অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ - মানুষের অতিরিক্ত ঘুম আসে কেন?

গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কীঅতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ বিষয়টি জানতে এখানে এসেছেন তাই না? অতিরিক্ত ঘুম আসাটা স্বাস্থের জন্য অনেক সময় ভালো আবার অনেক সময় খারাপ। আসলে প্রতিটি জিনিস স্বাভাবিক ক্ষেত্রে ভালো।

অতিরিক্ত-ঘুম-কিসের-লক্ষণ
কিন্তু যখন সেটির অতিরিক্ত হয়ে তখন সেটি আর ভালো থাকেনা। উপযুক মাত্রা পরিমাণ ঘুম শরীরের পক্ষে অত্যাধিক উপকারী। তবে এটার মাত্রারিক্ত অনেক ক্ষতিকর। তো চলুন বিষয়টি নিম্নালোকে জানার চেষ্টা করি!

পেজ সূচীপত্রঃ অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ সংশ্লিষ্ট বিষয় সহকারে জানুন।

অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ

অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ ব্যাপারটি এখানে আলোচনা করি চলুন। অতিরিক্ত ঘুম ঘুম আসা যে রোগের বা যে বিষয়ের সিনটোম বা লক্ষণ হয়ে থাকে সেগুলো অনেক কারণেই হতে পারে। এখানে সে কারণগুলো উল্লেখ করবো যেগুলো অতিরিক্ত বা অত্যাধিক ঘুমের জন্য লক্ষণ হয়। আপনার যদি অতিরিক্ত ঘুম হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শারীরিক অথবা মানসিক যেকোনো একটার ভিতর কোন ব্যাঘাত ঘটেছে বা অসুবিধা চলছে। 

আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো কী যেগুলো খুবই গুরত্বপূর্ণ জানুন

অতিরিক্ত ঘুম লাইফ স্টাইল বা নিত্যদিনের চলাফেরা ইত্যাদিতে কোন ঘাটতির লক্ষণ। শারীরিক বিভিন্ন কারণে আপনার অতিরিক্ত ঘুম আসতে পারে। যেমন আপনার দেহ বা শরীরের পুষ্টিহীনতা বা পুষ্টির অভাব থাকলে। শরীরে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার প্রমাণ বহন করে। স্লিপ ডিজঅর্ডার বা ঘুম সম্পর্কিত কোন রোগের প্রমাণ। 

ঘাড়ে এক ধরনের রগ রয়েছে যে রগে কোন সমস্যা হয়েছে বলে বুঝায়। শরীরের যতটুকু পানি দরকার ততটুকু পানি নেই বলে প্রমাণ করে। আবার আপনার ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত ঘুম হয় বোঝায়। আবার অল্প আহার বা ক্ষুধামন্দ হওয়ারও প্রমাণ বহন করে। আবার বেশি খেয়েছেন বলে বোঝায়। তোমার অনেক সময় শরীর অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করলে অতিরিক্ত ঘুম হয়। 

মানসিক সমস্যা আছে বুঝাচ্ছে আপনার অতিরিক্ত ঘুম। যেমন বিভিন্ন ডিপ্রেশন বা হতাশা ইত্যাদি থাকা বোঝাচ্ছে। মেন্টাল প্রেসার বা চাপে আছেন বলে সাব্যস্ত করছে। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা ইত্যাদি অতিরিক্ত ঘুমের লক্ষণ। এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক ইত্যাদির স্ট্রেস থাকা বোঝায়। 

অতিরিক্ত ঘুম আসার কারণ কি?

অতিরিক্ত ঘুম আসার কারণ বিষয়টি এখানে বর্ণনা করছি। আমরা ইতিমধ্যেই লিখেছি যে কি কারণ যেগুলো অতিরিক্ত ঘুমের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপরেও আরো এখানে স্পষ্ট করে বিবরণ দিচ্ছি চলুন মনোযোগ দিয়ে পড়ি। বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অতিরিক্ত ঘুম আসে। আর অতিরিক্ত ঘুমের কারণগুলো এই জায়গায় লিস্ট আকারে লিখছি। 

  • স্লিপ এপনিয়া বা রাতে ঘুমানোর সময় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া। 
  • পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বা স্লিপ ডিপ্রাইভেশন।
  • শারীরিক ক্লান্তি বোধ হলে।
  • মানসিক স্ট্রেস বা চাপে থাকলে।
  • ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা থাকলে শরীরে। 
  • পর্যাপ্ত পানি না খেলে। 
  • অতিরিক্ত আহার করলে। 
  • জিনগত সমস্যা বা মা-বাবার বেশি ঘুম হলে।
  • নার্ভ বা স্নায়বিক দুর্বলতা থাকলে।
  • দীর্ঘদিন ওষুধ খাওয়ার ফলে। 
  • মেডিসিনের সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়।
  • মানসিক বিভিন্ন প্রেসার থাকলে। 
  • বিভিন্ন উদ্বেগ ও বিষন্নতার জন্য।
  • মানসিকভাবে ডিপ্রেসড বা ফ্রাস্ট্রেশনে ভুগলে।
  • থাইরয়েড বা ঘাড়ের রগের সমস্যা হলে।

অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ

অতিরিক্ত ঘুম কোন রোগের লক্ষণ বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এই জায়গায় আরও বিশেষভাবে উল্লেখ করার চেষ্টা করছি। অধিক তো ঘুম শুধু রোগের লক্ষণ নয় বিভিন্ন কারণে এটা হতে পারে। পাশাপাশি রোগের লক্ষণ তো বটেই। মানুষ আরাম প্রিয় ঘুম ভালোবাসে। কিন্তু এই ঘুম যদি সময়মতো টাইমলি হয় তাহলে এটা শরীরের পক্ষে অনেক কার্যকরী। দিনের বেলা যে কোন সময় শরীরের ভিতরে ঘুমের চাপ থাকা এটা ভালো লক্ষণ নয়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক যে অতিরিক্ত ঘুম কোন কোন রোগের লক্ষণ বিষয়টি। 

  1. বিশেষ করে এটি স্লিপ ডিসঅর্ডার বা ঘুম রোগ। 
  2. মেন্টাল ডিপ্রেশন বা মানসিক হতাশা। 
  3. থাইরয়েডিজম বা ঘাড়ের রগের রোগ। 
  4. স্লিপ এপনিয়া বা ঘুমানোর সময় শ্বাসকষ্ট। 
  5. স্লিপ ডিপ্রাইভেশন বা অপর্যাপ্ত ঘুম। 
  6. ডিহাইড্রেশন বা পানিসূন্য রোগ 
  7. অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতার রোগ। 
  8. এনজাইটি বা উদ্বেগজনিত রোগ।
  9. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ জনিত রোগ। 
  10. মেডিসিন সাইড ইফেক্ট ডিজিজ।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পেতে যে সমস্ত উপায় অবলম্বন করতে হবে এখানে সেগুলো আলোচনা করছি। অতিরিক্ত শুধু ঘুম নয় যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত ভালো নয়, যেমন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত বাচন বা কথন, অতিরিক্ত ঘুম এই তিনটা বিষয় অনেক রুলস এবং রেগুলেশন এক্সপার্টরা খারাপ হিসাবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। 

তাই অতিরিক্ত ঘুমানোর কারণে অনেক সময় চাকরি চলে যায়। অতিরিক্ত ঘুমের জন্য অফিসে বসের কাছে ঝাড়ি খেতে হয়। একটুতেই অফিসের চেয়ারে বসে ঘুম চলে আসে। তাই অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচা বা মুক্তি পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয়। নিচে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় গুলো এক এক করে উল্লেখ করছি। 

  • রাত জাগা কমান। 
  • নিয়মিত খাওয়া ওষুধ গুলো চেঞ্জ করুন।
  • ঘুমের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। 
  • অতিরিক্ত খাওয়া বন্ধ করুন। 
  • রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই আড়াই ঘন্টা আগে খান।
  • পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন। 
  • নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করুন। 
  • মানসিক প্রশান্তি চর্চা  করুন। 
  • রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে রক্তের খাবারগুলো গ্রহণ করুন।
  • থাইরয়েডের ঔষধ খান। 
  • রুটিন মাফিক চলাফেরা করুন। 
  • লাইফ স্টাইল বদলান। 
  • মনের ভিতর উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দূর করুন। 

অতিরিক্ত ঘুম কমানোর ঔষধ

অতিরিক্ত ঘুম কমানোর ঔষধ বিষয়টি এখানে লিখছি। আসলে ঔষধ না থাকলে খাওয়া কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির কাজ নয়। কারণ এ ওষুধ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। তার ভিতরে সাপের বিষ থাকে, বিভিন্ন গাছের রস থাকে, অনেক লতাপতার উপাদান থাকে ইত্যাদি। এগুলোকে বিভিন্ন সমন্বয় করে ক্রিয়া বিক্রিয়ার মাধ্যমে ঔষধে রূপান্তর করা হয়। ঔষধ গুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন এলাপেথি, হোমিওপ্যাথি, ভেষজ এবং গাছগাছড়া ইত্যাদির ঔষধ।

আপনার নিজেকে আগে বুঝতে হবে যে লাইফস্টাইল বদলানোর মাধ্যমে যদি নিজের ঘুমকে কন্ট্রোলে আনা যায় তাহলে ঔষধ খাওয়ার দরকার নেই। তবে যদি একেবারে মুক্তি পাওয়া নেওয়া যায় অতিরিক্ত ঘুম থেকে তাহলে ডাক্তার বা এক্সপার্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এক্ষেত্রে পরীক্ষার নিরীক্ষা করে নির্ণয় করতে হবে যে আপনার শরীরে আসলে কি ঘাটতি রয়েছে বা কি সমস্যা। 

যেই সমস্যা বা যে রোগ ধরা পড়বে সে রোগের ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। যেমন শরীরের যদি নিউট্রিশন বা পোস্টটি ঘাটতি হয় তাহলে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং পুষ্টিওয়ালা ওষুধ খেতে হবে। আবার শরীরে যদি আয়রনের ডিফিসিয়েন্সি বা ঘাটতি হয় তাহলে আয়রন আছে এমন খাবার খেতে হবে এবং আইরন ট্যাবলেট বা ওষুধ খেতে হবে।

এছাড়াও এলাপেথি ওষুধের চেয়ে আপনি হোমিওপ্যাথি খেতে পারেন যেগুলোতে সাইড ইফেক্ট খুব কম। আর হোমিওতে খুব ধীরে ধীরে কাজ করে কিন্তু তার ফলাফলটা স্থায়ী হয়। কারণ যে জিনিস খুব ধীর স্থির ভাবে হয় সেটা অনেক স্থির এবং স্থায়ী হয়।

ইসলামিকভাবে ঘুম এর সমাধান

ইসলামিক ভাবে ঘুমের সমাধান বিষয়টি আলোকপাত করছি। ইসলামিক ভাবে আপনাকে যদি সমাধান দেই তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইসলামের নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হবে। ইসলামের নীতি হচ্ছে আপনার পেটকে তিনটা ভাগে ভাগ করতে হবে একভাগ ভারী খাবার, একবার পানিও খাবার একবার ফাঁকা রাখতে হবে। এক ভাগ ফাঁকা রাখলে আপনার অক্সিজেন শরীরে ঠিকঠাক মত চলবে এবং শরীর ঠিক থাকবে। আর অতিরিক্ত খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হবে। 

যেমন গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার, ওজন বেড়ে যাওয়া, মোটা হয়ে যাওয়া, জ্ঞান অর্জনে বাধা প্রাপ্ত হওয়া, মোটা হুঁশ হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা হয়। তাই অতিরিক্ত ঘুম থেকে বাঁচতে অবশ্যই খাওয়া কমাতে হবে। এবং খাইতে হবে সন্ধ্যার সময়। আর আল্লাহর রাসুলের হাদিস অনুসারে শুয়ে যেতে হবে এশার নামাজ পড়ে। কারণ এশার নামাজ পড়ে আল্লাহর রাসূল কোন বাজে গল্প ইত্যাদি করেন নি। 

এবং তিনি উম্মতদেরকে কোন বিশেষ জরুরি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া অতি দ্রুত ঘুমিয়ে যেতে বলেছেন এশার নামাজের পরে। তাহলে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়ে যাবে এবং দিনের বেলায় আর ঘুম আসবে না। আবার ঘুমানোর সময় বিভিন্ন দুয়া দুরুদ পড়া সোয়ার দোয়া করা, দুরুদ ইব্রাহিম পড়া, সুরা ফাতেহা পড়া এবং সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার ইত্যাদি পড়া।

যেগুলো পড়ে ঘুমালে ঘুমটা আরো ডিপ হবে এবং আলফা লেভেলে ঘুম হবে। এতে করে ঘুম পর্যাপ্ত হবে। আর ঘুমের ভিতরে কোন স্বপ্ন দেখা যাবে না, এক্ষেত্রে মানসিক চর্চা করতে হবে। এই ইত্যাদি বিষয়গুলো ফলো করলে অবশ্যই ঘুম ভালো হবে রাতে ঘুম ভালো হলে আপনার দিনের বেলায় অযথা ঘুম হবে না।

ঘুম কয় ধরণের?

ঘুম বিভিন্ন ধরনের রয়েছে যেগুলো এখানে আলোকপাত করছি। ডাক্তার বা স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতে ঘুম কয়েক ধরনের হয়েছে। যেমন এক ধরনের ঘুম হচ্ছে আলফা লেভেলের ঘুম। আলফা লেভেলের ঘুম মানে ডিপ স্লিপ গভীর ঘুম যে ঘুমে কোন স্বপ্ন দেখা নেই মরার মত ঘুমিয়ে যাওয়া। বিভিন্ন ডাক্তাররা বলছেন আলফা লিবেলের ঘুমটা রাতের ১০টা থেকে নিয়ে ২ বা ৩ টার ভিতরেই হয়ে থাকে। এই ঘন্টা যার হবে শেষ শারীরিকভাবে অনেক সুইট ও ফিট থাকবে এবং সুস্থ থাকবে। 

কারণ এই ঘুমটাই হচ্ছে সত্যিকারের ঘুম। আর ঘুমটা অর্জন করতে হলে নিয়ম হচ্ছে কম খেতে হবে। মেডিটেশন করতে হবে। রাত্রে ঘুমানোর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাতটার ভিতর খেয়ে নিতে হবে সর্বোচ্চ সাড়ে সাতটা বা আটটা হতে পারে। আর এই খাওয়ার দুই আড়াই ঘন্টা পর অর্থাৎ সাড়ে নয়টা থেকে দশটার ভিতরে কমে যেতে হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ বা ১১ টা বাজতে পারে। আরো বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে আলফা লেভেলের ঘোমটা রাত্রি বারোটা থেকে দুইটার মধ্যেই হয়ে থাকে।

ঘুমানোর সময় তো সাথে সাথে ঘুম আসবে না এইজন্য এক ঘন্টা দুই ঘন্টা আগেই ঘুমাতে হবে। কারণ ডাক্তারদের একটা স্ট্যান্ডার্ড নিয়োগ হচ্ছে ঘুম পারতে হবে একজন মানুষের সুস্থ থাকতে হলে রাতে ৬/৭ থেকে ৮ ঘন্টা। আর এই আলফা লেভেলের ঘুমটা অর্জনের জন্য সন্ধ্যা থেকেই মোবাইলের সাথে বা স্ক্রিনের সাথে সম্পৃক্ত থাকা যাবে না। 

অর্থাৎ ঘুমানোর দুই-আড়াই ঘণ্টা আগেই  স্ক্রিনের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। তাহলেই সম্ভব আলফা লেভেল ঘুম। আর ইসলামিক মতে ঘুম হচ্ছে দুই ধরনের একটা হচ্ছে ছোট ঘুম আর একটা হচ্ছে বড় ঘুম। ছোট ঘুম হচ্ছে রাতের ঘুম। আর বড় ঘুম হচ্ছে একেবারে মরে যাওয়া বা মৃত্যুবরণ করা এটা হচ্ছে বড় ঘুম।

অতিরিক্ত ঘুমালে কি ক্ষতি হয়

অতিরিক্ত ঘুমালে যে সমস্ত ক্ষতি হয় বিষয়টি এখানে আলোকপাত করছি। অতিরিক্ত ঘুমের বিভিন্ন ও অপকারিতা বা ক্ষতি রয়েছে যেগুলো উক্ত আর্টিকেলের ইতিমধ্যে কার বিষয়গুলো লেখার মাঝেই ফুটে উঠেছে আশা করছি। এরপরও এখানে আরো বিশেষ করে ক্ষতিগুলো লেখা জরুরী মনে করছে। চলুন জেনে নেই যে অতিরিক্ত ঘুম পারলে কি কি ক্ষতি হয় তার একটা লিস্ট বা তালিকা। 

আরো পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় জেনে রাখুন

  1. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
  2. ডায়াবেটিসের মত সমস্যা সৃষ্টি হয়। 
  3. স্ট্রোক জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  4. হরমোনাল প্রবলেম হতে পারে। 
  5. ক্ষুধামন্দ দেখা দিতে পারে। 
  6. বদ হজম হতে পারে। 
  7. স্মৃতিশক্তির সমস্যা হতে পারে। 
  8. ক্লান্তি অবসাদ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। 
  9. দুনিয়াবী বিভিন্ন উপকারী কাজ থেকে বঞ্চিত হওয়া।
  10. এবং পরকালীন নেক আমল কমে যাওয়া ইত্যাদি।

ঘুম ঘুম ভাব কিসের লক্ষণ

সব সময় ঘুম ঘুম ভাব যে বিষয়ের লক্ষণ। আমরা ইতিমধ্যেই আলোকপাত করেছি যে কি কারণে অতিরিক্ত ঘুম হয় এবং অতিরিক্ত ঘুম হওয়া কোন রোগের লক্ষণ বা কোন বিষয়ের লক্ষণ। এখানে আরো একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ঘুম ঘুম ভাব কেন হয় এই বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। তো চলুন বিষয়টি কেন হয় এটি ব্যাখ্যা করি। অতিরিক্ত ঘুম শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন কারণেই ঘটতে পারে। 

শরীরে পানি কম থাকলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। শরীরের রক্ত কম থাকলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। শরীরের পুষ্টি ঘাটতি থাকলে ঘুম ঘুম হয়। বিভিন্ন শারীরিক ক্লান্তি অবসাদ এর জন্য ঘুম ঘুম হয়। মানসিক বিষন্নতার জন্য ঘুম ঘুম ভাব হয়। শারীরিক ওজন বেড়ে গেলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। সব সময়ই শুয়ে বসে থাকলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। ঘরের ভিতরে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার আলো না থাকলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। 

ঘুম-ঘুম-ভাব-কিসের-লক্ষণ

সব সময় ঘরের ভিতরেই থাকলে বাইরের আলো না দেখলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। শারীরিক ব্যায়াম বা শরীর চর্চা না করলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। বিভিন্ন মেন্টাল চাপ বা স্ট্রেসে থাকলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেগুলো ঘুমঘুম ভাবের লক্ষণ। প্রিয় পাঠক, আপনি এই ইতিমধ্যেই ব্লগটি পড়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ শিরোনামটি বুঝার চেষ্টা করেছেন আশা করছি।

লেখকের শেষ মন্তব্য

অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ বিষয়টি ঘুমের অন্যান্য বিষয় সহকারে এই ব্লগটিতে আলোচনা করেছি। সুপ্রিয় পাঠক বা রিডার, উক্ত ব্লগটি বা আর্টিকেলটি পড়ে অতিরিক্ত ঘুমের বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে বোঝার চেষ্টা করেছেন বলে বিশ্বাস করছি। কারণ উল্লেখিত আর্টিকেলটি চলিত ও নিজের ভাষায় বুঝার মত করে ব্যক্ত করেছি। কোন কিছুই অতিরিক্ত যথার্থ নয়। অতিরিক্ত ঘুমও নয় যেটা উল্লেখিত আর্টিকেলে আলোকপাত করেছি। প্রিয় পাঠক, আরো এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থেকে আমাদেরকে উৎসাহিত করুন এবং কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন ইনশাআল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url