শরীর চর্চা করার নিয়মব্যায়াম করার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এখানে এসেছেন তাই না? ব্যায়াম আমাদের
সুস্থ থাকার জন্য ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ব্যায়াম শুধু শারীরিক ফিট থাকার
জন্যই যথেষ্ঠ নয় এটি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য একটি
বিষয়।
এটি উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা দূর করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ইত্যাদি। তাই ব্যায়াম করা
প্রত্যেক মানুষের জন্য কর্তব্যের সাথে পালন করা উচিৎ। নিম্নে এ সম্পর্কে লিখছি।
পেজ সূচীপত্রঃ ব্যায়াম করার উপকারিতাগুলো জানুন
ব্যায়াম করার উপকারিতা
ব্যায়াম করার উপকারিতা একাধিক রয়েছে। যেমন ফিজিক্যাল উপকারগুলো হচ্ছে যথা
ক্যালোরি বার্ণ করতে সাহায্য করে। ওয়েট বা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, হাড়ের
ডেনসিটি বাড়ায় এমনকি মাসল-পাওয়ার বৃদ্ধি করে। আর মেন্টাল বা মানসিক উপকারগুলো যথা
স্ট্রেস কমায়, উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ দূর করে এবং মনের শক্তি বাড়ায় ইত্যাদি। এছাড়া
আরো উপকার রয়েছে ব্যায়ামের যেগুলো নিম্নে পেশ করা হলো।
1. শক্তির উৎপাদন
শক্তির উৎপাদন কিভাবে ব্যায়ামের উপকারিতা হতে বিষয়টি বিশ্লেষণ করছি। এটি দৈনিক
জীবন পরিচালনা এবং কর্মক্ষমতার জন্য অত্যন্ত ইম্পোর্ট্যান্ট। বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও
কার্যকারিতার মাধ্যমে শক্তির উৎপাদন করা পসিবল। নিম্নে শক্তি উৎপাদনের উপায়গুলো
আলোকপাত করা।
মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া একটি উপায়ঃ ব্যায়াম করলে শরীরের মেটাবলিজম বা
বিপাক ক্রিয়ার রেট বৃদ্ধি পায়। উচ্চ তীব্রতার ব্যায়াম যথা শরীরের ক্যালোরি
বার্ণের রেট বাড়ায়, কার্ডিও কিংবা ওয়েট প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো শক্তি উৎপাদন
ক্ষমতা বাড়ায়।
অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধিঃ ব্যায়াম করার মাধ্যমে দেহের অক্সিজেন প্রোভাইড
করে যেটি এনার্জি প্রোডাকশনে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অক্সিজেন দেহের কোষগুলোতে
যথার্থরুপে পৌঁছার মাধ্যমে এনার্জি যত বেশি পরিমাণে উৎপাদন হয় আমরা তত বেশি নিজের
দেহে শক্তি উৎপাদন করতে পারি।
মাইটোকন্ড্রিয়াল কার্যক্রমঃ মাইটোকন্ড্রিয়া মূলত কোষের পাওয়ারহাউস যেটি
এনার্জি প্রোডাকট করে। রেগুলার ব্যায়াম করাটা মাইটোকন্ড্রিয়ার পরিমাণ এবং
কার্যক্রম বাড়িয়ে দেয়। ফলস্বরুপ, শরীর বেশি এনার্জিময় হওয়ায় শরীর শক্তিময়
হয়।
ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধিঃ ব্যায়াম করাটা ব্লাড বা দৈহিক রক্ত সঞ্চালন
বাড়ায় যেটি নিউট্রিশন বা পুষ্টি এবং অক্সিজেন দেহের বিভিন্ন পার্টে দ্রুতই পৌঁছে
দিতে সাহায্য করে। যার কারণে ফিজিক্যাল প্রতিটি কোষ শক্তি তৈরীতে কার্যকর হয়ে
থাকে।
আরো পড়ুনঃ শরীর চর্চা করার নিয়মগুলো জানুন
এন্ডোরফিনঃ ব্যায়াম করার টাইমে শরীরে এন্ডোরফিন হরমোন বের হয় যা দেহকে
সজীব, সতেজ এবং চাঙ্গা ও ফুরফুরা হয়ে যায়। মস্তিষ্কে এই এন্ডোরফিন একটি ন্যাচারাল
এনার্জি বুস্টাপ করে যে বিষয়টি দেহের পাওয়ার দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয়।
2. ভিটামিন শোষণ
ভিটামিন শোষণ কিভাবে ব্যায়ামের একটি উপকারী হতে পারে এখানে তা বিশ্লেষণ করছি।
ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সঠিক অ্যাকটিভিটির জন্য অপরিহার্য একটি বিষয়। এগুলো
শারীরিক বৈচিত্রময় ভূমিকা পালন করে যথা- কোষের মেরামত, শক্তি প্রোডাকশনে এবং রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাট ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সর্বোত্তমভাবে শোষণ করার
জন্য জীবনযাত্রা এবং হ্যাবিটে কিছু চেঞ্জ পরিবর্তন আনতে হবে। নিম্নে এ সম্পর্কে
লিখা হলো।
হরমোন নিয়ন্ত্রণঃ ব্যায়াম শরীরের বিভিন্ন হরমোনকে সঠিকভাবে নির্গমন করে।
এক্ষেত্রে, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় যেটি গ্লুকোজ ও আদার নিউট্রিশন শোষণ
বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই সিস্টেমে ভিটামিন বা শক্তিবর্ধক উপাদান
উন্নীত হয়।
পেশি আন্দোলনঃ ব্যায়ামের টাইমে পেশি সংকোচন ও সম্প্রসারণ সম্পাদন হয় যেটি
মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়াকে ইন্সপায়ার করে। যার কারণে, ফুড ব্রেক
করে নিউট্রিশন এবং ভিটামিন শোষণ করে।
স্ট্রেস রিলিফঃ ব্যায়াম মেন্টাল প্রেসার বা স্ট্রেস কমাতে সহযোগিতা করে।
মানসিক চাপ হ্রাস পেলে হজম ইজি প্রসেস হয় এবং নিউট্রিশন ডেভলপ হয় যা ভিটামিনের
অ্যাকটিভিটি বৃদ্ধি করে।
3. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
ব্যায়াম করার উপকারিতাগুলোর আরো একটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ। কোলেস্টেরল একটি
চর্বিওয়ালা মেটিরিয়্যাল যা ব্লাডে থাকে এবং এটি দেহের বিভিন্ন ইম্পোর্ট্যান্ট কাজ
করে যথা হরমোন উৎপাদন এবং কোষ গঠনের হেল্পার। তবে ব্লাডে কোলেস্টেরল এর কিছু
স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে যথা হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। রেগুলার
ব্যায়াম কোলেস্টেরল কন্ট্রোল করে। নিম্নে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ এর কিছু দিক
লিখা হলো।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ নিয়মিত ব্যায়াম, এস্পেশিয়ালি
কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজ বা কার্ডিও ব্যায়াম হার্ট বা হৃদযন্ত্রকে পাওয়াফুল
করে এবং ব্লাড সার্কুলেশন সহজ করে দেয়। যার কারণে গুড কোলেস্টেরল বা এইচডিএল
বাড়ায় এবং ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল হ্রাস করে দেয়। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা
করা হলো।
ওজন কন্ট্রোলিংঃ ব্যায়াম ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে আর ক্যালোরি কম হলে
ওজন কমে সহায়ক। অতিরিক্ত ওয়েট ব্লাডের কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়ার মূল কারণ। আর ওজন
হ্রাস হলে কোলেস্টরল ও কমে।
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধিঃ ব্যায়াম ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি করে যা
ব্লাডের কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী। যার ফলে
কোলেস্টেরল এর মাত্রা নরমাল বা স্বাভাবিক থাকে।
4. অ্যান্টি-এজিং
অ্যান্টি-এজিং মানে বয়সকে বাধাদান কারী অর্থাৎ ব্যায়াম করার কারণে মনে হবে বয়স
কমিয়ে দেয় বাড়তে দেয় না যেন বয়স কে বাধা দিচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকের বয়স বাড়ার
মাধ্যমে শরীরের ত্বক ঝুলে যায়, মাসল পাওয়ার কমে যায় এবং ফিজিক্যাল কার্যকারিতা
হ্রাস পায় এভাবে দেহে নেগিটিভ প্রভাব ফেলে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম এ প্রসেসটাকে স্লো
করে দেয় এবং এটি সুস্থ দেহ এবং যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক। ব্যায়াম যেমন ফিজিক্যাল
স্বাস্থ্য উন্নত করে অনুরুপ মেন্টাল স্বাস্থ্য বাড়িয়ে দেয়। নিম্নে এ সম্পর্কে
লিখা হলো।
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতিঃ দৈনন্দিন ব্যায়াম ব্লাড সার্কুলেশন বা রক্ত
সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে যা চামড়া বা ত্বকে নিউট্রিশন এবং অক্সিজেন প্রোভাইড বা
সরবরাহ করে। যার জন্য ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল থাকে। এছাড়া ব্যায়াম ঘাম বের করে যা
ত্বকের ব্রণের পসিবিলিটি হ্রাস করে দেয় এবং ত্বকের পোরগুলো ক্লিন করে দেয়।
মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধিঃ বিপাক ক্রিয়া বা পাঁচন ক্রিয়া শরীরের
ফ্যাট কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং ওয়েট কন্ট্রোল করে। বয়সের পাশাপাশি
মেটাবলিজম ক্ষমতা কমে যায় কিন্তু ব্যায়াম করার বিষয়টি সচল রাখে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ নিয়মিত ব্যায়াম করাটা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যা
দেহের মাসলে নিউট্রিশন এবং অক্সিজেন পৌঁছাতে ভূমিকা রাখে। এটি কোষের বারবার
উৎপাদন প্রসেসকে ত্বরান্বিত করে এবং বয়সের ছাপ কমিয়ে দেয়।
5. জীবনী শক্তি বৃদ্ধি
জীবনী শক্তি বৃদ্ধি কিভাবে করে ব্যায়াম ব্যাপারটি আলোকপাত করছি। প্রত্যহ ব্যায়াম
আমাদের জীবনের ভাইটালিটি বাড়িয়ে তোলে যা জীবনী শক্তিকে অতি অনুরাগী এবং উৎপাদনশীল
করে তোলে। ব্যায়াম জীবনীশক্তি বাড়ানোর অন্যতম ও কার্যকরী উপায়। নিম্নে এর দিকগুলো
আলোচনা করা হলো।
এন্ডোরফিন মুক্তিঃ ব্যায়াম আমাদের বডির এন্ডোরফিন হরমোন মুক্ত করে যা
মেজাজ উন্নয়ন করে এবং মেন্টাল স্ট্রেস কমাতে ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়
এন্ডোরফিন আমাদের জীবনকে উদ্যোমী ও সুখময় করে তোলে যা জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করে।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতিঃ ব্যায়াম মানসিক স্ট্রেস কমাতে এবং মনোবল বাড়াতে
সহায়ক ভূমিকা রাখে। আর মানসিক চাপ কমলে আমাদের জীবন আরো উৎসাহী এবং অনুরাগী অনুভব
করে যা জীবনী শক্তি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
6. ফোকাস ও মনোযোগ বৃদ্ধি
ব্যায়াম করার উপকারিতাগুলোর আরো একটি ফোকাস ও মনোযোগ বৃদ্ধি। ব্যায়াম আমাদের
দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ ফোকাস করতে ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে সহায়ক। আর ফোকাস ও
মনোযোগ বৃদ্ধি আমাদের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজের দক্ষতা ও
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে হেল্প করে। নিম্নে এ সম্পর্কে কিছু দিক লেখা হলো।
মস্তিষ্ক রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ ব্যায়াম নিয়ম করলে বিষয়টি নিউরনের
কার্যকারিতা উন্নত করে। সঠিক রক্ত সঞ্চালন ব্রেইনে পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করে
যেটি ফোকাস ও মনোযোগ বৃদ্ধির মাধ্যম।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ হ্রাস কমায়ঃ নিয়মিত ব্যায়াম স্ট্রেস হরমোন যথা কর্টিসল
কমাতে সাহায্য করে এবং মেজাজ উন্নতিকারী ও সুখময়কারী হরমোন এন্ডোরফিন বাড়াতে
সাহায্য করে। আর কর্টিসল কমলে এবং এন্ডোরফিন বাড়ানোটা ফোকাস ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
7. ত্বকের স্বাস্থ্য
ব্যায়াম ত্বকের স্বাস্থ্য এর উন্নতি করে। এক্ষেত্রে, সুন্দর ও সুশ্রী থাকতে ত্বক
উজ্জীবিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তবে পরিবেশের দূষণ, ব্যস্ত
জীবনযাপন এবং মেন্টাল প্রেশার আমাদের ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত
ব্যায়াম ত্বকের সজীবতা ও সঞ্জীবনী ক্ষমতা বাড়ায়। কিছু দিক নিম্নে পেশ করা হলো।
টক্সিন অপসারণঃ ব্যায়াম ত্বকের টক্সিন দূর করে এবং ত্বকের পোরগুলো
পরিষ্কার করে। এটি ত্বকের ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দূর করে।
কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধিঃ এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও দৃঢ়তা বাড়ায়। এটা
ত্বক কে যুবক ত্বকে ধরে রাখে।
শরীরের ডিটক্সিফিকেশনঃ লিম্পফ্যাটিক সিস্টেম কার্যকারিতা উন্নয়ন করে যেটি
দেহের টক্সিন দূর করে এবং ত্বককে ডিটক্সিফাই করে ও স্বাস্থ্যবান রাখে।
8. যৌন স্বাস্থ্য
যৌন স্বাস্থ্য প্রতিটি জীবনের জন্য অত্যন্ত সুখময় ও আনন্দদায়ক
একটি কার্যকলাপ। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শারীরিক ভাবে যেমন
সুস্থ থাকা যায় ও অনুরূপ মানসিকভাবেও সুস্থতার পথ ধরে হাঁটা যায়। শুধু
শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতায় নয় এর ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের যৌন স্বাস্থ্য
ও সুন্দর ও সুস্থ থাকে নির্ণয়ের কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করছি।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ভিতরে রক্ত
সঞ্চালন তীক্ষ্ণ থাকে। আর রক্ত সঞ্চালন শরীরে যত ভালো থাকবে যৌনাঙ্গে রক্তের
সরবরাহ তত ভালো হবে। এক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য ইরেকশন এবং মেয়েদের জন্য
স্বাস্থ্যকর যৌন উত্তেজনা এটি নিশ্চিত করবে।
হরমোন নিঃসরণঃ ব্যায়াম করার মাধ্যমে এনডোরফিন হরমোন নির্গত হয়
আমরা ইতিমধ্যেই এটি কয়েকবার বলার চেষ্টা করেছি। তো শরীরে যখন
এন্ডোরফিন হরমোন বেশি হবে তখন যৌন আকাঙ্ক্ষাও বৃদ্ধি হয়ে থাকবে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিঃ ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর যেমন ফিট
থাকে অনুরুপ মনের ভিতরে ইতিবাচক ভূমিকা সৃষ্টি করবে যেগুলো আত্মবিশ্বাস
বৃদ্ধি করে থাকে এবং আত্মবিশ্বাস যৌন স্বাস্থ্য সুন্দর রাখবে।
9. ডিপ্রেশন প্রতিরোধ
ব্যায়াম করার উপকারিতাগুলোর আরো একটি ডিপ্রেশন প্রতিরোধ। ডিপ্রেশন মানে
হতাশ হওয়া যা মানসিক শাস্তির জন্য অত্যন্ত ও ক্ষতিকর এবং মেন্টাল সিচুয়েশন
কে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। তো নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে ডিপ্রেশনকে
অনেক দূরে ঠেলে দেওয়া যায়। চলুন নিম্নে শিশু দিক নিয়ে আলোচনা করি।
এন্ডোরফিন হরমোন মুক্তিঃ দৈনন্দিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে এন্ডোরফিন
নামক হরমোন নিঃসরণ হয় বা মুক্তি পায় এবং ডিপ্রেশন কে দূর করে এবং মনের ভিতর
প্রশান্তি ও প্রফুল্ল এনে দেয়।
মানসিক চাপ কমানোরঃ নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে
যায় যেটি স্ট্রেস হরমোনের কারণে তৈরি হয়। আর ব্যায়াম করার মাধ্যমে স্ট্রেস
হরমোন(কর্টিসল) দূর হয়ে যায়।
10. ঘুমের উন্নতি
ভালো ও সুন্দর ঘুম শরীর ও মনের জন্য অত্যন্ত ইম্পরট্যান্ট। মানসিক চাপ, অনিয়মিত
জীবনযাপন এবং বেপরোয়া প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শান্তির ঘুমকে ব্যাহত
করছে। নিয়মিত যদি ঠিকঠাক ঘুমানো যায় তাহলে শারীরিক এবং মানসিক ও উন্নতিতে
প্রভাব সৃষ্টি করে। নিম্নে এর কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করছি।
দেহের ক্লান্তি দূর করেঃ নিয়মিত ঘুমানোর মাধ্যমে দিনের বেলায় যে
জীবিকা অর্জনের তাগিদে দৈহিক পরিশ্রম করে আর ক্লান্তি থাকে তা দূর হয়ে যায়।
স্ট্রেস বা চাপ কমায়ঃ নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর থেকে
কোটেশন নামক হরমোন বের হয়ে যায় এবং ঘুমের উন্নতি করে।
11. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি।আমাদের দেহ খুবই কাজ প্রিয় একটি দেহ, যেটি অলস বসে থাকলে
বিভিন্ন রোগ এসে বাসা বাঁধে।এক্ষেতে, প্রত্যহ নিয়মিত ব্যায়াম করলে রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা উন্নত করে। নিম্নে এর কিছু দিক নিয়ে আলোচনা।
আরো পড়ুনঃ শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানুন
অ্যালার্মি সিস্টেমের সক্রিয়করণঃ ব্যায়াম দেহেরর অ্যালার্মি
সিস্টেম তথা ভয়ংকর অবস্থা পদ্ধতিকে সক্রিয় করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার
জন্য দরকারি সাদা রক্ত কণিকার প্রোডাকশন বাড়ায়।
হরমোনের ভারসাম্য বজায়ঃ ব্যায়াম শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য
বজায় রাখে যেটি শারীরিকভাবে সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ব্যায়াম করার উপকারিতা সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেলটির মধ্যে আলোচনা
করেছি। প্রিয় পাঠক, আমরা আশা করছি যে আপনি যদি উক্ত ব্লগ বা
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ব্যায়াম করার উপকারিতা গুলো
বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আরও এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের
ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url