ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা - ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম
মিনিবার ফুটবল খেলার নিয়মাবলীব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এখানে এসেছেন তাই কি না? ব্যাডমিন্টন খেলাকে র্যাকেট খেলা ও বলা হয়। ব্যাডমিন্টন খেলা খুব উপকারী এক খেলা কারণ খেলাটিতে পুরো শরীর মুভমেন্ট করে খেলতে হয়।
আর শরীর যত বেশি মুভমেন্ট বা আন্দোলিত হবে তত শরীরের পেশী, কোষ এবং স্নায়ু অত্যাধিক সচল হয়। ফলে রক্তের সচলতা শরীরে অল্প সময়ে সার্কুলেশন করে। এতে প্রচুর ফিজিক্যাল উপকার হয়। তো চলুন নিম্নে র্যাকেট নিয়ে আলোচনা করি!
পেজ সূচীপত্রঃ ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানুনব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা
ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা নিয়ে এখন লিখছি। ব্যাডমিন্টন সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয় একটি খেলা। এটি অনেক উত্তেজনাপূর্ণ ও দ্রুতি গতি সম্পন্ন খেলা যেই খেলাটি সকল পর্যায়ের মানুষের উপভোগের খোরাক মিলাতে পারে। ব্যাডমিন্টন গেইমের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে পাশাপাশি মেন্টাল বা মানসিক উপকারিতা বিদ্যমান ব্যাডমিন্টনে।
প্রথমতঃ শারীরিক সুবিধাগুলো উল্লেখ করছি।
ওজন কমিয়ে দেয়ঃ ব্যাডমিন্টন এমন একটি খেলা যেটি শরীরের ক্যালোরি বার্ণ করে মানে ক্যালোরি কমিয়ে দেহের ওজন কমায়ে দেয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করেঃ ব্যাডমিন্টন শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান অঙ্গ হৃদরোগের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে সাথে সাথে স্পন্দন ও বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে ভূমিক রাখে।
মাংসপেশীর শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ায়ঃ ব্যাডমিন্টন সারা দেহের মাসল বা মাংসপেশীগুলোতে স্ট্রেন্থ করে এবং এ ক্ষেত্রে সেগুলোর এনার্জি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করে।
হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়ঃ ব্যাডমিন্টন বোনস বা হাড়ের উপর প্রেসার সৃষ্টি করে তার ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয় এবং অস্টিওপোরোসিসের রিস্ক হ্রাস করতে সহযোগিত করে।
সমন্বয় এবং ব্যালেন্স ডেভলপ করেঃ ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য খুব তাড়াহুড়া করে অ্যাক্টিভিটি ও প্রতিক্রিয়া এবং সাইড চেঞ্জ করার দরকার হয় যে বিষয়টি সমন্বয় এবং ব্যালেন্স ডেভলপ করতে হেল্প করে।
আরো পড়ুনঃ মিনিবার ফুটবল খেলার নিয়মাবলী - বাংলাদেশ ফুটবল খেলার নিয়ম
চোখের ও হাতের ব্যালেন্স উন্নতি করেঃ ব্যাডমিন্টন খেলায় খেলাটির মূল সরঞ্জাম মেইন বল বা শাটল কক সঠিকভাবে ট্র্যাক করে আঘাত করার জন্য চোখের এবং হাতের প্রয়োজন হয়।
এখন মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারিতগুলো উল্লেখ করছি।
মানসিক প্রেসার হ্রাস করেঃ ব্যাডমিন্টন খেলা খেলতে গিয়ে অ্যান্ডোরফিন হরমোন বের হয় দেহে থেকে যা মেন্টাল চাপ কমাতে এবং মেজাজ উন্নয়ন করতে সাহায্য করে।
মনোযোগ উন্নয়নের ভূমিকা রাখেঃ ব্যাডমিন্টন খেলায় দ্রুত চিন্তাভাবনা এবং ডিসিসন নিতে সাহায্য করে যা অ্যাটেনটিভ বা মনোযোগ ডেভলপ করতে অ্যাসিস্ট করে।
কনফিডেন্স বা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়ঃ ব্যাডমিন্টন খেলা আত্মবিশ্বাস এর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত শার্প ভূমিকা রাখে। ইত্যাদি।
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়মগুলো লিখছি। প্রতি খেলার ন্যায় ব্যাডমিন্টিন খেলায়ও একাধিক নিয়ম কানুন রয়েছে। ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়মগুলো এখানে বর্ণন হচ্ছে।
- এ খেলায় একজন করে খেলোয়াড় প্রতিপক্ষ হয়ে থাকে।
- খেলাটি সূচনার জন্য একজন প্লেয়ার সার্ভ করে।
- সার্ভ করতে গিয়ে পা নিশ্চয় সার্ভিস কোর্টের অভ্যান্তরে থাকতে হবে এবং শাটল কক কে কোর্টের তীর্যক বা আড়াআড়াভাবি কোর্টের অপর পক্ষে হিট করতে হবে।
- অপর প্রান্তের খেলোয়ার বল পাঠাতে ফেইল মারে তাহলে প্রথম বল আঘাতকারী এক পয়েন্ট পাবে।
- আর যদি বল গ্রহণকারী(রিসিভার) বল পাঠাতে সক্ষম হয় তাহলে খেলা আরম্ব হয়ে যায়।
- এ খেলা চলতেই থাকে যতক্ষণ কোনো প্লেয়ার রং বা ভূল করে বা যার বল মাটিতে পড়বে সে অকৃতকার্য হয়ে যায় এবং অপর পক্ষ এর খেলোয়ার একটি পয়েন্ট পেয়ে যায়।
- যে খেলোয়াড় ২১ পয়েন্ট পাবে সে খেলাটিতে জয় করে ফেলে।
আবার খেলাটিতে দুইজন দুইজন করে খেলা হতে পারে এক্ষেত্রে মোট ৪ জন খেলোয়াড় হয় দুটি দলের হয়। ৪ জন খেলার নিয়মগুলো হচ্ছে।
- ২জন করে খেলোয়ার প্রতি দুইজন পক্ষের বিপরীতে খেলে।
- খেলাটি ইন্ট্রোডিউস করতে একজনকে সার্ভ করতে হয়।
- সার্ভ করার সময় পা কোর্টের ভিতরে বিপরীতে দিকে বল তির্যকভাবে আঘাত করতে হয়।
- রিসিভার দু'জন এর দল যদি বল রিসিভ করতে পারে তাহলে খেলা র্যালি হয়ে যায়।
- আর রিসিভ করতে ভূল করলে প্রতিপক্ষ এক পয়েন্ট পায়।
- এভাবে করে যাদের পয়েন্ট বেশি হয় তারাই জয়ী হয়ে যায়।
রুলসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক যা নিম্নে পেশ করছি।
- বল শুধু র্যাকেট দিয়ে মারতে হয়।
- একজনের খেলায় বল একবার স্পর্শ করতে হয়।
- আর দুই জনের খেলায় দুইবার স্পর্শ করা যাবে, বেশি করা যাবে না।
- বল নেট বা ব্যাডমিন্টনের জালের উপরে বা নেটের যেকোনো জায়গায় হিট করা যাবে না।
- প্লেয়ারদের পরস্পরের সাথে কমিউনেট করতে পারে না এবং একজন অপরজনের খেলায় হস্তক্ষেপ ও করতে পারে না।
- ব্যাডমিন্টন খেলায় একজন রেফারি থাকে এ ক্ষেত্রে খেলায় কোনো রঙ করলে পানিশ করে থাকে।
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস সম্পর্কে এখানে লিখছি। ব্যাডমিন্টন খেলার একটা সংক্ষিপ্ত ইতিহাস রয়েছে। এটি খুব জনপ্রিয় একটি খেলা যেটি সর্বপ্রথম কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যাডমিন্টন খেলাটি ১৯ শতকের শুরুর দিকে ব্রিটিশ আর মেয়ে বা সৈন্যরা সর্বপ্রথম শুরু করে। এই এই খেলাটি প্রথমে "পুনা" নামে পরিচিত ছিল যেটি বর্তমান ব্যাডমিন্টনের অনুরূপ ছিল। তবে পুনা খেলাটিতে যে সরঞ্জাম ব্যবহার করা হতো তা ছিল একটা ভারী র্যাকেট এবং একটি ভেজা বল।
পুনা খেলাটি ব্রিটিশ সৈন্যরা ১৮৬০ সালের দিকে ব্রিটেন তথা আজকের ইংল্যান্ডে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে এটি ব্যাডমিন্টন খেলা নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। প্রথমে এটি ধনী ঘরের লোকেরা খেলতো নেক্সট টাইমে এটি সর্বস্থলে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ গরীব ধনী সর্ব স্তরের লোকেরা খেলছে। আজ ব্যাটমিন্টনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত হচ্ছে।
১৯৮৯ সালে ব্রিটেনে ব্যাডমিন্টন খেলার সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। আইবিএফ বা আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই ফেডারেশন টি আন্তর্জাতিক বা বিশ্বব্যাপী খেলাটি প্রচলন করে এবং এরই মাঝে বিশ্বের নানা প্রান্তে ব্যাডমিন্টন প্রসারিত হয়ে যায়।
ব্যাডমিন্টন খেলা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ পপুলার খেলা। এটি ১৮০টির ও বেশি দেশে বর্তমানে খেলা হচ্ছে। আর বিশেষকরে ব্যাডমিন্টন খেলাটি অলিম্পিকের একটি অংশ এবং সর্ব প্রকারের লোক এটি উপভোগ করে। এটি ১৮৬০ ইংল্যান্ডে গিয়ে পুনা থেকে ব্যাডমিন্টন নাম নেয়। ১৮৯৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ১৯৩৪ সালে ভেডারেশন হয়। ১৯৭২ সালে অলিম্পিকের অংশ হয়। ১৯৯২ সালে অলিম্পিকে পুরোদমে খেলা হয় এই ব্যাডমিন্টন। আর বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন ১৯৭১ সালের পর প্রসার লাভ করে।
ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের মাপ
ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের মাপ নিয়ে লিখছি এখানে।
একজন করে যে খেলা হয় সেটার কোর্টের মাপ প্রথমত এখানে রইলঃ
৪৪ ফিট বা ১৩ পয়েন্ট ৪ মিটার দৈর্ঘ্য
১৭ ফিট বা ৫ পয়েন্ট ১৮ মিটার প্রস্থ
৬ পয়েন্ট ৩ ফিট বা ১ পয়েন্ট ৯২ মিটার সার্ভিস কোর্ট
৫ ফিট বা ১ পয়েন্ট ৫৫ মিটার নেট জালের হাইট বা উচ্চতা
দু'জন করে খেলার কোর্টের মাপ এখানে রইল। এখানেও সব কিছু একই তবে প্রস্থ টা ভিন্ন। সবগুলো আবার লিখছি।
৪৪ ফিট বা ১৩.৪ মিটার দৈর্ঘ্য
২০ ফিট বা ৬.১০ মিটার প্রস্থ
৬.৩ ফিট বা ১.৯২ মিটার সার্ভিস কোর্ট
৫ ফিট বা ১.৫৫ মিটার নেট জালের হাইট বা উচ্চতা
ব্যাডমিন্টন খেলার ছবি
ব্যাডমিন্টন খেলার এখানে কিছু ছবি উল্লেখ করছি।
ব্যাডমিন্টন-খেলার-ছবি১ ব্যাডমিন্টন-খেলার-ছবি2 ব্যাডমিন্টন-খেলার-ছবি৩ ব্যাডমিন্টন-খেলার-ছবি৪ ব্যাডমিন্টন-খেলার-ছবি৫ |
ব্যাডমিন্টন খেলার টাই লেখার নিয়ম
ব্যাডমিন্টন খেলার টাই লেখার নিয়ম সম্পর্কে এখানে লিখছি। একজন একজন করে খেলার ক্ষেত্রে,
২১ পয়েন্ট যে খেলোয়াড় যায় সে জিতে যায়।
যদি ২০-২০ এ সমতা থাকে তাহলে এটি ডিউসে যায়।
ডিউসে যে প্রথমে ২ পয়েন্ট পায় সে জিতে যায়।
আর এরপরও দুইজনের একজন খেলোয়াড়ও ২ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরী করতে না পারে তাহলে ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত যায়।
আর দুইজন দুইজন করে খেলার ক্ষেত্রে,
যারা ২১ পয়েন্টে পৌঁছে তারা জয়ী হয়ে যায়।
২০-২০ সমতা থাকলে সেটিও ডিউসে যায়।
ডিউসে যারা ২ পয়েন্ট বেশি পায় তারা জয়ী হয়ে যায়।
আর কেউ ২ পয়েন্টের ব্যবধান না করতে পারলে ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত যায়।
ইন্টারন্যাশনাল খেলায় তিন সেট খেলা হয় ২১ পয়েন্ট করে এক্ষেত্রে যার বা যাদের পয়েন্ট বেশি হয় তারা জয়ী হয়। আর পয়েন্ট সমতা হলে উপরের নিয়ম ফলো করে খেলানো হয়।
ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট
ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট এখানে লিখছি। একক খেলায় প্রথমে যে বা যারা ২১ পয়েন্ট পায় সে জয়ী হয়। দ্বৈত খেলায় ও ২১ পয়েন্ট যারা পায় তারা খেলাটি জিতে যায়। সমতা হলে ২০-২০ এ তাহলে সেটি ডিউসে চলে যায় এবং প্রথমে ২১ পয়েন্ট পায় যে বা যারা সে বা তারা জয়ী হয়। এরপরও কেউ না জিতলে সেটি ৩০ পর্যন্ত যায় এবং প্রথমে পয়েন্ট বেশি যে বা যারা পায় সে বা তারা জিতে যায়।
ব্যাডমিন্টন খেলার বিবরণ
ব্যাডমিন্টন খেলার বিবরণ এখানে পেশ করছি। ব্যাডমিন্টন খুব জনপ্রিয় একটি খেলা যা প্রথমে পুনা নামে পরিচিত ছিল। পরে এটি ব্যাডমিন্টন নামে আখ্যায়িত হয়। এখন এই খেলাটি বিশ্বব্যাপী এনজয় করে।
খেলার সরঞ্জাম বা উপাদানঃ
ব্যাটমিন্টন খেলায় অ্যালুমিনিয়াম,কার্বন এবং গ্রাফাইট এর তৈরী একটি র্যাকেট।
পেঁ এবং পালক দিয়ে তৈরী একটি বল যা কক বা শাটল কক নামে পরিচিত।
৫ ফিট বা ১.৫৫ মিটারের একটি সুউচ্চ নেট বা জাল যা প্রস্থ পর্যন্ত ছড়ানো যায়।
১৩.৪ মিটারের দৈর্ঘ্য এবং ৫.১৮ মিটার প্রস্থের একটি কোর্ট তবে দ্বৈত খেলায় ৬.১০ মিটার প্রস্থের কোর্ট।
আরো পড়ুনঃ শর্ট পিচ ক্রিকেট খেলার নিয়ম - T20 ক্রিকেট খেলার নিয়মাবলী
খেলাটির একজন করে বা দুই জন করেও খেলা যায়। প্রথমে একজন সার্ভ করবে তির্যকভাবে বিপরীত দিকে ঐ সময় যার বল টা পড়বেনা সে পয়েন্ট পাবে। আর পড়ে যাবে সে পয়েন্ট পাবেনা। আর বল না পড়লে খেলা চলতে থাকবে। এভাবে চলতে চলতে যার দিকে পড়ে যাবে অপর পক্ষ পয়েন্ট পেয়ে যাবে। ২১ পয়েন্ট হলে যার আগে হবে সে জয়ী হবে আর যার হবেন সে পরাজিত হবে।
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম ১৫ পয়েন্ট
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম ১৫ পয়েন্ট এর ব্যবহার সাধারণত করা হয়না তবে গ্রাম্য পরিবেশ গুলোতে খেলা হলে নিজেদের মাঝে সমঝোতা করে যত ইচ্ছা তত পয়েন্ট এ খেলা যায়। সেটি ১৫ ও হতে পারে আবার বেশ কম ও হতে পারে। আবার জোড় হতে পারে বিজোড় হতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে ২১ পয়েন্টেই খেলা হয়। তবে যেভাবেই খেলা হোক না কেন যার পয়েন্ট আগে বেশি হবে সে জয়ী হবে। আর সমতা হলেতো ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত খেলাটি চালানোর নিয়ম রয়েছে।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url