শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানুন

১০টি কোরআন হাদিসের বাণীশরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা নিয়ে আজকে আপনার সম্মুখে লেখব। প্রিয় পাঠক, খেলাধুলা ও শরীর চর্চার বিষয়টি দেহ ও মন উভয়টির জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ ও উপকারী। আপনি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে খেলাধুলার ও শরীরচর্চা উপকারিতা বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। 

শরীরচর্চা-ও-খেলাধুলার-উপকারিতা

আপনি যদি আর্টিকেলটি খেয়াল করে পড়েন তাহলে শরীরচর্চা হোক খেলাধুলা করলে কি উপকার পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সহ আরো কিছু খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা করার বিষয়গুলো জানতে পারবেন। তো তো চলুন আর্টিকেলটি পড়ুন!

পেজ সূচীপত্রঃ শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বিস্তারিত জানুন!

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিষয়টি শরীর ও মনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার শরীর এবং মনের ভিতর সমস্যা আছে বলতে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি আর অন্তরে মানসিক অশান্তি বিরাজমান তার জন্য শরীর চর্চা করা ও খেলাধুলা করার মাঝে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। 

সম্মানিত পাঠক, আপনার যদি উপকারের দরকার হয় আপনি অবশ্যই খেলাধুলা এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন যদি বিষয়টি বাস্তবে রূপদান করেন। খেলাধুলা ও শরীরচর্চা যে উপকারিতা তাহা বলে শেষ করা যাবে না এবং বুঝানো যাবে না মেলা উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা অর্থাৎ শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকবে ও মন প্রফুল্ল থাকবে। নিচে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার উপকারিতা লিখা হলো। 

শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ শরীরচর্চা ও খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। নিয়মিত যদি আপনি শরীরচর্চা করেন ও খেলাধুলা করেন তাহলে এর মাধ্যমে শরীর বা দেহ কার্যক্রম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার জীবনে একটা শান্তি অনুভব হবে সবল এবং সজীব থাকার দ্বারা। 

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নঃ মুহতারাম পাঠক, আপনি যদি প্রত্যেকদিন সময় ও রুটিন করে রেগুলার খেলাধুলাও দৈহিক চর্চা করেন তাহলে আপনার মনের ভিতরে চিন্তা দুশ্চিন্তা ভাবনা দূর ভাবনা বিদূরিত হবে। মনের যত জ্বালা-যন্ত্রণা অশান্তি হতাশা দুরাশা এগুলোও দূর হবে। তাই অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট সময় আপনাকে বের করতে হবে এবং সেই সময়টাতে আপনার নিজের উন্নতির জন্য খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করুন।

সামাজিক বন্ধনের উন্নতিঃ সম্মানিত ব্লগ পাঠক, আপনি অবশ্যই চান যে সমাজের মানুষ আপনাকে সম্মান করুক আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করুক তাই নয় কি? তাহলে নিশ্চয়ই আপনি প্রত্যহ শরীরচর্চা করুন ও রুটিন করে নিয়মিত খেলাধুলা করুন যা হলে এগুলোর মাধ্যমে আপনার সমাজের বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক বন্ধন মজবুত হবে এবং এর দ্বারা আপনি সকলের সম্মানের শ্রদ্ধেয় পাত্রতে পরিণত হবেন। 

সময়ের সঠিক ব্যবহারঃ সুপ্রিয় আর্টিকেল পাঠক, আপনি যখন প্রত্যেকদিন একটা নির্দিষ্ট সময় করবেন এবং সেই সময়টাতে আপনার খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা কে নির্ধারণ করে নেবেন তখন সময় মতো কাজ করতে পারার আপনার মন-মানসিকতা তৈরি হবে এবং আপনার দেহ সেইভাবে অভ্যাসে রূপান্তরিত হবে। ফলে আপনার কর্ম জীবন এবং পারিবারিক জীবনের সমস্ত কাজগুলো করা আপনার জন্য সহজ হবে। আর আপনি হয়ে উঠবেন একজন সময় নিষ্ঠাবান মানুষ। 

শরীরের রক্ত চলাচল সুন্দর থাকাঃ সুধী, যখন আপনি প্রতিদিন আপনার শরীরকে খাটাবেন এবং আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কোন বেশি বেশি নড়বে চড়বে অর্থাৎ আপনি শরীর চর্চা করবেন ও খেলাধুলা করবেন, তখন আপনার শরীরের ভেতরের শিরা-উপশিরার রক্ত চলাচলের বিষয়টা সহজ ও সুন্দর হবে এবং রক্ত চলাচলে কোন বাধা থাকবে না সাথে খুব সঠিকভাবে রক্ত চলাচল করবে। এতে আপনার শরীরের রোগব্যাধ হবে না এবং শরীর সুস্থ ও মজবুত থাকবে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ বেশি শিক্ষিত বিস্তারিত জানুন

বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকাঃ আপনি যখন প্রত্যহ নিয়মিত শরীর চর্চা ও খেলাধুলা করবেন তখন আপনার ভিতরে যে একটা রোগ জেকে বসেছে যেটির বাংলা নাম হচ্ছে বহুমূত্র রোগ আর যাকে ইংরেজিতে ডায়াবেটিস বলা হয় এই রোগটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কারণ ডাক্তারেরা বলে যে আপনি যত বেশি বসে থাকবেন আপনার এই রোগের অবস্থাটা ততই বৃদ্ধি পাবে। একটা কথা আছে বসে থাকা শরীর বেশি ঘুনে খায়। কাজেই বিষয়টি যত্ন সহকারে মেনে চলা উচিত। 

হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তের চাপ হ্রাস পাওয়াঃ সম্মানিত পাঠক, আপনার যদি হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য মোটেই টেনশন করা যাবেনা এবং বসে থাকা ও যাবে না। আর বেশি বেশি খাওয়াও যাবে না। তবে এগুলো মেনে চলা খুবই কষ্টকর যদি আপনার অভ্যাস হয় সবসময় বসে থাকা বেশি খাওয়া এবং একটুতেই টেনশন করা তাহলে। আর এ বিষয়টি থেকে সহজেই মুক্তি লাভ করতে পারেন আপনি যদি খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা করেন। কাজেই বিষয়টি সতর্কতার সাথে আমলে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

শরীরের হাড় গঠন ও মাংসপেশী উন্নয়নঃ সুধী পাঠক, আপনার এই খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করার মাধ্যমে শরীরের যে হাড় ও মাংসপেশী রয়েছে এগুলো শক্ত হয় ও উন্নয়নশীল হয়। তাই আপনি যদি চান যে আপনার হাড় গুলো শক্তিশালী হোক এবং মাংসপেশী উন্নয়ন হোক তাহলে অবশ্যই আপনার অতীব ও ব্যস্ত সময় থেকে একটা সময় বের করে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করুন। তাহলেই আপনি এই শরীরচর্চা ও খেলাধুলার দ্বারা অনেক উপকৃত ও কৃতার্থ হবেন।

শরীরের কোলেস্টেরল কমে যাওয়াঃ সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি চান যে আপনার দেহের ভিতরে অত্যন্ত মূল্যবান একটা অঙ্গ রয়েছে যে অংকটার নাম হচ্ছে হৃদপিণ্ড, আর এই অঙ্গটি বিভিন্ন ধরনের ভাজা পোড়া এবং তেল চর্বি যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে কোলেস্টেরল বা খারাপ এক ধরনের চর্বি বেড়ে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ডের যে রক্ত সংকোচন সম্প্রসারণ এই বিষয়টিতে বাধাগ্রস্ত হয়। কাজেই আপনি যদি নিয়মিত সময় বের করে খেলাধুলাও শরীরচর্চা করেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি অনেকটাই রেহাই পেতে পারেন। 

রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়াঃ আপনি যখন অফিস আদালত বা কলকারখানায় শুধু বসে থাকা কাজ করবেন আর পেট ভর্তি করে খাওয়াবেন সত্যি বার্ন করবেন না। তখন আপনার শরীর সবসময় মেদ ভুঁড়ি বেড়ে যাবে। এতে আপনার শরীরে রক্তচাপ ডায়াবেটিস ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাবেন যাদের আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা সক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে। কাজেই এই খেলাধুলা এবং শরীর চর্চা করার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট রোগ-প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অতএব বিষয়টি সযতনে আমলে নেওয়া উচিত।

এছাড়াও আরো আপনি বিভিন্ন উপকার পাবেন এই শরীরচর্চা হোক খেলাধুলার মাধ্যমে যেমন আপনি শতভাগ সুস্থ থাকবেন, দৈহিক মনগত নীতিগত ইত্যাদিতে উন্নতি সাধন হবে। এবং আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পড়ালেখা করতে অনেক ভালো লাগবে মন ফুরফুরা থাকবে আর স্মরণশক্তি ও মেধা শক্তি বৃদ্ধি পাবে। সাথে সাথে পোড়ালে পড়া-লেখা করতে যাদের মন বসে না একঘেয়েমি ভাব আসে তাদেরটা দূর হবে। যতসব অনিয়ম বদ-অভ্যাস দূর হবে। আর আপনি প্রমাণ দেবেন যে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিষয়টি মেনে চল্লেন!

খেলাধুলা ও শরীরচর্চার সময় আঘাত ও দুর্ঘটনা

খেলাধুলা ও শরীরচর্চার সময় আঘাত ও দুর্ঘটনা নিয়ে এখন বলার চেষ্টা করছি। খেলাধুলা ও সরি চর্চা করার যেমন উপকার হয়েছে অনুভবে কিছু সময় শরীর আঘাত হতে পারে এবং দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। তাই আমি যখন খেলবেন তখন মনোযোগ সহকারে ও সতর্কতার সাথে খেলবেন। আর না হলে ও উপকারের বদলে ও অপকার বা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই খেলাধুলা ও শরীর চর্চা করতে গিয়ে পরিপূর্ণরূপে সজাগ ও হুশিয়ার থাকতে হবে।

যাতে করে শরীরের কোন জায়গা আঘাত না পায় এবং বড় দুর্ঘটনা না ঘটে যায়। খেলাধুলা করতে গিয়ে এবং শরীর চর্চা করতে গিয়ে অনেক সময় যেসব দুর্ঘটনা ঘটে সেগুলোর একটি হচ্ছে হঠাৎ করে পা মচকে যায় অথবা আপনি পায়ে ব্যথা পাবেন। এমনকি পা ভেঙ্গে পর্যন্ত যেতে পারে অথবা শিরা-উপশিরা বা রগ ছিঁড়ে যেতে পারে। আবার বুড়ো থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটে যেতে পারে। সুতরাং সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরী। তবেই, শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিষয়টি বাস্তবায়িত হবে।

শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা দেখা দেয়?

শরীর দুর্বল হলে কি কি সমস্যা দেখা দেয় বিষয়টি নিয়ে লিখছি। শরীর দুর্বল হলে দেহের ভিতরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে এখানে যে সমস্যাগুলো বেশি বেশি হয় এবং উল্লেখযোগ্য সেগুলো লেখার চেষ্টা করছে। সম্মানিত পাঠক, শরীর দুর্বল হলে দেহে যেমন বল থাকে না মনের ভিতরে শান্তি ও থাকে না। কারণ দেহ ও মন একটা আরেকটার সাথে অঙ্গি ভাবে জড়িত। শরীরে সমস্যা হলে মনে তার প্রভাব পড়ে, আর মনে দুশ্চিন্তা দুর্ভাবনা হলে শরীরে তার প্রভাব পড়বে। তো চলুন নাম্বারিং করে বলার চেষ্টা করি। 

মনোযোগের সমস্যা তৈরি ঃ শরীর দুর্বল হলে আপনার মনের ভিতর দুর্বলতা তৈরি হবে, মনে ও শরীরে সংযোগ থাকবে না। ফলে মনোযোগের সমস্যা তৈরি হবে, এক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট এবং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।

শক্তি কমে যাওয়া ঃ শরীর দুর্বল হলে আপনার শরীরে সত্যিই থাকবে না কমে যাবে এবং শরীর সজীব ও সতেজ থাকবে না। ফলে যে কোন কাজ করতে বাধা সৃষ্টি হবে ভালো লাগবে না, আর কোন কাজ করতে গিয়ে মনোযোগ থাকবে না শান্তি পাওয়া যাবে না আরও বিভিন্ন চিন্তা এসে মনে বাসা বাঁধবে। 

শারীরিক ও মানসিক সমস্যা ঃ শরীর দুর্বল হলে আপনার দেহ ও মননে সমস্যা ও জটিলতা সৃষ্টি হবে। ফলে আপনার সব কাজের ভিতরে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব সৃষ্টি হবে। কোন কাজ গুছিয়ে করতে পারবেন না। সব কাজেই অস্বস্তি অসামর্থতার বহিঃপ্রকাশ করবে। 

এছাড়াও আপনার শরীরে হাড়ের সমস্যা হবে নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যা হবে পিঠ ও মাজা ব্যথা হবে এমনকি সৌচকার্য সম্পাদন করতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। তাই বিষয়টিতে সময় না নিয়ে বসে না থেকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানো উচিত এবং বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং বিশেষ করে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা ধীরে ধীরে হলেও করা উচিত। তাহলে এটা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

খেলাধুলার উপকারিতা ও অপকারিতা

খেলাধুলার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে লিখার প্রয়াস করছি। খেলাধুলার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক বা উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আপনার জানা থাকলে আপনি সেই উপকার কে পুঁজি করে খেলায় উৎসাহ প্রকাশ করবেন এবং খেলতে গিয়ে যে সমস্যা বা ক্ষতি বা অপকারিতা তৈরি হয় এটা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। 

প্রথমত খেলাধুলার উপকারিতা লেখায় বিবরণ দিচ্ছি। খেলাধুলার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন- দেহ মন সুস্থ থাকা, যেকোনো কাজ করতে গিয়ে আগ্রহের সাথে কাজ করা, আর আপনার ধীর গতির কাজকে গতিশীল সৃষ্টি করা। খেলাধুলা করার পাশাপাশি মানুষ একজন আরেকজনের সাথে ভ্রাতৃত, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশ পায়, সাথী যারা খেলাধুলায় ক্যাপ্টেন্সি বা নেতৃত্ব দান করে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ অর্জিত হয়। 

খেলাধুলার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

দ্বিতীয়ত খেলাধুলার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক লেখায় প্রকাশ করছি। খেলাধুলার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক করেছে যেগুলো এখন লিখছি। যেমন- বিভিন্ন সময় ফুটবল খেলতে গিয়ে একজন খেলোয়ারা আরেকজন খেলোয়ারকে আঘাত করার কারণে রেফারির কাছ থেকে লাল কার্ড খায় যেটি একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের জন্য মানসিক অশান্তি এবং সম্মান নষ্ট হয়।

আর ক্রিকেট খেলায় অনেক সময় কে একজনের সতর্কতা বা ভুলের জন্য আরেকজনের রান আউটের সম্ভবনা বেড়ে যায়। হলে যে আউট হয় তার মানসিক বেদনা বেড়ে যায় এবং মাথা নিচু করে প্যাভিলিয়নের দিকে মন খারাপ করে পা বাড়ায়। খেলাধুলা ও সতর্কতার সাথে করতে গিয়ে অনেকেই পায়ে ব্যথা পায়, রগ ছিঁড়ে যায়, আবার পাও ভেঙ্গে যায়। অনেক সময় হাঁটু কোমরে ব্যথা হয়। ক্রিকেট খেলায় বেশ কিছু খেলোয়াড়ের দাঁত পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার রেকর্ড আছে। তাই বিষয়গুলো সতর্কতার সাথে দৃষ্টিপাত করা উচিত। তাহলে শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা বিষয়টি লেখাটি আমার সার্থক হবে।

গোল্লাছুট খেলার উপকারিতা

গোল্লাছুট খেলার উপকারিতা নিয়ে লেখায় বিবরণের চেষ্টা করছি। গোল্লাছুট হচ্ছে বাংলাদেশের একটা গ্রাম্য বা গ্রামীণ খেলা। বর্তমান সময়ে শহরে বন্দরে পর্যন্ত এই খেলা খেলা হয় এবং ছড়িয়ে আছে। গোল্লাছুটের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে যেগুলো অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সম্মানিত পাঠক, আপনিও ছোটকালে হয়তো গোলাছুট খেলেছেন অবশ্যই এই খেলাটি থেকেও অনেক মজাও পেয়েছেন তাই না? 

গোল্লাছুটের দুটি দল থাকে, এবং দুই দলের দুইজন নেতা নির্ধারণ করা হয়। সাথে সাথে দু'দলেই সমপরিমাণ প্লেয়ার থাকে। তাই এ খেলাটি আপনি যখন 5 জন অথবা সাতজনের সাথে দল বেঁধে খেলবেন তখন এর দ্বারা দৌড়াদৌড়ি করার মাধ্যমে আপনার দেহে সক্ষমতা এবং প্রফুল্লতা তৈরি হবে। এবং হৃদয়ের যত অশান্তি ক্লান্তি ক্লেশ এগুলো দূর হবে। তার মানে এই খেলার মাধ্যমে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক ফিট হবেন এবং পরস্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধন তৈরি হবে। এবং সম্পর্ক গুলো অত্যন্ত মধুর ও স্মৃতিময় হবে।

শিশুদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা

শিশুদের খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লিখে প্রকাশ করার চেষ্টা করছি। বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। কারণ এই খেলার মাধ্যমে শিশুদের দৈহিক উন্নতি ও মেধার বিকাশ ঘটবে। শিশুরাও তাদের বন্ধুদের পরস্পরের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে শিখবে বন্ধুত্ব তৈরি করতে শিখবে। তাদের নিয়ম করে বাচ্চার বাবা মাকে অবশ্যই প্রতিদিনের খেলাধুলার একটা রুটিন তৈরি করে দেওয়া উচিত। সাথে স্কুল বিদ্যালয় পাঠশালায় কিন্ডারগার্টেন এ শিক্ষকদেরও এ ব্যাপারে গভীরভাবে সচেতন থাকা উচিত। যেন কোনক্রমেই শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত না হয়। 

এবং তারা খেলাধুলা না করে তাদের শরীর এর সত্যি বৃদ্ধি ও মনের ও মননের বিকাশের উন্নয়ন এগুলো থেকে যেন কোশ্চেনকালেও বিরত ও বঞ্চিত না হয় অবশ্যই সজাগ থাকা অতীব জরুরী। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের আশপাশের বিভিন্ন পরিবেশ সম্পর্কে শিখবে, বিশ্ব সম্পর্কে জানবে, বিভিন্ন জিনিস দেখবে চতুর্দিক থেকে হলে তাদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের ক্ষেত্রে আনন্দ অনুভূতি বা আবেগের বহিঃ প্রকাশ ঘটবে। আর এই জন্যই শিশুদের খেলাধুলা করা অত্যাধিক প্রয়োজন।

শরীরচর্চা ও শ্বাসের ব্যায়াম

শরীরচর্চা ও শ্বাসের ব্যায়াম নিয়ে বর্ণনা দেওয়ার এই জায়গায় চেষ্টা পাব। শরীরচর্চা নিয়ে ইতিমধ্যেই উপরে লিখেছি তারপরেও ওইখানে হালকা কিছু টাচ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর শ্বাসের ব্যায়াম অত্যন্ত দরকারি একটা জিনিস। কারণ এই শ্বাস-প্রশ্বাস একটা প্রাণীর যত বেশি সুন্দর ও সফলভাবে সে করতে পারবে তত বেশি সে সুস্থতার পথ ধরে হাঁটতে পারবে। তাই কোনভাবেই শরীরচর্চা ও শ্বাসের ব্যায়াম থেকে অলসতা দেখানো ঠিক হবে না। 

শরীরচর্চা-ও-শ্বাসের-ব্যায়াম

শরীর চর্চা করবেন বিভিন্ন উপায়ে যেমন দৌড়াতে পারেন, পারিবারিক সাংসারিক বা সামাজিক বিভিন্ন পরিশ্রম করতে হয় যে ধরনের কাজকর্মে জড়াতে পারবেন, অথবা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে যেমন হাতির ব্যায়াম পায়ের ব্যায়াম কোমরের ব্যায়াম হাটুর ব্যায়াম মাথা ও চোখের ব্যায়াম ইত্যাদি ব্যায়াম করে শরীরচর্চা করতে পারেন। 

আর হাঁসের ব্যায়াম করার পদ্ধতি হচ্ছে আপনাকে এক জায়গায় সুন্দরভাবে বসতে হবে ঘর কাজ সোজা ও হালকা করতে হবে। এরপর চোখ বন্ধ করতে হবে এবং চোখ খোলা রেখেও করতে পারেন। এরপর আপনার নাক দিয়ে দুই বা তিন সেকেন্ড সময় ধরে শ্বাস নিতে হবে এবং মুখ দিয়ে আরেকটু সময় ধরে চার বা পাঁচ সেকেন্ড সময় নিয়ে ছাড়তে হবে। এভাবে দিনে ১৫ মিনিট বা ২০ মিনিট এবং একবার বা দুইবার বা তিনবার পর্যন্ত করতে পারেন। আরে শ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও দেহের বিভিন্ন উপকার রয়েছে আপনার এটি করে উপকার গুলো ছিনিয়ে নেয়া উচিত।

শরীরচর্চা শিক্ষক থাকা প্রয়োজন

শরীরচর্চা শিক্ষক থাকা প্রয়োজন, কেননা শরীরচর্চা করাও একটা শিক্ষা, আর যেকোনো শিক্ষা একজন শিক্ষকের অধীনে থেকে সম্পাদন করলে অত্যন্ত সুচারু এবং পরিষ্কার ও শুদ্ধ হয়। তাই অন্যান্য শিক্ষার মত শরীরচর্চার একজন শিক্ষক থাকা প্রয়োজন। যে ক্ষেত্রে আপনি বাড়তি সুবিধা পাবেন যে আপনার শিক্ষক যেভাবে শিক্ষা দেবে আপনি সেভাবে সুন্দর করে শিখতে পারলেন এবং শরীর চর্চা সহজ ভাবে চালিয়ে যেতে পারলেন। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024 বিস্তারিত জানুন

বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গবেষণা করে ফলোআপ করা উচিত। তাহলে আপনি সফলভাবে একজন সফল শরীর চর্চাবিদ হতে পারবেন এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন উন্নয়ন সাধন করতে পারবেন। সাথে শরীরের সুস্থতা অর্জনের পাশাপাশি অসুস্থতা দূর করতে পারবেন এবং মানসিক শান্তি অত্যন্ত জরুরি একটা বিষয় এটি অর্জন করতে পারবেন। তাই কোনভাবেই আর শরীরচর্চা থেকে পিছুপা হওয়া উচিত নয়।

শরীরচর্চা নিয়ে উক্তি পড়ুন

শরীরচর্চা নিয়ে উক্তি লিখার চেষ্টা করছি। শরীরচর্চা যেমন একটা উপকারী জিনিস এবং যার বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে সাথে সাথে এটার বিভিন্ন জনের বিভিন্ন গবেষকের বিভিন্ন শরীর চর্চা বিদের অনেক রকম উক্তি ও কথা রয়েছে। যে উক্তিগুলো যে কেউ মানলে এবং সে অনুযায়ী কাজ করলে সে একজন সফল শরীরচর্চাবিদ হতে পারবে। তো চলুন দেখি আপনাকে কি লেখাগুলো উপহার দিতে পারি। 

  1. রুটিন করে শরীরচর্চা করা যে কোন লোকের জন্য চমকৎপ্রদ ও অনন্য সুস্বাস্থ্যের জন্য মাধ্যম।
  2. সম্প্রতি কালে মানুষের জীবন আচার হল শরীরচর্চা শুধু দৌড়ানোই নয়। 
  3. সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো আপনি যখন একবার শরীর চর্চা আরম্ভ করবেন আর আপনাকে থামানো। 
  4. আপনার অভ্যাসের লিস্টের ভিতরে রাখুন হাঁটার বিষয়টি, কারণ হাঁটার মাধ্যমে রক্ত চলাচল সচল হয়। 
  5. আপনি যদি অসুস্থতার খাতায় নাম লেখাতে চান তাহলে শরীরচর্চা না করে বসেই সময় কাটি দিতে পারেন। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার উপকারিতা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সহকারে আরো বৈচিত্র্যময় বিষয় বিবরণে লিখে প্রকাশ করেছি। আপনি যদি একজন মনোযোগী আর্টিকেল পাঠক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শরীরচর্চা ও খেলাধুলার যে উপকারিতা বিষয়টি স্পষ্ট রূপে বুঝতে পেরেছেন। সম্মানিত পাঠক, বিষয়টি অনুধাবন করে বাস্তবায়ন করার আপনি চেষ্টা করবেন তাহলে আমার লেখাটি সার্থক বলে আমি মনে করব। আরো এরকম নিত্য নতুন ব্লগ বা আর্টিকেল টিক্যাল পেতে আমাদের সাথেই থেকে আমাদেরকে লেখার সুযোগদ দানে আপনার একান্ত মর্জি কামনা করছি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url