ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নিন
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সহজ কাজডিজিটাল মার্কেটিং a to z জানার জন্য এই ব্লগে ক্লিক করেছেন তাই তো? ডিজিটাল
মার্কেটিং বিষয়টি অনেক বড় ও গুরত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। ২০২৪ সালের এই
সময়তে এসে প্রিয় পাঠক আপনি ডিজিটালে মার্কেটিং একটি কাজ খুব ভালোভাবে শিখলে;
আপনি অনায়াসেই অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে পারবেন এই স্কিলটি নিয়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং
এর এ টু জেড বিস্তারিত তথ্য থাকছে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। তো চলুন দেরি না করে
জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক ব্যাপারগুলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং a to z
ডিজিটাল মার্কেটিং a to z নিয়ে এই জায়গাটিতে বিস্তারিত জানাচ্ছি। ডিজিটাল
মার্কেটিং নিয়ে আজকে না জানে মানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপারটি আজকে ছোট
থেকে মাঝারি এবং বড় মানুষ সবাই জেনে গেছে। যেহেতু সবার হাতে হাতে স্মার্টফোনের
ছড়াছড়ি। আর আপনার হাতে থাকা মোবাইল টির মাধ্যমে যেকোনো ডিজিটাল মিডিয়ায় তথা
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটার ও লিংকডিন ইত্যাদিতে ঢুকলেই দেখতে পাবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কত মানুষের অ্যাডভার্টাইজমেন্ট বা বিজ্ঞাপন।
অনেকেই অনেকভাবে ফ্রি মার্কেটিং করতেছে আবার পেইড মার্কেটিং করতেছে এবং এগুলোর
মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করছে যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি, কিভাবে ডিজিটাল
মার্কেটিং করে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কে কত
টাকা ইনকাম করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিং করে
অনেক সফলতার গল্প শোনা যায়।
আরো পড়ুনঃ ২০টি খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়
তো আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং টা কি? তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং
সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য। ডিজিটাল মার্কেটিং মানে ডিজিটালি মার্কেটিং বা
বিপণন করা। আর ডিজিটাল মানে অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো কাজ করায়
ডিজিটাল কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং এ কথাটিকে একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করলে এভাবে
করা যাবে যে,
যেকোনো প্রডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইনের মাধ্যমে বিপণন বা মার্কেটিং করার জন্য
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইনফ্লুয়েন্সার ইত্যাদির মাধ্যমে
বেচাকেনার আগ্রহ বা উৎসাহ তৈরি করা হয় নির্দিষ্ট কাস্টমার বা গ্রাহকদের কাছে
এটি সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং। আর ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্নভাবে শিখা হয় এবং
করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন কোর্স রয়েছে এই ইউটিউবে
যেমন উর্দু, হিন্দী, বাংলা এবং ইংরেজীতে নামি দামি অনেক কোর্স আবার ভিডিও
টিউটোরিয়ালও রয়েছে। আবার বাংলাদেশের অনেক মেন্টর রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং
করায় এবং কোর্স এর মাধ্যমে শিখায়। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনের মাধ্যমেও
করা যায় অফলাইনের মাধ্যমেও করা যায়।
কেউ আবার ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে ভিডিও রেকর্ড করে ঐগুলো বিক্রি করে। কেউ
আবার লাইভ এর মাধ্যমে সরাসরি শিখায় যেমন জুম মিটিং google মিট অথবা ফেসবুক পেজ
লাইভ এর মাধ্যমে। আবার অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট করছে ভর্তি করায়
এবং একটা ফেসবুক প্রাইভেট গ্রুপ তৈরি করে এবং ওই গ্রুপটিতে ছাত্র-ছাত্রীকে
জয়েন করিয়ে নেয়।
এবং গ্রুপটির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস ভিডিওর লিংক অথবা গুগল বা জুন মিটে কখন
লাইভ হবে তার লিংক প্রোভাইড করে। যারা ভিডিও লিংকগুলো দেয় নির্দিষ্ট তাদের
প্রাইভেট ফেসবুক গ্রুপে তারা গুগল ড্রাইভ এর লিংক দেয় অথবা ইউটিউবে ভিডিও
আপলোড করে পাবলিশ না করে আনলিস্টেড করে দেয় এবং লিংক দেয়
ছাত্রছাত্রীদেরকে।
আর অফলাইনেও অনেকেরই অফিস আছে যেখানে তারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এই
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং শেখায়। তাহলে বুঝা গেল ডিজিটাল মার্কেটিং
বিভিন্নভাবে শেখানো হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ইউটিউবে বর্তমানে যাদের
টিউটোরিয়াল দেখে আপনি শিখতে পারবেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তরুণ ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মেন্টর,
একে টেকনোলজি ইউটিউব চ্যানেল এর সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা আকবর, এবং তার একটি ak
টেকনোলজি বিডি নামে ওয়েব সাইটেও রয়েছে। এই চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে ঢুকে
বিভিন্ন ফ্রি টিউটোরিয়াল পাবেন সেগুলো দেখে আপনি বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং
এর একটি শাখা ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে শিখতে পারবেন।
এবং এই সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। আবার আরেকজন ডিজিটাল মার্কেটিং
এর শিক্ষক ফরহাদ হোসেন ভাই, যার ইউটিউব চ্যানেলের নাম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং উইথ
ফরহাদ। আবার তারও একটা ওয়েবসাইট রয়েছে যে চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে বিভিন্ন
ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখতে পারবেন, আর তার ওয়েবসাইটের নাম হচ্ছে
ফ্রিল্যান্সিং উইথ ফরহাদ ডটকম।
এ দুজন ছাড়াও ফ্রিল্যান্সার শাহীন নামে একজন আছে যে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের
বিভিন্ন শাখা নিয়ে কাজ করছে তারও একটা চ্যানেল আছে ফ্রিল্যান্সার শাহীন নামে
সেটিও দেখার জন্য রিকমেন্ড করছি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এ টু জেড জানতে আপনি
বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন নামকরা google ও বিং এই দুইটিতে সার্চ করে বিভিন্ন
ভাষায় ট্রাই করতে হবে।
যেমন বাংলাতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এ টু জেড লিখতে পারেন আবার উর্দু হিন্দি যদি
বুঝেন অথবা ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ব্লগ বা আর্টিকেল পাবেন যেগুলো থেকে বিভিন্ন
জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আবার বিভিন্ন ফোরাম সাইট রয়েছে যেগুলোতে অনেক ধরনের
প্রশ্ন উত্তর রয়েছে সেগুলোতে ঢুকেও আপনি সার্চ করে অনেক কিছু জানতে পারবেন
যেমন কোরা-qoura ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি এটি বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম বলে
কিন্ত সম্মানিত বা স্নেহের পাঠক, আমি আপনাকে এখানে প্রায় সবগুলোই টাচ করার
চেষ্টা করছি। কেউ বলছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল বা প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে
দুইটি একটি হচ্ছে অর্গানিক আর অপরটি হচ্ছে পেইড মার্কেটিং।
কেউ বলছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মেইন স্তম্ভ হচ্ছে তিনটি একটি হচ্ছে সার্চ
ইঞ্জিন মার্কেটিং বা সংক্ষেপে এসইএম, আরেকটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
যাকে সংক্ষেপে এস এম এম আর অপরটি হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা
হয়। আবার কেউ বলছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্তম্ভ গুলো হচ্ছে এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন এবং এস এম এম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
আবার কারো গবেষণায় রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মূল খুঁটি গুলো হচ্ছে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চ্যানেল, কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু এবং স্ট্রাটেজি
বা কৌশল ইত্যাদি। ফ্রি মার্কেটিং হলো- ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার
ফলোয়ার, ফেসবুক গ্রুপের সদস্য এবং ইউটিউব চ্যানেরলের সাবস্ক্রাইবার বাড়িয়ে
সেগুলোতে কন্টেন্ট দিয়ে মার্কেটিং করে নিজেদের অডিয়েন্সকে আগ্রহ তৈরী করা।
আর পেইড মার্কেটিং হলো ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার অথবা বর্তমানে টাকা খরচ করে
মার্কেটিং করা। আবার গুগলের মাধ্যমে নিজেদের ওয়েবসাইটে এসইও করে গুগলের
ফার্স্ট ১০টি রেজালটে র্যাঙ্ক করানো এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে। আর
এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলা হয় যেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করে
সার্চ করলে নিজেদের কন্টেন্টগুলো সবার আগে শো করা ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি বিষয়টি খুব গুরত্বপূর্ণ যেটি আপনাকে
জানতেই হবে। অনলাইনে বা অফলাইনে বিভিন্ন জায়গায় কোর্স করে অথবা ইউটিউবে
টিউটোরিয়াল দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে সেটি দ্বারা ফ্রিল্যান্সিং করাটাই
হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর
মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্কিল
বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনাকে হয় নিজে উদ্যোগ নিয়ে
গুগল সার্চ এবং youtube এর বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখতে হবে। অথবা কোন দক্ষ
ডিজিটাল মার্কেটারের অধীনে থেকে তার কোর্স করার মাধ্যমে কিংবা সেই ডিজিটাল
মার্কেটে যদি আপনার কোন আত্মীয়স্বজন বা হিতাকাঙ্খী বা বন্ধুবান্ধব কেউ হয়ে
থাকে তাহলে তার থেকে আপনি ফ্রিতেও শিখতে পারেন।
কিন্তু আপনাকে সর্ব প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্কিল বা দক্ষতাটা অর্জন
করতেই হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে এর পরে আপনি
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক, গুরু, পিপল পার আওয়ার অথবা
ফ্রিল্যান্সার ডটকমের মত সাইটগুলোতে একাউন্ট বা আইডি খুলে সেখানে একটা শক্ত
পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। এরপরে আপনার কাজ রিলেটেড বিভিন্ন গীগ বা প্রপোজাল
পেশ করতে হবে।
যেগুলোকে বিভিন্নভাবে এসইও বা সার্র ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে রেঙ্কে নিয়ে
যেতে হবে। একসময় বায়ার বা কাস্টমাররা বা ক্লায়েন্ট আপনাকে খুঁজে বের করে
আপনার যোগ্যতা অনুসারে একটা কাজ দিবে এবং সেই কাজের মূল্য দুইজনে দরকষাকষি
করে নির্ধারণ করবেন। এভাবে তার কাজটি সুন্দরভাবে করে জমা দিয়ে আপনি টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। আর এটিই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং
করা।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়টিতে মানুষ চটকদার কিছু বিজ্ঞাপনের
লোভে পড়ে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফল ও হয় মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল
মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং করার ব্যাপারটিতে। তবে অধিকাংশই মোবাইল এর
মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়টিতৈ অসফল হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে যদি ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ হয় বা যাকে কম্পিউটার বলা হয় তাহলে এটি
একদম অনায়াসেই করা যায়।
তিন মাস সর্বোচ্চ সময় দিয়ে স্কিল শিখতে হবে সর্ব প্রথমে বা দক্ষতা অর্জনের
পিছনে সময় ব্যয় করতে হবে। এরপরের তিন মাস কাজ নেওয়ার ব্যাপারে সময় দিতে
হবে। আর কাজ নেওয়াটার ব্যাপারটা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে হতে পারে আবার
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে হতে পারে। যেটাকে আউট অফ মার্কেটপ্লেস
বলা হয়।
আর আউট অফ মার্কেটপ্লেসের বা মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে ক্লায়েন্ট খোঁজার জন্য
বিভিন্ন কোর্স রয়েছে যে কোর্সগুলোকে ক্লায়েন্ট হান্টিং কোর্স বলা হয় বা
আউট অফ মার্কেটপ্লেস ক্লায়েন্ট হান্টিংকোর্স। আর ক্লায়েন্ট হান্টিং বায়ার
খোঁজে পাওয়ার কাজটা বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। যেমন ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে
হয়ে থাকে। আবার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আবার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন বায়ারের ফেসবুক পেজ খুঁজে সেখানে
মেসেঞ্জারে মেসেজ করা বা মেসেজ টেমপ্লেট পাঠানো। অথবা বায়ারের youtube
চ্যানেলের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে বায়ারকে নিজেদের একটা স্কিল এবং
এক্সপিরিয়েন্সের পোর্টফলিও লিংক এবং মেসেজ প্রপোজাল এর মাধ্যমে দৃষ্টি
আকর্ষণ করা ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব
ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিষয়টির মাঝে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ও
অন্তর্ভুক্ত। তাই সম্মানিত পাঠক কে বলব আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব আপনাকে জানতে হবে এজন্য যে ডিজিটাল মার্কেটিং করে
যেহেতু আপনি লাইফে ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন। তো চলুন জেনে নিই ডিজিটাল
মার্কেটিং গুরুত্ব কতটুকু।
সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল মার্কেটিং এর শাখাটা খুবই ব্যাপক এবং বিভিন্ন কাজ
রয়েছে শাখা-প্রশাখা রয়েছে। যেগুলোর যেকোনো একটি ভালোভাবে শিখতে পারলে আপনি
লাইফে সাইন করতে পারবেন। যেমন আজ মানুষ লিড জেনারেশন করেই অনেক উপার্জন করতেছে।
লিট জেনারেশন মানে হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির মালিক বা ভাই সম্পর্কিত বিভিন্ন
লোকের লিড বা তথ্য কালেক্ট করা বা সংগ্রহ করা।
এটি বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। যেমন google এর সার্চ অপশনে গিয়ে ইমেইল কালেক্ট
করা কোম্পানির নামও ইমেইল লিখার মাধ্যমে। আবার লিংক দিন প্রোফাইল কালেক্ট করা
কোম্পানির নাম বা যার লিংক দিন সংগ্রহ করবো তার নাম এবং লিঙ্কদিন শব্দ লিখে।
আবার অনেক সময় ফোন নম্বর এবং ওয়েবসাইট লিংক কালেক্ট করা হয় ইত্যাদি। এই যে
তথ্যগুলো কালেক্ট করা হচ্ছে এটাই হচ্ছে লিড জেনারেশন।
লিড জেনারেশন মাধ্যমে বহু মানুষ কোর্স করাচ্ছে এবং বহু মানুষ তা করে
ফ্রিল্যান্সিং করছে। আবার অনেকেই শুধুমাত্র ইমেইল মার্কেটিং শেখাচ্ছে যেটির
মাধ্যমে অনেকেই যে ক্যারিয়ারটাকে ডেভলপ করেছে। যেমন একজন আমার চেনা আছে
আপনারাও চিনে থাকবেন তিনি একজন মহিলা আর তিনি টেন মিনিট স্কুলের একজন বর্তমান
ইমেইল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন ক্লাস করাচ্ছে।
আবার অনেকেই ইউটিউব মার্কেটিং করে লাইফ লিড করতেছে। মার্কেটিং এর ফুল বিষয়টি
নিয়ে একদিন আপনার সামনে সম্মানিত পাঠক হাজির হয়ে যাব। ইউটিউব মার্কেটিং এর
কয়েকটি বিষয় আছে যার মধ্যে একটি হচ্ছে মনিটাইজেশন করে দেওয়া। আবার একটি
হচ্ছে ইউটিউবের ভিডিওগুলোকে গুগলের মাধ্যমে এড করে পেড মার্কেটিং করা।
আমার ইউটিউবের ভিডিওগুলোকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের মাধ্যমে ফ্রি
প্রমোশন করা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ রয়েছে। আবার অনেকেই google অ্যাডস শিখে এডসের
মাধ্যমে কাস্টমারদের বা ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইটকে গুগলের টপ রেংকিংয়ে আনায়ন
করা। অথবা google এড এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা যেটি
ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
আবার অনেকেই ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ক্যারিয়ার টাকে
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতেছে। যেটি অত্যন্ত লাভজনক এবং সফল একটা স্কিল বা দক্ষতা
এবং ক্যারিয়ার গড়ার অবশ্যই সম্ভাবনাময় এক স্কিলসের নাম। প্রিয় দর্শক ও
পাঠক, এতদ্বারা বুঝতে পারলেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কি গুরুত্ব রয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ পানির মতো পরিষ্কার ও উজ্জ্বল। ডিজিটাল
মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ রাখার কোন কল্পনাই করা যাবে না। কেননা
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি সেক্টর, যেহেতু আমরা জানি ডিজিটাল
মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলে কনভার্ট করার জন্য
তার কাস্টমারদেরকে আগ্রহান্বিত করা, তার মানে কি এই নয় পৃথিবীর যত দিন থাকবে
বেচাকেনা ততদিন থাকবে।
যদিও অনলাইন ও অফলাইন বলে একটি কথা আছে। অনলাইন যেহেতু প্রযুক্তিগত
বিজ্ঞানের আবিষ্কার সেহেতু একদিন যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এই স্কিল গুলো
নিয়ে অফলাইনেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা এটা নিতান্তই বোকামির কাজ। তবে অবশ্যই মার্কেটিং
সম্পর্কে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে বিশেষ করে ডিজিটালই বা অনলাইনে
কিভাবে মার্কেটিং করতে হয়?
যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জানতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া
মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে, গুগল এডস সম্পর্কে জানতে হবে, facebook
এডভারটাইজমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে, ই-কমার্স নিয়ে জানতে হবে, আবার শফিফাই
এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে কিভাবে ওয়েবসাইট বানায় এ বিষয়টি সম্পর্কে
জানতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো সাধারণত বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর
মাধ্যমে এসইও করে অথবা লিড কালেক্ট করে অথবা প্রোডাক্ট বাস সার্ভিস বিক্রির
জন্য অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়।
তাই অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কে পরিষ্কার করতে হলে নিজে দক্ষতা
অর্জন করতে হবে এবং এই দক্ষতা গুলোকে দিনে দিনে বৃদ্ধি করতে হবে এবং সময়ের
সাথে সাথে যত দক্ষতা সামনে দেখা দিবে আসবে সবগুলোর সাথে সু পরিচিত হতে হবে।
তাহলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে ভবিষ্যৎ এটি সুন্দর ও শুভ কামনা ময় ভবিষ্যৎ
হিসেবে আপনার সঙ্গে দেখা দিবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ
ডিজিটাল মার্কেটিং a to z ব্যাপারটির সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো কি তা
জানাবো। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন কাজ রয়েছে যেগুলো আমরা ব্লগ দিতে
আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। এরপরে এখানে বেশ কিছু ডিজিটাল
মার্কেটিং এর কাজ যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য এবং সফলভাবে বর্তমান ২০২৪
সালের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করতেছে সেগুলো
নিচে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করছি। যেমন-
- লিড জেনারেশন
- ওয়েবসাইট রিসার্চ
- ওয়েবসাইট স্ক্যাপিং
- ডেটা মাইনিং
- ডাটা স্ক্রাপিং বা কালেক্টিং
- নেম এন্ড ফোন নাম্বার কালেক্টিং
- ইমেজ টু টেক্সট অথবা পিডিএফ টু টেক্স working
- প্রোডাক্ট লিস্টিং
- ইমেইল মার্কেটিং
- ইউটিউব মার্কেটিং
- গুগল এডস বা অ্যাডস
- google এডসেন্স
- ব্লগিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- কনটেন রাইটিং
- ফেসবুক মার্কেটিং
- ফ্রি মার্কেটিং ও পেইড মার্কেটিং
- শপিফাই প্রোডাক্ট লিস্টিং
- ওয়াডপ্রেস ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট লিস্টিং
- বুক প্রোমোশন
- আমাজন বুক প্রমোশন
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া বুক প্রমোশন
- টুইটার মার্কেটিং
- ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং
- whatsapp মার্কেটিং
- লিংকডিন মার্কেটিং
- রেডিট মার্কেটিং
- পিন্টারেস্ট মার্কেটিং
- টামলার মার্কেটিং
- কেডিপি বা কিন্ডেল ডিরেক্ট পাবলিশিং
- ইউটিউবিং ম্যানেজার
- ফেসবুকিং ম্যানেজার
- সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং
- ট্রান্সলেটিং
- বুক এডিটিং
- এসিও বা সাচ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
- ওয়ান পেজ এসইও
- অফ পেজ এসইও
- লোকাল এসইও
- এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
- এসএমএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয় এসিস্টেন্ট
- ভার্চুয়াল সিস্টেম ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিষয়টির সাথে আরও একটি বিষয় সংশ্লিষ্ট সেটি হচ্ছে
ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কোর্স। আজ ফ্রিল্যান্সিং কোর্সগুলো ব্যাঙের
ছাতার মত অনলাইনে এবং অফলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। যেদিকে তাকাই শুধু ফ্রিল্যান্সিং
কোর্স দেখতে পাই সেটি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয়
সম্পর্কে।
ফেসবুকে এবং ইউটিউবে ঢুকলেই দেখা যায় ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের বিভিন্ন সফলতার
গল্প বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে মহা সমারোহে। তাই
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
টাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চান এবং অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে বিভিন্ন
জায়গা থেকে সর্ব প্রথমে আপনার কাজ হবে আগে সোর্স টি যেখান থেকে আপনি কোর্সটি
করবেন তাদের সম্পর্কে জানা।
আরো পড়ুনঃ ৫টি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার পূর্ণাঙ্গরুপে জেনে নিন
আপনার যে মেন্টর বা শিক্ষক হবে সে জীবনে ফ্রিল্যান্সিং করে কতটুকু তার লাইফটাকে
ঢেলে সাজাতে পেরেছে এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ডলার ইনকাম করতে
পেরেছে বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। কারণ আজ অনেক মানুষকে দেখা যাচ্ছে যারা
ফ্রিল্যান্সিং করে একটি টাকাও ইনকাম করতে পারে নাই তারাও অনলাইনে কোর্স করানোর
জন্য বিভিন্ন এডস দেখাচ্ছে এবং এডভারটাইজমেন্ট করছে।
সম্মানিত পাঠক আপনি কোন অসাধুচক্রের ফাঁদে না পড়ে অনলাইন যেহেতু ভার্চুয়াল বা
অদৃশ্য একটি জগত যেটিতে আপনাকে নিজেই রিসার্চ বা গবেষণার মাধ্যমে নির্ণয় এবং
যাচাই-বাছাই করতে হবে যে কে আপনার জন্য পারফেক্ট কোর্স প্রোভাইডার বা অনলাইন
মাস্টার হতে পারবে। আপনি বিশেষ করে দেখবেন তাদের ফেসবুক ভেরিফাইড ব্লু বেজ
ওয়ালা পেজ আছে নাকি।
আরো দেখতে হবে যে তাদের যে ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে এটিতে কেমন সদস্য রয়েছে এবং
তাদের সদস্যদের ফিডব্যাক চেক করতে হবে বিশেষ করে কমেন্ট সেকশন গুলো পড়তে হবে।
আবার যদি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে সেটিও দেখতে হবে যে তাদের চ্যানেলে যে
ভিডিওগুলো আছে সেগুলো কতটুকু বাস্তবতার সাথে মিলছে এবং তাদের সাবস্ক্রাইবার এর
সংখ্যা কত। যদি সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ভালো থাকে এবং কমেন্টগুলো ভালো হয়
তাহলে সব মিলিয়ে বুঝতে হবে যে সে ভালই হতে পারে।
এরপর আবার দেখতে হবে যে তাদের কোন ওয়েবসাইট আছে নাকি যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে
সেটি রিসার্চ করতে হবে যে ওয়েবসাইটটি তো কি কনটেন্ট রয়েছে এবং কিভাবে সাজানো
হয়েছে। বিশেষ করে যাদের করছে ভর্তি হবেন বা ক্লাস করবেন তাদের ফ্রি ভিডিও গুলো
আগে দেখে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে ভালো কিনা ইত্যাদি ইত্যাদ। সব মিলিয়ে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের ক্ষেত্রে আপনি এগোতে পারেন
এবং সুন্দর ও সম্ভাব্য ফিন্যান্সিং ক্যারিয়ার করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি বিষয়টি এখন বলার চেষ্টা
করছি। আমরা ইতিমধ্যে জানায়েছি যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কোন কাজগুলো
করতে হয়। তো যে কাজগুলো আমরা পূর্বের শিরোনামটির আগের শিরোনামটিতে লিখেছি
এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, সম্ভাবনাময় ও সাফল্যমন্ডিত পাঁচটি ডিজিটাল
মার্কেটিং এর যে কাজগুলোতে চাহিদা রয়েছে সেগুলো লিখছি।
সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন যে ৫টি কাজ যেগুলো শিখলে খুব স্বল্প সময়ের ভিতর আর্ন
বা ইনকাম করতে পারবেন সেগুলো নিম্নে লিখছি।
- লিড জেনারেশন
- ইউটিউব ভিডিও এসইও
- ইমেইল মার্কেটিং
- গুগল অ্যাডস
- এবং ফেসবুক এডভারটাইজমেন্ট
লেখকের শেষ মন্তব্য
ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিষয়টি এ সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর
বিভিন্ন বিষয় সহকারে উল্লিখিত আর্টিকেলটিতে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস
চালিয়েছে। সম্মানিত প্রিয় পাঠক, আপনি যদি এই ব্লগটি পড়ে ডিজিটাল
মার্কেটিং বিষয়ে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরে থাকেন তাহলে আমাদের
আর্টিকেলগুলোকে ভালোভাবে বিবেচনা করবেন। আশা করছি নিজের ভাষায় উক্ত
ব্লগটি যেহেতু লিখেছি সেহেতু খুব কঠিন ও জটিল ভাষা ব্যবহার করা হয় নাই তাই বুঝতে
পেরেছেন। আরো এরকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url