মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং এর সহজ ও জনপ্রিয় কাজমোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 সম্পর্কে এখানে লিখব। আজ আধুনিক বিশ্বে তথ্য ও প্রযুক্তির জয়জয়কার প্রভাবের ফলে অনেক বিশয়ে উন্নতি হয়েছে। আবার কিছু বিষয়ের ক্ষতিকর দিকগুলোও অবলোকন হচ্ছে। যেমন মোবাই ফোন হচ্চে যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। 

মোবাইল-ফোন-ব্যবহারের-ক্ষতিকর-দিকগুলো-2024

এই মোবাইল ফোনের অনেক সুবিধা থাকলেও ক্ষতিকর দিকগুলো কম নয়। আর এই মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর বিষয়গুলো এই ব্লগে লেখেছি। সুপ্রিয় প্রাণের পাঠক, আপনি মোবাইলের ক্ষতিকর দিকগুলো পড়ুন এবং সর্বোচ্চ সতর্ক ও সজাগ থাকুন!

পেজ সূচীপত্রঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 নিয়ে পেশ করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে যেটা আঠার মত লেগে থাকছে আমাদের সাথে। দিন দিন পাল্লা দিয়ে আমাদের সাথে মোবাইলের ব্যবহারকে সম্পৃক্ত করে ফেলেছি। খাইতে যাওয়ার সময় মোবাইল, ঘুমাইতে যাওয়ার সময় মোবাইল, বিভিন্ন সময় অডিও শুনে ভিডিও দেখে আমরা সময় কাটায় এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। নিচে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো লেখা হলো।

১. মানসিক সমস্যাঃ আমরা সর্বদা মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে আমাদের মেজার খিটখিটে হয়ে যায়। যেকোনো ক্ষেত্রে গরম আচরণ করি শান্ত হয়ে থাকতে পারিনা। মন মানসিকতা উগ্র উশৃঙ্খল হয়ে যায়। দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলে। কারণ, এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পর বাড়ির কোন কাজ করতে গেলে মনের ভিতরে অস্থির অস্থির লাগে এবং মানসিক সমস্যায় প্রভাব ফেলে।

২. দৈহিক সমস্যাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।কারণ, এই সেল ফোনগুলো বা স্মার্টফোনগুলো আমরা যখন ব্যবহার করি তখন আমাদের শরীরের প্রধান অংশ মাথাটা একটু বেশি নুয়ে যায়। ফলে, এক্ষেত্রে ঘাড়ে ব্যথা সৃষ্টি হয়। ঘাড় ঘোরানো যায় না দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার কারণে। যেহেতু মাথাটা একদিকেই থাকে নড়াই না চড়াই না, তাই ঘাড় স্থবির হয়ে যায় এবং অনেক ক্ষণ ব্যথা থাকে। অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে।

৩. সময় অপচয়ঃ সর্বদায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার দ্বারা আমাদের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট হয় অপচয় হয়। যখন ইন্টারনেট কানেকশন আপনি করবেন লক্ষ্য রাখবেন, যদি এক্ষেত্রে যেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকে যান বিশেষ করে ফেসবুক টিকটক ইউটিউব শর্ট এই সমস্ত ভিডিও গুলো দেখতেই থাকেন। এই সোশ্যাল মিডিয়া এত আকর্ষণীয় করে তৈরি করা হয়েছে যে আপনি স্ক্রলিং করতেই থাকবেন। 

আপনার সামনে এমন কিছু আসবে যেটা আপনি না দেখে থাকতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে অত্যাধিক সময় অপচয় হয়। এবং আমাদের জীবন থেকে সময়গুলো ফুরিয়ে যায়। আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করার সময় অত্যন্ত সচেতন থাকা উচিত। অন্যথায়, আমাদের জীবন থেকে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ সময় আমরা এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শেষ করে দিব যেটা টেরও পাবনা।

৪. আর্থিক সমস্যাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে আপনার অর্থের অনেক ক্ষতি হয়। আগেকার সময়ে ব্যবহার করলে একটু কম খরচ হলেও বর্তমান সময় ২০২৪ এসে অতিরিক্ত খরচ হয়। এখন একটা ভালো এন্ড্রয়েড ফোনে ডাটা চালু করে ফেসবুক বা youtube এর ভিডিও দেখা শুরু করবে ভালোভাবে চললে দেড় দুই ঘন্টার ভিতরেই ১ জিবি বা এক হাজার ২৪ এমবি শেষ হয়ে যায়। আর বেশিক্ষণ চালালে তো কোনো কথায় নাই, প্রায় একদিনে ৫-৬ জিবি যেটা ১০০ টাকার সমান।

৫. শিক্ষাগত সমস্যাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আজ বাচ্চারা অতিরিক্ত আসক্ত হওয়ার জন্য স্কুলে যায় না। বড়রা যাদের বয়স ১৫-১৬ থেকে শুরু করে 20-২২ এর কিশোর এবং যুবকরা অধিক সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করার কারণে তাদের আসক্তি বেষি হয়ে যায়। কাজেই, তারা বাবা-মায়ের কথা গ্রাহ্য করেনা। এক্ষেত্রে, তাদের লেখা পড়ায় প্রচুর ক্ষতি হয় মানে স্কুলে যায়না। আর স্কুলে গেলেও বাড়ীতে এসে পড়তে বসেনা।

আরো পড়ুনঃ ২০টি খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়

৬. নিরাপত্তায় বিঘ্নতাঃ অনেক সময় দেখা যায় রাস্তাঘাট পারাপার সময় বা রাস্তা দিয়ে চলার সময় মানুষ রোড অ্যাকসিডেন্ট হয়। খবর নিয়ে দেখা যায় যে সে মোবাইল কানে ধরে সতর্ক হয়ে রাস্তায় হাঁটতেছিল বা মা রাস্তা ক্রস করছিল। এই সময় একটা গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। ফলে আহত হয় অথবা সাথে সাথেই মারা যায়। এক্ষেত্রে, নিরাপত্তা জনিত সমস্যা হয়। আর এগুলো অহরহ ঘটছে। কাজেই, সতর্ক থাকা অতীব জরুরী।

৭. বাড়ীতে বন্ধুরা কম সময় পায়ঃ মোবাইল ফোন খুব বেশি চালানোর জন্য বাড়ীর আসে-পাশের গুরত্বপূর্ণ বন্ধু-মহল কম সময় পায়। এক সময় এই বন্ধু ছাড়া এক মূহুর্ত চলতনা। আর এই বন্ধুগণের মাধ্যমে কত সাহায্য সহযোগিতা নেওয়া হত। আর এখন মোবাইল ফোনটাই সব। তাই মোবাইল ফোনের ব্যবহারে জন্য বন্ধু-বান্ধবের সাথে কোয়ালিটি সময় কাটানোর সময় পাওয়া যায় না। জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

৮. সামাজিক সমস্যাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের এতটাই প্রভাব সৃষ্টি করেছে আজকাল যে সামাজিক লোকদের সাথে আচরণে খারাপ আচারণ পরিলক্ষিত হয়। সমাজের লোকজন ও ঐ লোকটা বা ছেলেটাকে খারাপ চোখে দেখে যে সব সময় মোবাইলের সাথে কানেক্টেড থাকে। সমাজে আগে যেমন স্বাভাবিকভাবে চলত ফিরত ঘুরত খেলত এমনকি মানুষকে দেখা মাত্রই সালাম দিত এমনকি আদাব কায়দা ঠিক রেখে চলত এখন আর এগুলো করেনা। অবশ্যই সোচ্চার হওয়া আবশ্যক।

৯. সাইবারা সিকিউরিটি সমস্যাঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারে এমন কিছু অ্যাপ্স বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করি যেগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু ডাটা চাই। অন্যথায়, ব্যবহার এর এক্সেস দেয় না। এর মাধ্যমে নিজেদের প্রচুর তথ্য অ্যাডমিন বা অ্যাপ বা ওয়েবসাইট মালিক পক্ষের কাছে চলে যায়। এমনকি অন্য সাধারন মানুষও অনেক ডাটার অ্যাক্সেস পেয়ে যায়। তো প্রিয় পাঠক, এক্ষেত্রে প্রাইভেসি বা গোপনীয়তা নষ্ট হয়। বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত।

১০. চোখের সমস্যাঃ বিশেষ করে মোবাইল ব্যবহারের আরো একটা প্রধান সমস্যা হচ্ছে চোখের প্রচুর ক্ষতি হয়। ডিটেলসে বললে এভাবে বলব যে মোবাইলের স্ক্রিনে এক ধরনের Blue Ray বা নীল রশ্মি বা আলো বের হয় যেটি রেডিয়েশন তৈরি করে। চোখের জ্যোতি কমায়। আর রেডিয়েশন মানে শুধু চোখেরই নয় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। তাই এটি থেকে সাবধান থাকা অত্যন্ত জরুরী। 

এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো মানসিক শারীরিক অর্থনৈতিক সামাজিক পারিবারিক শিক্ষাগত ইত্যাদি বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই বিষয়টি বিশেষ বিবেচনা পূর্বক পর্যবেক্ষণ করে সাবধান সতর্ক ও সোচ্চার থাকা অত্যাধিক প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনে অপকারিতা আপনার সামনে পেশ করতেছি। ছাত্র জীবন লেখাপড়ার জীবন। ছাত্র জীবন মানুষ এর মত মানুষ হয়ে উঠার জন্য এই সময়টা কাজ করে। একজন ছাত্র মোবাইল ব্যবহার করলে সে যদি অপব্যবহার করে তাহলে তার জীবন ধ্বংস হতে বাধ্য। তবে দুর্যোগ বা কোন বিপর্যয়ের সময় অনলাইনে ক্লাস করলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তবে অনলাইনে ক্লাস করার সময়ও পিতা-মাতা বা তার কোন গার্জিয়ান বা অভিভাবক কে খেয়াল রাখতে হবে। 

ছাত্র-জীবনে-মোবাইল-ফোনের-অপকারিতা

সেই অনলাইনে ক্লাস করছে না অন্য কোন কাজ করছে। একজন ছোট বয়সী ছাত্র এর কাছে মোবাইল এর  অ্যাক্সেস থাকলে তার জন্য ব্রাউজিং করা একেবারে সহজ। ব্রাউজিং করতে গিয়ে কোন বিদ্যালয় বা পাঠশালার বই পড়লে বা এসাইনমেন্ট করলে বা ই বুক সমস্যা নেই। তবে সে পিডিএফ বা ই-বুক করতে গিয়ে সে গেমে আসক্ত হচ্ছে কিনা সেটা বাবা মাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ছাত্রের মোবাইল ব্যবহারের আধিক্যতার কারণে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করতে পারে এটা ঘাঁটাঘাটি করতে গিয়ে চালাক হয়ে যেতে পারে। একসময় সে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হতে পারে। 

একবার দেখলে বারবার দেখতে মন চাইবে। তাই এক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে মোবাইল ব্যবহার করা বাবা মাকে ম্যানেজ দিতে হবে। অনলাইনে এমন কিছু গেমস আছে যে একবার খেললে আরেকবার খেলতে মন চাইবে। আর এই গেম খেলতে খেলতে তার পড়ালেখার কোন খবর থাকবে না সময় পার হয়ে যাবে। একসময় সে পড়তে যাবে না পড়তে বসবে না স্কুল ফাঁকি দিবে। ফলে ছাত্রের লেখাপড়ার প্রচুর ক্ষতি হবে এমনকি লেখা পড়া নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যাবে। তাই সজাগ বাবা-মাকে ছাত্র-ছাত্রী ছেলে মেয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল দিকগুলো এখানে তুলে ধরা হলো। সর্ব প্রথমে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল বলা হচ্ছে। প্রিয় পাঠক মনোযোগ দিন। মোবাইল ফোন ব্যবহারের নানাবিধ সুফল রয়েছে। যেমন এই ফোনটি ওজন কম হয় বহন করা হোক। এর মাধ্যমে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কম খরচে টেক্সট বা মেসেজ করা যায় বিভিন্ন গ্রাহক, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন অনেককেই। 

মোবাইল ফোনে মাধ্যমে বিভিন্ন রিসার্চ বা গবেষণা করা যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন কিছু শিখা যায়। কোন কিছু অজানা থাকলে সেটি সার্চ করে বের করা যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকে না গিয়ে ঘরে বসে ব্যাংকিং করা যায়। এই সেল ফোনটির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন উপকারিতা বা সুফল রয়েছে। এখন মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুফল বা অপকারিতা বলছি। 

সম্মানিত পাঠক মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনেক ধরনের সুফলের পাশাপাশি কুফল রয়েছে। যেমন গবেষণায় দেখা গিয়েছে নোমোফোবিয়া নামে এক ধরনের নীরব ব্যাধি হচ্ছে। নোমোফোবিয়া মানে নো মানে না, মো মানে মোবাইল, ফোবিয়া মানে ভীতি একসাথে করলে অর্থ হয়- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের আসক্তির কারণে মোবাইল ফোন সাথে না থাকে ভীতি সৃষ্টি হয় অন্তরে ভয় কাজ করে অস্থিরতা কাজ করে এই হয়তো আবার কি হয়ে গেল আমার সাথে আমার ফোন কোথায় মানে মোবাইল ফোনটি তার সবকিছু। 

আর অন্য কিছু তার কাছে কাজের মনে হয় না। মোবাইল ফোন ব্যবহার গরিব বাবা মার জন্য অত্যন্ত আর্থিক সংকটের একটি বিষয়। অর্থাৎ সন্তানেরা মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়ার জন্য মোবাইল তাকে ক্রয় করে দিতে চাপ সৃষ্টি করে যেটা তার বাবা মার জন্য অত্যন্ত কষ্টের। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে রাস্তা পার হওয়ার সময় অনেক সময় বেখেয়ালে এক্সিডেন্ট হয়। অনেক সময় গাড়ি চালকরা কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানোতে অন্য মানুষকে অ্যাক্সিডেন্ট করে চলে যায় যেটি স্বজনদের অত্যন্ত বেদনার।

এছাড়াও, মোবাইল ফোন ব্যবহারের আরো সুফল ও কুফল হয়েছে যেগুলো রিসার্চ বা গবেষণা করলে আপনি জানতে পারবেন বুঝতে পারবেন। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া উচিত। 

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক এই জায়গায় লিখা হচ্ছে। অতিরিক্ত স্মার্টফোন বা এন্ড্রয়েড ফোন বা মোবাইল ফোন ব্যবহারে ইতিপূর্বে বিভিন্ন ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। তথাপিও প্রিয় পাঠক আপনাকে এখানে আরো কিছু বলার চেষ্টা করছি। মোবাইল ফোন ব্যবহার আমাদের জন্য নিত্য দিনের একটা অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দিই না খেলে পরে বিভিন্ন ইউটিউব এর গান বাজিয়ে দিয়ে বা কার্টুন ভিডিও চালিয়ে বাচ্চাদেরকে সময় দিই না। ফলে ছোট মস্তিষ্কে তাদের ব্রেইন মোবাইল ফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে যায়। মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এই ফোন থেকে রেডিয়েশন বা তড়িৎ চুম্বক রশ্মি বের হয় যেটা শরীরের নার্ভ বা স্নায়ুগুলোকে আক্রান্ত করে, ফলে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে এক ধরনের ডিজিজ বা রোগ হয় মোবাইল আসক্তির কারণে সেই রোগের নাম হচ্ছে আলঝেইমার এবং পারকিনসন যেগুলো অত্যন্ত খারাপ রোগ। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে করতে অনেক সময় চা খাওয়ার অভ্যাস হয়। হলে পরবর্তীতে চা খাওয়ার নেশায় পরিণত হয় এটি কাজে অমনোযোগিতা সৃষ্টি করে এবং সমাজের লোকদের সাথে মেলামেশা করারও সমস্যা তৈরী হয়।

এছাড়াও, কারণ নানাবিধ ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো একটু আশেপাশে দৃষ্টিপাত করলেই বুঝতে পারবেন। বিশেষ সতর্ক বার্তা গ্রহণ করতে হবে যেন মোবাইলের অতি ব্যবহার এবং অপব্যবহার না হয়।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর পাঁচটি উল্লেখযোগ্য দিক

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো উপরে উল্লেখ করেছি এরপরেও উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ক্ষতিকর দিক আপনাকে বলব আপনি মন দিয়ে পড়বেন এবং সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন। তো নিম্নে মোবাইল ফোন ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করছি। যেগুলো জানলে আপনি জীবনে বাস্তবায়ন করলে উপকৃত হবেন এবং সুফল পাবেন।

  1. চোখ ঝাপসা দেখা বা কম দেখা।
  2. মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়া।
  3. শরীরের যে হাড় গুলো আছে সে হাড়ের জোড়া গুলো ব্যথা সৃষ্টি হওয়া।
  4. হঠাৎ কানে কোনো আকস্মিক শব্দ শোনা।
  5. দেহের ভিতরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়া যেটা পুরুষের শক্তি (মেয়েদে স্ট্রোজেন হরমন)
আমার কাছে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য মনে হলো আপনার কাছে অন্য কিছু হতে পারে তবে যেটাই হোক না কেন আপনাকে এক্ষেত্রে সাবধান সতর্ক ও সোচ্চার থাকতে হবে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো দিকগুলো

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো দিকগুলো লেখার চেষ্টা করছে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো দিক বিভিন্ন রয়েছে। আর ইতিমধ্যেই স্মার্টফোন বা এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহারের ভালো দিকগুলো আপনাকে বলা হয়েছে। এখানে আরো কিছু ভালো দিক লিখতেছি যেগুলো সত্যিই আজকের দুনিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। মোবাইল ফোন আমাদের হাতে না থাকলে আজকে যেন অচল হয়ে যাচ্ছে। 

মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের এক মুহূর্ত চলে না যেখানে যাই যেটাই করি মোবাইল ফোন হাতে নিয়েই করি। এমনকি পায়খানা ল্যাট্রিন পর্যন্ত মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে গিয়ে পায়খানার কাজ সম্পন্ন করা হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা গান শুনি ভিডিও দেখি, সিনেমার নাটক, ড্রামা কৌতুক, আরো নানাবিধ ওয়াজ-নসিহত জলসা তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠান বিভিন্ন কিছু উপভোগ করে থাকি। 

এছাড়াও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাদের পারিবারিক কাজ সাংসারিক কাজ অর্থনৈতিক কাজ সামাজিক কাজ রাষ্ট্রীয় কাজ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের লাইভ করে থাকি কোর্স করে থাকি ক্লাস করে থাকি সেমিনার করে থাকি কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারণা করে থাকি। 

বিভিন্ন সময় পোস্ট করে থাকি মার্কেটিং করে থাকে। এডভারটাইজমেন্ট করি ও স্পন্সর করি। এছাড়াও, ফটোগ্রাফি করে বিয়ে বাড়িতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করি। আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো আমরা একটু চিন্তা করলে বের হয়ে আসবে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

মোবাইল ফোনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে সেগুলো এখানে পরস্পর লিখা হলো। মুহতারাম পাঠক আপনি যদি নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করেন তাহলে আমি আশা করছি আপনি মোবাইল ফোনের ব্যবহারের অতি আসক্তি থেকে বাঁচতে পারবেন। তো চলুন স্মার্টফোন ক্ষতির থেকে বাঁচার উপায়গুলো পড়ে নেই।

অতিরিক্ত ব্যবহারে আসক্তি থেকে সতর্ক থাকতে হবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক কাজে আপনি জড়িত হতে পারেন। কারণ সামাজিক কাজে জড়িত হওয়ার মাধ্যমে মোবাইলকে কম সময় দেওয়া হবে ফলে আপনি এটা থেকে বাঁচতে পারবেন। বিভিন্ন উদ্ভাবনী কাজে লেগে যেতে পারেন এটা আপনাকে মোবাইল ফোন অধিক ব্যবহার করা থেকে বাঁচতে পারবেন। রোড পার হতে গিয়ে বা গাড়ী ড্রাইভ করার সময় মোবাইল এর ব্যবহার কোন জরুরী প্রয়োজন না হলে করা যাবেনা।

মোবাইল-ফোনের-ক্ষতিকর-দিক-থেকে-বাঁচার-উপায়

ডাক্তার বা গবেষকদের কথা মেনে চলতে হবে কারণ তাদের কথা একটানা মোবাইল ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে। তারা বলে যে প্রতি ১-২ ঘন্টায় ১০-১৫ মিনিট মোবাইল ব্যবহার করা সমীচিন। তাহলে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। মোবাইল এর মেসেজ নোটিফিকেশন অফ করে রাখতে হবে। কারণ মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ রয়েছে যেগুলো খুব আকর্ষণীয় বার্তা দেয় যেগুলোতে একবার ঢু মারলে বের হওয়া খুব মশকিল হয়ে যায়।

এছাড়াও, ডু নট ডিস্ট্রাব(Do not distrub) অপশন চালু করে রাখলে কোনো ধরনের মেসেজ বা নটিফিকেশন বা বার্তা বা বিজ্ঞাপন আসবেনা। এক্ষেত্রে একটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। আর মোবাইল ফোন ক্রয় করার সময় ্সার ভ্যালু চেক করতে হবে তাহলে মোবাইলের বিভিন্ন ক্ষতিকর সাইডগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই এ ক্ষেত্রে অতীব জরুরী ভিত্তিতে সজাগ থাকতে হবে!!

বাচ্চাদের মোবাইল ব্যবহারে কি কি ক্ষতি হয়?

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 সালে এসে বাচ্চাদের মোবাইল ব্যবহারের যে ক্ষতিগুলো হয় সেগুলো এখানে লেখা হলো। আসলে বাচ্চার মস্তিষ্ক খুবই নরম ও গ্রহণীয়। যেটা দেখে সেটা করার ও বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। একজন বাচ্চা বা শিশুর হাতে মোবাইল তুলে দেওয়া মানে তার মস্তিষ্কের পোগ্রামে সে মোবাইলে ভালো মন্দ যা দেখে সেটা অতি দ্রুত ধরে নেয়। 

একজন মোবাইল ফোন হাতে পাওয়া বাচ্চার চেয়ে মোবাইল ফোন না থাকা বাচ্চাদের ২৩০ গুণ বেশি রোগের ঝুকি কম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। স্মার্টফোন আসক্ত বাচ্চাগুলোর মাথা, ঘাড়, পিঠ ও বুক ব্যথা হয় এমনি ব্যথা হয় চোখ বা নয়নে পর্যন্ত। গবেষকদের মতে যে বাচ্চাদের বাবা মা দিনে ২-৩ ঘন্টা মোবাইল চালায় তাদে বাচ্চাদে ৯০ গুন বেশি মোবাইলে আসক্তি হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং এটার চিকিৎসা কী?

এহেন বাচ্চাদের চোখে দেখার শক্তি কমে যায়। এদের পুষ্টিহীনতা পরিলক্ষিত হয় এমনকি ওজন বৃদ্ধি পর্যন্ত হয়। আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরী হয়। মানসিক সমস্যা যেমন অস্থিরতা, চঞ্চলতা, অসস্থি ইত্যাদি হয়। এছাড়াও, পরিবার ও সামাজিক লোকদের সাথে মেলামেশা কম করে। হিংসাত্মক মনোভাব আচরণে আচরতি হয়। লেখা পড়ায় মনোযোগ নষ্ট হয়। 

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত?

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন এটা গবেষকরা বিভিন্ন গবেষণার ফল আমাদে সামনে থ্রো করেন যেটা ফলো করলে আমরা মোবাইল ফোনের ক্ষতি থেকে বাঁতে পারব। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এক্ষেত্রে কতক্ষণ চালাবেন। কোন কাজে কতটুকু সময় দিবেন রুটিন করে নির্ধারণ করলে ঘন্টায় যেটুকু ব্যবহার করবেন এটা নিশ্চিত করা যাবে। 

গবেষকরা বলছেন যে দিনে একজন মোবাইল ব্যবহারকারীকে ২ থেকে ৩ ঘন্টা হাতের স্মার্ট ফোনটা চালানো আদর্শ। কারণ এ ২-৩ ঘন্টা চালালে খুব বেশি ক্ষতি হবেনা। কিন্তু আমরা প্রায় দিনে ১০-১২ ঘন্টা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটা ব্যবহার করে ফেলি অসতর্ক হয়ে কোন টাইম না নির্দিষ্ট করার জন্য। সবচেয়ে ভালো ২ ঘনটা ব্যবহার করা প্রথম দিকে একটু কষ্ট হবে বাট আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 এই আর্টিকেলে এতক্ষণ পর্যন্ত বলেছি। সম্মানিত ব্লগ পাঠকারী, আপনি যদি উক্ত আর্টিকেলটি গভীরভাবে পড়ে থাকেন তাহলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি বা অপকারিতা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভালোই বুঝতে পেরেছেন এটা আশা করছি। আরো এ রকম নিত্য নূতন নূতন আইডিয়া পেতে আমাদের ব্লগার ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন। তাহলে আমরা আপনার সাথে উপকারী সব আর্টিকেল নিয়ে আসতে সুযোগ পাব ইনশাআল্লাহ।

FAQs

মোবাইল ফোনের ভালো দিক গুলো কি কি?

মোবাইল ফোনের ব্যবহারের দিকগুলো- এটির মাধ্যমে আপনি সহজে ভয়েস কল যোগাযোগ করতে পারেন। ইন্টারনেট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মেইল বা বার্তা পাঠাতে পারেন। ছোট ছোট মেসেজ করতে পারেন আপনার হাতের সেল ফোনটির মাধ্যমে। আরো অডিও শুনা, ভিডিও দেখা, নোট করে রাখা ইত্যাদি কাজ করতে পারেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি দিক

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতি হচ্ছে- চোখে দর্শন শক্তি কমে যাওয়া, ঘাড় পিঠ কোমর ইত্যাদি ব্যথা হওয়া। মানসিক অস্থিরতা, মাথা ব্যথা, বিভিন্ন পারিবারিক কাজে অমনোযোগিতা দর্শিত হওয়া। শারীরিক- মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক আরো বিভিন্ন কাজে ব্যাঘাত ঘটা।

মোবাইল ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা

মোবাইল ফোনের সুবিধা- বিভিন্ন মনে রাখার জন্য নোট করে রাখা, লেখালেখি করতে পারা, রেকর্ডিং করে শর্টকটে বিভিন্ন বিষয়ে সাবমিট করতে পারা, ভয়েস রেকর্ড করা, অডিও ভিডিও করা, ই-মেইল আদান-প্রদান করা ইত্যাদি। আর অসুবিধা হচ্ছে- দৈহিক ও মনের দিক থেকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরী হওয়া, যেমন- সময় নষ্ট হওয়া, টাকা-পয়সা নষ্ট হওয়া, খাওয়ার রুচি নষ্ট হওয়া, সামাজিক কাজে মনোযোগ না থাকা ইত্যাদি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Sahanaj Parvin
    Sahanaj Parvin ৮ মে, ২০২৪ এ ৬:৫৩ AM

    Very super post

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url