সালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম্য ব্যাপারে বিস্তারিত জানুন

১০টি কোরআন হাদিসের বাণী স্পষ্টরুপে জানুনসালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম্য এবং ফজিলত সম্পর্কে জানবেন আজকের ব্লগটিতে। সলাত শব্দটিকে সালাতও বলা হয়। সালাত বা নামাজ মানব জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। সালাত বা নামাজকে একজন মুমিন বা বিশ্বাসীর জন্য মেরাজ বা উদ্ধালোকে গমনের সোপান বা সিঁড়িও বলা হয়। 

সালাতের-গুরত্ব-ও-মাহাত্ম্য

সালাতের মাধ্যমে মানুষ শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ করে এবং পার্থিব বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে। তো চলুন আরম্ভ সালাত নিয়ে আলোচনা হয়ে যাক।

পেজ সূচীপত্রঃ সালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কিত বিষয়টি জানুন

সালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম 

সালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম্য  অপরিসীম। সম্মানিত পাঠক, সালাত হচ্ছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি আরবি হিজরী সনের দ্বিতীয় হিজরীতে অবতীর্ণ হওয়া এক মহান এবাদতের নাম।সলাত শব্দটি আরবি শব্দ। আর নামাজ শব্দটি ফারসি শব্দ। নামাজকে নমাজও বলা হয়। সালাত শব্দ ও সরাসরি আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তা'আলার প্রদত্ত শব্দ। সালাতকে সলাহ্‌ ও বলা হয় অর্থাৎ শব্দটির শেষে একটা গোল "তা" রয়েছে যেটা ওয়াকফ বা থামার সময় আরবী বর্ণ "হা" হয়ে যায়।

সালাত শব্দের আভিধানিক অর্থঃ সলাত শব্দটি আরবি ব্যাকরণ অনুসারে, বাবে তাফয়ীল এর মাসদার ফায়ালুন এর ওযনে। বাবে তাফয়ীল থেকে তাসলিয়াহ্‌ শব্দটি ব্যবহার হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে সালাত শব্দটি তাসলিয়া অর্থে ব্যবহার হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে সালাত আদায় করা, প্রার্থনা করা বা নামাজ পড়া ইত্যাদি। তবে মাদ্দাহ্‌ বা ধাতুগত বা মূল অক্ষরগত অর্থ হচ্ছে ঝুঁকে যাওয়া বা ফিরে আসা অর্থাৎ মানুষ যখন প্রার্থনা করে সালাত আদায় করে তখন সে রুকু সেজদার মাধ্যমে ঝুঁকে  যায় মাটির দিকে বা  স্রষ্টার দিকে ফিরে আসে। 

আরো পড়ুনঃ ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার পূর্ণাঙ্গরুপে জেনে নিন

সালাত শব্দটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়। যেমন সালাত শব্দটি যদি ফেরেস্তার সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তার অর্থ হয় ইস্তেগফার। আবার সলাত শব্দটি যদি মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তার অর্থ হয় দোয়া বা প্রার্থনা। আবার সালাত শব্দটি যদি বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তার অর্থ হয় দরুদ বা রহমত। শব্দটি যদি পশু পাখির সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তার অর্থ হয় তাসবীহ্‌। ইত্যাদি।

সালাতের পারিভাষিক অর্থঃ সালাত বলা হয় হাদিসের ভাষায়, যে ইবাদতের শুরুতে তাকবীর এবং শেষে তাসলীম বা সালাম রয়েছে। আবার সালাত বলা হয়, এমন নির্দিষ্ট ইবাদত যেটি মহান আল্লাহ তাবারকা ওয়া তায়ালার সন্তষ্টির জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা হয় এবং যেটি আল্লাহু আকবার বলার মাধ্যমে দুনিয়ার সবকিছু হারাম হয়ে যায় আর সালাম বা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ এর মাধ্যমে আবার দুনিয়ার সবকিছু হালাল বা বৈধ হয়। 

অর্থাৎ সালাত নামক ইবাদাহ্‌ যখন মানুষ আদায় করে তখন সর্বপ্রথমে তাকবীর আল্লাহু আকবার বলে আরম্ভ করে। আল্লাহু আকবার বলার পরে তাকে আল্লাহ ধ্যানে মগ্ন হয়ে যেতে হয় দুনিয়ার আর কোন ধ্যান-ধারণা রাখতে হয় না, জল্পনা-কল্পনা রাখতে হয় না, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সালাতের যে পদ্ধতি নিয়ম সে অনুযায়ী শেষ অবধি অর্থাৎ সালাম বলার আগ পর্যন্ত সে পড়তে থাকে। এবং সালাম বললে আবার সে দুনিয়ার সব কাজগুলো সেগুলো ইসলাম ধর্মে বৈধ সেগুলো করতে পারবে।

এখন সালাতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য নিয়ে বিবরণের চেষ্টা করছি। সালাত হচ্ছে এমন এক ইবাদাহ্‌ যার ব্যাপারে আল্লাহ রব্বুল আলামীন মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারীমের মধ্যে অনেকবার বলেছেন। এমনকি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এই সালাত শব্দটি এসেছে পুরো কুরআন মাজিদের মধ্যে প্রায়ই ৮২ বার এরও বেশি। বুঝাই যাচ্ছে তাহলে কোরআন মাজিদে এত অধিক সংখ্যক আসা সালাতের গুরুত্ব কতটুকু।

আবার, সালাতের মাহাত্ম্যের ক্ষেত্রে হাদিসে এসেছে যে সালাত হচ্ছে এমন একটা ইবাদত যার সম্পর্কে বিভীষিকাময় হাশরের মাঠে সর্বপ্রথম মহান প্রভুর সামনে সালাত নিয়ে হিসেব দেওয়া লাগবে। আরো বলা হয়েছে যে যদি এই সালাত বা নামাজের হিসাব দিতে গিয়ে যদি একজন মানুষের পুরো জীবনের হিসাব সঠিকভাবে দেওয়া যায় তাহলে বাকি অন্যান্য বিষয়ের হিসাব সহজ হয়ে যায়। আর যদি সালাত বা নামাজের হিসাব সঠিকভাবে দেওয়া না দিতে পারে একজন মানুষ তাহলে তার সমস্ত জীবনের হিসাব গড়বড় হয়ে অর্থাৎ ঠিক ভাবে দিতে পারবে না। 

তাই মহান নেতা না বিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদিসকে একজন মানুষ যদি পুঙ্খানুপু রূপে ফলো করে তাহলে এই সালাতের হিসাবটা কাল কেয়ামতের ময়দানে সঠিকভাবে দিতে পারবে এবং জীবনের অপর হিসাব গুলো মানুষটির জন্য খুব সহজতর হয়ে যাবে। এইজন্য হিসাব করে চলা উচিত এবং নামাজ সঠিকভাবে আদায় করা উচিত। প্রিয় পাঠক, আপনি এই সালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম্য  সম্পর্কে সচেতন হোন। 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত। জীবনে আপনাকে যে বয়স দেওয়া হয়েছে এই বয়সের একটা নির্দিষ্ট সময় হলেই আপনি বালেক বা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাবেন। আর এই বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সময়টা হচ্ছে ১০ বছর থেকে। অর্থাৎ একজন বালকের বয়স ৭ বছর হলে বাবা-মাকে নামাজের তাগিদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং ১০ বছর থেকে মেরে মেরে মসজিদে নামাজ পড়তে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

সম্মানিত দ্বীনি ভাই, নামাজের বিকল্প কোন পথ নেই যে কোন মূল্যে নামাজ পড়তেই হবে আপনি যদি হাশরের মাঠের হিসাবকে সহজ করতে চান। নামাজ হচ্ছে এত গুরুত্ব ফজিলতপূর্ণ ইবাদত যে যে কোন সমস্যা হলে সালাত বা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে এটা সূরা বাকারার দ্বিতীয় নম্বর পারার মধ্যে বলা হয়েছে। সাথে সাথে হাদিসে বলা হয়েছে আপনার যেকোন বিপদ-আপদ বালা মুসিবত সমস্যা ও সুবিধা আপনার সামনে হাজির হলে;

সাথে সাথে আপনি সালাত বা নামাজে দাঁড়িয়ে যান। আর আপনি এক্ষেত্রে যদি খুব মনোযোগ সহকারে কায় মনোবাক্যে সালাত আদায় করতে পারেন তাহলে ফলাফল যেটা আসবে সেটা হচ্ছে আপনার সমস্যা আপনার বালা মুসিবত আপনার বিপদ-আপদ সব এক ঝটকায় দূর হয়ে যাবে। এজন্য নামাজ পড়ার কোন বিকল্প পথ তো নেই, এবং মনোযোগী নামাজ এর বিশেষ করে কোন বিকল্প নেই। তাই সালাত আদায় করবেন মনোযোগ সহকারে।

নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিস

নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিস লেখার চেষ্টা করছি। শুনুন দ্বীনি মুসলিম ভাই ও বোন, আপনাকেই বলছি নামাজ হচ্ছে এমন এক ইবাদত যে সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস রয়েছে যে আপনি নামাজটা কিভাবে আদায় করবেন। নামাজটা আপনি এমন ভাবে আদায় করবেন যেন আপনি সরাসরি আল্লাহকে দেখছেন আর এই ধারণাটা যদি আপনার অন্তরে না আসে তাহলে এই বিশ্বাসটা করতে হবে যে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সাত আসমানের ওপর থেকে অর্থাৎ আরশে আজীন থেকে দেখতেছেন।

এইভাবে আপনি যদি সালাত আদায় করতে পারেন এই সালাত বা নামাজটাই কাল কিয়ামতে আপনাকে লক্ষ্য কোটি মানুষের ভিড়ে মহান আল্লার সামনে অপমান হওয়া থেকে রক্ষা করবে বাঁচাবে। আবার আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শুধুমাত্র আল্লাহর ধ্যান নিয়ে সালাত আদায় করতে পারেন তাহলে হাদিসে এসেছে যে এই সালাত টি হবে আপনার জন্য কাল কিয়ামতের ময়দানে নূর বা আলোকবর্তিকা। 

অর্থাৎ এই সালাত নামক আলোর মাধ্যমে হাশরের মাঠের অন্ধকার কে আপনি দূর করে দিতে পারবেন।চোরের মাঠের অন্ধকার অর্থ বলতে চাচ্ছি যেটা সেটা হচ্ছে যে অন্ধকারে যেমন একজন মানুষ পতিত হলে সে হারায়ে যায় দিক চিনতে পারে না তেমনিভাবে কিয়ামতে আপনি এই সালাতের আলোর জন্য স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন আপনি হারাবেন না। অর্থাৎ মূল কথা হচ্ছে আপনি বেঁচে যাবেন। 

নামাজের গুরুত্ব ফজিলত বক্তৃতা

নামাজের গুরুত্ব ফজিলত বক্তৃতা নিয়ে লিখছি। নামাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে বক্তৃতা আজ হাজার হাজার হচ্ছে। মসজিদে জুমার দিন খুতবা দেওয়ার সময় খতিব সাহেব নামাজের বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। আবার বিভিন্ন জালসা, ওয়াজ মাহফিল এবং তাফসির মাহফিলে নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পর্কে ইসলামিক আলোচকগণ বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। এরপরেও এর ব্লগে আমি আপনাকে নামাজ নিয়ে কিছু পত্রিকা দেওয়ার চেষ্টা।

সম্মানিত দ্বীনি ভাই, নামাজ হচ্ছে মহান রব্বুল আলামীনকে পাওয়ার বিশাল এক বন্দেগী বা ইবাদত। এই নামাজ একজন প্রসব বেদনা উঠে গেছে এমন একজন মাকেও নামাজ আদায় করতে হবে হযরত আশরাফ আলী থানভী (র) ঠিক কি এমনটাই বলেছেন। নামাজ বা সালাত হচ্ছে এমন দাসত্বের নাও যে সর্বপ্রথমে অমুসলিম থেকে মুসলিম হলো, সেই নব মুসলিমকে ইসলামে আসার পরে ওয়াক্ত হলেই সাথে সাথেই সালাত বা নামাজ আদায় করতে হবে। 

শুধু তাই নয় খালাত বা নামাজের গুরুত্বের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যার নামাজ বা সালাত পড়লনা তার যেন কোন ঈমান বা বিশ্বাস নেই। এবং আরো বলা হয়েছে যে একজন মুসলিম এবং একজন অমুসলিমবা অবিশ্বাসী(কাফের) বা মুনাফেক এর মাঝের তারতম্য বা পার্থক্য হচ্ছে আস সালাত আদায় করা এবং না করা। অর্থাৎ যে সালাত আদায় করবে সে মুসলিম সে সালাত আদায় করবে না সে অমুসলিম।

নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে লিখছি। নামাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ক্ষেত্রে যে কথাটা বলব সেটি হচ্ছে হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বা ইচ্ছার সাথে সালাত না পড়ে বা বর্জন করে বা ছেড়ে দেয় সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যায়। আরো পরিষ্কার করে যে কথাটা বলা যাবে সেটি হচ্ছে যে একজন ঐচ্ছিক নামাজ ত্যাগকারীর বিধানের ক্ষেত্রে দুইটি বিধান। একটা হচ্ছে যে সে যদি নামাজটা অবহেলা করে আদায় না করে।

নামাজের-গুরুত্ব-ও-তাৎপর্য

কিন্তু তার বিশ্বাস আছে যে নামাজ পড়তে হবে তাহলে সে বড় গুনাগার বা বড় পাপী হবে। আর এক্ষেত্রে তাকে তাওবা করে তার এ পাপের জন্য প্রায়শ্চিত করতে হবে। আর দ্বিতীয় হচ্ছে যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না সাথে সাথে সে মনেও করে না এবং বিশ্বাস করে না যে তাকে নামাজ পড়তে হবে, এবং নামাজ পড়লে তার ঈমান ঠিক থাকবে, না হলে তার ঈমান ঠিক থাকবে না এই বিশ্বাসগুলো নাই। অথবা সরাসরি নামাজকে অস্বীকার করে, আর অস্বীকার করার পদ্ধতি বিভিন্ন হতে পারে। যেমন সে বলতে পারে আরে নামাজ না পড়লে সমস্যা কী?  

বা নামাজ পড়ে কে বড় লোক হয়েছে অথবা সে বলে যে নামাজ না পড়তে পারি কিন্তু ঈমান ঠিক আছে। এই সমস্ত কথা বলার কারনে বা বিশ্বাসের কারণে তার ঈমান ভেঙ্গে যায়, তাকে পুনরায় কালেমা পড়ে ঈমান আনায়ন করতে হবে। সালাতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য শিরোনাম এর বিষয়টি প্রিয় পাঠক এখানেও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হলো। অবশ্যই বিবেচনার সাথে আপনাকে সালাত আদায় করতেই হবে তাহলে রক্ষা পাবেন আর না হলে শেষ হয়ে যাবেন।

নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত রচনা

নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত রচনা নিয়ে লিখছি। আমরা ইতিমধ্যে নামাজের যে সমস্ত বিবরণ গুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছে সেগুলোকে পয়েন্ট এবং সুন্দর করে সাজিয়ে লিখলে আপনি নামাজ এর গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে একটি রচনা সুন্দর করে লিখতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই জায়গাটি। তো চলুন আপনাকে একটা নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে একটা রচনা লিখে দিই।

নামাজ হচ্ছে একজন ঈমানদারের জন্য আল্লাহর কাছে যোগাযোগের একটা সেতুবন্ধন। নামাজের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন খারাপ কাজ থেকে রেহাই পায়। যে নামাজ পড়বে তার মাধ্যমে কোন অশ্লীল খারাপ কাজ সংঘটিত হবে না। নামাজ যে পূর্বে সে ওজনে কম দিতে পারবে না। নামাজ যে পড়বে সেই খাদ্যে ভেজাল দিতে পারবে না। এবং নামাজ যে পড়বে তার দ্বারা সকল ধরনের ভালো কাজগুলোই সংঘটিত হবে।

সালাত আদায় করলে আমরা কি কি সুফল পাই

সালাত আদায় করলে আমরা যে সুফল গুলো পেয়ে থাকি তা এখানে লিখছি। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মুখনিঃসৃত পবিত্র বানী গুলোর মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাণী রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে যে যেখানে কোন অন্যায় কাজ হবে সেখানে সর্ব প্রথমে হাত দিয়ে এর পরে মুখ দিয়ে এরপরে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করা লাগবে। যেটা ব্যাখ্যা সেটা হচ্ছে যে জায়গাতে অন্যায় কাজটা চলবে সেখানে আপনি যদি তালাক বা নামাজের দাওয়াত দিয়ে দেন এবং নামাজের সুফলগুলো নিয়ে তাদের সামনে আলোচনা করতে পারেন তাহলে এই নামাজই পারবে তাদেরকে সমস্ত অপকর্মথেকে বাঁচাতে।

কারণ এক্ষেত্রে পবিত্র আল কুরআনুল কারীমের স্পষ্ট ভাষ্য রয়েছে যে ব্যক্তির নামাজ আদায় করবে এই নামাজ তাকে বিভিন্ন বেহায়াপনা ফিরিয়ে রাখবে। সূরাতুল মুমিনুন এর মধ্যে যে কথাগুলো বলা হয়েছে সেগুলো এখানে বলছি। এক নাম্বারে বলা হয়েছে যে সালাত আদায়কারী সফল। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে এরা অর্থাৎ নামাজীরা অর্থহীন বিষয় থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। তৃতীয়তঃ এরা তাদের সম্পদ গুলো সঠিকভাবে বন্টন করে ধনী গরিবের মাঝে সমতা বিধান করতে পারে ইত্যাদি।

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সালাতের গুরুত্ব

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সালাতের গুরুত্ব এর সীমা নেই। ব্যক্তি জীবনে এবং সামাজিক জীবনে যত বেশি সালাতের প্রচলন ঘটানো হবে তত বেশি ব্যক্তি নিজে এবং সমাজ উপকৃত হবে এবং সুবিধা পাবে।একজন ব্যক্তি যদি বিভিন্ন খারাপ অভ্যাস থেকে যেমন মিথ্যা কথা বলা, মদ খাওয়া, চুরি করা ইত্যাদি বেঁচে থাকার অভ্যাস গড়ে খুব সহজেই অভ্যাসটি সৃষ্টি করতে করতে পারবেনা। কিন্তু সে যদি নিজের ভিতরে নামাজের অভ্যাস সাধন করে তাহলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই সে তার সাথে থাকা সমস্ত খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত হয়ে যেতে পারবে।

ব্যক্তি-ও-সমাজ-জীবনে-সালাতের-গুরুত্ব

আবার একটা সমাজের ভিতরে যদি বিভিন্ন খারাপ লোক দেখা যায় যারা সমাজে ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে, অবিরাম ঝগড়া করে, এবং অন্যান্য নেশা মদ জুয়া ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকে এমনকি যদি সমাজে যেনা বা ব্যভিচারের প্রসারতা দেখা যায় তাহলে ওই সমাজে সালাত বা নামাজের প্রচলন বা প্রসার ঘটালেই ঐ সমাজ থেকে খুব দ্রুত খারাপ বিষয়গুলো দূর হবে ইনশাআল্লাহ্‌। কারণ, আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে এই জন্য হবে এবং বিশ্বাস রাখতে তাহলে হতে বাধ্য। যেহেতু, আল্লাহর কথা মিথ্যা নয় তাই।

সালাতের ফজিলত ও শিক্ষা বর্ণনা কর

সালাতের ফজিলত ও শিক্ষা এই জায়গায় বর্ণনা করার চেষ্টা করছি। আমরা ইতিমধ্যেই সালাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত নিয়ে লিখেছি। আর এই জায়গায় সালাতের শিক্ষাগুলো বর্ণনায় আনছী। সালাতের বিভিন্ন শিক্ষা রয়েছে। যেমন বিভিন্ন সূরায় রয়েছে যে সালাত আদায় করলে মানুষ সাকসেস বা সফল হয়। তাই এই আয়াত থেকে শিক্ষা পাওয়া গেল যে সালাত বেশি বেশি আদায় করতে হবে তাহলে যে কোন ক্ষেত্রেই সফল হওয়া যাবে। 

আবার সালাতের মাধ্যমে মানুষ যখন একটা মসজিদে জমায়েত হয়ে সবাই পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সালাত নামক ইবাদত আদায় করবে তখন পরস্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হবে এবং মহব্বত বাড়বে। শিক্ষা পাওয়া গেল যে সালাতের মাধ্যমে মহাব্বত বা ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। সালাতের মাধ্যমে মানুষ সাপ্তাহিক জুমায় অংশগ্রহণ করে পরস্পরকে দেখতে পাই দেখা-সাক্ষাৎ হয় এটা একটা বড় সুবিধা। 

আরো পড়ুনঃ অত্যাধুনিক যুগে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কত রকম জানতেই হবে

এ কথা থেকে শিক্ষা পাওয়া গেল যে মানুষ সালাতের মাধ্যমে দেখা-সাক্ষাৎ লাভ করতে পারে। আবার একটা কুরআন মাজীদের আয়াত রয়েছে যে সালাত হচ্ছে মনের শান্তির খোরাক। সালাত আদায় করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যকার বিশেষ করে মনের দুশ্চিন্তা, দুর ভাবনা, অশান্তি, হতাশা, হা হুতাশ দূর হয় এবং মনের প্রশান্তি লাভ হয়। বুঝা যাচ্ছে সালাত আদায় করার মাধ্যমে মানুষ প্রশান্তি লাভ করতে পারে এবং তাদের অভ্যন্তরের অশান্তি দূর হয়ে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেককেই আসসালাত আদায় করা জরুরি কর্তব্য এবং যেহেতু ফরজ সেহেতু আদায় করতেই হবে। 

লেখক এর শেষ মন্তব্য

সালাতের গুরত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে লেখাটি তৎ সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ লেখার চেষ্টা করেছি। সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি আমার এই লেখাটি পড়ে আর সালাত আদায় উদ্বুদ্ধ হন তাহলে আমার এই লেখাটি সার্থক বলে আমি মনে করব। আর এই লেখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তো আশা করব আপনি আমাদের সাথেই থাকবেন আরও এরকম নিত্যনতুন আর্টিকেল পাওয়ার জন্য। যাইহোক, আজকে এখান থেকে শেষ করছি আর কমেন্ট করতে ভূলবেন না ইনশাআল্লাহ্‌।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url