অ্যামাজন কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং (কেডিপি) বা সেলফ পাবলিশিং সম্পর্কে জানুন

ইউটিউব ভিডিও এসইওকিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং বা কেডিপি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠক মনোযোগ দিন। বিশ্বব্যাপি অনলাইনে মানুষ বিভিন্নভাবে উপায়ে ইনকাম করছে। আর কেডিপি হচ্ছে অনলাইন প্যাসিভ ইনকামের একটি উপায়। 

কিন্ডেল-ডিরেক্ট-পাবলিশিং

কেডিপি এর পূর্ণরুপ হচ্ছে কিন্ডেল ডাইরেক্ট পাবলিশিং যাকে সেলফ পাবলিশিং ও বলা হয়। যেহেতু, নিজে বই বানিয়ে নিজের পাবলিশারে নিজেই প্রকাশ করে বই বিক্রি করা হয় তাই। তো চলুন বিস্তারিত জানি।

পেজ সূচীপত্রঃ অ্যামাজন কিন্ডেল ডিরেক্ট পাবলিশিং (কেডিপি) বা সেলফ পাবলিশিং সম্পর্কে জানুন

কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং বা কেডিপি

কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং এর সংক্ষেপ রুপ হলো কেডিপি। কিন্ডল এর শাব্দিক বা আক্ষরিক অর্থ হলো আগুন জ্বালানো, আলো জ্বালানো, প্রজ্জ্বলিত করা, জ্বলা, পোড়ানো ইত্যাদি। আর ডিরেক্ট পাবলিশিং মানে সরাসরি প্রকাশ করা। আর কিন্ডল মূলত একটি ডিভাইসের নাম যেটি স্মার্টফোন সদৃশ ট্যাবের মতো। কিন্ডল ডিভাইস বা যন্ত্রটি যখন সর্বপ্রথমে ২০০৭ সালে নভেম্বর মাসে বাজারে আসে সেটি প্রায় ৫.৫ ঘন্টার ভিতরে বিক্রি হয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃ ২০টি খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়

কিন্ডলে প্রথমে শুধু অনলাইন বই পড়া হতো আর এখন অনলাইনে বই পড়া থেকে নিয়ে ম্যাগাজিন, সংবাদ পত্র এবং আরো ডিজিটাল অনেক কিছু বেচা হয় এবং ডাউনলোডও করা যায়। আর এই কিন্ডলের আগে  ২০০৪ এ বাজারে ১মে আসে সনির ই-রিডার, এর পর ২০০৬ সালে আসে আরো একটি কোম্পানির ই-রিডার  যেগুলো খুব সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু ২০০৭ এর ১৯ এ নভেম্বর বাজারে এসে যার দাম ছিল ৫০-৭০ ডলার খুব অল্প সময়ে সেল হয়ে যায়। 

ই-রিডার মানে ইলেকট্রনিক বা বিদ্যুতের মাধ্যমে অনলাইনে ইন্টারনেট কানেকশন করে বই পড়া। বিভিন্ন কোম্পানির ইরিডার রয়েছে যেমন অ্যাপলের আইপ্যাড, আমাজনের কিন্ডল, এর পরে কাবু এবং রাকুটেন কোম্পানির পর্যায়ক্রমিক ইরিডার বা অনলাইন বই পড়ার প্লাটফরম। আগে অনলাইন ইরিডারে শুধু ইবুক পড়া গেলেও বর্তমানে বিশেষকরে নিউজপেপার, ম্যাগাজিন পড়া, ব্রাউজিং করা, এবং আরো কিছু ডাউনলোড করা ও বেচা-কেনা করা যায়।

কেডিপি বা সেলফ পাবলিশিং পরিচিতি

কেডিপি বা সেলফ পাবলিশিং সম্পর্কে অলরেডি বুঝতে পেরেছেন যে এটি কি? যেহেতু নিজেই বর্তমানে বই তৈরী করে আমাজনের কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশিং বা পাবলিশারে নিজেই বই প্রকাশ করা যায় তাই এটিকে (কেডিপি) সেলফ পাবলিশিং বা নিজের প্রকাশনা কিংবা প্রকাশনী বলা হয়। কেডিপিতে বর্তমানে বিভিন্ন বই বই বই বিক্রি করা যায়। যে বইগুলোকে ইবুক, পেপারব্যাক, হার্ডকভার বলা হয়। 

আর পেপারব্যাক হলো পাতলা কভারের ৫০, ৬০, ৮০, ১২০, ১৫০, ২০০+ পৃষ্ঠার বই হয়ে থাকে। আর হার্ডকভার হলো ডাইরীর মতো মোটা কভারের কম বেশি ৮০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০, ৪০০+ পৃষ্ঠার বই হয়ে থাকে। আর ইবুক হলো শুধু ইরিডার বা অনলাইন প্লাটফরমে পড়া যায় অথবা পিডিএফ আকারে বিক্রি করা হয় যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসে অফলাইনেও পড়া যায়। 

অনলাইনে ইবুক পড়া ছাড়াও, পেপারব্যাক এবং হার্ডকভারগুলো যেমন অনলাইন ইরিডার কিন্ডলে পড়া যায় অনুরূপ অফলাইনে প্রিন্ট বা মুদ্রণ বা ছাপিয়ে হার্ডকভারও অর্থাৎ বইয়ের মত করে বই হিসাবে পড়া করা যায়। আরো ব্যাখ্যা করে যেটি বলবো সেটি হচ্ছে এই পেপারব্যাক এবং হার্ডকভার বুক বা বইগুলো আমাজনের যে কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং বা সেলফ পাবলিশিং এ প্রকাশ করা হচ্ছে এগুলো আমাজন তার নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে প্রিন্ট করে বা ছাপিয়ে পাঠিয়ে দেয়। 

যার কারণে Amazon একটা নির্দিষ্ট মূল্য নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটা বইগুলো যে কাস্টমার বা ক্লায়েন্ট বা গ্রাহক নেয় সেগুলো অ্যামাজন নিজেই দায়িত্ব নিয়ে ছাপিয়ে পাঠিয়ে দেয়। আর ছাপানো এবং তার কর্মচারীদের বেতন এর জন্যই খরচ বাবদ অ্যামাজন যতটুকু খরচ হয় ততটুকু কেটে বাকী যে রয়ালটে বা রাজস্ব বই মালিক কে দিয়ে দেয়। এখানে অ্যামাজন খরচ ছাড়া কিছুই নেয় না। বই নির্মাতাদের অ্যামাজনে কেডিপি এর মতো একটা প্লাটফরম ফ্রিতে আপলোড করতে দিচ্ছে।

কেডিপি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট

কেডিপি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট বা তৈরী করতে হলে কয়েকটি জিনিস আপনাকে জোগাড় করে রাখতে হবে। তার ভিতরে প্রথমেই kdp.amazon.com এ ঢুকে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে এক্ষেত্রে প্রথমে ফার্স্ট নাম এবং লাস্ট নাম দিতে হবে, এরপর একটি জিমেইল দিতে হবে এবং লাস্ট বক্সে একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং এই তিনটা ঘর পূর্ণ করে ক্রিয়েট পাসওয়ার্ডে প্রেস করতে হবে। 

এরপরে আমাজন জিমেল ভেরিফিকেশন এর জন্য একটি ওটিপি পাঠাবে। সেই ওটিপিটি দিয়ে ভেরিফাই তে টিপ দিতে হবে। এরপর একটি নাম্বার চাইবে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশী নাম্বার দিয়ে কোন কাজ হয় না, তবে বাংলালিংকে ট্রাই করতে পারেন হলে হতে পারে। আর না হলে বিদেশি কোন অনলাইন নাম্বার ক্রয় করতে হবে এবং সেটা দিলেই আর একটি ফর্ম সামনে আসবে। 

এরপরে দীর্ঘ একটা ফরম ওই ফর্মটাতে বিভিন্ন তথ্য ফিলাপ করতে হয়, যেমন দেশের নাম, ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড অনুযায়ীনিজের পূর্ণ নাম, অ্যাড্রেস লাইন১, এড্রেস লাইন২ (অপশনাল), সিটি বা শহর এখানে জেলার নাম দিতে হবে, এরপর স্টেট বা প্রভিন্স বা রেজিয়ন এখানে বিভাগের নাম দিতে হবে, এরপর পোস্টাল কোড এখানে নিজের এলাকার পোস্ট অফিসের কোড দিতে হবে, 

এরপরে ফোন নাম্বার দিতে হবে। এরপর আর একটা অপশন আসবে যেখানে ট্যাক্স ইনফরমেশন দিতে হবে যেটি নিজের দেশের একটি ইটিন সার্টিফিকেট খুলতে হবে এবং তার তথ্যগুলো এখানে সাবমিট করতে হবে। এরপরে পেমেন্ট মেথড আসবে যেখানে পেমেন্ট মেথড পেওনিয়ার এ একাউন্ট খোলার পর তার তথ্যগুলো দিতে হবে। 

আর পেওনিয়ারে একাউন্ট খুলতে হলে স্মার্ট কার্ড অনুযায়ী যে তথ্যগুলো কেডিপি ফরমে যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো এখানে হুবহু দিতে হবে, অর্থাৎ নাম, তারপরে ইমেইল এটি হুহনা দিলেও হবে, এরপর যা চাইবে সে তথ্যগুলো দেখে দিতে হবে। এরপর স্মার্ট কার্ড আইডির নাম্বার, ইটিন নাম্বার বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট নাম্বার ইত্যাদি। 

এরপর সব মিলিয়ে সাবমিট করা হলেই পেওনিয়ার একটি আমেরিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিবে যার তথ্যগুলো কেডিপি পেমেন্ট মেথড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর ফর্মে দিতে হবে। এক্ষেত্রে, প্রথমত দেশের নাম দিতে হবে, এরপর কারেন্সি যোগ করতে হতে পারে, এরপরে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নাম, টাইপ অফ একাউন্ট অর্থাৎ চেকিং না সেভিং এটিতে টিক দিতে হবে। এরপর ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার, রাউটিং নাম্বার, সুইফট কোড লাগতে পারে। 

নিশ রিসার্চ বা গবেষণা

নিশ রিসার্চ বা গবেষণা বিষয়টি লিখছি। নিশ মানে টপিক বা বিষয়। যেমন গোটা মানবজাতি একটা পূর্ণ নিশ। যা আবার বিভিন্ন সাব নিশ। আবার বিগ বা বড় নিশ, স্মল বা ছোট নিশ আবার মাইক্রো বা একেবারে ক্ষুদ্র নিশ। আমার একটা নিশ বিভিন্নভাবে ব্রেক ডাউন বা ভাঙ্গা যায়। অর্থাৎ বড় নিশকে ছোট নিশ এ আর ছোট নিশকে মাইক্রো বা ক্ষুদ্র নিশ বা বিষয়ে রূপান্তর করা যায়। 

আবার এই নিশগুলোর কোনোটি জব বা চাকরির সাথে সম্পৃক্ত, আবার কোনটি হবেই বা শখের সাথে সম্পৃক্ত, আবার কোনোটি রেলিজিয়ন বা ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত, আমার কোনোটি কোনো ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান, উৎসব কিংবা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। যেমন নিশ হচ্ছে ফায়ার ফাইটার বা দমকল বাহিনী, ট্রাকার বা ট্রাক চালক, নার্স বা সেবিকা, ডক্টর বা ডাক্তার আবার টিচার বা শিক্ষক। 

আবার এনিম্যাল বা প্রাণী নিশ রয়েছে। যেমন কেউ ডগ বা কুকুর নিয়ে কাজ করে কেউ ক্যাট বা বিড়াল নিয়ে কাজ করে। এই ডগ এবং চ্যাটের আবার বিভিন্ন প্রকার বা প্রজাতি রয়েছে যেগুলোকে ব্রিড বলা হয় সেগুলোর প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা করেও মানুষ কাজ করে। আর এই নিশগুলো কখন কোন সময় কোনটি নিয়ে কাজ করলে ভালো হবে এটি সম্পর্কে রিসার্চ করতে হয়। 

এটি সম্পর্ক রিসার্চ করার জন্য অ্যামাজনের সার্চ বক্স ব্যবহার করতে হয়, এখানে বিভিন্ন কিওয়ার্ড লিখতে এবং সার্চ রেজাল্ট গুলো দেখতে হয়। এক্ষেত্রে অনেক ধরনের এক্সটেনশন রয়েছে এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে নিস রিলেটেড কিওয়ার্ড লিখে দিলেই রিসার্চ করা যায়। নিছ সম্পর্কে জানতে youtube এ বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারেন এবং google এ নিশ লিখে সার্চ করলেই অনেক ব্লগ পেয়ে যাবেন যেগুলো পড়লে  সুস্পষ্ট ধারণা চলে আসবে।

কেডিপি বুক কভার ডিজাইন

কেডিপি বুক কভার ডিজাইন এর জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যেমন অনলাইনে ক্যানভার মাধ্যমে ডিজাইন করতে পারেন। আবার অফলাইনে বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে যেমন বিশ্বাস করে এডোবি কোম্পানির এডোবি ফটোশপ এবং এডোবি ইলাস্ট্রেটর এ সফটওয়্যার দুটো খুবই জনপ্রিয় এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। বুক কভার ডিজাইনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু মাপ রয়েছে যেই সাইজ বা মাপগুলো জেনে নিতে হবে। 

কেডিপি-বুক-কভার-ডিজাইন

এক্ষেত্রে, কেডিপির বুক কভার ডিজাইনের কিছু টেমপ্লেট রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। কেডিপির যে সমস্ত নিশগুলো নিয়ে সাধারণত কাজ করা হয় সেগুলো হচ্ছে পর্যায়ক্রমে, নগবুক, জার্নাল, প্লানার, স্কেচবুক, কালারিং বুক, এক্টিভিটি বুক, ওয়ার্ড বুক, work book ইত্যাদি। আর সবগুলোর আলাদা আলাদা সাইজ বা মাপ রয়েছে। যে সাইজগুলো টেমপ্লেট ডাউনলোড করে জেনে নিয়ে কাজ করতে হয়। 

আর এই টেমপ্লেট ডাউনলোডের জন্য কেডিপি নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইট রয়েছে সেটা থেকেই করতে হয়। আর ওয়েবসাইটটা ইংরেজিতে কেডিপি কভার সাইজ ক্যালকুলেটর লিখলেই সামনে চলে আসবে। সেখানে ঢুকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিয়ে ডাউনলোড করতে হয় অথবা তথ্য গুলো দিলেই মাপ বলে দেয় সে মাপটা বা সাইজটা এডোবি ইলাস্টেটরে দিলেই এরপরে ডিজাইন করতে হয়।

কেডিপি ইন্টেরিওর ডিজাইন

কেডিপি ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে এটি করা যায়। বুক বোল্ট নামে একটা ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে ফ্রি কিছু নিছের ইন্টেরিয়র টেমপ্লেট রয়েছে সেগুলো ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যায়। আবার অ্যামাজন রিসার্চ করে বিভিন্ন বইগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিশ ভিত্তিক নিজেই এডোবি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে ইন্টেরিয়র তৈরি করা যায়। আবার এডোবি ফটোশপ ব্যবহার করেও ইন্টেরিয়র তৈরি করা যায়। 

আবার অনলাইনে ক্যানভা ব্যবহার করেও ইন্টেরিয়র তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে আপনার যেটা সুবিধা হবে সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এডোবি ইলাস্ট্রেটর বেস্ট। সেখানে নির্দিষ্ট সাইজ দিয়ে যে বিষয়ে কভার ডিজাইন করেছেন সে বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ডিজাইন করবেন। আর ডিজাইন করার ক্ষেত্রে কোন পৃষ্ঠা ফাঁকা রাখা যাবে না, কমপক্ষে ওই পৃষ্ঠাতে একটা করে ডুডল রাখতে হবে তারপরও ফাঁকা রাখা যাবে না। ইন্টিরিয়ার হতে হবে খুবই তথ্যসমৃদ্ধ। কাউকে হুবহু কপি করা যাবে না। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ বা গবেষণা

কিওয়ার্ড আর রিসার্চ বা গবেষণা করার জন্য বিভিন্ন টুলস রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে বইটি আপনি তৈরি করবেন সে বইটির সর্ব প্রথমের কভার টি আকর্ষণীয় করে তৈরি করতে হবে। এরপরে ইন্টেরিয়র খুব সুন্দর তথ্য দিয়ে ডিজাইন করতে হবে। এরপরে সে বইটিকে আপলোড করার জন্য বিভিন্ন কিওয়ার্ড রিসার্চ বা গবেষণা করে বেশ কিছু সেট তৈরি করতে হবে। 

সেটগুলো মোটামুটি পাঁচটা বা সাতটা বা দশটা করতে হবে। এক একটি সেটে সাতটি করে কিভাবে রাখতে হবে। তাহলে একটা বিষয়ে যেহেতু একটি বই আপনি আপলোড দিবেন না কমপক্ষে ১০ টি বই আপলোড দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বইয়ের ক্ষেত্রে আপলোড এর সময় কীওয়ার্ডের একটি করে সেট দিতে হবে। 

তবে একই কিওয়ার্ড আপলোডের সময় একাদধিক বা ব্যবহার করলেও কোনো সমস্যা নাই। শুধু তাই নয় আপলোডের সময় কিওয়ার্ড ব্যবহারের যে সাতটি ঘর রয়েছে সেগুলোতে কীওয়ার্ড ব্যবহারের বিষয় কি অপশনাল বা ঐচ্ছিক ব্যবহার না করলেও চলবে। তবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার অডিয়েন্স এর কাছে দ্রুত আপনার বইটি চলে যাবে। অর্থাৎ যদি কিওয়ার্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তাহলে বইটির আপনি সুন্দর ভবে এসইও করলেন। 

তার মানে এসইও করলেই যে নিস সম্পর্কে আপনি বইটি লিখেছেন এ সম্পর্কে অ্যামাজনে সার্চ বক্সে সেলার বা কাস্টমাররা সার্চ করলেই আপনার বইটি সর্বপ্রথমে যাবে বা কমপক্ষে এক নাম্বার পেজ বা দুই নম্বর পেজ বা তিন নাম্বার পেজ এর মধ্যেই থাকবে। আর এক থেকে তিন নাম্বার পেজের মধ্যে থাকলেই যেকোনো সময় সেল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্রয় ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময়।

কপিরাইট এ্যান্ড ট্রেডমার্ক চেক

কপিরাইট এন্ড ট্রেডমার্ক বিষয় দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি আপনার একাউন্ট থেকে রক্ষা করতে চান বাঁচাতে চান দীর্ঘস্থায়ী করতে চান তাহলে কপিরাইট এবং ট্রেডমার্ক সদা সর্বদা চেক করে কাজ করতে হবে। আপনি যখন একটা বুক কভার ডিজাইন করবেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন করবেন এক্ষেত্রে অবশ্যই কপিরাইট এবং টেক মার্ক চেক করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে আয় করার ১০টি নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত উপায় জেনে নিন

এরপরে আপলোডের সময় যে টাইটেলটা ব্যবহার করবেন যে সাবটাইটেল ব্যবহার করবেন কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন এগুলোর ভিতরেও বেশ কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলোতে কপিরাইট এবং টেক মার্ক রয়েছে। সেগুলো চেক না করলে আপনার বইটি আপলোড এর ক্ষেত্রে বাধা গ্রস্থ হবে। এমনকি আপলোড হওয়ার পরেও যদি আমাজন জানতে পারে যে এই বইটিতে কপিরাইট এবং ট্রেডমার্ক জনিত সমস্যা রয়েছে তাহলে আপনার বইটিকে তারা ড্রাফ্টে ফেলে দিবে। 

এমনকি আপনার চ্যানেল পর্যন্ত সাসপেন্ড করতে পারে আবার ক্লোজও করে দিতে পারে মানে একেবারে টার্মিনেটেড অর্থাৎ বাতিল আর আপনি এই একাউন্টে কাজ করতে পারবেন না। এজন্য কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কের বিষয় দুইটি খুবই সেনসিটিভ বা স্পর্শকাতর। তাই সাবধানতার সাথে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কপিরাইট চেক করার জন্য অ্যামাজনের কিছু গুগল ক্রোম এক্সটেনশন রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে চেক করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে মার্চ বাই অ্যামাজন প্রটেকশন নামে একটা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন রয়েছে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আরও বিভিন্ন এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলো রিসার্চ করে বা কোন মেন্টর বা কোর্স থেকে কডিপি সেখান থেকে জানতে হবে। আর ট্রেডমার্ক চেক করার জন্য বিশেষ একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে চেক করতে পারবেন, টাঞ্জেন্ট টেমপ্লেট.কম। 

কেডিপি বুক আপলোড 

কেডিপি বুক আপলোড এর নিয়মাবলী। কেডিপির যে বইগুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন লগবুক, জার্নাল, প্লানার, আমার কালারিং বুক, অ্যাক্টিভিটি বুক ইত্যাদি। এক্ষেত্রে লগবুক এবং জার্নাল ব্যবহার হয়ে থাকে সাধারণত কোন তথ্য সংগ্রহ করে রাখার জন্য, এটি একজন ব্যক্তিও হতে পারে আবার একটা কোম্পানিরও হতে পারে। 

কেডিপি-বুক-আপলোড

আর প্লানার বছরের শুরুতে এবং মাঝখানে ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণত ব্যক্তিগত এবং কোম্পানি দুই ব্যবহার করতে পারে নিজেদের বিভিন্ন প্লান বা পরিকল্পনাকে লিখে রাখার জন্য। আর কালারিং বুক ব্যবহার করা হয় সাধারণত বাচ্চাদের বিভিন্ন বিষয়ে কালার বা রঙের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য। 

আর অ্যাক্টিভিটি বুক ব্যবহার হয় সাধারণত বাচ্চাদের ব্রেইনের বিকাশের জন্য কাজ করে যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্কেচ করা হয় বা আঁকা কি করা হয়। এই বইগুলো আপলোডের জন্য উপরে যে কিওয়ার্ডগুলোর কথা বললাম সেগুলো সহ সর্বপ্রথমে টাইটেল, সাবটাইটেল (অপশনাল), এরপরে অথর বা লেখকের নাম, এরপর ক্যাটাগরি ইত্যাদি দিতে হয়। 

এরপরে আরেকটি ধাপ আসবে যেটিতে বইয়ের কভার এবং ইন্টেরিয়র আপলোড করতে হয়, এরপরে আরেকটা ধাপ আসবে যেখানে বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হয় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাবে। এভাবে মোটামুটি তথ্য প্রদান করে আপলোড করলে সে বইটি নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে লাইভ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিন দিনও লাগতে পারে সাত দিনও লাগতে পারে বা দুই সপ্তাহ লাগতে পারে। 

লেখকের শেষ মন্তব্য

কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং বা কেডিপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। সম্মানিত পাঠক যদি উক্ত বিষয়টি বুঝতে পারেন তাহলে আপনি আমাদের সাথে থাকবেন। আরও এরকম নিত্য নতুন ইনকাম বা আয় বিষয়ক আর্টিকেল বা ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন এবং আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করার চেষ্টা করবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url