বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিঅল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বিষয়টি জানতে এখানে এসেছেন তাইতো? তো চলুন আজকের আর্টিকেলে আপনাকে অল্প পুঁজি নিয়ে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে জানাই। 

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা

আজ এমন অনেক লোক রয়েছে যাদের টাকা আছে কিন্তু মেধা ও বুদ্ধি ব্যাপারটিতে না থাকায় ব্যবসা করে লাভবান হতে পারে না। আর অনেকই তো ব্যবসা করার সাহসই দেখায় না। দেরি না করে চলুন অল্প পুঁজির লাভ হয় এমন ব্যবসা সম্পর্কে জানি!

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা ২০২৪ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানুন

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা অনেক রয়েছে। বাংলাদেশে এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করার জন্য পুঁজি দরকার কিন্তু লাভজনকতা প্রচুর। যেমন ফাস্টফুড, কফি শপ, স্ট্রিট ফুড, টি শপিং, স্ন্যাক্স ফুড, জুস বার, স্টেশনারী, আসবাবপত্রের দোকান, ফ্যাশন ও টি-শার্টের দোকান এবং গিফটের দোকান সহ আরো নানান ব্যবসা। নিম্নে এ সম্পর্কে লিখা হলো।

ফাস্টফুড ঃ ফাস্টফুড মানে যে খাবার দ্রুত তৈরী করা হয়। ফাস্টফুড এর দোকান চলবে যেখানে মানুষের বেশি আনাগোনা হয়। যেমন শহরের চৌরাস্তা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে, সরকারী অফিসের সামনে ইত্যাদি জায়গায়। এ ব্যবসা শুরু করতে তেমন খরচ হবে না, অল্প পুঁজিতেই শুরু করা যায়। যে খাবারগুলো তৈরী করতে পারেন তা হচ্ছে বার্গার, স্যান্ডউইচ, নুডলস, পিৎজা ও ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি সহ পাশাপাশি সফট ড্রিংকস ও আইস্ক্রিম। 

আরো পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি - আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার

যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য রসিক ও চাহিদা বেশি তাই বেচা-বিক্রি হবেও বেশি এবং লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হবে। আর এক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড এর ব্যবসা করতে গিয়ে স্বাদ ও মান ঠিক রাখা, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা এবং ভালো পরিষেবা করলে দ্রুত এগিয়ে যাবে ব্যবসা। আর খাবারে নতুনত্ব রাখা, গ্রাহকদের মতামত নেওয়া এবং মার্কেটিং এর দিকটা বিশেষ খেয়াল রাখা। 

কফি শপঃ কফি শপ এর ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক যেটি অল্প পুঁজিতে করা যায়। বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা ও চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এক্ষেত্রে কোন এলাকায় মানুষ বেশি পছন্দ করে বাজার গবেষণা করা, পরিকল্পনা করা মেনুর দিকে। আর অর্থায়ন করা বা পুঁজি যোগাড় করা এবং পুঁজি অনুযায়ী সাজ সরঞ্জাম তৈরী করা। এবং মূল জিনিস কফি দানা সহ দুধ, চিনি ও অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করা। আব কফির সাথে ঠান্ডা পানীয়, চা ও হালকা খাবার রাখলে ব্যবসা লাভজনকতার দিকে উন্নীত হবে।

স্ট্রিট ফুড ঃ স্ট্রিড ফুড ঐ খাবার যেটা রাস্তার পাশে স্টল দিয়ে বিক্রি করা হয়। স্ট্রিট ফুড যথা চটপটি, চপ, ফুচকা, আলুর দম, পেঁয়াজু, ফলের জুস, রসগোল্লা, রসমালাই, সন্দেশ ও মিষ্টি ইত্যাদির প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা বড় বড় ব্যবসা করা যায়। এ ক্ষেত্রে খাবারের স্বাদ ও গুণের ব্যাপারটা গ্রাহকদের মতামত গ্রহণ করে বজায় রাখা। আর স্টল এর জায়গাটা বাজার দেখে গবেষণা ও পরিকল্পনা সহ বসাতে হবে।

টি শপিং ঃ টি শপিং বা চা বিক্রি করা ব্যবসাটি আজকে শুধু নয় অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে বিরাজমান। বর্তমানে গ্রামের ও শহরের মোড় ও বিভিন্ন জায়গায় টি স্টল দিয়ে চা বিক্রি করে যেটি নগদ লাভজনক ব্যবসা। ছাত্ররা সম্প্রতিকালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চা বিক্রি করে শুধু একটা চা ফ্লাস্ক নিয়ে বিক্রি করে যেটি অনেক চাহিদা সম্পন্ন ও লাভজনক। প্রিয় শিক্ষার্থী আপনিও শিক্ষার পাশাপাশি অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করে ভবিষ্যত বড় ব্যবসার জন্য প্রস্তুতি নিতে আজই থেকেই।

স্ন্যাকস ফুডঃ স্ন্যাকস ফুড ঐ খাবার যেগুলো খুব হালকা পেট তেমন ভরে না কিন্তু মুখরোচক এবং রসনাকে ভরপুর করে। কিছু স্ন্যাকস হলো - চিপস, পপকর্ন, চকোলেট, লজেন্স, বিস্কুট ও বাদাম ইত্যাদি খুব বেশি বিক্রি হবে কারণ মানুষ পর্যটন বা ঘুরতে গিয়ে এগুলো ক্রয় করে বসে ও হেঁটে খায়। কাজেই এগুলোর চাহিদা আকর্ষনীয় বলেই ব্যবসা ও লাভজনক হবে এবং পুঁজিও খুব বেশি লাগবে না বুঝতেই পারছেন।

জুস বারঃ জুস মানে বিভিন্ন ফলের রস যেমন আপেল, লেবু, পেঁপে, তরমুজ ইত্যাদি, এবং বিভিন্ন শাক সবজির রস যেমন গাজর, টমেটো, আদা ইত্যাদি, এবং মিশ্র রস অর্থাৎ ফল ও সবজির রস তৈরী করে ব্যবসা করে আয় করা যাবে। আর এ ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক হবে কারণ জুসের চাহিদা পবল এবং লোকেরা গরম থেকে ও ক্লান্তি থেকে পান করে থাকে। তাই জুস বারের বিনিয়োগ ও অল্প, কাজেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণ সংগ্রহ করে আজই শুরু করে দিন।

স্টেশনারীঃ স্টেশনারী ব্যবসা করতে হলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারী ও বেসরকারী অফিসের সামনে বা পার্শ্বে দিতে হবে। স্টেশনারীর পণ্য থাকবে যেগুলো সেগুলো হচ্ছে কলম, পেন্সিল, খাতা, মার্কার, স্কেল, কম্পাস ও শার্পনার ইত্যাদি, আবার অফিসের জিনিস-পত্র হচ্ছে ফাইল, ফোল্ডার, স্ট্যাপলার, টেপ, পেপার ক্লিপ ইত্যাদি, আবার শিল্প-কলখানায় ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্রাশ, রঙ, ক্যানভাস, পেন্সিল কালার, ওয়াটার কালার ইত্যাদি, আব্র ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, মানচিত্র, গিফকার্ড এবং কম্পিউটার ও মোবাইল এক্সেসরিজ, চার্জার, হেডফোন ইত্যাদি বিক্রি করে লাভজনক ব্যবসা করা যায়।

আসবাবপত্রের দোকান ঃ আসবাবপত্রের দোকানে যে পণ্যগুলো থাকবে তা হচ্ছে বিছানা, বালিশ, চেয়ার, টেবিল আলমারী, সোফা ইত্যাদি, আবার অফিস টেবিল, ফাইল র‍্যাক, কম্পিউটার টেবিল, আবার বাগানের জন্য ছাতা এবং সাজসজ্জার জন্য ছবি, ফুলদানি এবং আয়না ইত্যাদি। তাই এগুলোর ব্যবসা করলে পুঁজিও কম এবং লাভ অতি বেশি। যেহেতু নতুন বাড়ী তৈরী, অফিস বৃদ্ধি ও দোকান তৈরী হচ্ছে সেহেতু আসবাবপত্রের অতিপ্রয়োজন। কাজেই কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করে শুরু করে দেন লাভজনক ব্যবসা। 

ফ্যাশন ও টি-শার্টের দোকানঃ ফ্যাশন হচ্ছে ছেলে ও মেয়ে উভয় শ্রেণীর জন্য বিভিন্ন আকর্ষনীয় ডিজাইনের জামা, আর বিশেষ করে টি-শার্ট এর অনেক সুন্দর সুন্দর ও ট্রেন্ডিং এবং বিভিন্ন উৎসব ও ইভেন্ট এর জন্য চলছে। আর তাই এ টিশার্ট ফ্যাশনাইজ করে বিক্রি করতে পারেন। এটি দোকান দিয়ে নিজ অঞ্চলে বিক্রি করতে পারেন আবার অনাইনেও বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে খুব বেশি পুঁজি লাগবেনা ১০/২০ হাজার লাগবে কিন্তু লাভজনক বেশি হবে। লস হওয়ার সম্ভাবনা নাই যেহেতু এগুলো খাবার নয় পঁচে যাওয়ার কিছু নেই।

গিফটের দোকানঃ গিফটের জিনিসগুলো ফুল, কার্ড, মোম্বাতি, চকোলেট, খেলনা এবং ঘড়ি ইত্যাদি, এবং মগ, ন্যাচারাল ছবি, টি-শার্ট, লকেট ইত্যাদি, আবার মোবাইল ফোন, হেডফোন, ক্যামেরা ইত্যাদি, আবার ভাস্কর্য, কেক, বিস্কুট, মধু ইত্যাদি খাবার সহ নানা জিনিস গিফট এর দোকান দিতে পারেন। এই গিফটগুলো বিভিন্ন ইভেন্ট, বিয়ে, সুন্নাতে খাৎনা, পুজা ও নানা ধর্মীয় উৎসবে গিফট লাগে। 

অল্প-পুঁজিতে-লাভজনক-ব্যবসা

এ উপরোল্লেখিত ব্যবসাগুলোর প্রত্যেকটির জন্য জায়গা নির্বাচন, বাজার গবেষণা, পরিকল্পন থাকা, আইনি দিক বা লাইসেন্স এবং ব্যবসার নানান সাজ সরঞ্জাম, উপায়, উপকরণ, উপাদান ইত্যাদির প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। আবার পণ্য, দ্রব্য, খাবার গুণ-মানের প্রতির দৃষ্টি দিতে হবে। আবার গ্রাহকদের মতামত বা মন্তব্য এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সব দিকে নজর দিলে অল্প পুঁজি নিয়ে অনেক লাভজনক ব্যবসা করা যাবে।

অল্প পুঁজিতে ব্যবসা ২০২৪

অল্প পুঁজিতে ব্যবসা ২০২৪ সালে যে ব্যবসাগুলো করা যাবে সেগুলো হচ্ছে অনলাইন ব্যবসা যেমন ই-কমার্স পণ্য বিক্রয়ের জন্য ওয়েবসাইট বিক্রি করা, ফ্রিলান্সিং স্কিলস বিক্রি করে ব্যবসা করা যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, প্রোগ্রামিং কোর্স বিক্রি করে লাভজনক ব্যবসা করা যায়। আবার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আইটি পরিচালনা করে লাভজনক ব্যবসা করা যাবে। খাদ্য ব্যবসা করা যায় যেমন ঘরে তৈরী খাবার,

যেমন পিঠা, আচার, মিষ্টান্ন ইত্যাদি বিক্রয় করে লাভজনজ ব্যবসা করা যাবে। বেকারির খাবার যেমন রুটি, কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদির জন্য অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যাবে। আবার হোম ডেলিভারী, ইলেকট্রনিক্স জিনিস মেরামত করে, টেইলরিং, হেয়ার কাটিং স্টাইলিশ সেলুন দিয়ে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় ২০২৪ সালে। এছাড়া হস্তশিল্পি, বাগান তৈরী করে, টিউশনি এবং পশু পালন করে অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভজনক ব্যবসা করা যায়।

গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা

গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায় এমন নানান জিনিস সবজি চাষ, ফল চাষ, মশলা চাষ, মৌমাছি পালন ইত্যাদি করা যায়। হাতে তৈরী করে ঐতিহ্যবাহী জিনিসত্রের ব্যবসা করা যায় যেমন  থালা-বাসন, চেয়ার, টেবিল, ঝুড়ি, আবার মাটির জিনিসপত্র যেমন হাঁড়ি, কলসি, প্লেট ইত্যাদি, আবার নকশি কাঁথা তৈরী করে ব্যবসা করা যায়। আবার স্টেশনারী বা খাতা কলম, কাগজ পত্রের ব্যবসা করা যায় অল্প পুঁজিতেই ব্যবসা করা যায়।

আবার খাবার মিষ্টান্নের ব্যবসা করা যায় গ্রামে  স্ন্যাকস, ফাস্টফুড, যেমন বার্গার, নুডলস, চিপস, পেঁয়াজি, বেগুনি ইত্যাদি, আবার কুল ড্রিংকস আইসক্রিম বিক্রি করা যায় গ্রামে। আবার ছোট খাট মুদি দোকান, ডিস্পেন্সারি বা ফার্মাসিউটিক্যাল এর দোকান দিয়ে অল্প পুঁজিতেই ভালো ব্যবসা করে প্রচুর লাভ করা যায়। আবার কসমেটিক্স, হার্ডওয়্যার, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদির অল্প পুঁজিতেই গ্রামে ব্যবসা করে প্রচুর লাভ করা যায়। 

5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়

5000 টাকায় বাংলাদেশে লাভজনক ব্যবসা করে সফলতার সাথে এগিয়ে যাওয়া যায়। ৫ হাজার টাকায় যে সমস্ত ব্যবসা করা যায় সেগুলো হচ্ছে হালকা নাস্তা ও চায়ের দোকান বা স্টল দেওয়া যায়, মিষ্টি ভান্ডার, আইসক্রিম এর বার, আবার বাড়িতে বানানো নানান আচার, পিঠা, জ্যাম তৈরী করে ব্যবসা করা যায়। আবার বাঁশ ও নারিকেলের জিনিস পত্র যেমন ঝুড়ি, থালা-প্লেট, চেয়ার ও টেবিল তৈরী করে ব্যবসা করে লাভ করা যায়। 

আবার কাঠের জিনিস পত্র যেমন বিভিন্ন আসবাবপত্র, খেলনা এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য মূর্তি তৈরী করে ব্যবসা করা যায়। মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল বিক্রি সহ মোবাইল এক্সেসরিজ চেমন হেড ফোন, মোবাইল কভার এবং মোবাইল চার্জার বিক্রয় করে ব্যবসা করা যায়। পুরুষ ও মহিলাদের স্টাইল করে হেয়ার বা চুল কেটে ব্যবসা করা যায়। আর এই ব্যবসাগুলো নিজের দক্ষতা, লক্ষ্য এবং কৌশলের উপর নির্ভর করে তাই বেশি বেশি বাজার গবেষণা করে পরিকল্পনা করে ব্যবসার কাজগুলো নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে হবে।

৫০০০০ টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

৫০০০০ টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এখানে থাকছে। চলুন এক্সপ্লোর করার চেষ্টা করি। বিভিন্ন ব্যবসা করে আজ বাংলাদেশে ৫০০০০ টাকার অনেক বিজিনেস বা ব্যবসার প্লান এবং আইডিয়া রয়েছে। শুধু পুঁজি সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য, দৃঢ় মন মানসিকত ও মনোবল বানিয়ে সামনে বাঢ়তে হবে। তাহলে ব্যবসায় একটা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন এবং কাঙ্খিত ও চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা করতে পারবেন। তো দেখা যাক আইডিয়াগুলো সিরিয়ালি।

  1. কৃষি জিনিস বিক্রি করা
  2. পশু পালন করা
  3. হস্তশিল্প বিক্রি করা
  4. হোম ডেলিভারি করা
  5. প্রসাদ তৈরি ও মেরামত করা
  6. সেলুন দেওয়া
  7. ট্রান্সপোর্টের কাজ করা
  8. গ্রাফিক ডিজাইন ও প্রোগ্রামিং করা
  9. ছাত্র-ছাত্রী পড়ানো
  10. বাচ্চাদের পোশাক তৈরি করে আয় করা
  11. জুতার দোকান খোলা
  12. ছোটখাটো পোশাকের দোকান করা
  13. গয়না ও এক্সেসরিজ দোকান করা
  14. বেকারির দোকান করা
  15. মিষ্টি ভান্ডার দেওয়া
  16. জুস বার দেওয়া
  17. চা ও হালকা নাস্তা এর দোকান করা
  18. স্ন্যাকস এর দোকান দেওয়া
  19. ঘরে তৈরি খাবার পিঠা আচার জ্যাম বিক্রি করা
  20. স্টেশনারি দোকান দেওয়া
  21. শাক সবজির দোকান দেওয়া
  22. মুদি দোকান দেওয়া
  23. দই ও মিষ্টির দোকান দেওয়া
  24. লাইব্রেরীর দোকান দেওয়া
  25. ধান, চাল, গম ও গুঁড়ার আড়ৎ দেওয়া

অল্প পুঁজিতে উৎপাদন ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে উৎপাদন ব্যবসা করে লাভ করা যায়। যে ব্যবসাগুলো করা যাবে উৎপাদন করে সেগুলো হচ্ছে ঘরে নুডলস উৎপাদন করে ব্যবসা করা, ঝাল-মুড়ি উৎপাদন করে ব্যবসা করা, মসলা উৎপাদন করে ব্যবসা করা, কাগজের আসবাবপত্র থালা, বাটি, ব্যাগ ইত্যাদি উৎপাদন বা তৈরী করে ব্যবসা করা, ফার্নিচার উৎপাদন যেমন চেয়ার, টেবিল ও পালংক ইত্যাদির ব্যবসা করা। 

আবার কয়েকটা জিনিস খেয়াল করা যেমন বাজার গবেষণা, কম খরচ ও মান সম্পন্ন প্রোডাকট ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা। আবার কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা সৃষ্টি করা তাহলে সফলতার সাথে ব্যবসা লাভজনকে পরিণত হবে। ব্যবসার করার ক্ষেত্রে আগ্রহ, দক্ষতা ও মার্কেটের ডিমান্ড বুঝা অত্যন্ত দরকার। তাহলে অল্প পুঁজিতে উৎপাদন ব্যবসা করা সম্ভব।

৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা

৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা বিভিন্ন রকম রয়েছে। প্রিয় পাঠক, আমরা ইতিমধ্যে অনেক আইডিয়া দিয়ে ফেলেছি যেমন হাঁস-মুরগী, গরু, ছাগল, ইত্যাদির ব্যবসা করা, ছোট খাট স্ন্যাকসের দোকান দেওয়া যেমন ফাস্ট ফুড, ড্রিংকস, দই মিষ্টির দোকান দেওয়া, ছোট ছোট বাচ্চাদের ছোট কাপড় জামা, জুতা, গেঞ্জি ইত্যাদির কোকান দেওয়া। 

আবার টি-শার্ট অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা, কারণ এটি কী শীত আর কী গ্রীষ্ম আর কী বর্ষাকাল সব মৌসূমেই পরা যায়। আবার দেশি বিদেশি সব জনগণের জন্য বিক্রি করা যায়। আবার ছেলে কিংবা মেয়ে সবাই ব্যবহার করে সেহেতু এটি খুব লাভজনক ব্যবসা করা যায়। আবার টি-শার্ট এর উপর ডিজাইন করে বহুত আয় করেও ব্যবসা করা যায়।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বাংলাদেশ

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বাংলাদেশ এ অনেক রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ অনেকগুলো ব্যক্ত করছি। যেমন সবজি চাষ, ফল ও ফুল চাষ ইত্যাদি, আবার গরু, ছাগল, মাছ, হাঁস, মুরগির খামার দেওয়া, আবার বাঁশ-নারকেলের জিনিসপত্র বানিয়ে ব্যবসা করা, আবার নিজে একটি টিউশনি যেমন করা যায় আবার গ্রামে বা শহরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোচিং সেন্টার খোলে ব্যবসা করা যায়। আবার হেয়ার সেলুন দেওয়া, আবার রিক্স, সি এন জি, অটো রিক্সা চালানো, আবার বাড়ির কাজ করে আয় করুন যেমন ঘর পরিষ্কার করা, কাপড়-চোপড় ধোয়া ইত্যাদি কাজ করা। আবার পোশাক তৈরী করে আয় করা অর্থাৎ টেইলরিং করা। 

অল্প পুঁজিতে খাওয়ার ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে খাওয়ার ব্যবসা যেমন ফাস্টফুড যথা বার্গার, বেগুনি, পেঁয়াজু, পিৎজা, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি, আবার দই, মিষ্টি, রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, রসমালাই, চিপস ইত্যাদি, আবার চা ও নাশ্তা, স্ন্যাকস, পিঠা, পুলি, ভাপা পিঠা, জ্যাম ও আচার, আম, কাঁঠাল ও মরিচের আচার এর ব্যবসা, আবার হাতের তৈরীর আরো নানান খাবার। 

আরো পড়ুনঃ ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার পূর্ণাঙ্গরুপে জেনে নিন

এক্ষেত্রে নিজে খেয়ে টেস্ট করে খাবারের মান ঠিক রাখা, দামের ব্যাপারে সচেতন হওয়া এবং ভালোভাবে প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারে যথেষ্ঠ এফোর্ট দেওয়া। আর দোকান, স্টল, শপ, স্টোর ইত্যাদির ক্ষেত্রে জায়গার ব্যাপারটাতে সজাগ হওয়া অর্থাৎ যেখানে মানুষের বেশি সমাগম, আনাগোনা, সমাবেশ, সভা, বা পর্যটন স্থান প্রভৃতি জায়গায় ব্যবসার জন্য চেষ্টা করা।

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসার এমন কিছু ডিমান্ডফুল ও লাভজনক ব্যবসা আছে যেগুলো যথেষ্ঠ সফলভাবে করা যায়। পাইকারী যে ব্যবসাগুলো করা যায় সেগুলো হচ্ছে যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ, কাপড়, খাবার ইত্যাদি। আবার একটু বিশ্লেষণপূর্বক বল্লে যা বলা যাবে তা খাদ্যের ক্ষেত্রে চাল, ডাল, আটা আবার শুকনো খাবারের ক্ষেত্রে মুড়ি, খেজুর, চিনি ইত্যাদি, আবার তেলের ক্ষেত্রে শরিষা, সূর্যমূখী, সয়াবিন, আবার মশলা, হলুদ, মরিচ, জিরা, গরম, 

অল্প-পুঁজিতে-পাইকারি-ব্যবসা

আবার পেঁয়াজ রসুন,আদা ইত্যাদি, আবার প্লাস্টিকের জিনিসপত্র যথা থালা-প্লেট, গ্লাস, কাপ ইত্যাদি, আবার কাগজের জিনিসপত্র যেমন কাগজের বাটি, টয়লেট পেপার, টিস্যু ইত্যাদি, আবার সাবান ও ডিটারজেন্ট যথা পাউডার, লিকুইড ইত্যাদি, আবার কসমেটিক্স যথা ক্রিম, লোশন, সাবান ইত্যাদি, আবার ঔষধের ক্ষেত্রে সাধারণ ওষধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক ইত্যাদির বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে অল্প পুঁজিতে পাইকারী ব্যবসা করা যায়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমি উল্লেখিত আর্টিকেলে লেখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি উক্ত ব্লগটি ফ্রেশ মাইন্ডে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন অল্প পুঁজির লাভজনক ব্যবসার ব্যাপারে। আরো এ রকম নিত্য নূতন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকুন ইনশায়াল্লাহ্‌ আর কোন সাজেশন থাকলে বলতে পারেন কমেন্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url