গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার অজানা উপকারিতাসকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতাগুলো এখানে জানানোর চেষ্টা করব।
প্রিয় পাঠক, এই ব্লগে মধু ও কালোজিরা এর কি উপকার রয়েছে বিষয়গুলো জানা প্রত্যেক
স্বাস্থ সচেতন ব্যক্তিগণ এর আগ্রহ থাকা আবশ্যক।
কালোজিরা ও মধু একসাথে আলোচনা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ দুটো মিশিয়ে খেলে ভিন্ন
ভিন্ন নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। তাই মধ ও কালোজিরার বর্ণনা থাকছে নিম্নে বর্ণিত
আলোচনার মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ্!
পেজ সূচীপত্রঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সংশ্লিষ্ট
বিষয়টি জানুন
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লিখছি। সুপ্রিয় পাঠক,
মধু ও কালোজিরা অত্যন্ত উপকারী দুইটি উপাদান। এ দুইটি উপাদান মানুষ বহুকাল থেকে
বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে উপকার গ্রহণ করছে। ভেষজ এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মধু ও
কালোজিরা ব্যবহার করা হয় অধিক বেশি। কালোজিরা মানব দেহের বিভিন্ন রোগের মহা ঔষধ
হিসেবে ব্যবহার হয় এবং এক্ষেত্রে এটি কখনো প্রতিরোধক হয় আর কখনো প্রতিষেধক
হয়।
কালোজিরার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, ফসফরাস,
ফসফেট, নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, সেলিনিয়াম, কপার এবং কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা
ইত্যাদি। আর যে ভিটামিন গুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ভিটামিন বি, ভিটামিন বি২,
ভিটামিন সি ইত্যাদি। আর মধু শারীরিক ও মানসিক একাধিক পুষ্টি ও গুনাগুন হিসেবে
ব্যবহার হয়।
আরো পড়ুনঃ
অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ - মানুষের অতিরিক্ত ঘুম আসে কেন?
এটি যেমন শরীরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল ও এন্টিফাঙ্গাস হিসাবে
ব্যবহার হয় তেমন আন্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে ও ব্যবহার হয়। মধু অনেক কাল আগে থেকে
চিকিৎসা বিজ্ঞানে কার্যকরী বাস্তবিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার। কালোজিরা এবং মধু
দুটোই শরীরে রোগ হওয়া থেকে বাধা দেয়। মধু ও কালোজিরা হাজারো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ
দুইটি উপাদানের নাম। মধু ও কালোজিরা দুইটি উপাদানের ভিটামিন সি থাকায় রোগের
প্রতিরোধ কাজ করে।
কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ বা রক্তের শর্করা কমায়। আর মধু শরীরে
গ্লুকোজ ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক রেখে স্বাস্থ্যের সুস্থ থাকাটা নিশ্চিত করে। মধু ও
কালোজিরা দুইটা একত্রে মিক্স করে খাওয়ায় বহুমূত্র রোগীদের গ্লুকোজ বা শর্করা
অনেকাংশে হ্রাস পায়। কালোজিরা বিশেষ করে সর্দি-কাশির মহা ঔষধ হিসেবে প্রয়োগ হয়
অনুরুপ মধু ও সর্দি ও কাশির জন্য প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়।
কালোজিরায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকায় একাধারে হাই ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল
করে মানসিক স্বাস্থ্যের পিছনেও অবদান রাখে। কালোজিরা শরীরের রক্ত চলাচল কে সদা
এক্টিভ বা সক্রিয় রাখে। আবার কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উন্নয়নে
সহযোগিতা করে যেমন বাত ব্যথা নিরাময়ে, শরীরের ত্বক টান রাখতে, এবং চুলের
স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী হিসেবে ব্যবহার হয়।
আর মধু শারীরিক ক্লান্তি রোধে, ফুসফুসের সমস্যা দূরীকরণে, জ্বর, ঠান্ডা, কাশি,
ফ্লু ইত্যাদি নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, আরও বুক জ্বালাপোড়া কমায়, বিশ্বাস
কষ্ট বা হাঁপানি সমস্যা থেকে বাঁচায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক হয়।
প্রিয় পাঠক, এই উপকারগুলো ছাড়াও আরো নানান উপকার রয়েছে মধু কালোজিরার যেগুলো
সম্পর্কে আপনি গবেষণা করলে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা আলোকপাত করছি।
সুপ্রিয় পাঠক, সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে মধু কালোজিরা ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে
খাওয়া যায়। আগে বলে রাখি যে মধু কালোজিরা একাধিক পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। যেমন
কালোজিরা কেউ তরকারিতে দিয়ে খায়, কেউ ভর্তা বানিয়ে খায়, কেউ চূর্ণ করে মধুর
সাথে মিক্স করে খায় ইত্যাদি।
তবে বিশেষ করে যদি মধু ও কালোজিরা একসঙ্গে মিশিয়ে সকাল বেলায় খালি পেটে
খাওয়া যায় তাহলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। আর মধু কালোজিরা এই মিশিয়ে
খাওয়াটা এক সপ্তাহ বা সাত দিন চালিয়ে গেলে কিছু অবাক করার ফলাফল পাবেন। যেমন
শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন আর কারো প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের চেয়ে
পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ, তিনগুণ এবং বহুগুণ বেড়ে যাবে।
এক্ষেত্রে মধু ও কালোজিরা মিশানোর নিয়ম বা পদ্ধতি হচ্ছে মধু দুই থেকে তিন
চামচ আর কালোজিরা চূর্ণ এক চামচ দিয়ে সুন্দর করে নেড়েচেড়ে মিক্স করতে হবে।
আর এই মিক্সড মধু ও কালোজিরা টা টানা ৭ দিন, ১৪ দিন, ২১ দিন ইত্যাদি এভাবে দিন
বাড়াতে থাকলে অভূতপূর্ব একাধিক উপকার পাবেন। আজ সারা জীবন খেলে তো কোন কথাই
নেই আপনার শরীরে কোন প্রকার রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে না ইনশাআল্লাহ।
মধু ও কালোজিরা খাওয়ার হাদিস
মধু কালোজিরা খাওয়ার হাদিস নিয়ে আলোচনা করছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল
কুরআনুল কারীম কে গোটা বিশ্ববাসী জন্য যেমন রহমত স্বরূপ বলেছেন অনুরূপ দেহের
জন্য শিফা বা আরোগ্য দানকারী হিসেবে ও আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন।
আর এ বিষয়টি সূরা বানি ইসরাইলের মধ্যে ১৫ নম্বর পারায় ব্যক্ত করেছেন। শুধু
তাই নয়, এ কোরআন পড়ে বা কোরআনের যেকোন আয়াত পড়ে শরীরের ঝাড়-ফুঁক করলে শরীর
নিরাময় হয়।
পাশাপাশি হাদিসেও অসংখ্য রোগ সম্পর্কে এবং রোগের সমাধান সম্পর্কে আল্লাহ রাসূল
(স) কথা বলেছেন। রোগের নানা দিক নিয়ে হাদিসের যে গ্রন্থটিতে আলোচনা সবচেয়ে
বেশি এসেছে তা হচ্ছে ইমাম তিরমিজি রহমাতুল্লাহ এর সুনানে তিরমিজি। সুনানে
তিরমিযীর তিব্ব বা চিকিৎসা অধ্যায়ে রোগ-ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক বিষয় উঠে
এসেছে।
আর কালোজিরা ও মধু সম্পর্কে যে হাদিসটি সেটি হচ্ছে, বাণীতে আল্লার নবী,
"লিকুললি দায়িন দাওয়াউন আল হাব্বাতুস সাওদা ওয়াল আসাল" আর এর অর্থ হচ্ছে
প্রত্যেক রোগের মহা ঔষধ হচ্ছে কালোজিরা ও মধু। হাদীসটি থেকে বুঝা গেল যে যেকোনো
রোগ, যেকোনো অসুস্থতা বা অসুখ থেকে মুক্তি পেতে হলে হাদিসের ভাষ্য অনুসারে মধু
ও কালোজিরা মহা ঔষধ হিসেবে সেবন করতে হবে। বিষয়টি বুঝে আমল করার তৌফিক দান
করুন!
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোকপাত করছি। কালোজিরা যে যেভাবেই
খাবে সেভাবেই খেতে পারবে। যাকে যেভাবে খেতে ভালো লাগবে তার সেভাবেই খাওয়া উচিত
তাহলে রুচিও পাবে। এক্ষেত্রে কেউ কালোজিরা কে পেষন করে খায়, কেউ গোটা গোটা
খায়, কেউ চটপটি বানিয়ে খায়, কেউ তরকারিতে মিশিয়ে তরকারির স্বাদকে বৃদ্ধি
করে ইত্যাদি। তবে এমনিতেও কালোজিরার ফলগুলোকে হাতে নিয়ে একটু হালকা চাপ
প্রয়োগ করে ময়লাগুলো দূর করে খাওয়া যায়।
এক কথায় গোটা গোটা দানা মুখে ফেলে দিয়ে দাঁত দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে চিবিয়ে
চিবিয়ে খেলেও বহু উপকার পাওয়া যায়। তার মানে যেকোনো উপায়ে কালোজিরা আপনাকে
খেতে হবে, পেটের ভিতর গেলেই লাভ আর উপকার ক্ষতির তেমন কোনো লেশমাত্র নেই।
কালোজিরা চিবিয়ে খেলে যে উপকার গুলো পাওয়া যায় সেগুলো যথাক্রমে চুলের
স্বাস্থ্য উন্নীত হয়, ক্যান্সারের প্রতিরোধক রোধক হিসেবে কাজ করে, রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়, দেহের চামড়া বা ত্বকের টোন গ্রোথ হয়, বহুমূত্র
রোগীদের ঔষধ হিসেবে কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এর মাধ্যমে।
মধু ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মধু কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানাচ্ছি। কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়মের
ব্যাপারটি আমরা ইতিমধ্যেই যৎকিঞ্চি ইঙ্গিত দিয়েছি এখানে আরও সুস্পষ্ট
করার চেষ্টা করছি। কালোজিরা যদি সকালে এবং রাতে এই নিয়মে খাওয়া যায়, নিয়মটি
হচ্ছে যে কালোজিরা দানাগুলো হালকা একটু ভেজে নিতে হবে, এরপর সেটাকে গুঁড়া করতে
হবে, এরপর এই গুঁড়া গুলো ৪০০ এমএল নিয়ে একসাথে পাঁচ থেকে ছয় চামচ গরুর দুধ
মিশাতে হবে।
এরপর এটাকে সাত দিন দৈনিক সকালে ও বিকালে বা সন্ধ্যার আগে সেবন করলে এক
অভাবনীয় ও যথার্থ উপকার পাবেন। আরো যে নিয়মে খাওয়া যায় সেটা হচ্ছে যে কাঁচা
হলুদ তিন চা চামচ, কালোজিরা তিন চা চামচ এবং মধু ৩ চা চামচ একসাথে মিশ করে একটা
মিশ্রণ তৈরি করতে হবে, এরপরে এই মিশ্রণ কে তিন ভাগ করে প্রতি এক ভাগ দিনে
তিনবার সকাল দুপুর রাত্রে কিভাবে ১৪ দিন বা ২১ দিন খেলে উল্লেখযোগ্য উপকার
পাবেন বলে আশা করছি।
এক্ষেত্রে আপনার যেকোনো বাত ব্যথা, ক্রনিক বা স্থায়ী ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা,
মাজা ব্যথা এবং পিঠের ব্যথার নিরাময়ের জন্য কাজ করে। বিশেষ করে কালোজিরার
তেলটা ব্যথা জনিত আক্রান্ত স্থানটা ভালো করে পরিষ্কার করে মালিশ করলে সাত দিনের
ভিতরে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যাবে।
পান কালোজিরা খেলে কি হয়?
পান কালোজিরা খেলে কি হয় আলোকপাত করছি। কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়া যায়, গুঁড়া
করে খাওয়া যায়, চা এর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়, তরকারির ফোড়ন হিসেবে কাজ করে।
কালোজিরা যেমন আদার সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় তদ্রুপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে,
মধুর সাথে মিশিয়ে, ভাতের সাথে মিশিয়ে, নিমকির আঁটার সাথে মিশিয়ে নিমকি
বানিয়ে, মিষ্টির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
আবার এই কালোজিরা বিশেষ করে পানের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন একটি করে পান এবং এক
চামচ কালোজিরা নিয়ে মুখে ঢুকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে সাত দিন ১৪ দিন বা তিন সপ্তাহ
বা ততোধিক সময় ধরে খেলে শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আর যেটি প্রচলন আছে সেটি
হচ্ছে যে পানের সাথে কালোজিরা খেলে স্ত্রী সহবাসেও সময় পাওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক, বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ দিন এইভাবে খেয়ে দেখেন না
কি উপকার পাচ্ছেন সেটা আপনি নিজেই টের পাবেন। আর পান ও কালোজিরা খেলে এটি রোগের
সাথে লড়াই করে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে। এভাবে আরো নানা উপকার করে। যেহেতু
নবীজী বলেছেন আরোগ্যের কথা সেহেতু সব ভালো হবে ইনশাআল্লাহ্।
রসুন মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
রসুন মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম নিয়ে বলছি। রসুনকে গরিবদের
অ্যান্টিবায়োটিক বা রোগ প্রতিরোধের ঔষধ বলা হয়। একটা সময় যখন আধুনিক ঔষধ
আবিষ্কার হয় নাই তখন যুদ্ধে বা যেকোনো লড়াইয়ে আঘাতপ্রাপ্ত বা জখম ব্যক্তিদের
বেশি বেশি রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতো এই জন্য যে রসুনের ভিতরে জীবাণু
বাড়তে দেয় না জীবনের সাথে লড়াই করে জীবনকে ধ্বংস করে এমন ক্ষমতা
রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
Carrot: গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী বিস্তারিত জানুন
রসুন মধু ও কালোজিরা একটা অভূতপূর্ব সমন্বয় থাকলে উচ্চ রক্তচাপ এবং
ডায়াবেটিক রোগীদের রোগকে কমায়, অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক হয় এবং
ডায়াবেটিস কমে। রসুন মধু ও কালোজিরা সমন্বয় টা এভাবে থাকতে হবে যে, প্রথমত
এক, দুই বা তিন কোয়া রসুন খেতে হবে, এরপর এক চামচ করে মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে
খেতে হবে। এভাবে একটু দীর্ঘ সময় ধরে খেলেই দীর্ঘমেয়াদী উপকার পাবেন উচ্চ
রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস থেকে।
তবে কয়েকদিন খেলেই অবাক করা ফলাফল লক্ষ্য করতে পারবেন। এরপরে আবার যদি
কালোজিরা ও নিমের তেল এবং রসুনকে একসাথে মিশিয়ে মাথায় লাগানো যায় দুই তিন
দিন তাহলেও উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে এবং ডায়াবেটিক রোগীদের গ্লুকোজ কমে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হবে। এ তিনটা উপাদান তিনোটারই মেলা উপকারিতা রয়েছে জাস্ট
সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে কি হয় বিষয়টি ইতিমধ্যেই আলোচনার ভিতরে বিভ্রান্ত
হয়েছে। এখানে আবারো সারমর্ম টা মনে করিয়ে দিচ্ছি। টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্ত হয়। সর্দি কাশি ফ্লু ইত্যাদি দূর হয়। ডায়াবেটিস
কন্ট্রোল হয়। রক্তের গ্লুকোজ কমে যায় ফলে রক্ত পরিষ্কার এবং স্বাভাবিক হয়।
রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি হয়। ব্লাড প্রেস বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়।
পর্যায়ক্রমে বিষয়গুলো হচ্ছে।
- জ্বর নিয়ন্ত্রণ
- সর্দি নিরাময়
- কাশি থেকে মুক্তি
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
- ডায়াবেটিক হ্রাস
- ব্যাথা নিরাময়
- হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি
- হৃদরোগ থেকে আরাম পাওয়া
- ওজন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি হয়ে থাকে।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয় বিষয়টি আলোকপাত করছি। দীর্ঘমেয়াদি
কালোজিরা খেলে একটু ক্ষতি বা অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়। যারা তিন মাস বা তার
অধিক সময় ধরে কালোজিরা খায় তাদের কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে যেকোনো
দানা ফল বা জিনিস অতিরিক্ত বা দীর্ঘ সময় ধরে খেলে যে সমস্ত উপকারগুলো হয় একটু
আধটু অপকার বা ক্ষতি ও লক্ষ্য করা যায়।
যে ক্ষতিগুলো দীর্ঘনিয়াদি কালোজিরা খেলে লক্ষ্য করা যায় সেগুলো
নিম্নরূপ।
- বমি বমি ভাব
- বুক জ্বালাপোড়া
-
প্রদাহ বা ঘা দেখা যাওয়া
-
খাবারের স্বাদ নষ্ট হওয়া
-
এবং গর্ভাবস্থার অবনতি বা গর্ভপাত জনিত সমস্যা ইত্যাদি।
লেখকের শেষ মন্তব্য
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
বিষয় সহকারে উক্ত আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে স্টাডি করে থাকেন তো আশা করছি কালোজিরা ও মধু সংক্রান্ত বিষয়গুলো
বোঝার চেষ্টা করেছেন। আরো এরকম নিত্য নতুন উপকারী আর্টিকেল বা ব্লগ পেতে আমাদের
সাথেই থাকুন ইনশাআল্লাহ।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url