ইউটিউব ভিডিও এসইও - youtube video seo বিস্তারিত জানুন

ঘরে বসে আয় করার ১০টি নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত উপায়ইউটিউব ভিডিও এসইও অত্যান্ত গুরত্বপূর্ণ চাহিদাসম্পন্ন একটি ফ্রিল্যান্সিং সেকটরের নাম। সম্মানিত পাঠক, youtube video seo জানলে খুব ভালো মানের আয় করা সম্ভব এবং কাজ পাওয়াও অনেক সহজ। ভিডিও এসইও এর মাধ্যমে জীবনে সাইন করা যায় এবং সুন্দর একটা স্বপ্নিল ক্যারিয়ার গড়া যায়।

ইউটিউব-ভিডিও-এসইও

ইউটিউবে থাকা ভিডিওগুলোতে অনেক ভাবে ইনকাম করা সম্ভব সেটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিপ্লেস ওয়েবসাইটগুলোতে এবং আউট অফ মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্লায়েন্ট হান্টিং বা গ্রাহক খুঁজে তাদের কাজ করে হ্যান্ডসাম করতে পারবেন প্রিয় পাঠক।

পেজ সূচীপত্রঃ ইউটিউব ভিডিও এসইও সহকারে আরো কিছু বিষয় জানুন

ইউটিউব ভিডিও এসইও

ইউটিউব ভিডিও এসইও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অত্যন্ত আশাবাদী চাহিদা সম্পন্ন এবং হ্যান্ডসাম ইনকাম করা যায় কি এমন একটা সেক্টর। ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোডের  মাধ্যমে যেমন ইনকাম করা যায় তদ্রূপ ইউটিউবের ভিডিওগুলো এসইও করার মাধ্যমে ইনকাম বা আয় করা যায়। আজকাল ফেসবুক স্ক্রলিং করলে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখলে অনেক এমন ভিডিও দেখা যায় যেগুলোতে বলা হয় ইউটিউব ভিডিও এসইও করার মাধ্যমে ইনকাম করুন। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নিন

আর এক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিও এসইও শিখুন এবং ভালোভাবে স্কিলস বা দক্ষতা অর্জন করুন। এরপরে ইনকাম বা আয় করার জন্য পরবর্তী স্টেপ বা ধাপগুলো অনুযায়ী কাজ করুন। youtube এ ভিডিওগুলো কিভাবে এসে করবেন এ ব্যাপারটি আপনাকে জানতে হবে। ইউটিউবের ভিডিও এসিও স্কিলস বা দক্ষতাটি অর্জনপূর্বক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটগুলো ঘুরে ঘুরে দেখুন এবং কাজ পাওয়া যায় কিনা এ ব্যাপারে ব্যাপারটি নিশ্চিত হন। 

আর অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে রিসার্চ বা গবেষণা করলে আপনি দেখতে পারবেন ইউটিউব ভিডিও এসইও করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষ অনেক নিম্ন থেকে মাঝারি এবং সর্বোচ্চ লেভেলের ডলার ইনকাম করতেছে। তাই আপনি youtube ভিডিও এসিও স্কিলটি অর্জন করার পরে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার, আপওয়ার্ক অথবা ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত ওয়েবসাইট গুলোতে একটি ইউজার নেম এবং ইমেইলের মাধ্যমে সর্বপ্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন বা সাইন আপ করতে হবে। এরপরে এই অ্যাকাউন্টটির ইমেইলটি ভেরিফিকেশন করতে হবে। 

এরপর একাউন্টটি কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে যেমন সুন্দর একটি এসইও ভিত্তিক ডিস্ক্রিপশন, সুন্দর একটি প্রফেশনাল মানের লোগো বা ছবি, এবং যেগুলো পর্যায়ক্রমে চাইবে সেগুলো পূরণ করতে হবে। আর বিশেষ করে আপনার নির্দিষ্ট একাউন্টটিতে আপনি যে কাজটা পারেন তার আকর্ষণীয় একটা বিবরণ দিতে হবে যাতে করে বিবরনটি পড়ে বারবার ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিতে বাধ্য হয়। 

এরপরে যদি ফ্রিল্যান্সার বা আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস হয় তাহলে প্রপোজাল বা প্রস্তাব পাঠাতে হয় কাজ করার জন্য। আর ফাইভারে প্রথমে আপনার কাজ রিলেটেড একটি গিগ (যেটি প্রোপজলের একটি অপর নাম) তৈরি করে আর সেই গিগটিকেও দ্বিতীয় এসইও করতে হবে। যাতে করে বায়াররা মার্কেটপ্লেস এর সার্চ বক্সে সার্চ করলে আপনার গিগ প্রথম দিকে যায় এবং আপনার আইডিটি ভালোভাবে দেখাশোনা করে আপনাকে কাজ দেয়। 

তাই গিগটিকে ভালোভাবে এসিও করতে হবে যাতে করে সার্চ করলে টপ রাঙ্কিং এ থকে। এরপরে গিগ এর উপর চোখ রাখতে হবে যাতে করে কোন ক্লায়েন্ট বা বায়ার মেসেজ করলেই সাথে সাথে রিপ্লাই করে কাজটি নেওয়া যায়, কারণ যত বেশি ইনস্ট্যান্ট রিপ্লাই করা যাবে কাজটির সাথে সাথেই পাওয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে মেসেজের রিপ্লাই টা অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং দৃষ্টি নন্দনকারী যেন হয় যাতে করে ক্লাইন্ট বুঝতে পারে যে আপনার স্কিল বা যোগ্যতা অনেক উন্নত। 

তাই আপনাকে ইংরেজি চর্চা করতে হবে আর ইংলিশ যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক ভাষা তাই এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বায়ার বা  ক্লায়েন্টদের সাথে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ করতে হয়। ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন, নিয়মিত শব্দার্থ বেশি বেশি মুখস্ত করতে পারেন। এবং বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং কিছু শর্টকাট সেন্টেন্স বা বাক্য রয়েছে যেগুলো আয়ত্ত রাখতে পারেন। সুপ্রিয় পাঠক, ইংরেজি আপনি খুব বেশি না জানলেও আপনাকে google translate ভালোভাবে হেল্প করতে পারবে, এজন্য গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করা শিখতে হবে। 

আরো কয়েকটা টুলস রয়েছে যেমন গ্রামারলি(Grammarly) এবং কুইলবোট (QuillBot) এর সাথে পরিচিত হতে হবে এবং ব্যবহার করা শিখে নিতে হবে। তাহলে ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে খুব বেশি হেল্প বা সাহায্য সহযোগিতা পাবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর বাইরে যেভাবে কাজ পেতে হয় সেটা এখন বলছি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর বাইরের জগত তাকে বলা হয় আউট অফ মার্কেটপ্লেস বা ক্লাইন্ট হান্টিং বা বায়ার কিংবা গ্রাহক হান্টিং মানে খোঁজা, 

অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্রেসার বাইরে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বায়ার বা ক্লায়েন্ট খোঁজা হয় যারা কাজ দিয়ে থাকে। যদি তাদের কাছে ভালোভাবে আপনার স্কিলটা পেশ করতে পারেন অবশ্যই কাজ পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। অথবা তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করতে পারেন যেগুলোতে মেসেজ পাঠিয়ে তাদের সাথে কানেক্ট হতে পারেন।

যেমন ইউটিউব ভিডিও এসইওগুলো করার জন্য বায়ার বা ক্লায়েন্টদের চ্যানেল খুঁজে বের করতে হয় আর এই চ্যানেলগুলো যেভাবে খুঁজতে হয় এটি হচ্ছে বিভিন্ন টুলস রয়েছে যেমন একটি টুলস বা ওয়েবসাইট রয়েছে চ্যানেল ক্রাউলার (Channel Crawler) রয়েছে আবার প্লেবোর্ড (Playborad) রয়েছে যেগুলো মাধ্যমে ফিল্টারিং করে বিভিন্নভাবে ক্লায়েন্ট হান্টিং করা যায় অর্থাৎ বায়ারদের ইউটিউব চ্যানেল খুঁজে পাওয়া যায়। 

যে চ্যানেল গলোতে তাদের ইমেইল অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন instagram, টুইটার, লিংকেডিন, ফেসবুক কিংবা তাদের ওয়েবসাইট পাওয়া যায় যেগুলো থেকে ইমেল সার্চ করে খুঁজে বার করে তাদের সাথে কানেক্ট হতে হয় ইমেইলের মাধ্যমে। আর এক্ষেত্রে খুবই আকর্ষণীয় একটি ইমেইল মেসেজ টেমপ্লেট তৈরি করতে হয়। আর email মেসেজ টেমপ্লেট এর মধ্যে নির্দিষ্ট বায়ারের চ্যানেলটি তার ভিডিও গুলো রিসার্চ বা গবেষণা করে এসইও সংক্রান্ত সমস্যাগুলো বের করতে হয়। 

যেমন তার টাইটেলটি ঠিক না থাকা, তার ডিসক্রিপশন টি উপযুক্ত না হওয়া, তার ট্যাগস বা কিওয়ার্ড না থাকা এবং সুন্দর একটি থাম্বনেইল না দেওয়া ইত্যাদি ভুলগুলো খুঁজে বার করতে হবে। আর এই জন্য ভিউ হয় না সাবস্ক্রাইবার বাড়ে না এবং জনগণের কাছে রিচ হয় না পৌঁছে না বা ইমপ্রেসন হয় না বিষয়গুলো ডিটেলসে বায়ারকে বুঝিয়ে বলা। আর এই বায়ারদের ভিডিওগুলো এসইও এর ভুলগুলো ধরার জন্য ২ টি টুলস সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা অবগত হওয়া। 

একটা টুলস হচ্ছে ভিডআইকিউ (Vidiq) আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে টিউব বাডি (Tube buddy)। আর দুইটি টুলস সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য ইউটিউব এর কয়েকটা চ্যানেল ফলো করতে পারেন। বিশেষ করে দুইটা চ্যানেল একটি হচ্ছে আকবর ভাইয়ের একে টেকনোলজি আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ফরহাদ হোসেন ভাইয়ের ফ্রিল্যান্সিং উইথ ফরহাদ। 

এই দুইটি চ্যানেলে খুব সুন্দর ভাবে দুইটি টুলস এর টিউটোরিয়াল দেওয়া আছে। তাদের ভিডিওগুলো মনোযোগ সহকারে দেখলে আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি আপনি অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও এসইএ (YouTube video seo) সম্পর্কে খুব সহজেই এক্সপার্ট বা দক্ষ হয়ে যেতে পারবেন। আর এই দক্ষতা বা এক্সপার্ট দেশের মাধ্যমেই আপনার ক্লায়েন্ট বা বায়ারদের ভিডিওগুলো এসইও করা একদম সহজ হয়ে যাবে।

কিভাবে ইউটিউবে এসইও করতে হয়

ইউটিউব ভিডিও এসইও করার আগে আপনাকে যে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হচ্ছে যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে আগে সঠিকভাবে এসইও করতে হবে। তো এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেল এসইও করেন অথবা ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও এস ই ও করেন উপরে উল্লেখিত দুইটি টুলস অর্থাৎ ভিডআইকিউ এবং টিউব বাডি ফলো করতে হবে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন টুলস এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল এবং ভিডিও করা যায় যেগুলো পর্যায়ক্রমে লিখতেছি। 

যে টুলসগুলোর মাধ্যমে এসিও করা যায় সেগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ ও ইন্টারেস্টিং এবং ঐগুলো নিম্নে উল্লেখ করছি। মন দিয়ে টুলসগুলো রিসার্চ করলে SEO করা একিবারে পানির মত ইজি বা সহজ।
  • ভিডআইকিউ VidIQ
  • টিউব বাডি Tube Buddy
  • মোজ Moz
  • ইউটিউব স্টুডিও অ্যানালাইটিক্স YouTube Studio Analytics
  • গুগল অ্যাডস কিওয়ার্ড প্লানার Google Ads Keyword Planner
  • র‍্যাপিড ট্যাগস ডট আয়ো Rapidtags.io
  • ইউটিউব সার্চ রেজাল্টস  YouTube Search Results
  • ভিড আই কিউ এবং টিউব বাডি রেজাল্টস Vidiq and tube results
  • ভিডিও এসিও হ্যাশট্যাগ জেনারেটর অথবা Best Hastags
  • এইচ সুপার টুলস ডট কম h-supertool.com
এছাড়াও, আহরেফস ও সেমরাশ (Ahrefs & Semrush) রয়েছে। 

সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে ইউটিউবের অবস্থান কত?

সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে youtube যত অবস্থান বিষয়টি খোলাসা করার চেষ্টা করছি। আপনাকে সর্বপ্রথম আমি জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন কি? সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে যে ওয়েবসাইটে বা অ্যাপসে সারা বিশ্বের মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ বা খুঁকে বার করে এবং সে বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়। বিভিন্ন বিষয় জানার জন্য আজ মানুষকে খুব বেশি কষ্ট করা লাগে না সার্চ ইঞ্জিন এর মত ওয়েবসাইটগুলোতে সার্চ বক্সে আপনার জানার আগ্রহের কিওয়ার্ড বা শব্দ বা বাক্যটি লিখে দিলেই সহজেই হাজার হাজার রেজাল্ট ফলাফল আপনার সামনে এনে দিবে। 

আর আপনি ফলাফল গুলি থেকে আপনার কাঙ্খিত আগ্রহান্বিত জানার বিষয়টি অবহিত হয়ে আমরা জ্ঞানস ভান্ডারকে সমুদ্রে পরিণত করতে পারবেন। বিশ্বব্যাপী টেকনোলজি বা প্রযুক্তির এই সেরা যুগে যে সাচ ইঞ্জিনটা সবচেয়ে বেশি টপ লেভেলের এবং জায়গা দখল করে রয়েছে সেটি হচ্ছে গুগল Google। আর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বিং Bing। 

এরপরে ভিডিও পাওয়ার জন্য ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যে ওয়েবসাইট বা অ্যাপসটি পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করে আছে সেটি হচ্ছে ইউটিউব।ইউটিউবের লক্ষ লক্ষ ভিডিও রয়েছে ভিডিওগুলো থেকে মানুষ প্রত্যেকদিন অনেক বিষয়েই জানতে পারছে। 

আর ইউটিউব প্লাটফর্মটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত আবার ভিডিও সার্চ ইঞ্জিন হিসেবেও পরিচিত। তো পৃথিবীর মধ্যে গুগলের করে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভিডিওর সাথে ইঞ্জিন ইউটিউব। প্রিয় পাঠক, আপনিও ইউটিউব এর মতো সার্চ ইঞ্জিনে অবগত হওয়ার টপিক রিলেটেড কিওয়ার্ডটি দিলেঈ কাংখিত রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। ট্রাই করে দেখতে পারেন।

ইউটিউবে এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ইউটিউব ভিডিও এসইও youtube এর মধ্যে কেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি স্পষ্ট করছি। ইউটিউব চ্যানেল খুলে শুধু একটি ক্যামেরার মাধ্যমে বা স্মার্টফোন ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও বানিয়ে চ্যানেলে আপলোড করলেই কাজ হবে না বা কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাবেন না। আর ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে টাকা ইনকাম। 
ইউটিউবে-এসইও-কেন-গুরুত্বপূর্ণ
আর টাকা ইনকামের জন্য যে ভিডিওগুলো থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন সেটা যদি মানুষের কাছে না পৌঁছে যাকে রিচ বা ইম্প্রেশন বলা হয় তাহলে মানুষ আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে কেমনে আর আপনার ভিডিও ভিউ হবে কেমনে? তাই ইউটিউবে ভিডিও আপলোড এর জন্য সর্বপ্রথমে ভিডিওটিতে বিভিন্ন কিওয়ার্ড এবং ট্যাগস দিয়ে যথাযথ পারফেক্ট এসইও করতে হয়। 

যার ফলে আপনার ভিডিও গুলো আপনার নির্দিষ্ট অডিয়েন্সের সামনে এসইও করার মাধ্যমে চলে যায়। ভিডিও গুলো দেখে দর্শকরা মজা পেলে বা জ্ঞান লাভ করতে পারলে আপনার ভিডিওগুলো থেকে অবশ্যই ভিডিওগুলো শেষ পর্যন্ত দেখা কন্টিনিউ করবে এবং ভিডিওর ওয়াচ টাইম বাড়বে আর প্রয়োজন হলে তারা সাবস্ক্রাইব ও করবে। 

কারণ আপনার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করলে সামনে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলো পেয়ে যাবে ফলে আপনার ভিডিওগুলো আবারো তারা দেখবে যেহেতু আপনার ভিডিও থেকে তারা উপকৃত হচ্ছে হয় মজা পাচ্ছে বা জ্ঞান পাচ্ছে ইত্যাদি।

ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকে মাসে যত টাকা আয় করতে পারবেন বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি। প্রকৃতপক্ষে ইউটিউব থেকে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন সেটা আপনার কাজের উপর নির্ভর করবে। আপনি কেমন কাজ করছেন ধৈর্য ধারণ করে প্রতিদিন একটি করে ভিডিও বা প্রতি সপ্তাহে দুইটি বা তিনটি করে ভিডিও আপলোড করছেন কিনা? 

আবার আপনার ভিডিও মান গুলো কেমন হচ্ছে, ভিডিও কোয়ালিটি সুন্দর হচ্ছে কিনা এটা লক্ষণীয়। আবার সঠিকভাবে ভিডিওটি এসইও করা হচ্ছে কিনা সেটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তো এইসব বিষয়গুলো লক্ষ্য করে কাজ করলে আপনি অনেক দামি হ্যান্ডসাম একটা ইনকাম বা রোজগার করতে পারবে। 

ইউটিউব চ্যানেলটি যখন ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে এবং ৪০০০ ঘন্টা অফ টাইম হয়ে যাবে তখন আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ বা টাকা ইনকামের জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে উপযুক্ত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে গুগল এডসেন্সে একটা অ্যাকাউন্ট করতে হবে যেটির মাধ্যমে অ্যাড শো করে ইনকাম হবে। যেহেতু ইউটিউব গুগলের একটি প্রোডাক্ট বা প্লাটফরম। 

ইউটিউব চ্যানেলটি মনিটাইজ হওয়ার পর আপনার ভিডিওর ভিউ অনুযায়ী ইনকাম হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই অনেক টাকা ইনকাম। সাবস্ক্রাইবার সংখ্যাটা ও লক্ষণীয় যেহেতু সাবস্ক্রাইবার যত বেশি হবে তত বেশি লোকের কাছে আপনার ভিডিওটি পৌঁছে যাবে এবং তারা দেখলেই ভিউ বাড়বে। আর ভিউ বেশি হলেই বেশি টাকা ইনকাম হবে। 

এ ব্যাপারটিতে কারো ৫হাজার, দশ হাজার, পনেরো হাজার, ২০০০০, ৫০০০০, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ, ১০ লাখ  প্লাস ইনকাম করতে পারবেন। আর এই বড় অ্যমাউন্টের আয়ের সংখ্যাগুলো বড় বড় চ্যানেলগুলো আয় বা ইনকাম করতেছে। আপনিও ইনকাম করতে পারবেন একটা বড় টিম করে কাজ করলে বড় মানের অ্যামাউন্ট।

নতুন ইউটিউব চ্যানেল চালু হতে কতদিন লাগে?

নতুন ইউটিউব চ্যানেল চালু হতে যতদিন সময় লাগবে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। আসলেই একটা ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করার পরে সঠিকভাবে সঠিক স্ট্রাটেজি মেনটেইন করে কাজ করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চ্যানেলটি ভাইরাল করতে পারবেন। আর চালু হওয়ার বিষয়টি অর্থাৎ একটি জিমেইলের মাধ্যমে একাউন্ট টা খুল্লেই সাথে সাথেই আপনি ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন। 

আর এই ভিডিওগুলো প্রপার ওয়েতে এসইও করলে 24 ঘন্টার মধ্যেই আপনার চ্যানেলটি মানুষের কাছে রিচ করাতে বা পৌঁছাতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে ভিডিওটির প্রতি চোখ কান খোলা রাখতে হবে কেউ কমেন্ট করলে সাথে সাথে কমেন্টের উত্তর দিতে হবে। আবার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে হবে। 

আবার ভিডিওটির কমেন্ট বক্সটা চেক করে দেখতে হবে যে কে কি বলতেছে সেগুলো থেকে আপনার দর্শকদের সাজেশন গুলো গুরুত্ব দিতে হবে। এবং পরবর্তীতে সে অনুযায়ী দর্শকরা কে কি চাচ্ছে কিভাবে ভিডিও চাচ্ছে কোন টপিক বা নিশের উপর ভিডিও চাচ্ছে বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে গুরুত্ব দিতে হবে। এবং সামনে দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী ভিডিও বানাতে হবে। 

রেগুলার বা নিয়মিত ইউটিউব চ্যানেলটিতে ভিডিও আপলোড করলেই বা দিলেই আপনার চ্যানেলটি একমাস, ২ মাস অথবা সর্বোচ্চ 3 মাস এর মধ্যেই কাঙ্খিত স্থানে বা পর্যায়ে আমরা চ্যানেলটি আপনি দেখতে পাবেন। তবে শর্ত হলো ভিডিওর কোয়ালিটি মেন্টেন করে দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিডিও দিতে হবে।

ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা?

ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা বিষয়টি খোলাসা করছি। সম্মানিত ভিউয়ার ও লিশেনার, ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলোর একবার দেখলে একটা ভিউ কাউন্ট হয়। অর্থাৎ ভিউ মানে দেখা যতবার দেখা হয় ততগুলো ভিউ কাউন্টার তবে নির্দিষ্ট একটি জিমেইল থেকে স্বতন্ত্রভাবে দেখতে হবে তাহলে একটি করে ভিউ বা দেখা ধর্তব্য হবে। 

youtube এর শর্ট ভিডিওগুলোতে 1000 ভিউ হলে তিন ডলার প্লাস আয় হয়ে থাকে। আর লং ভিডিও গুলোতে 1000 ভিউ হলে এক থেকে ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় বা ইনকাম হতে পারে। ১০ হাজার ভিউ হলে ৫০ থেকে ৭০ ডলার পর্যন্ত আয় বা উপার্জন হতে পারে। এক্ষেত্রে যেহেতু ভিডিও গুলোতে এড শো করার মাধ্যমে ইনকামগুলো হয়ে থাকে। 

কাজেই এডস এর ক্ষেত্রে কয়েকটি দেখার বিষয় রয়েছে। মধ্যে একটি হচ্ছে যে অ্যাডটি শো করছে আপনার ভিডিওতে সেটির মান কেমন? আবার সেই অ্যাডটির বাজেট কেমন এবং ওই অ্যাডটি দর্শকরা দেখছে কতটুক সময় ধরে এইসব বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে ডলারের বিষয়টা বাড়ে কমে। তাই আপনি ভিউ বেশি হবে এমন ভিডিও দর্শকদের উপহার দেন দেখবেন ভালো ইনকাম হচ্ছে।

ইউটিউবে জনপ্রিয় হতে কতদিন লাগে?

ইউটিউব ভিডিও এসইও এর গুরুত্ব কতটুকু বিষয়টি ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছি। তো এখানে ইউটিউবে জনপ্রিয় হওয়ার বিষয়টি যতদিন লাগে এটি ইউটিউব ভিডিও এসইও এর সাথে খুবই গভীরভাবে সম্পৃক্ত। আপনাকে ব্লগটির মধ্যে বারবার বলে এসেছি যে যে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে পারফেক্টলি এসইও করেন। তাহলে চ্যানেলটি সার্চ ইঞ্জিনে শো করবে এবং বিভিন্ন জায়গায় সাজেস্ট করবে ইউটিউব।

আরো পড়ুনঃ 2024 সালের ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সহজ কাজ

এবং চ্যানেলের ভিডিওগুলোকে যথাযথ এসইও করেন তাহলে দেখবেন সময় লাগবে না, দেরিও হবে না খুব স্বল্প সময়ের ভিতরে আপনার ভিডিওগুলো ইউটিউবে দর্শক শ্রোতার কাছে চলে যাবে এবং ভিডিও গুলো বেশি তারা দেখবে। যেহেতু আপনার ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হচ্ছে, ভিডিও এডিটিং ভালো হচ্ছে, ভিডিও কালারিং ভালো হচ্ছে, এবং বিশেষ করে ভিডিও এসইও পারফেক্ট হচ্ছে। বিধায় খুব কম সময়ের মধ্যেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি জনপ্রিয় বা ভাইরাল হয়ে যাবে

ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায়?

ইউটিউব থেকে যেভাবে টাকা তোলা যায় সে বিষয়টি এখন স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি। প্রিয় পাঠক, আপনার ইউটিউবের চ্যানেলটি যখন মনিটাইজ হয়ে যাবে এরপরে চ্যানেলটিতে ১০০ ডলার আয় হবে তখন আপনি আপনার টাকা বা ডলার গুলো উত্তোলন করতে পারবেন। এই ডলারগুলো তোলা বা উত্তোলন করার জন্য চ্যানেলটির সাথে আপনার দেশীয় পেমেন্ট মেথড কানেক্ট করতে হবে। আর প্রথমেই গুগল এডসেন্স একাউন্টটি চ্যানেলটির সাথে যুক্ত করতে হবে। 
ইউটিউব-থেকে-টাকা-তোলার-উপায়
এবং গুগল এডসেন্স একাউন্ট দিতেই আপনার ইউটিউব এর টাকা গুলো বা ডলারগুলো জমা হবে। আর গুগল এডসেন্স একাউন্টের মধ্যেই আপনার নির্দিষ্ট এড্রেস দেওয়া থাকবে। এক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্ট যেগুলো সাপোর্ট করে গুগল এডসেন্স সেগুলো নির্দিষ্ট অ্যাড্রেস দিতে হবে। তাহলেই ১০০ ডলার হলেই গুগল এডসেন্সে ডলারগুলো উড্র বা উত্তোলনের জন্য আবেদন করলে আপনার ব্যাংক একাউন্টে আপনার ডলার গুলো টাকায় রূপান্তরিত হয়ে চলে আসবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

ইউটিউব ভিডিও এসইও সহকারে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি উক্ত আর্টিকেলটির মধ্যে বিস্তারিত খোলাসা করে লেখার চেষ্টা করেছি। তো প্রিয় পাঠক, আপনি উল্লেখিত আর্টিকেলটি পড়লে আর পাশাপাশি মনোযোগ প্রদান করলে অবশ্যই ইউটিউব ভিডিও এসইও সম্পর্কে সারসংক্ষেপ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন। যাই হোক যদি এই ব্লগটি থেকে ন্যূনতম উপকৃত হতে পারেন তাহলে আমাদের সাথেই থাকবেন। পরবর্তীতে আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url