২০২৪ সালের বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ১০টি মোবাইল কোনগুলো পড়ুন
পড়াশুনা বিষয়ক ওয়েবসাইট সেরা ১০টিবাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি বিষয়টি এখন লেখব। যে মোবাইল ফোনটি আপনি ব্যবহার করবেন সেটি যদি ভালো নয় একটুতেই ডিস্টার্ব করে তাহলে ফোনটি চালিয়ে আপনি শান্তি পাবেন না তাই না? তো আজকে আমরা জানাবো যে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো দশটি মোবাইল ফোন সম্পর্কে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো কোন মোবাইলটা বিষয়টি সবার জানার আগ্রহ থাকে। তাই আজকে আমরা আপনার সামনে অতিদ্রুতি পেশ করতে যাচ্ছি দশটি সেরা মোবাইল ফোন এর ব্যাপারে। তো চলুন শুরু করি।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি সংশ্লিষ্ট বিষয় সহকারে বিস্তারিত জানুনবাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি বিষয়টি আপনার সম্মুখে পেশ করছি। যুগ ও কালের আবর্তনে ও বিবর্তনে যতদিন যাচ্ছে আমরা মোবাইল ফোন এর প্রতি আসক্ত হচ্ছি। যেহেতু চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলতেছে সেহেতু আমাদের জানা দরকার বাংলাদেশের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে বেশি ভালো।
মূলত ভালো হওয়ার দাবি রাখে ব্যবহার করতে যদি আরামদায়ক, চার্জ বেশি থাকে, ফুলের ক্যামেরা ভালো হতে হবে আর দামটা মোটামুটি কম হলেই চলবে বিষয়গুলো জানতে হবে। তো চলুন দেরি না করে আমরা জেনে নেই যে ভালো মোবাইল কোনটি বিভিন্ন দিক দিয়ে। নিম্নে ১০টি মোবাইল ফোনের বিষয়ে লিখছি।
স্যামসাং (Samsung) মোবাইল ফোন
স্যামসাং মোবাইল ফোন সাউথ কোরিয়ান দক্ষিণ কোরিয়ান মোবাইল কোম্পানি সর্বপ্রথম ১৯৬৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এরপরে ১৯৮৮ সালে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছিল চিকিৎসা বিষয় দিয়ে।এর ১৯৯৬ সালে দুনিয়া ব্যাপি এই ফোনটি ছড়িয়ে পড়ল। ২০২৪ সালে এসে samsung মোবাইল ফোনটি অনেক ফিচার সহকারে উপস্থিত হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 বিস্তারিত জানুন
স্যামসাং মোবাইল এর দাম সর্বনিম্ন ৯৯৯ টাকা থেকে শুরু এবং সর্বোচ্চ ১২৯০০০ + টাকা। স্যামসাং এর মোবাইলের ব্যাটারীর চার্জ ব্যাকাপও ভালো। বিভিন্ন ফিচার যুক্ত হয়েছে। স্যামসাং এর বৈচিত্র রয়েছে অর্থাৎ বাটন ফোন যেমন রয়েছে অনুরুপ অ্যান্ড্রয়েড টাচ ফোন রয়েছে যেগুলো যেকোনো ভারী ভারী অ্যাপ সাপোর্টকারী এবং স্যামসাং এর ক্যামেরা এবং ভিডিও ধারণ ক্যাপাসিটি অত্যান্ত সুন্দর ও ফ্রেশ।
শাওমি (Xiaomi) মোবাইল ফোন
শাওমি মোবাইল ফোন বাংলাদেশে অনেক ভালো একটি মোবাইল কোম্পানী। এটির বহু ভেরিয়েশন রয়েছে যেমন শাওমি এর একটি শাখা কোম্পানী সেটি নোট ৭/৮/৯ এবং নোট টেন এস ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন সিরিজ হিসাবে এখন বাজারে এসেছে যেমন রেডমি সিরিজ, পোকো সিরিজ আবার এমআই সিরিজ ইত্যাদি। নিম্নে বিষয়টি খোলাসা করছি।
বর্তমানে redmi এর যে মডেল গুলো বাজারে এসেছে সেগুলো হলো redmi note 6
pro, redmi note 7 pro, redmi note ৮, রেডমি নোট ৯ এসেছে। আবার রেডমি
নোট ১০, ১১, ১২ এমনকি রেডমি ১৩ ও বাজারে এসে গেছে। রেডমি মডেল
গুলোর বিবেচনায় দাম ঠিক হয়ে থাকে। কারণ, মডেল যত উপরে যাবে তার ফিচারগুলো
তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর এই ফিচার অনুপাতেই দাম কম বেশি হয়ে
থাকে অর্থাৎ যত সুবিধা তত বেশি দাম।
আরেকটি সিরিজ হচ্ছে পোকা সিরিজ। আর পোকা সিরিজের মধ্যে পোকা এক্স থ্রি প্রো
এবং পোকা এমথ্রি প্রো সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে পপুলারিটি বা জনপ্রিয়তা অর্জন
করেছে। কারণ, পোকা এর এই মডেল গুলোর দাম একটু সাশ্রয়ী এবং ফিচার গুলো
ভালই দিয়েছে। আর ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক সুন্দর শক্ত। আর এই
সেটের মাঝে প্রি ইন্সটল করা পোকো এর পক্ষ থেকে কিছু কার্যকরী অ্যাপও
রয়েছে।
Xiaomi এর আরেকটি সিরিজ ব্রান্ড হচ্ছে এমআই। এটির বর্তমানে বাজারে একটি মডেল এসেছে এম আই ১১ যেটি অত্যন্ত ভালো। কারণ, তার ফিচারগুলো untra উন্নত, এবং কোয়ালিটি ফুল। এতে এক্সটেন্ডেড র্যাম, স্নাপ ড্রাগন প্রসেসর এবং তার ডিসপ্লে হচ্ছে অ্যামোলেড এমনকি তাতে উন্নত প্রযুক্তির সেন্সর ক্যামেরা আছে। এই জন্য বাংলাদেশ এই ফোন সিরিজটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি বিষয়টি এই আর্টিকেলে তখন যখন এটির দ্বারা আপনি উপকৃত হবেন।
ইনফিনিক্স (Infinix) মোবাইল ফোন
Infinix mobile phone প্রকৃতপক্ষে হংকং দেশের তৈরি করা। এটি বর্তমানে সব ধরনের দামি পাওয়া যায়, লো বাজেটে রয়েছে, মধ্যম বাজেটে রয়েছে আবার সর্বোচ্চ বাজেট রয়েছে। ফোনটির ডিসপ্লে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে ডিজাইন করা হয়েছে। ডিসপ্লের রেজুলেশন খুব উন্নত মানের, স্ক্রিন স্বচ্ছ এবং পাতলা, আর এখন এর ভিতরে ক্যামেরায় সেন্সর লাগানো আছে।
আর ফোনটিতে সেলফি ছবি তোলার জন্য খুবই উপযোগী একটি ফোন হতে পারে। মোবাইলটিতে তার সাইজ অনুসারে এক এক ফোনের এক এক ব্যাটারি লাগানো রয়েছে। আর এ কোম্পানির প্রায় সব ফোনের ব্যাটারি ৫০০০ অ্যাম্পিয়ার এর মত হয়ে থাকে। ইনফিনিক্স ফোনের এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহারকারীর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং অতিরিক্ত ফিচার দিয়ে সেটিং করা আছে।
ইনফিনিক্স এর ব্লুটুথ সংযোগ, ডাটা কানেক্টিভিটি খুবই স্টান্ডার মানের যদি খুব অল্পতেই সংযোগ হয়ে যায়। এই ইনফিনিক্স ফোন এর দাম বা মূল্য ৬ হাজার থেকে আরম্ভ করে, দশ হাজার, বিশ হাজার, এমনকি পঁচিশ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যেও পাওয়া যায়।
অ্যাপেলের (iPhone)আইফোন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যাপেলের আইফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর সংখ্যা কম নয়। কারণ হিসেবে যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে যে এই ফোনটির বিশেষ কিছু গুনাগুন ও বিশেষত্ব রয়েছে। আইফোনের যেগুলো নিউ ভার্সনের নতুন মডেল বাজারে এসেছে এগুলোর দাম অনেক বেশি।
তাই আপনি যদি একজন iphone ব্যবহারকারী হতে আপনার স্বাদ জাগে তাহলে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্টলে, দোকানে, অফলাইনে, অনলাইনে সেকেন্ড হ্যান্ড বা একবার ব্যবহার করা iphone পাওয়া যায় যেগুলো নিয়েও আপনি iphone এর স্বাদ মেটাতে পারেন অর্থাৎ দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মত। আইফোনের দাম বিভিন্ন রকম রয়েছে সর্বনিম্ন দাম হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা।
এবং সর্বোচ্চ এক লাখ, দেড় লাখ, দুই লাখ, আড়াই লাখ মানে এইভাবে রয়েছে। ব্যবহৃত আইফোনের দাম ৫০০০, ৬ হাজার, ৭ হাজার, ৮ হাজার, আবার ১৭ হাজার, আঠার হাজার, ৩২ হাজার, আটচল্লিশ হাজার, ১২ হাজার এমনকি ১৩ হাজার টাকা দামেরও আইফোন রয়েছে।
ওয়ান প্লাস (One Plus) মোবাইল ফোন
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি এর আরেকটি হচ্ছে ওয়ান প্লাস মোবাইল ফোন যেটি চায়না কোম্পানির। এটিও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওয়ান প্লাস এটি বিভিন্ন কম দাম, বেশি দাম, সাশ্রয়ী দামেও পাওয়া যায়। এবং নতুন ও পাওয়া যায় পুরাতন ও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে খুব কম দামে এটি বিক্রি হয়। এটি দেখতে যেমন সুন্দর অনুরুপ এর ব্যবহারকারীকে খুবই আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
এর ভিতরে অত্যন্ত উচ্চমানের প্রসেসর লাগা থাকে ফলে হাইগ্রাফিক্সের গেমও খেলা যায়। এবং এর ভিতরকার প্রযুক্তি গুলো ফিচারগুলো হাই ডিমান্ডেড। ওয়ান প্লাস এর বৈচিত্র্যময় মডেল ও সিরিজ রয়েছে। এটি ওয়ান প্লাস ফাইভ, সিক্স, সেভেন, এইট, নাইন, আর সবগুলোরই পুরো রয়েছে। আর এটির প্রসেসর হাই লেভেলের হাওয়ায় ফাইভ জি গতিসম্পন্ন।
বাংলাদেশে এই ফোনের দাম গুলো ১২০০০, ৩৫ হাজার, ৪০ হাজার, এবং ৬০০০০ টাকারও ওয়ান প্লাস ফোন রয়েছে। আবার এই ফোনটি ১৭ হাজার, ২৮ হাজার, ৩১ হাজার, ৩৮ হাজার এবং ৪২০০০ টাকারও ফোন রয়েছে। আপনি আপনার বাজেট অনুসারে নিতে পারেন। যেমন দাম দিয়ে নিবেন তেমন হাই ফিগারেশন ফিচার পাবেন।