১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা যেগুলো খুবই কার্যকরী
১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম জানুন১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে জানাবো। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে মানবকুল সৃষ্টি করেন এবং বৈচিত্রময় ঔষধি গাছও সৃষ্টি করেছেন। কারণ, মহান প্রভুর প্রিয় সৃষ্টির কোন রোগ ব্যাধি দেখা দিলে গাছের মধ্যে যে ঔষধ তিনি অন্তর্নিহিত রেখেছেন তার মাধ্যমে যেন আরোগ্য লাভ করতে পারে।
পৃথিবীতে হাজারো রকম গাছ ও উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলোতে হাজার রকম ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। তো চলুন আজকের ব্লগটিতে এমনি দশটি ঔষধি গাছ এবং এগুলোতে যে উপকারিতা বিদ্যমান সেগুলো জেনে নেই।
পেজ সূচীপত্রঃ ১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি জানুন১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা
১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা নিয়ে লিখতেছি। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নানান গাছ, নানান উদ্ভিদ, নানান গুল্মলতা এবং নানান তরুলতা রয়েছে। যেগুলার এক একটাতে এক একটা উপকার অন্তর্নিহিত রয়েছে। গাছের নানাবিধ শক্তি, গুনাগুন এবং গুণাবলী ও উপকারিতা রয়েছে। গাছের মাধ্যমে মানুষকে মানুষ পাগল করে দিচ্ছে। গাছ আমাদেরকে অক্সিজেন দিচ্ছে। গাছ থেকে বিভিন্নভাবে গবেষণা করে কত রকম ঔষধ আবিষ্কার করা হচ্ছে তার ইয়ত্তা কোন নেই।
তাই গাছকে ভালবাসতে হবে, বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে, গাছের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে, গাছকে আমাদের বাড়ির আশেপাশে, বারান্দায়, বাড়ির ছাদে এবং টবে লাগাতে হবে। বিভিন্ন গাছের নার্সারি করতে হবে এবং রং-বেরঙের গাছের বাগানও করতে হবে। বিশেষ করে যে গাছগুলো আমাদের জন্য ঔষধ সমৃদ্ধ, এবং যেগুলোতে নানান ঔষধি গুণাবলী রয়েছে সেগুলো প্রধান লিস্টে রাখতে হবে। নিম্নে দশটি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছি।
তুলসী গাছ ও এর উপকারিতা
১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা এর শিরোনামের একটি হচ্ছে তুলসি গাছ। তুলসী গাছের ইংরেজি নাম হচ্ছে যথাক্রমে tulasi এবং holy basil। আর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ওকিমাম স্যানকটাম(ocimum sanctum)। তুলসী মানে অতুলনীয়। তুলসী হচ্ছে এক ধরনের সুগন্ধি উদ্ভিদ যেটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি গাছ বা উদ্ভিদ। তুলসী খুব ঘন ডালপালা যুক্ত, এর মূল কাণ্ড দুই তিন ফুট উন্নত ও উঁচু এবং এর পাতা দুই থেকে চার সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং এটার চিকিৎসা কী?
তুলসী পাতার চারিদি খাঁজ কাটা থাকে। প্রথমে যখন বের হয় তখন একটা ডালে পাঁচটি ফুল হয়। এরপর প্রত্যেকটি ডাল থেকে ১০ থেকে ২০টি স্তরে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং স্তরগুলোর প্রত্যেকটিতে আবার ছয়টি করে ফুল বের হয়। আর তুলসী গাছের ডালে, ফুলে এবং ফলে প্রত্যেকটি অঙ্গে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে। তুলসী গাছকে অক্সিজেনের ভান্ডার ও বলা হয় কারণ এটি প্রচুর অক্সিজেন দিয়ে থাকে আমাদের পরিবেশে।
তুলসী গাছের উপকারিতাঃ ঔষধি গুনে গুণান্বিত তুলসী গাছ এর সব কিছুই। এর বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে বিশেষ করে এর পাতা রস কাশির ওষুধ হিসেবে কাজ করে। আরো এতে যে রোগগুলোর জন্য কাজ করে সেগুলো হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং ফুসফুস এবং ব্রংকাইটিসের নানান সমস্যার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আবার যদি ঘরে তুলসী গাছ থাকে তাহলে ঘরের ভিতরে মশারি ব্যবহার করতে হয় না কারণ এটি অ্যারোসলের কাজ করে।
তুলসী গাছ এর ভিতরে এক ধরনের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও থাকে যেটি চোখের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। আবার এটি পেট এর ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস ইত্যাদির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী রূপে ব্যবহার হয়। আবার তুলসির ভিতর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় শরীরের বিভিন্ন টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ, আবর্জনা দূর করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
চিরতা উদ্ভিদ ও এর উপকারিতা
১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা এই শিরোনামের আরো একটি উদ্ভিদ এর নাম হচ্ছে চিরতা। তো এখানে চিরতা উদ্ভিদের নানা দিক বিদিক নিয়ে আলোচনা করব। আদিকাল থেকেই এটি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে ভারতবর্ষে। এটি ভারত উপমহাদেশের নেপাল, হিমালয় এবং ভুটানে খুব বেশি পাওয়া যায়। এ উদ্ভিদকে ইংরেজিতে Chiretta বলা হয়, পাঞ্জাবি ও হিন্দিতে চিরেইতা বলা হয়।এই গাছটি প্রচুর তিতা বলেই নাম দেওয়া হয়েছে হয়তো চিরতা। এর রস এবং স্বাদ অত্যন্ত তিতা।
চিরতার উপকারিতাঃ চিরতার বৈচিত্র্যময় উপকারিতা বিদ্যমান। চিরতার
মাধ্যমে হৃদরোগ এর সমস্যা দূর হয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত
হয়, চুলকানির সমস্যা দূর হয়, বমি কমায় এবং জ্বর ও
এলার্জি নিরাময়ে ভূমিকা পালন করে। এবং এর দ্বারা প্রবল এজমা বা
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি কমে। শরীরে পচা ঘা দেখা দিলে একটু পানিতে মিশিয়ে
ধুয়ে দিলে সেটা দ্রুত শুকায়। চুল পড়া বন্ধ হয় চিরতা দ্বারা।এটা
খেলে রক্তশূন্যতা কমে।
থানকু্নি ভেষজ উদ্ভিদ ও এর উপকারিতা
থানকুনি এটি হচ্ছে একটা ভেষজ উদ্ভিদ। এটি ভারত উপমহাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ তথা অস্ট্রেলিয়া ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি
বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যায়। বিভিন্ন কোম্পানি যারা স্কিন কেয়ার নিয়ে কাজ
করে অর্থাৎ স্কিন বা ত্বকের বিউটি বা সৌন্দর্যের জন্য যে সমস্ত কসমেটিক্স
গুলো তৈরি করে থাকে সেগুলোর প্রধান একটা উপাদান থাকে থানকুনি। থানকুনি
ইংরেজিতে উপাদান গুলোর ভিতরে (Cica) সিকা নামে অভিহিত থাকে।
থানকুনির উপকারিতাঃ থানকুনির বিভিন্ন উপকারিত রয়েছে যেমন এর মাধ্যমে
গলা ব্যথা দূর হয়, যদি কারো আমাশয় হয় এটা খেলে দ্রুত সেরে
যায়। আবার সর্দি কাশির জন্য নিরাময় ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়। এটিতে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কারণ এতে রয়েছে অনেক ভিটামিন
সি।থানকুনিতে মুখের বিভিন্ন দাগ যেমন ব্রণ, ঘা ও মেস্তা ইত্যাদি এগুলো দূর
করে। থানকুনি পেটের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
অর্জুন গাছ ও এর উপকারিতা
প্রাচীনকাল থেকেই অর্জুন গাছ, এর ছাল, এর এর বাকল বিভিন্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে
আয়ূর্বেদিক বা ভেষজ বা ঔষধি গুনাগুন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন
এলাকায় এটিকে ধাওয়াল বলা হয়। আবার এটিকে ইংরেজিতে বৈজ্ঞানিক নাম
হিসেবে টার্মিমিনেলিয়া বলা হয়। বিশেষ করে অর্জুন গাছের ছাল পাউডার
হিসেবে ব্যবহার হয়। যেহেতু অর্জুন গাছের ছালের ভিতরে বেশি উপকার বিদ্যমান
তাই অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা লেখা হলো।
অর্জুন গাছের ছালের ভিতরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাহলে এটি
ক্যান্সার রোধে অত্যন্ত উপকারী। অর্জুন গাছের ছালের সাথে একটু রসুন
মিশিয়ে একসাথে শরীরের কোন জায়গায় আঘাত হলে সেখানে
লাগালেই খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। আবার একটা বিষয় খুবই
গুরুত্বপূর্ণ যাদের ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয় অর্জুন গাছের ছাল রাতে ভিজিয়ে রেখে
সকালে তার রস ফেলে অত্যাধিক ফলপ্রসূ কাজ করে। মেদ-ভুড়ি কমাতে এবং যদি কারো
প্রস্রাবে বাধা সৃষ্টি হয় এটি রস খেলে অনেক উপকারী কাজ করে।
ঘৃতকুমারী উদ্ভিদ ও এর উপকারিতা
ঘৃতকুমারী উদ্ভিদকে ইংরেজিতে মেডিসিনাল aloe বা burn
plant আবার বৈজ্ঞানিক ভাষায় এলোভেরা বলা হয়। এটি
দেখতে অনেকটা আনারস ও ক্যাকটাসের মত এবং কাঁটাওয়ালা। এলোভেরা আজ থেকে
ছয় হাজার বছর আগে সর্বপ্রথম মিশরে দেখা যায় এবং বর্তমানে
আফ্রিকার মরুভূমিতে খুব বেশি পরিলক্ষিত হয়। আর এর ভেতরের রসটা খুবই
পিচ্ছিল হয় যেটা অনেকটা লালার মত।
ঘৃতকুমারী বা এলোভেরার উপকারিতাঃ এটির মাধ্যমে শরীরের টক্সিন বা দূষণমুক্ত
হয়, চামড়া বা ত্বক ও চুলের জন্য মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে, এবং শরীরের
বিভিন্ন জ্বালাপোড়া এবং ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। এটির মধ্যে মানব
দেহের জন্য প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামিনো অ্যাসিড খনি
বিদ্যমান পাশাপাশি শরীরের ওজন কমাতেও বড় ভূমিকা পালন করে।
বাসক গাছ ও এর উপকারিতা
বাসক হালকা হলুদ ও সাদা রঙের হয়ে থাকে। এটি উপমহাদেশের প্রায় সব
জায়গাতেই পাওয়া যায়।বাসকের গাছ প্রায় 5 থেকে 6 ফুট উঁচু হয়। এটির অপর
নাম হচ্ছে ভাসিকা, বানসা এবং আডুসা ও বলা হয় এই বাসককে। এটি লোকালয়ে বেশি
জন্মে এবং আষাঢ় শ্রাবণ মাসে এটির ফুল ফোটে। বাসকের ফলগুলো সুপারির ফলের
মত হয়ে থাকে এবং এর ভিতরে বীজে ভরপুর থাকে।
বাসকের উপকারিতাঃ বাসক পাতা সাধারণত তিন থেকে পাঁচ মিটার
পর্যন্ত। বাসকের পাতার বিশেষ করে উপকারিতা অনেকেরই অজানা। তো আপনাদের যেটা
জানাবো সেটা হচ্ছে বাসকের পাতায় সর্দি কাশি দূর
হয়, জন্ডিস, জ্বর, অ্যাজমা, দাঁতের ব্যথা এমনকি চর্ম রোগের
নানা সমস্যা দূর করনে অত্যাধিক শক্ত ভূমিকা রাখে। আবার এটি
দ্বারা বাচ্চাদের খিচুনি দূর হয় এমনকি দুর্গন্ধ জনিত শরীরের ঘাম ও
দূরীকরণে সাহায্য করে।
পুদিনা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ ও এর উপকারিতা
১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা এর শিরোনামের আরো একটি হচ্ছে পুদিনা যেটি এক
ধরনের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৬০০ মতো পুদিনা রয়েছে
রয়েছে। পুদিনা দুই ধরনের হয়ে থাকে এক বর্ষী এবং বহুবর্ষী। ইংরেজিতে
এটিকে Spear Mint বলা হয়। এটি খুব সহজেই মাটিতে চাষ করা যায় আবার এমনিতেই
বাড়িতে যে কোন জায়গাতে বারান্দায় টবে চাষ করা যায়।পুদিনা প্রাকৃতিকভাবে বেশি
জন্মে আফ্রিকা, আমেরিকা, চীন এবং ভারতের হিমালয়ে ইত্যাদি জায়গায়।
পুদিনার উপকারিতাঃ পুদিনা পাতা মাথা ও পেট ব্যথা দূর করতে
সহায়ক। সর্দি কাশি এবং জমে থাকা কফ জনিত সমস্যা দূর করে। পুদিনা
পাতার সাথে একটু গোলমরিচ মিশিয়ে রস করে রসটুকু পান করলে হেঁচকি বন্ধ
হয় এমনকি কোন সেন্সলেস বা অজ্ঞান ব্যক্তি এর নাকের সামনে পুদিনা
পাতা স্পর্শ করলে জ্ঞান ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। আবার পুদিনা পাতার মাধ্যমে
ক্লান্তি শ্রান্তি দূর হয় এবং মুখের তৈলাক্ত অবস্থা দূর হয়।
পাথরকুচি ঔষধি গাছ ও এর উপকারিতা
পৃথিবীতে যে সমস্ত ঔষুধি গাছ অনেক ঔষধের কাজ করে সেগুলোর ভিতরে অন্যতম একটি গাছ
হচ্ছে পাথরকুচি। এটি সাধারণত মাটিতে ফেলে রাখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চারা হয়ে
যায় ঘটা করে চাষ করতে হয় না। আর এটার উচ্চতা দের থেকে দুই ফিট
হয়। এবং এটির রস দু চার ফোঁটা থেকে ১০ ফোঁটা পেটের মধ্যে গেলেই
যেকোনো ধরনের রোগের উপশম (দূরকারী) হিসাবে কাজ করে।
পাথরকুচির উপকারিতাঃ এই পাথরকুচি ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম উদ্ভিদ
যেটি পেট ফাঁপা, সর্দি, জন্ডিসের সমস্যা এবং শরীরের যে কোন জায়গা কেটে
গেলে সেটা দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। আবার এটি পাইলসের সমস্যা, বীর্য
পাতলা একটুতেই প্রস্রাবের সময় ফোটা ফোটা হয়ে বীর্য ঝরে যায় তাদের
ক্ষেত্রে রস খেলে অনেক ভালো কাজ করে।
তোকমা দানা ও এর উপকারিতা
তোকমা এক ধরনের উদ্ভিদের দানা যেটি কালো রঙ্গেরও হয় আবার হালকা হলুদ রঙ্গের হয়
এবং আকারে ছোট হয়। এটি অনেক আগে থেকেই চাইনিজ মেডিসিন এবং ইউনানী চিকিৎসায়
ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাথে সাথে এটি আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ উদ্ভিদ
হিসেবেও বহু কাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে।পাশাপাশি শরবত এবং মিষ্টি
পানীয় তৈরিতে এটি মিশ্রণ থাকে।
তোকমা দানার উপকারিতাঃ তোকমা দানার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার বা আঁশ এবং এবং অত্যাধিক ক্যালরি বা খাদ্য শক্তি থাকে। তোকমা দানা বিশেষকরে এসিডিটি বা গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। সুস্থ ত্বক ও চুলের জন্য কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এবং এতে প্রচুর ওমেগা থ্রি রয়েছে যার মাধ্যমে গ্যাসের অত্যন্ত উপশম হয়।
শতমূলী উদ্ভিদ ও এর উপকারিতা
শতমূলীকে ইংরেজিতে অ্যাসপারাগাস বলা হয়। এবং এটি বহুবর্ষজীবী হয়ে থাকে।
গাজর ও মুলা বেঁধে রাখলে যেমন দেখায় শতমূলী দেখতে ঠিক তদ্রুপ। শতমূলিকে বিভিন্ন
জায়গায় পাওয়া যায় যেমন শালবনে পাওয়া যায়, দেশের উত্তর উত্তর ও
পূর্বাঞ্চলের বন ও জঙ্গলে পাওয়া যায় এবং এবং বাড়ির
পাশে বিভিন্ন বাগানে চাষও করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ১০টি কোরআন হাদিসের বাণী স্পষ্টরুপে জানুন
শতমূলীর উপকারিতাঃ শতমূলের রস প্রতিদিন ৩-৪ চামচ খেলে আমাশয় দূর
হয়, হজমে সাহায্য করে।আবার যদি কারো বাত ব্যথা বা আগেকার কোন স্থায়ী ব্যথা
থাকে তাহলে সেখানে শতমূলের ছাল থেতলে দিলে দ্রুত ব্যথা নাশকতার কাজ
করে। পাশাপাশি যদি পেটের কোন ট্রাবল হয় এবং বায়ু নিঃসরণ না হয় এই শতমূলের
রস খেলে বায়ু নির্গত বা নিঃসরণ খুব সহজ হয়।
লেখকের শেষ কথা
১০টি ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, সম্মানিত পাঠক আপনি এই আর্টিকেলটি থেকে 10 ধরনের ঔষধ সমৃদ্ধ ভেষজ উদ্ভিদ এর ধারণা পেয়েছেন। আর আপনাকে আমি বলব যে আপনি এই গাছ বা উদ্ভিদগুলো নাম জেনে এই সম্পর্কে ইন্টারনেটে আরও সার্চ করলে এগুলো কোনটি কখন কিভাবে খেলে এবং কিভাবে ব্যবহার করলে সুবিধা পাওয়া যায়, আরাম পাওয়া যায় এবং ভালো উপকার পাওয়া যায় সেগুলো আপনি জানতে পারবেন।
আর আজকের মত এখানেই শেষ করছি। যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার বিন্দুমাত্র কোন উপকার করতে পারে তাহলে আপনি আমাদের সাথে থাকবেন এবং আমাদের সামনে ব্লগ বা আর্টিকেলগুলোকে পড়ে জ্ঞান সমৃদ্ধ করবেন ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ সবার সহায়ক।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url