুষ্টিকর স্ন্যাকস এনজয় করতে পারবেন।

স্যুপে মিশিয়ে খাওয়াঃ স্যুপে চিয়া বীজ মিশিয়ে খাওয়ার নিয়ম হলো গরম স্যুপে অল্প কিছু চিয়া বীজ মিশিয়ে রাখুন। এভাবে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দিন। তাহলে স্যুপের ঘনত্বটা বেড়ে যাবে এবং আপনার সামনে একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যুপ হাজির হয়ে যাবে। আপনি এটি খুব সুস্বাদু করে মন ভিজিয়ে খেতে পারবেন। যেটি শরীরের এনার্জি বাড়াবে এবং শক্তি যোগাবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার অজানা উপকারিতা

তিলের পানিতে মিশিয়ে খাওয়াঃ তিলের পানিতে চিয়া বীজ খাওয়ার পদ্ধতি হল চিয়া বীজ তিলের পানিতে মিশাবেন। তিলের ঐ পানি যে পানিতে তিল দিয়ে গরম করা হয়েছে এবং সেটি একটা ছাঁকনা দিয়ে ছেঁকে নিবেন এবং তাতের চিয়া সীড বা চিয়া বীজ দিবেন। ফলে এটি স্বচ্ছ একটি ড্রিংক তৈরী হয়ে যাবে। আপনি এটি খেলেন মানেই আপনার শরীর কুল বা ঠান্ডা হয়ে গেল এবং লংটাইম শক্তি পাবেন। 

স্ন্যাক তৈরী করে খাওয়াঃ চিয়া বীজ বিভিন্ন খাবারে দিয়ে খেতে যেকোনো সময় খেতে পারবেন। বিশেষ করে সকালে, বিকালে বা সকাল ১১টায় চিয়া বীজের স্ন্যাক তৈরী করে খেতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্ন্যাক তৈরী করতে হয় এটি দুধ বা মধু বা কালো জিরার পানির সাথে মিশিয়ে স্ন্যাক বা বিভিন্ন ফলের রসের সাথে মিশিয়ে স্ন্যাক তৈরী করে আপনি খেতে পারবেন।

দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াঃ চিয়া বীজকে আপনি দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। এর পদ্ধতিটি হল হালকা কিছু চিয়া দইয়ে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবং অবশেষে এটি একটি সুস্বাদু ও মজাদার পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারে পরিণত হয়ে যাবে। এরপর আপনি এটি খেলে আপনার শরীরে ফাইবারের ঘনত্ব ও পরিমাণ বাড়বে। এতে করে আপনার হজমের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরে থাকবে।

বিভিন্ন খাবারে ছিটিয়ে খাওয়াঃ আপনি ইচ্ছা করলে চিয়া বীজ দিয়ে আপনার বাড়িতে একটি চিয়া বীজ এনার্জি বার তৈরি করতে পারবেন। এর পদ্ধতি হলো শুকনো কিছু ফলমূল, বাদাম এবং মধু ও চিয়া বীজ দিয়ে মিশিয়ে একটি পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক স্ন্যাক তৈরি করবেন। এরপরে এটি আপনি আপনার এনার্জি বারে রেখে দিবেন যেটি দিনের যেকোনো সময় খেলে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপন্ন করতে পারবেন এবং এনার্জি ধরে রাখতে পারবেন যেটা এটা কাজের স্পিরিট দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিবে।

বিভিন্ন কিছুর রস, পাতা কিংবা ফল দিয়ে খাওয়াঃ চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম এর ভিতর আরো একটি পদ্ধতি হলো এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া বীজ নিবেন এবং এটি মিনিমাম ২০/৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর এতে যোগ করুন লেমন জুস বা লেবুর রস অথবা পুদিনা পাতা কিংবা আপনার পছন্দের যেকোনো ফল মিশান এবং একটি ঘেটে বা নেড়ে খেয়ে দেখুন কি তৃপ্তি লাগে। এই পানীয়টি শরীরের টক্সিন বের করে দেয় এবং হাইড্রেশন মেইনটেইন করে এবং হজম বাড়াতে সহায়ক হয়।

প্রিয় পাঠক, আপনি বুঝতে পারলেন যে চিয়া বীজ কিভাবে এবং কত নিয়ম ফলো করে খাওয়া যায়। একটি ছোট্র দানা যার পুষ্টি ও স্বাদের গুণ সুপার। অতএব চিয়া বীজ খান এবং নির্দিষ্ট পুষ্টি ও এনার্জিগুলো গ্রহণ করুন এবং হয়ে উঠুন আপনার কাজের ভিতর এক সম্ভাব্য ও সহজ এবং নমনীয় ব্যক্তি। 

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা নিয়ে কয়েক লাইন লিখছি। আপনি চিয়া সিডকে পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন, স্মুদি বা জুসে মিশিয়ে খেতে পারেন কিংবা আপনি সালাদে ছিটিয়ে খেতে পারেন যা আমরা পূর্বে বলেছি। আর চিয়া সিডে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। 

সেহেতু আপনি উপকার হিসেবে যা পাবেন তা হচ্ছে হজমে সহায়তা, হৃদরোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রত্যহ ১-২ চামচ চিয়া সিড খেলে আপনার বডির প্রয়োজনীয় প্রচুর নিউট্রিশন বেড়ে যায়। এতে পর্যাপ্ত পানি না খেলে ফাইবার ঠিকমত কাজ করতে অসুবিধা হবে তাই এনাফ পানি পান করুন। 

চিয়া বীজ খাওয়ার পরিমাণ

চিয়া বীজ খাওয়ার পরিমাণটি এখানে লিখছি। প্রিয় রিডার, চিয়া বীজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক ১-২ টেবিল চামচ বা ২০-৩০ গ্রাম চিয়া খাওয়ার বেশি খাওয়া ঠিক নয় এবং এটিই যথেষ্ঠ। এর অতিরিক্ত চিয়া বীজ খেলে পেটের নানান সমস্যা দেখা দিবে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের প্রবলেম ইত্যাদি। 
চিয়া-বীজ-খাওয়ার-পরিমাণ
যেহেতু এতে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ রয়েছে তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন তাহলে আশংকা থাকবেনা।

গর্ভাবস্থায় চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখানে ৪ লাইনে লিখছি। প্রিয় পড়ুয়া! গর্ভাবস্থায় চিয়া বীজ গর্ভের সন্তান এবং মা উভয়ের জন্য নিউট্রিশন যোগান দিয়ে থাকে। চিয়া বীজে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শিশুর ব্রেইন বা মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায় এবং ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দৈনিক ১-২ চামচ চিয়া বীজ খাওয়া গর্ভবতী মা শিশুর জন্য খুবই উপকারী। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেয়ে সতর্ক মানুষের কাজ যা প্রশংসাযোগ্য।

চিয়া সিড খেলে কি ওজন বাড়ে

চিয়া সিড খেলে কি ওজন বাড়ে ব্যাপারটি এখানে আলোকপাত করছি। প্রিয় বন্ধু, চিয়া সিড খেলে ওজন বাড়েনা বরং ওজন কন্ট্রোল করে। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার-আঁশ এলিমেন্ট ক্ষুদা কমায়, দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা থেকে রক্ষা করে। আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন হজম ক্রিয়া বা মেটাবলিজম বাড়ায়ে বডি সুস্থ রাখে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে ওজন কমায় সহায়ক হয়। 

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন এক বা দুই চামচ বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবং এটি স্মুদি বা স্যালাদ বা দইয়ের মিশিয়ে খান। ফাইবার চিয়া সীডে প্রচুর থাকায় পেট ভারী ও ভরে রাখে এবং খাবার গ্রহণে অন্তরায় হয়ে থাকে। আর প্রচুর পানি পান করুন তাহলে চিয়া বীজ বেশি খাওয়ার কারণে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। 

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমাদের ইতিমধ্যের লিখায় প্রতিভাত হয়েছে যে চিয়া সিড খেলে কি উপকার পাবেন এবং কি ক্ষতি রয়েছে। আরো একবার স্বরণ করিয়ে দিচ্ছি যে চিয়া সিডে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যেম আপনি হজম শক্তি বাড়ানো, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হার্ট জনিত রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ Carrot: গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী বিস্তারিত জানুন

আর অপকারিতা হলো এটি অতিরিক্ত খেয়ে নিলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং হাজমে সমস্যা বা ট্রাবল দেখা দিবে। তাই এটিকে সঠিক ও আদর্শ পরিমাণ খাবেন তাহলে স্বাস্থ্যের উপকার হবে ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে যাবেন। তাই দিনে ১-২ চামচের বেশি খাবেন না। বেশি খাওয়া এভোয়েড করবেন। 

চিয়া সিড খেলে কি হয়

চিয়া সিড খেলে যা হয় আমরা অলরেডি বলেছি। যে চিয়া সিড মাপ মত খেলে হজম শক্তি বাড়বে, হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমবে এবং সারাটা দিন শরীরে এনার্জি পাবেন। আর বেশি খেলে হজম সমস্যা সৃষ্টি হবে, পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন পেট ফাঁপা, পেটের গ্যাস এবং পেট ভারী হয়ে থাকবে। তাই প্রাত্যহিক নিয়ম মেনে ১-২ চামচ চিয়া সিড খান।

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা বলেছি। উপকারিতা যেমন মেটাবলিজম বা হজম ক্রিয়া বাড়া, হার্ট বা হৃদযন্ত্রের আরোগ্য এবং ওজন আদর্শবান হওয়া খুব বেশি বা খুব কম কোনোটাই না ইত্যাদি। আর অপকারিতা এক্সট্রা চিয়া সিড খেলে পেট ফাঁপা, হজম ট্রাবল এবং এসিডিটির প্রবলেম হয়।

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা

চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা বললাম বাট একটি বিষয় সদা স্বরণ রাখতে হবে ১ থেকে ২ চামচ অতিরিক্ত খাবে না। অতিরিক্ত খেলেই পেটের নানা উপকারগুলোর পরিবর্তে অপকার বা ক্ষতি হয় যাবে যা আমাদের কারো কাঙ্খিত উদ্দেশ্য হতে পারেনা। তিনটি ক্ষতি আপনি লক্ষ্য করলেন গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং হজম জনিত সমস্যা প্রভৃতি। 

চিয়া সিড খাওয়ার সময়

চিয়া সিড খাওয়ার সময় এর ভিন্নতা রয়েছে। আপনি সকালে খেতে পারেন, সকাল ১১টায় পানীয় তৈরী করে খেতে পারেন। আবার দুপুরের খাবারে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেতে পারেন। ফল বা দইয়ের সাথে মিশ করে বিকেলে খেতে পারেন। ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম করার আগে ও পরে খেতে পারেন। রাতের খাবারের পরে খেতে পারেন যা সঠিকভাবে হজম ও হাইড্রেট রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে।
চিয়া-সিড-খাওয়ার-সময়

চিয়া সিড এর বাংলা নাম

চিয়া সিড এর বাংলা নাম হলো "চিয়া বীজ"। এই চিয়া সিড কে বিজ্ঞানের ভাষায় Salvia hispanica (স্যালভিয়া হিস্পানিকা) নামের একটি বৃক্ষ বা গাছের সিড বা বীজ। বাংলা ভাষায় এটি চিয়া সিড বা চিয়া বীজ দুই নামে পরিচিত তবে সিড ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হলো বীজ এই কথা। 

আমার শেষ কথা

চিয়া বীজ খাওয়ার নিয়মগুলো এখানে বিভিন্ন টপিক বা হেডিং এর সাথে লিখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি উক্ত ব্লগ বা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি নিশ্চয়ই চিয়া বীজ বা চিয়া সিড সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন যে চিয়া বীজ কি নিয়মে খেতে হবে এবং তা খাওয়ার উপকার এবং অপকারের দিকগুলো। আরো এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।

প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ FAQ

সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খেলে কি হয়?

হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেট ভরে রাখে।

১ কেজি চিয়া সিডের দাম কত?

সাধারণত ৮০০-১২০০ টাকা।

চিয়া সিড কাদের খাওয়া উচিত না?

হজম বা অ্যালার্জি সমস্যা জনিত লোকদের।

প্রতিদিন কতটুকু চিয়া সীড খাওয়া উচিত?

প্রতিদিন ১-২ চামচ সিয়া সীড খাওয়া উচিত। 

চিয়া বীজ কতক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত?

চিয়া বীজ ২০-৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত।

চিয়া সিড কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর?

হ্যাঁ, অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে চিয়া সিডে প্রচুর ফসফরাস ও পটাসিয়াম থাকায় কিডনির সমস্যা হতে পারে।

চিয়া সিড পানিতে কত সময় ভিজিয়ে রাখতে হয়?

২০-৩০ মিনিট।

চিয়া সিড রাতে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া যাবে কি?

হ্যা, এভাবে ফুলে উঠে এবং সকালে দই বা স্মুদির সাথে খেলে পুষ্টির যোগান দেয়।

কিভাবে চিয়া সিড খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়?

সঠিক পরিমাণে ও ২০-৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে অথবা সালাদে অথবা বিভিন্ন খাবারে কিংবা খাদ্যা তালিকার স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url