আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা তথ্যভিত্তিক জানুন

লিড জেনারেশন কিআউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা বিষয়টি জানতে এখানে এসেছেন তাই না? আউটসোর্সিং  মানে আউট মানে বাইরে, আর সোর্সিং মানে উৎস থেকে কাজ করা। তাহলে সমন্বিত অর্থ হলো বাইরের সোর্স বা উৎস থেকে কাজ করা। অর্থাৎ ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কোন কাজ নিজে না করে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয়াই আউটসোর্সিং। 

আউটসোর্সিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা

এখানে যেকোনো কোম্পানি নিজের এমপ্লয়ি বা অধীনস্থ কাজের লোকদের বাদ দিয়ে অন্য কোন জায়গার দক্ষ লোকদেরকে কাজটি দিয়ে করিয়ে নেয়। তো চলুন নিচে বিষয়টি গভীরভাবে জানার চেষ্টা করি।

পেজ সূচীপত্রঃ আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি জানুন

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা 

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা দুটোই রয়েছে। আউটসোর্সিং সাধারনত অন্যকে দিয়ে কাজ করায়ে নেওয়াকে বুঝায়। আর ফ্রিল্যান্সিং নিজে স্বাধীনভাবে অন্যের কাজ করাকে বোঝায়। বিশ্বে আউটসোর্সিং এর অনেক ডিমান্ড বা চাহিদা। আউটসোর্সিং এর যে সুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো সাধারণত বেশি হয়ে থাকে আউটসোর্সিং এর যে অসুবিধাগুলো রয়েছে সেগুলোর চেয়ে। চলুন আপনাকে প্রথমে জানিয়ে দিচ্ছি যে আউটসোর্সিং এর সুবিধা গুলো কি কি। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নিন

  1. আউটসোর্সিং কাজের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হয়। 
  2. আউটসোর্সিং কাজ বাড়িতে বসে থেকে করে নেওয়া যায়। 
  3. আউটসোর্সিং এর জন্য নির্দিষ্ট কোন অফিস বা রুমের প্রয়োজন হয় না। 
  4. আউটসোর্সিং কাজের মাধ্যমে ভালো মানের আয় করা সম্ভব হয়।
  5. আউটসোর্সিং এর কাছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থাকায় একটা উন্নত মানের কাজ করে পাওয়া যায়।
  6. আউটসোর্সিং এর কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যাওয়া যায়। 
  7. আউটসোর্সিং ভালো ইনকামের সুযোগ সুবিধা দেয়। 
  8. আউটসোর্সিংয়ের কাজে অফিসের বসের ঝারি খাওয়ার সুযোগ থাকে না।
  9. আউটসোর্সিং এর কাজ যে কোন সময় করা যায়। 
  10. নির্দিষ্ট সময় বেঁধে কাজ করার দরকার হয়না আউটসোর্সিং এর কাজে। 
  11. ভালো দক্ষতা থাকলে হাই ডিমান্ডের প্রজেক্ট করে হাই ইনকাম করা যায় ইত্যাদি।

আউটসোর্সিং এর সুবিধাগুলোর পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে তবে বলেছি প্রথমে যে অসুবিধাগুলো খুব কম সুবিধা গুলো তুলনায়। চলুন এখানে জেনে রাখুন যে আউটসোর্সিং এর অসুবিধা গুলো কি কি হতে পারে। 

  1. আউটসোর্সিং এর কাজের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের সামনে বসে থাকতে হয়। 
  2. আউটসোর্সিং এর কাজে অনেক ক্ষেত্রে পেমেন্টের ঝামেলা হয়। 
  3. আউটসোর্সিং এর যে কাজ দিবে তাকে খুজে পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। 
  4. যে কাজ দিবে আউটসোর্সিং এর এবং যে কাজ নিবে দুজনের ভিতরে বিশ্বস্ত কোন মাধ্যম না থাকলে পেমেন্ট আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ঝামেলা বেধে যায়। 
  5. এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বিশ্বস্ত মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পেলে সেটা ভালো হয় অন্যথায় পেমেন্টের ক্ষেত্রে খুব ভোগা লাগে, অনেক সময় কাজ হওয়া সত্ত্বেও পেমেন্ট পাওয়া যায় না। 
  6. আউটসোর্সিং এর কাজের জন্য অনেক সময় যিনি কাজ দিবেন তাকে একটা হাই ডিমান্ডের ডলার খরচ করতে হয়। 
  7. অর্থনৈতিক লাভের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যয়বহুল হয় এক্ষেত্রে ক্ষতির দিকটা লক্ষ্যণীয় হয়।
  8. আউটসোর্সিং কাজে সুদক্ষ না হলে কাজটি অগ্রহণযোগ্য হতে পারে ফলে পেমেন্ট সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় ইত্যাদি।

আউটসোর্সিং কাকে বলে 

আউটসোর্সিং কাকে বলে অর্থাৎ আউটসোর্সিং এর সংজ্ঞা কি বা পরিচয় কি বা পরিচিতি কি বিষয়টি ব্যক্ত করছি। আউটসোর্সিং মানে শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বহিঃউৎসায়ন। আর পারিভাষিক অর্থ বা সংজ্ঞা হচ্ছে যে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তার বা তাদের নির্দিষ্ট কোন কাজ বা প্রজেক্ট এর জন্য একজন লোক বা একটা কাজ করতে পারে এমন কোম্পানি হায়ার করা। 

অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য আরেকজনের মাধ্যমে কাজটি করিয়ে নেওয়া। অথবা সহজ কথায় শর্ট কটে যে কথাটা বলা যায় সেটি হচ্ছে যে একটি কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া। এক্ষেত্রে যে করি নাই সে আউটসোর্সিং এর কাজ করছে অর্থাৎ সে হচ্ছে আউটসোর্সার। আর যে কাজটি করে সে হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী বা স্বাধীন কর্মী। 

অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সারের কাজ হচ্ছে এখানে অন্যের কাজ করে দেওয়া আর আউটসোর্সারের কাজ হচ্ছে অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া। মানে ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সারের কাজ করে আর আউটসোর্সার ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়। কিন্তু আমাদের মাঝে একটা ভুল ধারণা বা ভুল বলা বা ভুল প্রচলন রয়েছে সেটি হচ্ছে যে আউটসোর্সিং আর ফ্রিল্যান্সিং দুইটাকে এক করে ফেলি কোন পার্থক্য করি না। 

এক্ষেত্রে অবশ্যই আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং দুইটি ভিন্ন ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম। একটা প্লাটফর্মের কাজ হচ্ছে একজনকে কাজ দেওয়া বা করিয়ে নেওয়া আর একটা প্লাটফর্মের কাজ হচ্ছে একজনের কাজ করে দেওয়া বা অন্যের কাজ করে দেওয়া। যে করে নেই সে আউটসোর্সিং করে আর যে করে দেয় সে ফ্রিল্যান্সিং করে এইতো এগুলোই।

আউটসোর্সিং এর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পর্ক কি ?

আউটসোর্সিং এর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পর্ক বিষয়টি আমি ইতিমধ্যেই আলোকপাত করেছি উপরের শিরোনাম এরপরও এখানে আবারো বলছি। আউটসোর্সিং এর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর যে সম্পর্ক এটা খুবই লাগালাগি বা অঙ্গাঙ্গি। আউটসোর্সিং যেখানে ফ্রিল্যান্সিংও সেখানে। আউটসোর্সিং মানে বাইরের মানুষ কে কাজ করতে দেওয়া। 

অর্থাৎ নিজের কোম্পানির কোন লোককে বাদ দিয়ে অন্য কোম্পানির লোককে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া এ হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন ব্যক্তি বা কোম্পানি যারা অন্য ব্যক্তি বা কোম্পানির কাজ করে দেয় বা কাজ নেয় অন্য ব্যক্তি বা কোম্পানির কাছ থেকে এটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। এক্ষেত্রে freelancer রা আউটসোর দের কাছ থেকে কাজ নেয়। 

আর আউটসোর্সার রা ফ্রিল্যান্সার দেরকে কাজ দেয়। তাহলে বুঝা গেল কেউ কাজ নেই আর কেউ কাজ দেয় এই দুইটার মাঝেই সম্পর্ক হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং। তো অবশ্যই স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা যে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মাঝে সম্পর্কটা কি। 

প্রিয় পাঠক, আরো একটি স্পষ্ট করি, অনলাইনে যে সমস্ত মার্কেটপ্লেস বলে পরিচিত ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি, এই সমস্ত মার্কেটপ্লেস গুলোতে যারা বায়ার বা ক্লায়েন্ট নামে পরিচিত তারাই হচ্ছে আউটসোর্সার বা তারা আউটসোর্সিং এর কাজ করছে, যারা কাজ নিচ্ছে বা কাজ করে দিচ্ছে তারা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার্স বা স্বাধীন কর্মজীবী মানুষ। 

এক্ষেত্রে আউটসোর্সার একজন ব্যক্তি হতে পারে বা কোম্পানি হতে পারে আবার ফ্রিল্যান্সার একজন ব্যক্তি হতে পারে কোন একটা কোম্পানি হতে পারে। মানে আউটসোর্সিং একজন ব্যক্তি কাজ করে নিতে পারে বা একটা কোম্পানি কাজ করি নিতে পারে। আবার ফ্রিল্যান্সার্স একজন ব্যক্তি কাজ করে দিতে পারে বা একটা কোম্পানি বা অনেক লোক একসাথে মিলে কাজ করে দিতে পারে।

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি?

আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি বিষয়টি আলোকপাত করছি। আমরা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছি বা আমাদের সামনে সুস্পষ্ট হয়েছে যে আউটসোর্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কি? তার মানে আমি আপনাকে বুঝাতে চাচ্ছি ফ্রিল্যান্সাররা যে কাজগুলো করে সেগুলোই তো সাধারণত আউটসোর্সিং এর কাজ তাই না? অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে দিতেছে এবং আউটসোর্সাররা কাজ করে নিচ্ছে। 

আউটসোর্সিং-এর-কাজ-গুলো-কি-কি

তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলোই আউটসোর্সিং এর কাজ এটাই তো। তো চলুন জেনে নিই আউটসোর্সিং এর নির্দিষ্ট কতিপায় কাজ।

  • গ্রাফিক ডিজাইন 
  • টি শার্ট ডিজাইন 
  • বুক কভার ডিজাইন 
  • লোগো ডিজাইন 
  • ব্যানার ডিজাইন 
  • পোস্টার ডিজাইন 
  • প্লাকার্ড ডিজাইন 
  • ওয়েব ডিজাইন 
  • অ্যাপ ডিজাইন 
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট 
  • এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট 
  • ডাটা এন্ট্রি 
  • লিড জেনারেশন 
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ইমেল মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  • এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 
  • ট্রান্সলেটিং বা অনুবাদ করণ
  • ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট 
  • প্রোডাক্ট লিস্টিং 
  • থিম কাস্টমাইজিং ইত্যাদি 

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে সিস্টেম উন্নত করা যায়?

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যেভাবে সিস্টেম উন্নত করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে এখানে ধারণা দিচ্ছে। আউটসোর্সিং বিশ্বব্যাপী এক অনন্য ও অতুলনীয় একটি বিপ্লবের নাম। যেটি রাতারাতি অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ কাজ আদান প্রদান করছে। কেউবা কাজ করছে কেউবা কাজ দিচ্ছে এদুয়ের সমন্বয়ে এক প্রকারের সিস্টেমটা অনেক উন্নত হয়েছে। 

আউটসোর্সিং সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে যেমন ইনশোর আউটসোর্সিং, নিয়ারশোর আউটসোর্সিং এবং অফশোর আউটসোর্সিং ইত্যাদি। এক্ষেত্রে প্রথম আউটসোর্সিং হচ্ছে একটা দেশের মানুষ নিজের দেশের মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় এটা সবচেয়ে ব্যয়বহুল। আর দ্বিতীয় আউটসোর্সিং হচ্ছে যে একটা দেশের মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশের মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। 

এটা মোটামুটি ব্যয়বহুল। আর যেটা শেষের আউটসোর্সিং সেটা হচ্ছে একটা দেশের মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে সিস্টেমটা অনেক উন্নত হচ্ছে এবং এভাবেই সিস্টেমটাকে আরো সুন্দর উন্নত করা যাবে। কারণ একটা দেশের মানুষ যখন আরেকটা দেশের মানুষকে কাজ দেয় এক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্যে থাকে কয়েকটা। 

একটি হচ্ছে সময় বাঁচানো। আরেকটি হচ্ছে ডলার বাচানো বা টাকা বাঁচানো। আবার আরো একটি হচ্ছে একটা সাময়িক বা অস্থায়ী কাজ এর জন্য স্থায়ী কাউকে নিয়োগ না দেওয়া। আবার এও উদ্দেশ্য হতে পারে যে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট অফিস না থাকা যার কারণে জায়গা সংকুলান না হওয়া তাই ভিন্ন দেশের মানুষকে যে কাজটি করে নেওয়া। 

এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে সিস্টেমটাকে আরো সুন্দরভাবে উন্নত করা যাবে। কারণ কেউ কাজ দিবে আর কেউ কাজ নিবে। এক্ষেত্রে কারো সময় বাঁচবে কেউ সময়ের দাম দিয়ে কাজ করতে পারবে। কেউ স্থায়ীভাবে কাজ না করে অস্থায়ীভাবে কাজ করবে। আর কেউ স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দিয়ে অস্থায়ীভাবে কাজটি করে নিবে ইত্যাদি।

বেকারত্ব দূরীকরণে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা 

বেকারত্ব দূরীকরণে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আউটসোর্সিং বিভিন্ন কোম্পানি ব্র্যান্ড অথবা টাকা ওয়ালা লোক তার বা তাদের নিজস্ব কিছু কাজ অন্য মানুষকে দিয়ে যেহেতু করিয়ে নেয় সেহেতু এ কাজটা যারা করবে অবশ্যই তাদের চাহিদা রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের যারা বেকার বা কর্মহীন ব্যক্তি তারা নির্দিষ্ট দক্ষতা বলে আউটসোর্সিং যারা কাজ দেয় তাদের কাজগুলো করার মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হয়।

আউটসোর্সিং কাজ যত বেশি হবে বেকারত্ব দূরীকরণে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা তত বেশি থাকবে। অনেক কাল আগে থেকেই মানুষের মাঝে আউটসোর্সিং কাজের প্রবণতা চলে আসছে। দেশের মানুষ অন্য লোকদেরকে দিয়ে যেমন কাজ করে নেয় তেমনি পার্শ্ববর্তী দেশ বা দূরবর্তী দেশের লোকদেরকে দিয়েও কাজ করি নেয়। এক্ষেত্রে কাজ তো তারাই করবে যারা বেকার রয়েছে এই কাজ পায় না তারা। ফলে আউটসোর্সিং এর একাধিক কাজ থাকায় আউটসোর্সিং কাজটি বেকারত্ব দূরীকরণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেছে। 

আউটসোর্সিং নীতিমালা 

আউটসোর্সিং নীতিমালা বিষয়টি আলোকপাত করছি। আউটসোর্সিং নীতিমালা হচ্ছে দেশের সরকারের নীতিমালা যেগুলো বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন রকম রয়েছে। সরকার বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন দক্ষতা যোগ্যতার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার লোকদেরকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে সরকার সামান্য বা হালকা কিছু কাজ করিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট একটা ভাতা প্রদান করে। 

তো সরকারের আউটসোর্সিং এর কাজগুলো বিভিন্ন রকম রয়েছে। যে কাজগুলো গুগল সার্চ করলে আপনি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারের আউটসোর্সিং এর কাজে বিভিন্ন নীতি রয়েছে যে নীতিগুলিই হচ্ছে আউটসোর্সিং নীতিমালা। বিষয়টি জানতে গুগল ইউটিউব সার্চ করে আরো বিশদভাবে জেনে নিতে পারেন।

আউটসোর্সিং কি ict

আউটসোর্সিং কি আইসিটি বিষয়টি উল্লেখ করছি। আইসিটি বা ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের একটি বিষয় হচ্ছে আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং যেমন দেশে রয়েছে বিদেশেও রয়েছে। আউটসোর্সিং এর কাজ সাধারণত দেশের যুবক ছেলেরা করে থাকে। 

আউটসোর্সিং মানে বাইরের কোন কোম্পানির কাজ বা বাইরের কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাজ অন্য কোন কোম্পানি বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি গ্রহণ করে কাজটি সুচারুরূপে করে দেওয়া। এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং যিনি করছেন বা যারা করছেন তিনি বা তারা হচ্ছে কাজটি দিয়ে থাকেন। তাহলে আমরা বলতে পারছি যে আউটসোর্সিং হচ্ছে যিনি কাজ দিয়ে থাকেন আর এই কাজটি যিনি করতেছেন তিনি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার।

তো কেউ ফ্রিল্যান্সিং করছেন কেউ আউটসোর্সিং করছেন। যিনি নির্দিষ্ট কাজ দিচ্ছেন তিনি আউটসোর্সিং করছেন আর যিনি কাজ করে দিচ্ছেন তিনি ফ্রিল্যান্সিং করছেন। অর্থাৎ আরো স্পষ্ট হয়ে গেল এ কথাটা যে আউটসোর্সিং হচ্ছে একটা এমন কাজ যেটি অন্যজন দিয়ে থাকে। যিনি কাজটি দিয়ে থাকেন তিনি হচ্ছেন আউটসোর্সার বা তিনি আউটসোর্সিং করছেন। 

আউটসোর্সিং চাকরির সুবিধা 

আউটসোর্সিং চাকরির সুবিধা বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি। এখানে আরো সুস্পষ্ট ভাবে ব্যক্ত করার চেষ্টা করছি। আউটসোর্সিং করলে আপনি যেন অন্য মানুষের বা অন্য কোম্পানির চাকরি করছেন। যেহেতু একটা কোম্পানি বা একটা ব্র্যান্ড এর অধীনে বিভিন্ন ধরনের নামিদামি কাজ থাকে যে কাজগুলো সে কোম্পানিতে নির্দিষ্ট যোগ্য লোকের অভাবে হোক, 

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব ভিডিও এসইও - youtube video seo বিস্তারিত জানুন

অথবা তারা অর্থনৈতিক কিছু টাকা বাঁচানোর স্বার্থে হোক বা অস্থায়ীভাবে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য হোক বা তাদের অফিসে নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে হোক তাদের আন্ডারে যে কাজগুলো থাকে সে কাজগুলো তারা মানুষকে দিয়ে করিয়ে নেয়। যারা কাজ করবে তারা ফ্রান্সিং করে বা রিমোট জব করে বা অন্য মানুষের চাকরি করে। তো এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং চাকরির সুবিধা গুলো নিম্নরূপ। 

  • আউটসোর্সিং কাজ আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। 
  • আউটসোর্সিং করে ভালো টাকা কামানো যায়। 
  • আউটসোর্সিং এ বসের ঝারি খাওয়া লাগবেনা। 
  • আউটসোর্সিং এ অফিসে থাকা লাগবে না। 
  • আউটসোর্সিং এ প্রতিদিন অফিস দেওয়া লাগবে না। 
  • আউটসোর্সিং নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে করা যায়। 
  • আউটসোর্সিং নিজের বাড়িতে শুয়ে বসে করা যায়। 
  • আউটসোর্সিং যেমন টেবিলে কম্পিউটার রেখে করা যায় শুয়ে শুয়ে হাতের মোবাইলটি দিয়েও করা যায়। 
  • আউটসোর্সিং কাজ বেকারত্ব দূর করে। 
  • আউটসোর্সিং একটা দেশের বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনার একটি মাধ্যম।
  • আউটসোর্সিং এ হাই রেভিনিউ জেনারেট করা যায়। 
  • আউটসোর্সিং এ অনেক কাজ কাজ সহজ হয়। 
  • আউটসোর্সিং কাজ বেছে বেছে করা যায় ইত্যাদি। 

আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা

আর তো সামাজিক উন্নয়নে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা নিম্নরূপে আলোচনা করছি। সমাজের উন্নয়নে অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শক্ত ভূমিকা পালন করে। একটা সমাজে অর্থনৈতিক অবস্থা যত শক্ত ও দৃঢ় হবে সমাজ তত উন্নত মজবুত হবে। এক্ষেত্রে একটা সমাজের যুবকেরা বিভিন্ন কাজ করে সমাজের নিজের পরিবারকে যেমন সচ্ছল অবস্থায় রাখতে পারে তেমনি ভবে সমাজের সামাজিক ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক নাজেহাল অবস্থায় পাশে দাঁড়াতে পারে। 

আর্থ-সামাজিক-উন্নয়নে-আউটসোর্সিং-এর-ভূমিকা

এক্ষেত্রে আউটসোর্সিং সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থায় ভালো একটা পজিশনে দাঁড় করাতে পারে। তাই সমাজের বেকার যুবকদেরকে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শিখার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে এবং বুঝাতে হবে যে আউটসোর্সিং অত্যন্ত ফলপ্রসু এবং লাভজনক একটি পেশা। আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন কাজ রয়েছে যে কাজগুলোর একটি দুইটি বা একাধিক কাজের দক্ষ হয়ে গেলে বা দক্ষতা অর্জন করলে খুব সহজেই আউটসোর্সিং এর কাজগুলো সুসম্পন্ন করে,

আউটসোর্সারদের কাছ থেকে একটা চাহিদা সম্পন্ন অর্থ আনয়ন করা যায়। তাই সমাজের যুগ যুবকদেরকে যত বেশি আউটসোর্সিং কাজের প্রতি আকৃষ্ট করা যায় এবং মনোযোগী করা যায় তত বেশি সমাজের জন্য মঙ্গল ও কল্যাণকর। এক্ষেত্রে সঠিক গাইডলাইন ও পথ নির্দেশিকার মাধ্যমে তারা সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে পারলেই সমাজের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চমৎকার ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আউটসোর্সিং এর সুবিধা ও অসুবিধা বিষয়ে আরো সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এই ব্লগ বা আর্টিকেল এ আলোচনা করেছি। সুপ্রিয় দর্শক শ্রোতা এবং পাঠক, ব্লগ বা আর্টিকেল টা মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আউটসোর্সিং এর ব্যাপারে জ্ঞান লাভ করুন। এক্ষেত্রে কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলে মন্তব্যের ঘরে মন্তব্য করতে ভুলবেন না এবং যেকোনো বিষয় জানার থাকলে জানাতে পারবেন কমেন্ট বক্সে। বিশেষ করে উক্ত ব্লগটি সম্পর্কে জানালে আমরা নেক্সট টাইম আরো তথ্যবহুল ব্লগ আনতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। পরবর্তী ব্লগের জন্য অপেক্ষায় থাকুন এবং বাকিটা সময় আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url