সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো কী যেগুলো খুবই গুরত্বপূর্ণ জানুন
শরীর দুর্বল হলে কি ভিটামিন খেতে হবেসবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো কী সেগুলো আজকের আর্টিকেলটিতে স্পষ্টভাবে লিখতেছি। ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর স্বাস্থবান এবং সুস্বাস্থের অধিকারী হওয়া যায়। ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী এবং কার্যকরী ব্যায়াম বা শরীর চর্চা হচ্ছে হাঁটাহাঁটি করা এবং দৌড়ানো।
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি সুচারুরূপে পড়লে ব্যায়ামের মধ্যে কার্যকরী এবং উপকারী ব্যায়াম কোনটি এবং কি কি সেগুলো জানতে পারবেন। তো চলুন আর দেরি না করে বিষয়টি শুরু করা যাক।
পেজ সূচীপত্রঃ সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো কী যেগুলো খুবই গুরত্বপূর্ণ বিস্তারিত জানুনসবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম
সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করছি। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ। যার স্বাস্থ সুস্বাস্থ্য থাকবে সেই হবে সুখী এবং শান্তি প্রিয় মানুষ। কারণ স্বাস্থ্য এবং মন দুইটা ওতপ্রতভাবে জড়িত। একটা খারাপ হলে আরেকটা খারাপ হয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্য এবং অন্তরকে ঠিক রাখতে বেশ কিছু ব্যায়ামের সাথে পরিচিত হলে এ ব্যায়ামটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং কার্যকরী হতে পারে।
তবে কি ধরনের আপনি ব্যায়াম করবেন সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝতে হবে যে কোন ব্যায়ামটা করলে আপনার শরীর সেটি সইতে পারবে। অন্যথায় লাভের আশায় ব্যায়াম করতে গিয়ে ক্ষতি বেশি হয়ে যেতে পারে। অতএব বিষয়টিকে খুব খুবই চিন্তার সাথে সতর্কতা সহকারে পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত। নিচে সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো হতে পারে সেগুলো নিয়ে লিখলাম।
হাঁটাঃ সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে আপনাকে হাঁটতে হবে সেটা যে কোন সময় হবে দিনে হোক বা রাতে হোক সকালে হোক বা বিকেলে বা রাতের যে কোন সময়। তবে সকালে হাটাটা সবচেয়ে বেশি ভালো বিশেষজ্ঞদের কাছে, কারণ সকালের হাওয়া আবহাওয়া অনেক ফ্রেশ থাকে সুন্দর থাকে দূষণ মুক্ত থাকে। এজন্য যে দিনের বেলায় যে সমস্ত আকাশে বাতাসে ধোঁয়া ধুলোবালি ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো সেগুলো রাতে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে যায়।
তাই সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হলেও আপনাকে হাঁটতে হবে। হাঁটার কারণে আপনার মানসিক বিষন্নতা দূর হবে, শরীরে থাকা ক্লান্তি অবসাদ দূর হবে, আবার এই হাঁটা চলার মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, রক্ত চলাচল বা রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে। আবার আপনার যদি কোষ্ঠ কাঠিন্যতা দেখা যায় তাহলে হাঁটলে আপনার পাচন ক্রিয়া অর্থাৎ পায়খানা হওয়ার জন্য যে সমস্ত নাড়ী ভুরি গুলোর রস রয়েছে এগুলো পিচ্ছিল হবে।
ফলে একটা সময় আপনার মলকে নরম করবে এবং এবং মলত্যাগ হতে বাধ্য
করবে। এছাড়াও হাঁটা চলার আরো বিভিন্ন ও উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আপনার মনের
অজান্তেই উপকার পেয়ে যাবেন। তাই আপনাকে হাঁটতে হবে হাঁটার বিকল্প নেই সুস্থ
থাকতে চান। আরেকটা বিষয় হাঁটার মাধ্যমে আপনার শরীরে যদি মেদ ভরে বেড়ে যায়
অথবা অযাচিত ওজন বেড়ে যায় তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেও সহযোগিতা করে। তাই বেশি
বেশি হাঁটুন!!
আরো পড়ুনঃ অত্যাধুনিক যুগে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কত রকম জানতেই হবে
দৌড়ানোঃ আপনি প্রত্যেক দিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট দৌড়াতে পারেন, কারণ এর মাধ্যমে আপনি ৩০ মিনিট টানা দৌড়ালে যে উপকার সাধন হয় সেটা অর্জন হবে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কমিটির মতে। দৌড়ানোর নিয়ম হচ্ছে আপনি সর্বপ্রথমে শরীর গরম করবেন যাকে ওয়ার্ম আপ বলা হয় পাঁচ মিনিট। এরপর এক মিনিট দৌড়াবেন দুই মিনিট হাঁটবেন এরকম পুনরাবৃত্তি করতে থাকবেন প্রায় 15 মিনিট।
দৌড়ানোর জন্য আপনার ভিতরের হতাশা দুরাশা দূর হবে। বিশেষ করে আপনার হার্ট বা হৃদযন্ত্রের অথবা ডায়াবেটিস জনিত কোন সমস্যা থাকলে দৌড়ানোর কারণে আপনি অনেক সুফল পাবেন। বিশ্বে দৌড়ানোর বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। বিশ্ব বিখ্যাত দৌড় প্রতিযোগিতার একটি নাম হচ্ছে ম্যারাথন। ম্যারাথলে দৌড়িয়ে মানুষ আজ বিশ্বজয় করছে এমনকি গিনেসবুকে তাদের নাম লেখাচ্ছে।তাই রেগুলার দৌড়ানোর প্র্যাকটিস করুন এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করুন।
চালানোঃ আপনি বিভিন্ন যানবাহন চালাতে পারেন যেগুলো পায়ে বা হাতে চালাতে হয়। আপনি এক্ষেত্রে নৌকা চালাতে পারেন, বিশেষ করে সাইকেল চালাতে পারেন। কারণ আজ বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছে যে সাইকেল চালালে আপনার স্ট্রোক কমে যেতে পারে, যদি উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সাইকেল চালানোতে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর হৃদযন্ত্রের কোলেস্টেরল দূর করে আপনাকে একটা কার্যকরী ফায়দা দিতে পারে।
এছাড়াও, আপনি যখন সাইকেল চালান তখন কিন্তু আপনার মন থাকে রাস্তার দিকে ফলে এক্ষেত্রে আপনি মনোযোগ সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগলে এটি আপনার একাগ্রতা বাড়াতে পারে।আপনার শরীরে যে ক্যালোরি হল জমা হয় এগুলো যদি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে আমরা শরীর রোগের বাসা বাঁধতে পারে, তাই আপনি সাইকেল চালানোর মাধ্যমে ক্যালরি বার্ন করতে পারেন। কাজেই সাইকেল চালান এবং উক্ত উপকারগুলো পেয়ে ধন্য হয়ে যান।
সাঁতার কাটাঃ সাঁতার কাটা খুবই উপকারী একটা ব্যায়াম। আর আপনার এই সাঁতার কাটা কাটা শিখাটা ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সে হতে তিন বছর থেকে শুরু করে ৭৩ বছর পর্যন্ত শিখার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন। প্রতিদিন কমপক্ষে মিনিট ধরে সাঁতার কাটলে উপকার পাওয়া যায়। তবে সপ্তাহে দুই দিন সাঁতার কাটলে একটু বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটতে হবে। সাঁতার কাটার মাধ্যমে আপনার উপকার গুলো হবে সেগুলো হচ্ছে যেমন- আপনার শরীরের যে গ্রন্থি বা লিগামেন্ট রয়েছে সেগুলো উন্নত হতে সহায়ক হবে।
একটা গবেষণায় উঠে এসেছে রেগুলার নিয়মিত আপনি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সাঁতার কাটলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০ থেকে ৪০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আবার এমনকি আপনি যদি ভালো সাঁতারু হন তাহলে এর মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে সেটা কোন ফাঁকে দূর হয়ে যাবে আপনি টেরও পাবেন না। তাই সাতার কাটুন এবং উপকারগুলো গ্রহণ করুন।
ওজন উঠা বা বহন করাঃ আপনি যদি প্রতিদিন ওজন উঠা বা বহন করেন তাহলে এটির মাধ্যমেও আপনি বিভিন্ন উপকার পাবেন আর যদি সহজে একটি কাজ মনে হয় আমার কাছে যদিও সবার কাছে এটি সহজ নয়। তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে ওজন উঠালে বা বহন করলে আপনার শরীর সেটা বহন করতে সক্ষম হবে কিনা।
আবার শরীরের কোন জায়গা ছেড়ে যাওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়া বা শরীর যদি দুর্বল থাকে তাহলে তাহলে এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করায়। অপর পক্ষে ভার বহন করলে আপনার শরীরের ওজন কমবে, হাড় শক্ত হবে আবার পায়ের যে পেশীগুলো রয়েছে সেগুলো শক্তিশালী হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা পূর্বক বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত।
স্ট্রেন্থঃ স্ট্রেন্থ মানে টানা বা দীর্ঘ করা। আপনি যদি আপনার শরীরের মধ্যেকার পা এবং হাত বিভিন্নভাবে টানেন তাহলে এর দ্বারা অনেক উপকৃত হতে পারেন। আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন তাহলে এই ব্যায়ামটি করার মাধ্যমে আপনার অস্থিসন্ধি হাড় পেশি অনেক শক্তিশালী হবে। কারণ স্ট্রেন্থ এর অর্থই হলো টানা বা শক্তিশালী করা। তবে সঠিকভাবে এই ব্যায়ামটি করতে না পারলে আপনার আঘাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যায়ামটি করুন।
পুশআপঃ পুশআপকে প্রচলিত বাংলা ভাষায় বুক ডাউনও বলা হয় আবার এটি ফ্লোর ডিপ নামেও পরিচিত। পুশআপ করার নিয়ম হচ্ছে আপনি আপনার শরীরকে উপুড় করে দুই হাত মাটিতে রেখে পা কে পিছনে ছড়িয়ে দিয়ে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। এটি দৈনিক 8 থেকে 16 বার করতে পারেন, তবে এটি নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক কোন সংখ্যা নয়। ব্যায়ামটি করার মাধ্যমে আপনার শরীরের পেশি শক্ত হয়, ক্যালরী গলাতে সাহায্য করে, মেদ ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই বুকডাউনের মাধ্যমে আপনার মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস উন্নতি হয়।
খেলাঃ বিভিন্ন ধরনের খেলা হচ্ছে অনেক উপকারী ব্যায়াম। যেমন দৌড়াদৌড়ি খেলতে পারেন, গোল্লাছুট খেলতে পারেন, ভলিবল খেলতে পারেন, সাইকেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন, কাবাডি খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন, এছাড়াও ফুটবল ক্রিকেট ব্যাটমিন্টন ইত্যাদি খেলায় অংশগ্রহণ করে আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলিকে অনেক শক্তিশালী হ্যান্ডসাম করতে পারেন।
ফুটবলঃ ফুটবল খেলায় যেহেতু দৌড় রয়েছে তাই এই খেলাটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। এ খেলাটি ২২ জনের দুইটি দল এগারো জন করে বিভক্ত হয়ে সংঘটিত হয়। গোল দেওয়ার জন্য দৌড়ানোর মাধ্যমে প্রাণপণে চেষ্টা করে। কাজেই কোন পাকে যে দেহের ওজন কমে যায়, ক্যালোরি ঝরে যায়, আবার অন্তর যেহেতু একদিকে নিবদ্ধ থাকে গোল দেওয়ার দিকে এর দ্বারা একাগ্রতা এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
ক্রিকেটঃ ক্রিকেট খেলাটিও ২২ জন মিলে সংঘটিত হয় দুই দল যেখানে ফুটবল খেলার মত ১১ জন করে প্লেয়ার ভাগ হয়ে যায়। এই খেলায় ফিল্ডিং রয়েছে বোলিং রয়েছে ব্যাটিং রয়েছে। বিশেষ করে বোলিং করার সময় অনেক দৌড়িয়ে বল করতে হয় এবং ফিল্ডিং করার সময় দৌড়িয়ে বল ধরতে হয় প্লাস ব্যাটিং করার সময় দৌড়িয়ে রান নিতে হয় এজন্য এ খেলাটিও ব্যায়ামের জন্য উপকার থেকে কম নয়।
ব্যাডমিন্টনঃ এই খেলাটি চার জনের সংঘটিত হয় দুই দিকে দুইজন করে দুইটা দল থাকে। এবং দুই দল ব্যাট করার জন্য দৌড়াদৌড়ি করে। ব্যাডমিন্টনের যে ক্রক রয়েছে এটি মারার জন্য দৌড়ঝাঁপ করে মার দেয়। ব্যাডমিন্টনের এই খেলাটি ২১টি পয়েন্ট দ্বারা ৩টি গেমে সম্পন্ন হয়। আবার খেলাটি নেট জালের মাধ্যমে নেটের ২দিকে ২জন করে থেকে র্যাকেটটি নিয়ন্ত্রন করে এবং এই খেলাটিকে র্যাকেট খেলা বলা হয়।
বিশেষ করে উক্ত খেলাগুলোতে দৌড়াদৌড়ি থাকে আর এই দৌড়ের মাধ্যমেই ব্যায়ামের বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই খেলাগুলোকে বিবেচনা করা একান্ত পালনীয় কর্তব্য। তাহলে আমার সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম লেখাটি লেখা সার্থক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কাজেই, মানুন উপকারী ব্যায়ামগুলো এবং শরীর ও মন প্রফুল্ল করুন ইনশাআল্লাহ।
শরীরচর্চা কি
শরীরচর্চা হলো ব্যায়াম বা শরীরের উন্নতির জন্য যে চর্চা করা হয় সেটি। এই দেহের জন্য এই চর্চাটাকে ইংরেজীতে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ বলা হয়। শরীর চর্চার এই বিষয়টা বর্তমান সরকার বিদ্যালয়গুলো বা পাঠশালাগুলোতে তাগিদ স্বরুপ পালন করতে গিয়ে বই দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদে শারীরিক উপকারের জন্য। এটি দৈহিক নানান ফিটনেস এবং কার্যকারিতার জন্য উপযোগী একটি বিষয়। তাই শরীরচর্চা থেকে পিছুপা থাকা যাবে না।
শরীর চর্চার উপকারিতা
শরীর চর্চার উপকারিতা অনেক রয়েছে যা ইতি মধ্যেই আপনার সামনে পেশ করেছি। আবারও এখানে লিখছি। আচ্ছা চলুন দেখি আপনাদে খেদমতে কি হাজির করতে পারি। প্রকৃতপক্ষে, শরীর চর্চা করলে কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ ঠিক থাকে, রক্ত চলাচল সুন্দর হয়, স্ট্রোকের ঝুকি থাকে না, ডায়াবেটিসে ক্ষেত্রে অনেক উন্নত কাজ করে। আবার হৃদরোগ, শ্বাস কষ্ট, হাপানি-অ্যাজমা, ক্লান্তি, অবসাদ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, ইত্যাদি দূর হয়।
শরীর চর্চা করার নিয়ম
শরীর চর্চা করার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন করতে হয় তাহলে নিয়মানুবর্তিতার সাথে কাজ করলে শুধু ব্যায়াম ই নয় যেকোনো কাজেরী পুভুত উন্নয়ন সাধন হয়। তো দৈনিক নিয়মমাফিক সকালে বা বিকালে বা দুপুরে বা রাতের যেকোনো সময় ব্যায়াম করা যায়। তবে একেকটা ব্যায়ামের একেক সময় হতে পারে। যেমন হাঁটার জন্য সবচেয়ে সুন্দর ও ফ্রেশ সময় হলো সকাল।
পুলআপ, বুকডাউন, বাইসেপ্স ইত্যাদি ব্যায়াম উল্লেখযোগ্য, আর এগুলোর প্রত্যেকটা ব্যায়ামের জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। তবে যেকোনো ব্যায়াম শুরু করতে হয় ওয়ার্মআপ এর মাধ্যমে। আর ওয়ার্মআপ হলো সর্ব প্রথমে শরীর গরম করতে হয় তারপরে ধীরে ধীরে স্টেপ বাই স্টেপ কাজগুলো সাধন করতে হয়। তাহলে তাহলে যেকোনো ব্যায়াম এর উপকারটা শতভাগ নিশ্চিত হয়।
শরীর চর্চার গুরুত্ব
শরীর চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরচর্চা করার মাধ্যমে সম্মানিত পাঠক ইতিমধ্যেই আপনার জানা হয়ে গেছে যে কি উপকার হতে পারে। শরীরচর্চা করলে শরীর সুন্দর হয়, স্বাস্থ্য সুস্বাস্থ্য হয়, দেহের চামড়া বা ত্বকগুলো অনেক উজ্জ্বল সজীব ও সতেজ হয়। শরীর চর্চা করার মাধ্যমে আপনার দেহ থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি পর্যন্ত সাধন করে। বড় অসুখ থেকে নিয়ে ছোট অসুখ ছেড়ে দেয়।
স্বাস্থ্যের যদি সুস্থতা না থাকে তাহলে তাহলে দুনিয়াবি কাজ করতে গিয়ে কর্মক্ষম
অবস্থা থাকবে না।আবার শরীরের সুস্থতা না থাকে মানসিক স্বাস্থ্যের বিঘ্নতা
ঘটে। শরীর চর্চা করার মাধ্যমে দেহ থেকে বিভিন্ন হরমোন বা দেহ রস নির্গত
হয়। ফলে এই হরমোন বিভিন্ন হতে পারে যেমন যেমন দুশ্চিন্তার ধর্ম
রয়েছে হতাশার হরমোন রয়েছে যৌবনের হরমোন রয়েছে এই সমস্ত হরমোন গুলো বের হয়ে
চিন্তা দূর হয় হতাশা দূর হয় যৌবনের শক্তি স্থায়ী হয়।
প্রতিদিন ব্যায়ামের উপকারিতা
প্রতিদিন ব্যায়ামের উপকারিতা নিয়ে এখন আপনার সঙ্গে আলাপচারী করার প্রয়াস চালাচ্ছি। প্রতিদিন একটু একটু করে ব্যায়াম করলে এটি একটি সময় আপনার অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করে তুলতে পারে। একজন মানুষের কথা আমার জানা আছে যিনি অত্যন্ত রোগী ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি হাঁটতে পারতেন না। সব সময় শুয়ে বসে থাকতেন।
এমনকি তার শরীরের হাটু কোমর অঙ্গগুলো অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। একটি সময় তার সাথে একজন জীবন পরিবর্তনকারী ডাক্তারের সাক্ষাৎ ঘটে। যিনি তাকে পরামর্শ দেন যে আপনি আজ থেকে যতটুকু পারেন একটু একটু করে হাঁটবেন। এবং আপনাকে চেষ্টা করতেই হবে উনি যতটুকু চেষ্টা করবেন যতটুকু পারবেন যেটুকুই আপনার দ্বারা হবে সেটি আপনার জন্য এক সময় একটু একটু করে অনেক বড় সুস্থতার দিকে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সত্যিকার অর্থে তাই ঘটলো তিনি সে ডাক্তারের কথা মত চলতে লাগলেন এমনকি তার লাইফ বা জীবন চেঞ্জ হয়ে গেল। একটি কথা আছে অলস দেহে রোগের বাসা যেটাকে ঘুনপোকা কুড়ে কুড়ে খায়। তাই প্রিয় আপনি আজকে থেকেই ব্যায়াম আরম্ভ করতে পারেন এতে আপনি কাজের কাজটাই করবেন অনেক উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ।
শরীর চর্চার উপকারিতা
শরীর চর্চার উপকারিতাগুলো বৈচিত্র্যময় হয়ে থাকে। আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুসারে আপনি শরীরচর্চা করবেন। আপনার স্বাস্থ্য যদি খুব বেশি সুস্থ হয় তাহলে এই স্বাস্থ্য কে দীর্ঘস্থায়ী সুস্থ রাখার জন্য বা ঠিক রাখার জন্য আপনাকে শরীরচর্চার কাছে চালিয়ে যেতে হবে তাহলে আপনি দীর্ঘমেয়াদী উপকৃত হতে থাকবেন।
আবার যদি একটু অসুস্থ হন তাহলে সুস্থতার জন্য শরীরে যতটুকু সইতে পারবে ততটুকু আপনি শরীরচর্চা করে সুস্থতার পথে নিয়ে যেতে পারেন এটা করলেও আপনি অসুস্থতা থেকে সুস্থতার উপকার পাবেন। তাই আপনি আপনার সুস্থতার জন্য হাটুন সাঁতার কাটন ঘুড়ি উড়ান সমগ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে বেশি বেশি চলাফেরা করুন। তাহলে শরীর চর্চার উপকার পাবেন।
প্রতিদিন কত ঘন্টা ব্যায়াম করা উচিত
প্রতিদিন কত ঘন্টা ব্যায়াম করা উচিত এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত একজন মানুষ তার সুস্থতার জন্য প্রতিদিন কিছুক্ষণ সময় বের করে ব্যায়াম করতে হবে। এবং এটা প্রথমে একটু একটু করে করতে হবে এরপরে ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহে ৩০০ বা তার অধিক মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং এটার চিকিৎসা কী?
আবার ডব্লিউ এইচ ও বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো বিবরণ দিচ্ছে যে ১৮ বা তার বেশি পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে মধ্যম মানের ব্যায়াম করার পূর্ণ সময় কাল হচ্ছে তাদেরকে সাত দিন বা এক সপ্তাহে কম করে হলেও দুই ঘন্টা তিরিশ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। তারমানে প্রত্যেক দিন 21 মিনিট করে ব্যায়াম করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে হবে।
কি কি ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে
কি কি ব্যায়াম করলে শরীর ভালো থাকে এটি আপনি আমাদের আর্টিকেলের উপরে শিরোনামগুলোতে অলরেডি জেনে ফেলেছেন। তথাপিও এখানে আবারো কিছু বলার চেষ্টা করছি। চলুন দেখা যাক কি লিখে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারি। ব্যায়াম কি কি করতে হবে এবং এটি করলে শরীর ভালো থাকবে ঠিক থাকবে সেগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ।
- প্রতিদিন হাঁটুন।
- দৈনন্দিন একটা রুটিন করে দৌড়ান।
- বিকেল বেলায় সময় করে খেলুন যেকোনো খেলা হতে পারে।
- সকালবেলায় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
- নিয়মিত রোদ্রে সময় কাটান কমপক্ষে আধা ঘন্টা।
- খোলা পুকুরে বা বিশেষ করে পানি চলমান নদীতে সাঁতরান।
- পুলাপ করুন, পুশআপ করুন, স্কোয়াট করুন ইত্যাদি।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url