ঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ বিস্তারিত জানুন
পার্বত্য চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থানঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে জানতে এখানে এসেছেন তাই না। ঢাকা বাংলাদেশের
রাজধানী এবং এটি খুব ব্যস্ত একটি শহর। পাশাপাশি ঢাকা শহরকে মাসজিদেরও শহর বলা
হয়।
ঢাকাতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও সীমান্তবর্তী এলাকা এবং প্রত্যেক বিভাগ,
জেলা, উপজেলা এমনকি প্রত্যেক গ্রাম থেকে পর্যন্ত লোক এসেছে কাজের ও জীবিকার
তাগিদে। এক্ষেত্রে পর্যটন বা দেখা বা ঘুরার জন্য অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত আসতেছে।
চলুন ব্যাপারটি জানার চেষ্টা করি!
ঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ
ঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে এখানে লিখছি। প্রিয় পাঠক, ঢাকা
বাংলাদেশের রাজধানী যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল
থেকে মানুষজন এসে রোজগার করে থাকে। এখানে যেমন নানা প্রকৃতির মানুষ রয়েছে
তেমনি এখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। নিম্নে
ঢাকার দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
- আহসান মঞ্জিলঃ এটি মুঘল আমলের একটি স্থাপত্য যেটি নবার আহসান উল্লাহর প্রাসাদ।
- লালবাগ কেল্লাঃ এটি ও মূঘল আমলের একটি প্রাসাদ যেটি সম্রাট মোমতাজ মহলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।
- আর্মেনিয়া চার্চঃ এটি ঢাকার খুব প্রাচীন ও অনেক আগেকার খ্রিষ্টানদের একটি চার্চ বা গির্জা।
- কার্জন হলঃ ঢাকা ইউনিভার্সিটি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিস্টোরিক বা ঐতিহাসিক বিল্ডিং।
- জাতীয় জাদুঘরঃ এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা যায়।
- বায়তুল মোকাররম মসজিদঃ এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং জাতীয় মসজিদ।
- ঢাকেশ্বরী মন্দিরঃ এটি হিন্দুদের অনেক বড় ও বিখ্যাত একটি টেম্পল বা মন্দির।
- কাঁটাবন মসজিদঃ ঢাকার একটি অতি প্রাচীন বা পুরাতন একটি প্রখ্যাত মসজিদ।
- সূরা মসজিদঃ এটি ঢাকার আরো একটি সুখ্যাত ও পুরাতন মসজিদ।
- রামকৃষ্ণ মিশনঃ এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীয় একটি বড় প্রতিষ্ঠান।
- রমনা পার্কঃ ঢাকার একটি পপুলার ও বিখ্যাত পার্ক।
- শহীদ মিনারঃ এটি বাংলা ভাষা মুভমেন্ট বা আন্দোলনের স্মরণীয় একটি স্মৃতিসৌধ।
- বসুন্ধরা সিটিঃ এটি বাংলাদেশের ঢাকার বিশাল ও বৃহত্তম একটি শপিং মল।
- ফ্যান্টাসি কিংডমঃ এটি ঢাকার একটি অনেক পুরানো একটি থিম পার্ক।
- জাতীয় চিড়িয়াখানাঃ এটি বাংলাদেশের জাতীয় ও সব চেয়ে বড় একটি জু বা চিড়িয়াখানা।
আরো কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানঃ
- আব্দুল হক স্মৃতিসৌধ
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার
- জাতীয় সংসদ ভবন
- ধানমন্ডি লেক
- গুলশান লেক
- উত্তরা লেক
- বোটানিক্যাল গার্ডেন
- শিল্পকলা একাডেমী
- বাংলা একাডেমি
- শাহজালাল বিমানবন্দর ইত্যাদি।
এছাড়াও, ঢাকার আরো দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো ইন্টারনেট ঘাঁটলেই দেখা যাবে এবং
সেগুলো পর্যটন প্রিয় জায়গা।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়া খানা
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়া খানা সম্পর্কে লিখছি। এটি বাংলাদেশের ঢাকা
মিরপুরে অবস্থিত। চিড়িয়াখানা সপ্তাহে বা সাত দিনের মধ্যে ছয় দিনেই
সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুধু শুক্রবার বিকাল ৪ টা
পর্যন্ত খোলা বা উন্মুক্ত থাকে।
চিড়িয়াখানাটিতে প্রবেশ করতে প্রবেশ মূল্য হচ্ছে যথাক্রমে প্রাপ্তবয়স্ক ৫০
টাকা, শিশু যাদের বয়স .৫থেকে ১২ বছর তাদের ২৫ টাকা এবং শিশু ৫ বছরের
কম তারা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে।
এটি ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় টুরিস্ট একটি দর্শনীয়
জায়গা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৪ সালে। বাংলাদেশের মধ্যে
সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানা হচ্ছে এটি। চিড়িয়াখানাটিতে প্রায়
১৩৫টি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে যেই প্রাণীগুলোর সংখ্যা অনধিক ২০০০ এর
ও বেশি।
চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে একাধারে সিংহ, হাতি, জিরাফ, জেবরা, বাঘ, বানর,
হনুমান, ঘোড়া, গাধা, সাপ, সরীসৃপ, হায়েনা, শিয়াল, গন্ডার, জলহস্তি, কুমির এবং
পাখি ইত্যাদি।
এখানে ভ্রমণ করে স্রষ্টার সুন্দর সুন্দর নানান প্রাণী সম্পর্কে জ্ঞান হবে। এবং
মনটা জুড়িয়ে যাবে বিভিন্ন প্রকৃতির প্রাণী ও নানান প্রজাতির অ্যানিম্যাল দেখে।
সো ট্যুর করুন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়া খানা ঢাকা এবং উপভোগ করুন সব স্রষ্টার সব
অপরুপ সৃষ্টি।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
ঢাকার দর্শনীয় স্থান এর একটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর যেটি সম্পর্কে এখানে
লিখছি। জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের শাহবাগে অবস্থিত।এখানে বাংলাদেশের
বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও
তথ্য অবহিত হওয়া যাবে। সুতরাং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর খুবই
গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানার ক্ষেত্রে। নিম্নে
এই সম্পর্কে লিখছি।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শুধু জাদুঘর নামে স্থাপিত হয় ১৯১৩ সালে। এর পর
এটি জাতীয় জাদুঘরের মর্যাদা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। এরপর বর্তমান
ভবনটি এই রকম ভবনে স্থানান্তরিত হয় একই সাল ১৯৮৩ সালে।
এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ের রকমারি বিষয়াদি সংগৃহীত
রয়েছে। যেমন এখানে রয়েছে নানা সময়ের মুদ্রা, প্রত্নতাত্ত্বিক
নিদর্শন, ঐতিহ্যবাহী পোশাক আশাক, শিল্পকলা, পান্ডুলিপি ও
অস্ত্রশস্ত্র এবং আরো বিভিন্ন কিছু।
রমনা পার্ক
রমনা পার্ক রমনা পার্ক ঢাকার একটি বৈচিত্র্যময় শহুরে ইতিহাসের সমৃদ্ধশালী একটি
স্থান। এটি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
সময় অনেক বিক্ষোভ ও সমাবেশের একটি জায়গা ছিল এটি। রমনা পার্ক প্রায় ৬৮
পয়েন্ট ৫ একর জমির উপরে অবস্থিত। এখানে জনপ্রিয় বিভিন্ন জায়গা রয়েছে।
যেমন এখানে রয়েছে একটি বড় খেলার মাঠ, একটি গোলাপ বাগান, একটি লেক বা হ্রদ,
একটি শিশুদের পার্ক ইত্যাদি। আরো রয়েছে এখানে পিকনিক করার জায়গা, জগিং করা
এবং হাঁটার জায়গা, এবং বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে সময় কাটানোর মতো
বিভিন্ন জায়গা বিদ্যমান রয়েছে পার্কটিতে।
লালবাগ কেল্লা
লালবাগ কেল্লা সম্পর্কে এখানে লিখছি। এটি অসম্পূর্ণ ও অসমাপ্ত একটি কেল্লা বা
দুর্গ। এটি প্রথম স্থাপনা শুরু হয়েছিল ১৬৭৮ সালে। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের
পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আজম এই কেল্লাটি স্থাপন করা প্রথম আরম্ভ করেছিলেন। পরে
তিনি তার বাপের ডাকে সাড়া দিতে ঢাকা থেকে দিল্লিতে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ফলে
আজও এটি অসমাপ্ত রয়েই গেছে। বলা হয়ে থাকে এটি ১৭০০ শতকে মুঘল আমলের সময়
নির্মিত হয়েছিল।
এই কেল্লাটি তিনটি বড় বড় স্থাপনা নিয়ে গঠিত হয়েছে। একটি হচ্ছে দরবার হল,
একটি মসজিদ আর আরো একটি হলো হাম্মাম। দুর্গটি সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত
খোলা থাকে এবং এখানে প্রবেশ করতে একটা প্রবেশ মূল্য রয়েছে যেটি হচ্ছে ৫০ টাকা।
এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রাচীনতম একটি দুর্গ যেটা
পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত চমকপ্রদ একটি ভবন হয়ে থাকে।
আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুর অঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি
প্রাক্তন প্রাসাদ। যেটি ঢাকার নবাবদের অতি পুরাতন ও প্রাচীনতম একটি মঞ্জিল বা
প্রাসাদ। এটি প্রথমত ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শেখ এনায়েতুল্লাহ আহসান
মনজিলের বর্তমান জায়গায় একটি রংমহল নামে আনন্দ করার ভবন তৈরি করেন। পরবর্তী
সময়ে, শেখ এনায়েতুল্লাহর পুত্র ভবনটি এক ফরাসি বাণিজ্যিকের কাছে বিক্রি করে
দেয়।
১৮৩৫ সালে নবাব আব্দুল গনির পিতা খাজা আলী মোল্লা এটি ক্রয় করে বসবাস করার
আরম্ভ করেন। ১৮৭২ সালে নবাব আব্দুল গনি ও প্রাসাদ টি আবারো নতুন করে তৈরি করেন
এবং তার ছেলে খাজা আহসানুল্লাহ এর নাম অনুসারে নামকরণ হয়ে আহসান মঞ্জিল। ১৯৯৭
সালে ঢাকায় বিশাল ভূমিকম্প হলে আহসান মঞ্জিল এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পরবর্তী সময়ে আহসানুল্লাহ আবারও মঞ্জিল বা প্রাসাদ টি সুন্দর করে নির্মাণ
করেন। একটা সময় স্বাধীনতার পর আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর
করা হয় এবং এটিকে জাদুঘরে রূপ দেওয়া হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সম্পর্কে এখন লিখছি। পূর্বে এটি রমনা রেসকোর্স ময়দান
নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে এটি ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিশাল নবর
উদ্যান। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। এরপর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
১৯৭১ সালে, গণহত্যার একটি স্থানে পরিণত হয়।
স্বাধীনতার পর এটির নামকরণ করা হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নামে যিনি একাধারে
শহীদ ও এক সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে এটি ঢাকার একটি জনপ্রিয়
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত। উদ্যানটিতে ১৯৭১ সালের একটি স্মরণীয়
স্বাধীনতার স্তম্ভ রয়েছে। এখানে জাদুঘর রয়েছে, বাংলা একাডেমি রয়েছে, শিশু
পার্ক রয়েছে এবং আরো নানান স্মৃতি বিজড়িত বিষয় রয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবন
ঢাকার দর্শনীয় স্থান এর একটি জাতীয় সংসদ ভবন যেটি সম্পর্কে এখন লিখছি। এটি
ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত। এটি স্থাপন করেছেন বিখ্যাত মার্কিন লুই
কান। এটির নির্মাণ কার্য সম্পন্ন হয়েছে ১৯৮২ সালে। ৯ ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত
জাতীয় সংসদ ভবনটি। ৩৫৪ টি আসনের প্রধান হল রুম হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্লকটি।
চারিদিকে চারটি অফিস ব্লক রয়েছে। সংসদ ভবনের বাইরে গোলাকার একটি লেক রয়েছে
এবং এর অপর পাশে বিশাল একটি উন্মুক্ত চত্বর রয়েছে।
দক্ষিণ দিকে আরও একটি উন্মুক্ত জায়গা রয়েছে যেখানে সকাল সন্ধ্যায় হাজারো
নারী পুরুষের সমাগম এবং পদচারণায় মুখরিত পরিবেশ থাকে। এখানে নিয়মিতভাবে
জাতীয় সংসদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক সভা ও সেমিনার
এবং সম্মেলন আয়োজিত হয়ে থাকে। জায়গাটিতে প্রায় বিভিন্ন জায়গা থেকে
পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। এখানে ঢুকতে ৫০ টাকা মূল্য দিতে হয় এবং বিদেশীদের ২০০
টাকা দিতে হয়। এটি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং রবিবার
বন্ধ থাকে।
বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক
বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক সম্পর্কে এখানে লিখছি। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত
এবং ঢাকা শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থানরত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মন্ডিত
একটি জায়গা। এটি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃক স্থাপিত হয়।
পূর্বে এটি একটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বর্জ্যস্থল ছিল।
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের পরিবেশ উন্নত করতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বিনোদনের
জন্য এই পার্কটি তৈরি করা হয়। এখানে পার্কটিতে বিভিন্ন গাছপালা, ফুল ফলের গাছ,
এবং নানা প্রাণী রয়েছে। আরো রয়েছে নৌকা ভ্রমণ, খেলার মাঠ, হাটার জায়গা এবং
শিশুদের জন্য বিশেষ পার্ক। এছাড়াও আরো নানা বিষয় রয়েছে পার্কটির মধ্যে।
জিন্দা পার্ক
জিন্দা পার্ক সম্পর্কে লিখছি। এটি ঢাকার বাইরে অবস্থিত একটি খুব জনপ্রিয়
একটি বিনোদনের কেন্দ্র। ঢাকা শহরের মূল কেন্দ্র থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে। ১৯৫৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি আসলে একটি
চা বাগান। নেক্সট টাইমে এটাকে বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়।
এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্ট, গেমস এবং রাইডস ইত্যাদি। আরো
রয়েছে একটি বড় লেক এবং নৌকা ভ্রমণের জন্যও বিশাল সুযোগ রয়েছে। এ পার্কে একটি
মসজিদ, ১টি শিশু পার্ক এবং একটি চিড়িয়াখানাও বিদ্যমান রয়েছে ইত্যাদি।
সদরঘাট
সদরঘাট সম্পর্কে এখানে লিখছি। এটি ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে
অবস্থিত খুব ব্যস্ততম একটি নদী বন্দর। এখানে নৌ যানবাহনের একটি প্রাচীন ও
ঐতিহ্যবাহী একটি জায়গা। এটি প্রায় ৪০০ বছরের বেশি পুরনো একটি জায়গা। মুঘল
শাসন আমলে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল এটি। ব্রিটিশ শাসন আমলে
এটি প্রধান নৌ স্টেশন ছিল।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল
সদরঘাট জায়গাটি। সদরঘাটে বিভিন্ন রকমের নৌ যানবাহন থাকে। যেমন এখানে থাকে
লঞ্চ, ফেরি এবং নানান রকমের নৌকা। সদরঘাট জায়গাটিতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, হোটেল
এবং খাবারের স্টল রয়েছে। এখানে আরো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক সব
জিনিসপত্র।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ঢাকার দর্শনীয় স্থান সমূহ সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ব্লগটিতে আলোচনা করার
চেষ্টা করেছি। প্রিয় পাঠক, আমি আশা করছি যদি এই ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে
থাকেন তাহলে বাংলাদেশের ব্যস্ততম শহর ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী
দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে বিশেষ অবহিত হতে পারবেন। আরো এরকম লিখতো নতুন
আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানতে
নিয়মিত চোখ রাখুন ইনশাআল্লাহ।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url