১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম - বারোমাসি সবজি তালিকা বিস্তারিত জানুন

গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম সম্পর্কে প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে জানবেন। সবজি মানে যে উদ্ভিদটি সবুজ রং ধারণ করে সালোক সংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় উৎপাদন হয়। আর সবজিতে আপনি পেয়ে যাবেন সূর্যের আলোর শক্তি, অক্সিজেন ও পানি।

১০টি-বর্ষাকালীন-সবজির-নাম

কারণ, এই সবুজ উদ্ভিদ বা সবজি সূর্যের আলো, কার্বন ডাই অক্সাইড যেটা পরিবেশের সাথে বায়ুমন্ডলে থাকে এবং পানি ও অক্সিজেনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। আর বারোমাসি সবজির একটা তালিকা সহ লেখা থাকছে।  

পেজ সূচীপত্রঃ ১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম সহকারে সবজি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জেনে নিন

১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম

১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম  সবারই জানা দরকার। এখানে বর্ষাকালে যে ধরনের সবজি গুলো হয় তার দশটি জানাবো। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো না খেলে আমাদের দিন চলবে না, শরীরে পুষ্টি ও ভিটামিনযুক্ত হবে না। যার কারণে সবজি জীবনের সাথে ওতপ্রুত ভাবে জড়িত। কারণ, সবজি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরও মন দুটোই ভালো থাকবে সবজির মত ন্যাচারাল সবুজ হয়ে যাবে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বর্ষাকালীন দশটি সবজির নাম জেনে নেই। 

চাল কুমড়াঃ চাল বা উঁচু মাচান করে হয় তাই একে চাল কুমড়া বলে। চাল কুমড়া বর্ষাকালে সুন্দর আবহাওয়ায় খুব ভালো হয়। চাল খুব ভালো মানের একটা সবজি যেটার ভিতরে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অর্থাৎ যেটি খেলে শরীরের ভিতরের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ দূর করে দেয়। আমার এর ভিতরে ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিন সি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। তাই এটি খেলে শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যে খুব ভালো প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দাঁত ও হাড় শক্ত হয়, আমাদের চোখের শক্তি বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ Carrot: গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী বিস্তারিত জানুন

মিষ্টি কুমড়াঃ এ কুমড়া খেতে মিষ্টি লাগে বলেই একজন মিষ্টি কুমড়া বলে। মিষ্টি কুমড়া মাটি এবং চাল দুই জায়গায় চাষ করা হয়। এ মিষ্টি কুমড়ার ও নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যেটা শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আবার এতে রয়েছে ভিটামিন সি যেটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দৃষ্টিশক্তি মজবুত করে। আবার পটাশিয়াম যেটা ও ম্যাগনেসিয়াম এর মত উচ্চ রক্তচাপ এর নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হার্ট ভালো রাখে। আবার এই মিষ্টি কুমড়ার বিচির মধ্যে ট্রিপ্টোফ্যান নামে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে যেটি সুন্দর ঘুম এর জন্য সহায়ক ইত্যাদি।

লাউ বা কদুঃ লাউকে উর্দু ভাষায় এবং আমাদের বাংলার আঞ্চলিক ভাষায় কদুও বলা হয়। লাউ বা কদু বাংলাদেশে বিশেষ করে বর্ষাকালে চাষাবাদ হয়। এই লাউ মুসলিম জাতির প্রিয় নবী আলাইহিস সালামের প্রিয় খাবার ছিল। এক্ষেত্রে লাউ এর মাঝে বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে। যেমন একটি রয়েছে ভিটামিন, উপকারী ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, এসিড। আরো রয়েছে আয়রন, খনিজ লবণ, ভিটামিন বি১ ভিটামিন বি২ ইত্যাদি। এ লাউ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে যেহেতু এর মধ্যে ক্যালরির সংখ্যা খুব কম। লাউ খেলে হার্ট ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিসের জন্যও ভালো উপকারী। 

বেগুনঃ বেগুন ও এক ধরনের বর্ষাকালে চাষ হওয়া উদ্ভিদ বা সবজি। যেটির বিভিন্ন প্রকার রয়েছে লম্বা বেগুন রয়েছে, গোলাকার বেগুন রয়েছে, ডিম্বাকার বেগুন রয়েছে ইত্যাদি। আবার ইসলামপুরী, লাফফা, বারি, তাল বেগুন এবং খটখটিয়া নামেও বেগুন রয়েছে। বেগুন বর্ষাকালেই শুধু নয় বছরের যে কোন সময় আবার উৎপন্ন হয়। বেগুনের ও প্রচুর গুনাগুন রয়েছে। যেমন এতে রয়েছে ফাইবার যেটা খাবারে থাকলে হজম হতে সাহায্য করে, আবার এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটা শরীরের ভিতরকার টক্সিন বা আবর্জনা দূর করে। আবার এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ এবং বিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েডস যেটি হার্ট বা ঋদ যন্ত্রের রোগের বাধার জন্য মাধ্যম হয়ে থাকে।

চিচিঙ্গাঃ চিচিঙ্গা বাংলাদেশে বর্ষাকালেও গ্রীষ্মকালে দুই সিজনে উৎপন্ন হয়। প্রচুর ঔষধি ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। ভিটামিন সি, অনেক আমিষ হয়েছে, আর এতে প্রায় ৯৫% পানি রয়েছে। আরো এতে রয়েছে শর্করা, আয়রন বা খাবার উপযোগী লৌহ এবং এতে রয়েছে প্রায়ই ৪০% ক্যালসিয়াম। চিচিঙ্গায় আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সোডিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ফ্যাট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ইং এবং কার্বোহাইড্রেট। চিচিঙ্গা খেলে প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়, বিষফোঁড়া, পেট ফাঁপা এবং জ্বর ও হজমের সমস্যায় ভালো কাজ করে ইত্যাদি।

ঝিঙ্গাঃ এ সবজিটিকে ঝিঙে আবার ঝিঙা এ ৩ রুপে লেখা যায়। ঝিঙাটি বর্ষাকালীন এবং গ্রীষ্মকালীন সবজি উদ্ভিদ। যেটাকে ইংরেজিতে আবার Luffa ও বলা হয়। ঝিঙাতে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুনাগুন। যেমনেতে রয়েছে ফসফরাস, প্রোটিন যেটা শরীরের শক্তি উৎপাদক, ক্যালসিয়াম এবং বিটা ক্যারোটিন। ঝিঙ্গা বিভিন্নভাবে চাষ করা যায়, যেমন চালে, মাটিতে, এবং ছাদে টবের মধ্যেও চাষ করা যায়। এটি মধ্যম মানের হতে দুই মাস সময় লাগে এবং বিক্রির উপযোগ্য হতে প্রায় আড়াই মাস সময় লাগে। এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়ক হবে।

১০টি-বর্ষাকালীন-সবজির-নাম

করলাঃ একে করল্লাও বলা হয়। করলার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে মোমরডিকা চারানটিয়া (momordica charantia)। এই করলা প্রচুর ঔষধি ও পুষ্টিগণ সমৃদ্ধ। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলার রস অত্যন্ত উপকারী। দৈনিক এক গ্লাস করে করলার রস খেলে শরীরের সুগার বা চিনি নিয়ন্ত্রণ করে। আবার এটি চোখের জ্যোতি শক্তি বাড়ায়। হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা পালন করে। এ করল্লায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং প্রচুর প্রোটিন থাকে। আবার এটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক বা খারাপ জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শরীরকে সুস্থ করে তোলে। 

বরবটিঃ বরবটি এসব জিটি শুধু বর্ষাকালেই নয়, শুধু শরৎকাল বা গ্রীষ্মকালেই নয় এটি সারা বছরে উৎপাদন হয়। এটি খুব ভালো মানের একটা সবজি যেটার অনেক গুণাগুণ বিদ্যমান। বরবটিতে প্রচুর ক্যালোরি বা খাদ্য শক্তি থাকে, আবার এতে খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন থাকে, সাথে সাথে খনিজ লবণ, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন বা লৌহ এবং আরো রয়েছে শর্করা। এই বরবটি টি লম্বার দিক থেকে প্রায়ই ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি হয়। এটি ফসল উৎপাদনে প্রায় 20 টনের মতন হয়ে থাকে। আর এ বরবটি উৎপাদন হতে প্রায় 40 দিন সময় লাগে।

শসাঃ বাংলাদেশের জনপ্রিয় সবজির মধ্যে একটি হচ্ছে শসা। শসা কে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। এমনিতেই কাচা কাচা খাওয়া যায়, সালাত করে খাওয়া যায় আবার বিভিন্ন খাবারের সাথে বাংলাদেশের মানুষেরা বিশেষ করে দাওয়াত এর সময় পরিবেশন করে। শশায় রয়েছে ভিটামিন, আমিষ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, এবং অল রয়েছে ক্যারোটিন। শসা প্রায় উৎপাদন হতে সময় লাগে ১২০ দিনের মতো। শসা জমিতেও চাষাবাদ করা যায় আবার বিভিন্ন নার্সারি বা বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা যায়। শসার বিভিন্ন জাত রয়েছে কোন হাইব্রিড শসা, আবার বাংলাদেশী বিশুদ্ধ জাত ইত্যাদি। যেহেতু সশার ভিতর বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে, এজন্য এটি বাত ব্যথা, মাথা ব্যথা, চোখের জ্যোতি বাড়ানো এবং গ্যাস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আমার এই শসা খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমাতে ও হজম করতে ভালো সাহায্য করে।

ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়শ ও এক ধরনের বর্ষাকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজি। ঢেঁড়স বিভিন্নভাবে চাষ করা যায় যেমন জমিতে চাষ করলে জমিন থেকে আগে ভালোভাবে চাষ করে উর্বর করতে হয় এরপরে ঢেড়শ এর বীজ বপন করতে হয়। জমি উর্বর করার প্রায় ১২ থেকে ১৫ দিন পর ঢেঁড়সের বীজ বুনতে হয়। ক্ষুধা কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে কেননা এতে রয়েছে অনেক ফাইবার। আবার রয়েছে জেলীর মত এক ধরনের পদার্থ বা উপাদান যেটি পাচক ক্রিয়ায় বা হজমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার এতে রয়েছে খাদ্য প্রাণ বা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন এ। আবার এতে রয়েছে খনিজ পদার্থ, আমিষ, আয়োডি এবং ক্যালসিয়াম ও রয়েছে। 

এখানে ১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলোর প্রায় সব সিজনে, বর্ষাকালেও হয়ে থাকে, গ্রীষ্মকালেও হয়ে থাকে আবার প্রায় পুরো বছরেও হয়ে থাকে। আবার এই সবজিগুলোকে চাষাবাদ করে ভক্ষণ করা, বিক্রি করা, এবং আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। আর সবজিগুলোকে রান্না করে, সালাদ করে আবার বিভিন্ন সবজির সাথে মিশিয়েও পাক করে খাওয়া যায়। সবজির বিভিন্ন পুষ্টি ও ঔষধি গুনাগুন লিখা হয়েছে যেগুলো আপনি বেশি বেশি খেলে আপনার শরীর এবং মন দুটোই অনেক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে। বেশি বেশি সবজি খান এবং আপনার পরিবারের লোকজনকে খাওয়ান, নিজে ভালো থাকুন এবং কাছের মানুষদেরকে ভাল রাখুন।

বারোমাসি সবজি তালিকা

বারোমাসি সবজি তালিকা নিয়ে এই জায়গায় লিখছি। বারোমাসি বা বছরে ১২ মাসে যে সবজিগুলো উৎপন্ন হয় সেগুলোকে বারোমাসি সবজি বলা হয়। বারো মাসে যে সমস্ত সবজি উৎপন্ন হয় সেগুলো আপনার জানা থাকলে আপনার সবজিগুলোকে পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ভালো সহযোগিতা করবে। তাই এখানে আপনাকে জানাবো বারোমাসি সবজির তালিকা। 

যেমন এই তালিকায় রয়েছে - করলা, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, চিচিঙ্গা, শসা, বেগুন, ঢেঁড়স, কলমি শাক, ধুন্দুল ইত্যাদি। আবার আরেকটু বিশদভাবে বলছি যে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে যেসবজি সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় সেটি হচ্ছে লাউ। এবং এই তালিকায় রয়েছে কুমড়া, বিশেষ করে চাল কুমড়া। আবার এই তালিকা থেকে মুক্ত নয় শসাও। শশা ও বছরের প্রায় বারোমাসেই হয়ে থাকে। 

১০টি গ্রীষ্মকালীন সবজির নাম 

১০টি গ্রীষ্মকালীন সবজির নাম সম্পর্কে আপনাকে এখানে জানানোর চেষ্টা করছি। শুধু বর্ষাকালে নয়, শরৎকালী নয়, শীতকালেই নয়, যেহেতু বছরের সব সময় আপনাকে সবজি খাওয়া লাগবে তাই কোন ঋতুতে বা কোন সিজনে কোন সবজি উৎপন্ন হয় এই সবজিগুলো সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের ভান্ডার কে সজাগ ও সচেতন রাখতে হবে। 

তাহলে সবজি ক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনার জানাশোনা থাকলে আপনি ব্যাপারটিতে উপকৃত হতে পারবেন। তাই এখানে দশটি গ্রীষ্মকালীন সবজির নাম লিখছি। যেমন গ্রীষ্মকালে যে সবজিগুলো উৎপন্ন হয় সেগুলো হচ্ছে গিনা কলমি, টমেটো, ঢেঁড়স, মিষ্টি কুমড়া, ডাটা শাক, কাঁকরোল, পটল, পুইশাক এবং মিষ্টি আলু ইত্যাদি। ১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম বিষয়টি এর আরো একটি শিরোনাম লেখলাম।

বারোমাসি সবজি চাষ pdf

বারোমাসি সবজি চাষ pdf ব্যাপারটি আপনাকে জানাচ্ছি। বারো মাসে যে সবগুলো উৎপন্ন হয় সেগুলো আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। তবে আরো জানাচ্ছি যে উল্লেখিত সবজিগুলো ছাড়াও আরব বিভিন্ন সবজি রয়েছে যেগুলো বছরের প্রায় বারোটা মাসেই উৎপাদন হয়ে থাকে। যেমন বরবটি, ক্যাপসিকাম, বাঙ্গি, মটরশুঁটি, পেঁয়াজ, ও করা, রোজেলা, বসন্ত পেঁয়াজ, এবং আরো রয়েছে মিষ্টি ভুট্টা ইত্যাদি।

শীতকালীন সবজির নামের তালিকা

শীতকালীন সবজির নামের তালিকা ব্যাপারটি এখানে জানাবো। আমরা শীতকালে যে সবজিগুলো পাই বা যে সবজিগুলো শীতকালীন সময় উৎপন্ন হয় ও চাষাবাদ হয় সেগুলোকে সাধারণত শীতকালীন সবজি বলা হয়। শীতকালীন বিভিন্ন সবজি রয়েছে তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু সবজি নিম্নের লিস্ট বা তালিকায় যুক্ত করছি। যেমন- 

  1. বাঁধাকপি 
  2. ফুলকপি 
  3. টমেটো
  4. ব্রোকলি
  5. শিম 
  6. লাউ 
  7. লেটুস 
  8. পালং শাক 
  9. গাজর 
  10. এবং পেঁয়াজকলি

সবজি চাষের ক্যালেন্ডার pdf

১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম আরো একটি হচ্ছে সবজি চাষের ক্যালেন্ডার pdf এ ব্যাপারটি এই জায়গাটিতে জানাচ্ছি। সবজি চাষের ক্যালেন্ডার বলতে বারোমাস অর্থাৎ জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর ইত্যাদি মাসগুলোর প্রত্যেকটিতে যে সবজিগুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উৎপন্ন হয় সেগুলি হচ্ছে সবজি চাষের ক্যালেন্ডার শিরোনামটিতে যুক্ত হবে। 

আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো কী যেগুলো খুবই গুরত্বপূর্ণ জানুন

এক্ষেত্রে, এখানে চিঠি লেখার চেষ্টা করছি। যেমন জানুয়ারি মাসে যে সবজিগুলো উৎপাদন হয় সেগুলো হচ্ছে - মুলা, ওলকপি, চাল কুমড়া, শিম, টমেটো, গাজর, শসা এবং বেগুন ও আলু ইত্যাদি। আমার ফেব্রুয়ারি মাসে যেগুলো উৎপাদন হয় সেগুলো হচ্ছে যেমন- ধুন্দল, রসুন, লেটুস, পালং শাক, মটরশুঁটি, আলু এবং ধান। উল্লেখ্য যে এই সবজিগুলোর প্রায় দুই মাস তিন মাস চার মাস ধরে উৎপাদন হয়। কাজেই এক একটি সবজি প্রায় ২-৩ মাস চার মাসের ক্যালেন্ডার বা দিন পঞ্চিকার মধ্যে শামিল।

গ্রীষ্মকালীন সবজি তালিকা

গ্রীষ্মকালীন সবজি তালিকা ব্যাপারটি লেখার চেষ্টা করছি। যদিও গ্রীষ্মকালে যে সবজিগুলো উৎপন্ন হয় তার একটা তালিকা বা লিস্ট আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছি। আবারও এখানে দ্বিতীয়বার স্মরণ করানোর জন্য লিখছি। গ্রীষ্মকালে যে সবজিগুলো উৎপন্ন হয় তার তালিকা নিম্নরূপ। 

  • পটল 
  • বেগুন 
  • কাঁকরোল
  • ঢেঁড়স 
  • পুঁইশাক 
  • শসা 
  • লাল শাক 
  • চাইনিজ বাঁধাকপি

সবজি চাষের সময়সূচি

সবজি চাষের সময়সূচি বিষয়টি এখানে জানাচ্ছি। সবজি বারো মাসের যে সময়গুলিতে উৎপন্ন হয় সেটি হচ্ছে সবজি চাষের নির্দিষ্ট সময়সূচী। বেশ কিছু সবজি আছে যেগুলো বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বিভিন্ন ঋতুতে উৎপন্ন হয়। কোনো সবজি বর্ষাকালে, কোনোটা গ্রীষ্মকালে, কোনোটা শরৎকালে, কোনটা শীতকালে, কোনটা হেমন্তকালে আবার কোনোটা বসন্তকালে উৎপাদন বা চাষবাস হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময়ের যে সবজিগুলো উৎপন্ন হয় সেগুলো এখানে আবারও উল্লেখ করছি। 

যেহেতু আমরা ব্লগটির মধ্যে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে যে সবজিগুলো উৎপন্ন হয় সেগুলো উল্লেখ করেছি তাই এখানে মার্চ মাসে কি সবজি উৎপন্ন হয় সেগুলো উল্লেখ করছি। মার্চ মাসে যে সবগুলো উৎপন্ন হয় যেমন- পেঁয়াজ, ঢেঁড়স, রসুন, ঝিঙে, বেগুন, চিচিঙ্গা ও বরবটিত ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি ইন্টারনেট সার্চ করলে আরো বিভিন্ন সবজির নাম জেনে যাবেন।

সবজি চাষ pdf - sobji chas

সবজি চাষ pdf - sobji chas ব্যাপারটি নিয়ে জানাচ্ছি। সবজি চাষ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নভাবে লেখার চেষ্টা করেছি তারপরও এখানে সাধারণভাবে সবজি চাষ এর শিরোনামটি নিয়ে জানাচ্ছি। সবজি চাষ মানে আপনি সবুজ এক ধরনের উদ্ভিদ উৎপন্ন করতে চাচ্ছেন। আর এই সবুজ উদ্ভিদ উৎপন্ন করার মাধ্যমে আপনি যদি সার এবং বিভিন্ন কীটনাশক না দিয়েই উৎপন্ন করতে পারেন তাহলে এইসবজি হতে পারে আপনার জন্য ন্যাচারাল খাবার। 

সবজি-চাষ-pdf-sobji-chas

যেটা বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা নামিদামি ডাক্তাররা খেতে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করে। যেমন বাংলাদেশের একজন লাইভ স্টাইল পরিবর্তনকারী ডাক্তার ডাঃ জাহাঙ্গীর তিনি কীটনাশক এবং সারমুক্ত সবজি উৎপন্ন করার জন্য যে কোন মানুষ যারাই সুস্থ থাকতে চায়, সুস্থ জীবন যাপন করতে চায় এবং সুস্থভাবে বাঁচতে চাই তাদের জন্য নিজেরা সবজি চাষাবাদ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। 

কারণ, নিজের সবজিতে আপনি জানেন যে আপনি ভেজাল জিনিস ব্যবহার করেছেন না করেননি। তাই আপনি সন্দেহ মুক্তভাবেই সবজি চাষ করার মাধ্যমে যেগুলো নিজে এবং আপনার পরিবারের সদস্যদেরকে খাওয়ানোর মাধ্যমে আপনি সুস্থ লাইফ লিড করতে পারবেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

১০টি বর্ষাকালীন সবজির নাম নাম সহকারে আরো সবজির তালিকা ও calendar নিয়ে লিখেছি। সম্মানিত ও সুপ্রিয় দর্শক শ্রোতা ও পাঠক, আপনি যদি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আমাদের সাথেই থাকবেন। সামনে আরো এরকম নিত্যনতুন ব্লগ বা আর্টিকেল নিয়ে আপনার সামনে হাজির হয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। 

আর আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে এবং কিভাবে লিখলে আরো সুন্দর হবে কি ব্যাপারটি কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। এবং যদি আর্টিকেলটি উপকারী মনে করে থাকেন তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে ভুলবেন না ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url