কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে - সারা শরীর ব্যথা করে কেন?
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে বিষয়টি প্রত্যেক ব্যক্তির অবগত হওয়া জরুরী একটা বিষয়। কারণ জীবনের কোন না কোন সময় যে কারো শরীরে ব্যথা হয়েছে। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে যে কারো শরীরের ব্যথা হতে পারে।
কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে?
কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে এ কথার উত্তরে যা বলব সেটি হচ্ছে যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় বা প্রকৃতস্থ খাবার রয়েছে যে খাবারগুলোর মাধ্যমে শরীরের ব্যথা কমায়। শরীরের ব্যথা এমন একটি ব্যাপার যেটা শরীরে হলে যার হয় সেই বুঝে যে ব্যথা কি জিনিস।
শরীরে ব্যথা থাকলে কোন কাজ করতেই ভালো লাগেনা কোন কাজেই মন বসবে না। আর শরীরে ব্যথা হলেই একটুতেই ডিসপেনসারিতে বা ওষুধের দোকানে দৌড়ানো ঠিক নাই। কারণ এই ঔষধের অনেক সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবে যেটি না জানলে নয়
তাই আপনাকে জানতে হবে যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি উপায় গুলো অবলম্বন করলে বা কি খাবার গুলো খেলে শরীরের ব্যথ বা পেইন কমবে সেগুলো জানা লাগবে। এখানে কিছু এমন খাবার লিখা হলো যেগুলো ব্যাথা কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। চলুন জেনে নেই।
পাকা পেঁপে ঃ পাকা পেঁপে অত্যন্ত ব্যথা নাশক একটি ফলের নাম। যেটি খেতে যেমন সুস্বাদু এবং মিষ্টি তেমনি শরীরের ব্যথা কমাতেও খুবই সহায়ক। পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এটিকে জুস বা রস বানিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়াও এটি কাঁচা থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। আবার এমনিতেও সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় কাঁচায়।
কাঁচা হলুদ ঃ কাঁচা হলুদ ব্যথা উপশমে অত্যন্ত কার্যকরী একটি মসলার নাম। এটি জ্বালাপোড়া থেকে নিয়ে শরীর চুলকানি ইত্যাদিতে ব্যবহার করলে মারাত্মক লাভ হয়। এটি রূপচর্চায়ও ব্যবহার হয়। আবার বিয়ে-শাদীতে ছেলেমেয়েদেরকে হলুদ দিয়ে বরণ করে। হাটুর জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি ভাত ও অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
আদা ঃ আদা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, যেমন বেটে খাওয়া, রস করে খাওয়া, চা বানিয়ে খাওয়া, আবার আদার রস এবং মধু একসাথে মিশিয়ে ছেলে গলা ব্যথা কাশি ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি উপশম হয়। শুধু তাই নয়, আদা বুক ব্যথা, বাত ব্যথা, পেটের ব্যথা এবং মেয়েদের মাসিকের ব্যথা পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। আদা লাগাতার পাঁচ দিন বেশি নয় দুই গ্রাম করে খেলে ব্যথা একেবারে কমে যায়। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী রূপচর্চায় আদাযর ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রসুন ঃ রসুনকে গরিবদের এন্টিবায়োটিক বলা হয়। রসুনের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে রসূন শরীরের যে হাড় হাড্ডি রয়েছে এবং বিভিন্ন জয়েন্ট রয়েছে সে জয়েন্টের ব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আবর রসুন শরীরের যে চামড়া বা ত্বক রয়েছে এই ত্বকের উপরে কোন জ্বালাপোড়া হলে আর রসুন ব্যবহার করলে সাথে সাথেই কাজ করে।
অলিভ অয়েল ঃ অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয়। তরকারিতে রান্না করে খাওয়া যায়। বিভিন্ন খাবারে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এমনিতেই গিলে খাওয়া যায় ওষুধের মত। আবার ছোট বাচ্চা থেকে নিয়ে বড় মানুষ যে কেউ দেহে ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল শরীরের ব্যথা হ্রাস করতে বা কমাতে খুবই হেল্পফুল বা সাহায্যকারী। প্রিয় সুধী, কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন আশা করছি।
সারা শরীর ব্যথা করে কেন?
সারা শরীর বিভিন্ন যে কারণে ব্যথা হয় সেই বিষয়টি এখানে আলোকপাত করছি। প্রিয় রিডার, শরীর বিভিন্ন কারণেই ব্যথা হতে পারে যে কারণগুলো জেনে রাখা খুবই দরকারি। কারণ আপনার শরীর কি কারনে ব্যাথা হচ্ছে অবশ্যই আপনি জানবেন আর জেনেই একজন ডাক্তার বা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন তাইতো।
রাতে ঘুমানোর সময় শোয়ার কোনো ডিসপ্লেসের কারণে সারা শরীর ব্যথা হতে পারে। আবার শরীরের ভিতরে যেটুকু অক্সিজেনের দরকার তার অভাব বা ডিফিসিয়েন্সি হলে শরীরে ব্যথা হতে পারে। আবার বিভিন্ন ঔষধ যেমন এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে সরাসরি কথা হতে পারে। এছাড়া শরীরের জ্বর হলে সর্বাঙ্গ ব্যাথা হতে পারে।
শুধু তাই নয় কোন এক্সিডেন্ট বা গাড়ি-ঘোড়ায় চলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শরীরের ব্যথা হতে পারে। আবার একসময় শরীরে কোন আঘাতের কারণে ব্যথা হয়ে সেটি ভালো হয়ে যায়, পরবর্তী সময়ে একটু ভারী বয়সে বা একটু বেশি বয়স হলে ওই ব্যথাটা আবার উত্থান হয় যেটাকে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথা বা পুরনো ব্যথা বলা হয়।
নানান কারণে ব্যাথা হতে পারে যেমন ঘুম কম হওয়া, পেটে গ্যাস হওয়া, এখনো বাজে খাবার খাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এমনকি মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে লম্বা সময় চেয়ে থাকা বা তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি কারণে ব্যাথা হতে পারে।
শরীরের ব্যথা কয় ধরনের হয়?
শরীরের ব্যথা যত ধরনের হয়ে থাকে বিষয়টি এখানে স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। প্রিয় পাঠক মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন এবং উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। আসলে শরীরের ব্যথা অনেক ধরনের হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যথা হলো সাধারণত দুই ধরনের। একটা হল স্থায়ী আর একটা হচ্ছে অস্থায়ী।
স্থায়ী ব্যথা যেটা ভালো হতে চাই না অনেক লং টাইম ধরে যে ব্যথা থাকে, এবং ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যায় আবার ব্যথা হয় ইত্যাদি। আর অস্থায়ী ব্যথা হচ্ছে যে ব্যথাটা কোনো কারণে হলো আবার ঘরোয়া কোন উপায় অবলম্বনে ভালো হয়ে যায় বা কোন ঔষধ যেমন অ্যালাপেথি বা হোমিওপ্যাথি বা ভেষজ কিছু ব্যবহারে ভালো হয়ে যায়।
আবার শরীর বা দেহের এই ব্যথা দুই ধরনের হয় একটা হচ্ছে ক্রনিক আর একটা হচ্ছে তীব্র। যেটা ক্রনিক সেটা হচ্ছে স্থায়ী বা যে ব্যথা ছয় মাস পর্যন্ত থাকে। তীব্র ব্যথা বলা হয় ঐ ব্যথাকে যেটি সাধারণত তিন মাস থাকে। পেরিফেরাল, ক্যান্সার, ইডিওপ্যাথিক এবং রিউম্যাটেড ইত্যাদি কারনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়। আর কিছু কিছু ব্যথা ক্ষণস্থায়ী হয় যেগুলো কিছু ওষুধ খেলে সুস্থ হয়ে যায়।
ব্যথা কমানোর ওষুধ
ব্যথা কমানোর ঔষধ খাওয়া বিষয়টা ভাববার বিষয়। কারণ একটুতেই ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা বা একটু সহ্য করে থাকলেই ঠিক হয়ে যায়। অথবা একটু লাইফস্টাইল চেঞ্জ করা যেমন খাওয়া, পানীয় গ্রহণ, ঘুমানো, চলাফেরা, শরীর চর্চা করা ইত্যাদিতে পরিবর্তন আনলেই ঠিক হয়ে যায়।
আর যদি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথা থাকে তাহলে যেটা কমেই না ওষুধ না খাইলেই নয় এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের বা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। তাহলে চিকিৎসক আপনার বিভিন্ন অবস্থা জিজ্ঞাসাবাদে মাধ্যমে আপনাকে কিছু ওষুধ সাজেস্ট করবে আর কোন টেস্ট লাগলে টেস্ট দিবেন সে ক্ষেত্রে আপনি নির্দ্বিধায় ঔষধ খেয়ে ব্যথা ভালো করতে পারবেন।
তবে এখানে ব্যথা কমানোর কিছু ওষুধের নাম দেওয়া হলো। যেমন জ্বর বা সাধারণ ব্যথার ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল (paracetamol) জাতীয় ওষুধ খেলেই ভালো হয়ে যায়। আবার বিভিন্ন ব্যাথা বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে।
যেমন আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথা এবং শারীরিক প্রচন্ড ব্যথা হলে ন্যাপ্রোক্সেন(naproxen) গ্রুপের ঔষধ খেলে ব্যথা ভালো হয়ে যায়। আর সাধারণত ব্যথার জন্য কি ওষুধ গুলো খাওয়া হয় সেটা হচ্ছে ডাইক্লোফিনাক(diclofenac) এবং এসিক্লোফেনাক(Aceclofenac) জাতীয় ঔষধ খেলে ব্যথা সারে।
শরীর ব্যথার ট্যাবলেটের নাম
শরীর ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম গুলো জানা খুব উপকারী। কারণ কখন কোন সময় আপনার কি কারনে ব্যথা হচ্ছে বিষয়গুলো জেনে এবং কোন ব্যথায় কোন ট্যাবলেট গুলো খেলে ভালো হবে এটি জানা থাকলে একটুতেই ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে না। এক্ষেত্রে ব্যথার ট্যাবলেট গুলোর নাম জানা থাকলে আপনাকে অনেক ক্ষেত্রেই সাহায্য করবে।
ধরেন আপনি শুয়ে আছেন রাতে হঠাৎ করে আপনার বা আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা হচ্ছে অথবা আশেপাশে তেমন কোনো ভালো ডাক্তার নেই তাহলে অবশ্যই কিছু ব্যাথা নাশক ট্যাবলেটের নাম জানা থাকলে আপনার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পেশির ব্যথার যেমন জয়েন্টে ব্যথা,
আঘাত জনিত ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম আইবুপ্রোফেন(brofen, bufen, arafa, beflam)জাতীয় ঔষধ। খুব শক্তিশালী ব্যাথা নাশক ট্যাবলেটের নাম ফেন্টানাইল জাতীয় ট্যাবলেট। যেমন opifen। আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার জন্য মৌখিক কার্যকরী ওষুধের নাম হচ্ছে এনসেইডস(nsaids)। আর জ্বর ও শরীর ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত। আর মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেকোনো ব্যথা দূর করার দোয়া?
যেকোনো ব্যাথ দূর করার জন্য যে দোয়া পড়তে হয় বিষয়টি এখানে আলোচনা করছি। দোয়া বা প্রার্থনা আল্লাহর কাছে করতে হয়। যে কোন বিপদ-আপদ মুসিবত, অভাব অনটন, ঋণগ্রস্ত হওয়া, সুখে দুঃখে যেকোনো সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা বা দোয়া করতে হয় কিছু শব্দের বা বাক্যের মাধ্যমে। আর দোয়া করতে হলে আল্লাহ বা আল্লাহর রাসূলের শিখানো দোয়া পড়লেই বেশি উপকার এবং কার্যকরী হবে।
তাই জানতে হবে যে দোয়াটি সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ কুরআন এবং সহিহ হাদিসের বিদ্যমান সেই দোয়াটি পড়া উচিত। এক্ষেত্রে শুধু ব্যথাই নয় যেকোনো ক্ষেত্রে কোরআন মাজীদের যে সূরাটি শিফা বা আরোগ্যতার জন্য দোয়া হিসেবে বলা যাবে সেটি হচ্ছে সূরাতুল ফাতিহা।
এই সূরাটি পড়ে শরীরে ফু দিলেই আরোগ্য লাভ করা যায়। আবার কুরআন মাজিদের যে কোনো আয়াত পড়ে শরীরে ফু দিলেই বিশ্বাসের সাথে তাহলে নিশ্চয়ই ব্যথা বা অন্য যে কোন আরাম পাওয়া যাবে। যেহেতু আল কোরআনুল কারীমকে মানবজাতির জন্য রহমত এবং শেফা বলা হয়েছে। আর বিশেষ করে যে দোয়াটি ব্যথার জন্য বলা হয় সেটি হচ্ছে তিন বার বিসমিল্লাহ বলতে হবে।
এবং এই বাক্যগুলো বলতে হবে সাত বার"আউযু বি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরতি হি মিন শার্রি মা আজিদু ওয়া উহাযির"। এই দোয়াটি যে জায়গায় ব্যথা হবে সেই জায়গাতে দুই আঙ্গুল দিয়ে ধরে ওই ব্যথা ওয়ালা জায়গাটা শরীরের আরেক জায়গায় ধরে টান দিতে হবে তাহলেই অবশ্যই আরাম পাওয়া যাবে।
আঘাত জনিত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
আঘাত জনিত ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যাপারটি এখানে আলোকপাত করছি। প্রিয় পাঠক আপনার যদি কোন কারনে শরীরে আঘাত লাগে, যেমন খেলাধুলা করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন, বা হাটাচলা করতে গিয়ে কোথাও হোচট খেয়ে পড়ে গিয়েছেন, বা এক্সিডেন্টের কারণে শরীরে ব্যথা হয়েছে, অথবা ঝগড়া-বিবাদ করতে গিয়ে মারামারি হয়ে যাওয়ায় শরীরে ব্যথা হয়েছে;
অথবা সাইকেল চালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথা হয়েছে অথবা গাছে উঠে গাছ থেকে পড়ে যাওয়ায় শরীরে জখম বা আঘাত হয়েছে ইত্যাদি। এই সমস্ত জখম বা আঘাত জনিত ব্যথা আপনার শরীরে হলে বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনি এই ব্যথা থেকে উপশম বা মুক্তি পেতে পারেন।
যেমন কিছু তেল রয়েছে বিশেষ করে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ওই জায়গায় মালিশ করলে অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। অথবা সরিষার তেল দিয়ে ব্যথা জনিত বা আঘা জনিত জায়গায় মদন করলে, আর এটি কয়েকদিন কয়েকবার পড়লে সুস্থতা লাভ করা যায়। আবার ওমেগা থ্রি যে সমস্ত খাবারে রয়েছে ওই খাবারগুলো গ্রহণ করলে শরীর এর ব্যথা দ্রুত উপশময হয়।
আর ওমেগা থ্রি রয়েছে সামুদ্রিক মাছে, এছাড়া বোয়াল মাছ পাঙ্গাশ মাছ পাবদা মাছ ইত্যাদিতে। তো এই আঘাত জনিত ব্যথা খুব গুরুতর না হলে নিজে ঘরে বসে এই সমস্ত তেল ব্যবহার বা মালিশ করার মাধ্যমে ভালো হওয়া যায়। আবার অর্জুন গাছের ছাল রয়েছে যেই ছালটা বেটে দিলে ব্যথা জনিত জায়গায় দ্রুত ব্যথা দূর হয়।
হাড়ের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
হাড়ের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানাচ্ছি। হাড় মানে ইংরেজিতে বোন। এই হার বা হাড্ডি এর মধ্যে বিশেষ করে জয়েন্টগুলোতে ক্যালসিয়াম রয়েছে। আরে ক্যালসিয়াম গুলো বয়সের কারণে বা পড়ে গিয়ে আঘাতের জন্য জয়েন্টে ব্যথা হলে দূর হয়ে যায় বা কমে যায়।
তাই আমাদেরকে জোর দিতে হবে যে ঘরে থাকা যে বিষয়গুলো বাজ খাবারগুলোতে ক্যালসিয়াম রয়েছে সে খাবার গুলো বেশি বেশি গ্রহণ করা। যেমন যেমন দুধ দই মাংস বিভিন্ন মাছ ইত্যাদি। আর এই হাড়ের ব্যথা বিশেষ করে আঙ্গুলের পোর বা জয়েন্টে, কোমরে বা মাজায়, হাঁটু ইত্যাদিতে বেশি হয়ে থাকে।
তাই এক্ষেত্রে এক্ষেত্রে ঘরোয়া যে উপায় অবলম্বন করবেন তা হচ্ছে বিভিন্ন তেল ব্যবহার করবেন, যেমন সরিষার তেল তিলের তেল, জলপাই তেল এবং ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি। আবার কিছু আয়ুর্বেদিক তেল রয়েছে যেগুলো ঘরে তৈরি করে ব্যবহার করলেও ব্যথা কমানো যায়।
ব্যথা হলে করণীয়
ব্যথা হলে যেটা কর্তব্য করনীয় তা হচ্ছে সর্ব প্রথমে ব্যথার মাত্রাটা বুঝতে হবে। ব্যথা যদি খুব কম হয় এক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলেই ব্যথা সারবে। আর ঘরোয়া উপায় গুলো আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। যেমন গলা ব্যথা বুক ব্যথা মাথাব্যথা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আদা খেতে পারেন,
আবার বিভিন্ন ব্যথার ক্ষেত্রে যেমন রসুন, হলুদ, পিয়াজ ইত্যাদি ও ব্যবহার করা যায়। আবার বিভিন্ন জাতীয় তেল সরিষার তেল, ক্যাস্টর তেল, জলপাই এবং তিলের তেল ইত্যাদি। আর যদি ব্যথা তীব্র এবং ক্রনিক হয় তাহলে ডাক্তারের সুপরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় জেনে রাখুন
ডাক্তারের ক্ষেত্রে ব্যথার ধরন অনুসারে টেস্ট দিতে পারে বা কিছু সময়ের জন্য কিছু ঔষধ সাজেস্ট করতে পারে। তো অবশ্যই এক্ষেত্রে ডাক্তারের ও সাজেশন অনুসারে চললে ব্যথা কমবে এবং আপনি ব্যথা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন।
খুব কম দেখা হলে যে ব্যথাটা আপনি সহ্য করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে সাথে সাথে ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। আপনি অবশ্যই কিছু সময় নিতে পারেন লাইফস্টাইল চেঞ্জ করতে পারেন ভালো খাবার, ভালো ঘুম, একটু হাঁটাচলা এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে ব্যথা কমাতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
কি খেলে শরীরের ব্যথা কমে এ শিরোনামে আরো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। পাঠক আপনি যদি উক্ত আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে ব্যথা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি। আরো এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে বিভিন্ন উপায়ে সাপোর্ট ও সমর্থন করুন। তাহলে আরো এরকম সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল নিয়ে আপনার সামনে উপস্থিত হয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url