বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম - গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহ জেনে নিন

বাংলাদেশের সেরা ১০ দর্শনীয় স্থানবাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম আপনাকে আজ অবগত করব। পাশাপাশি আরো দিবস কেন্দ্রিক কথা-বার্তা বলব বিশেষ করে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহ উল্লেখ করব আজকের আর্টিকেলে। সম্মানিত পাঠক, আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন শেষ পর্যন্ত।

বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম
এবং বাংলাদেশের কোন দিন কি দিবস জেনে নিন। আরো পেশ করব যে বাংলাদেশের জাতীয় কয়টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়। তো চলুন জেনে নেই এবং উপলদ্ধি করার চেষ্টা করি দিবস সংক্রান্ত টপিকগুলো।

পেজ সূচীপত্রঃ বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম জানার পাশাপাশি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহ জেনে নিন

বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম

বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম সম্পর্কে এখন আপনার সামনে কথা তুলে ধরব। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস গুলো বিভিন্ন সময় পালিত হয়। দিবসগুলো বছরের শুরুতে মাঝে এসে বছরের বিভিন্ন দিনে উদযাপিত হয়। কোন খ্রিস্টাব্দ মাস দিবস জানুয়ারি মাসে, কোন দিবস ফেব্রুয়ারি মাসে উপলক্ষে, কোন দিবস মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর মাস গুলোতে উদযাপিত ও পালিত হয়। 

বাংলাদেশের কোন দিবস আরবি মাস কে কেন্দ্র করে পালন করা হয়; যেমন মহররমের ১০ তারিখ, কোন দিবস আবার বাংলা মাস কে উপলক্ষ করে উদযাপন করা হয়। প্রিয় দর্শক ও পাঠক, যেমন আমরা বাংলা মাসের প্রথম দিন যেটি পহেলা বৈশাখ নামে খ্যাত সেই দিন বছরের নতুন দিন হিসেবে নববর্ষ উদযাপন করা হয়। 

আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে উপকারী ব্যায়ামগুলো কী যেগুলো খুবই গুরত্বপূর্ণ জানুন

কোনদিন আছে এমন যেগুলো প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের জন্য চাপা পড়ে আছে দিবস হিসেবে পালন করা হয় না। আবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রকে উপলক্ষ করে দিবস পালন করা শুরু করে দেওয়া হয়। কোন দিবস এমন রয়েছে যেগুলো দেখি এবং বিদেশী সুসংস্থা থেকে এবং জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে দিবস পালনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। 

আর দিবসগুলো শুধু বাংলাদেশেরই দিবস যেগুলো বাংলাদেশ পালন হওয়ার পাশাপাশি বহির্বিশ্বেও যে সমস্ত বাঙালিরা প্রবাস জীবন যাপন করছে তারাও পালন ও উদযাপন করে। নিম্নে বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য ও গুরত্বপূর্ণ দিবসসমূহ এর আলোচনা পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধভাবে করা হলো।

জানুয়ারী মাসের দিবসের নাম

জানুয়ারি মাসের দিবসের নাম এখন লিখব। জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালন করা হয়। জানুয়ারির ১০ তারিখ  বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে দিবস উদযাপন করা হয় জানুয়ারির ২০ তারিখ শহীদ আসাদুজ্জামান দিবস পালন করা হয়। জানুয়ারির ২৪ তারিখ গণ অভ্যুত্থান দিবস পালন করা হয়। আর ২৫ তারিখ কম্পিউটার যন্ত্রাংশে বাংলা ভাষা সর্বপ্রথম প্রচলন দিবস পালন করা হয় ও উদযাপন করা হয়।

ফ্রেব্রুয়ারী মাসের দিবসের নাম

এখন ফেব্রুয়ারি মাসের দিবসের নাম লিখার চেষ্টা লিপিবদ্ধ করার করছি। আমরা সবাই জানি ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে  একটি ঐতিহাসিক মাস। যে মাসে ভাষার জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে। রফিক জব্বার সালাম বরকত শহীদগণ তাদের এটা আমি আত্মাগুলো বিসর্জন দিয়েছে বাংলাদেশের বাংলা ভাষার জন্য, বাংলা ভাষাকে দেশের জাতীয় ভাষা ও মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য। ফেব্রুয়ারি মাসের দিবসগুলো নিম্নে ছক আকারে লিখছি।
যে তারিখে দিবস উদযাপন হয় যে বিষয়ে দিবস পালন করা হয়
০২ ফেব্রুয়ার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস
একই তারিখে ০২ এ ফেব্রুয়ারী জনসংখ্যা দিবস
০৪ ফেব্রুয়ার ক্যান্সার দিবস
০৫ ফেব্রুয়ারী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস
১১ ফেরুয়ারী সড়ক হত্যা দিবস
১৪ ফেব্রুয়ারী জাতীয় বস্ত্র দিবস
১৪ ফেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবস
২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ ও ভাষা দিবস
২৭ ফেব্রুয়ারী জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস
২৮ ফেব্রুয়ারী জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস

মার্চ মাসের দিবসের নাম

মার্চ মাসের দিবসের নাম এখন লিখছি। মার্চ মাসের দিবস হল প্রায় ১ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। যেগুলোর ভিতরে রয়েছে ০২ তারিখে জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়। আবার ২ তারিখেই জাতীয় পতাকা ও ভোটার দিবস উদযাপিত হয়। ৪ তারিখ টাকা দিবস, ৬ তারিখ জাতীয় পাট দিবস, ৭ তারিখ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস, ৮ তারিখ জাতীয় নারী দিবস, ১৭ তারিখ শিশু দিবস, ২৩ তারিখ পতাকা উত্তোলন দিবস, ২৬ তারিখ জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস নামের বিখ্যাত দিবসগুলো উদযাপিত পালিত হয়।

এপ্রিল মাসের দিবসের নাম

এখন এপ্রিল মাসের দিবসের নাম এর বিবরণ দিচ্ছি। ২ এপ্রিলে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস, আট এপ্রিলে বাংলাদেশের স্কাউটস দিবস, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ দিবস, ১৭ এপ্রিলে মুজিবনগর দিবস, ১৮ এপ্রিলে জাতীয় সেফটি ও পেশাগত স্বাস্থ্য দিবস নামের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় এই দিবসগুলো পালন করা হয় এবং খুব জমজমাট করে আয়োজন করে উদযাপন করা হয়।

মে মাসের দিবসের নাম

এই জায়গায় মে মাসের দিবসের নাম নিয়ে লিপিচরণ করছি। পহেলা মে মহান শ্রমিক দিবস, ১৬ শে মে ফারাক্কা ও লং মার্চ দিবস, ২৩ মে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস, ২৫ শে মে কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী দিবস এবং আঠাশে মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস গুলো পালন করা হয়। বিশেষ করে মে মাসের প্রথম তারিখে শ্রমিকগণ তাদের দাবি আদায়ের জন্য জীবন ত্যাগ করেছেন, এই দিবসটি খুব কষ্টের সাথে উদযাপন করা হয়।

জুন মাসের দিবসের নাম

জুন মাসের দিবসের নাম সম্পর্কে এখন বর্ণনা করছি। জুন মাসের ৪ তারিখ জাতীয় চা দিবস, জুন মাসের ৭ তারিখ জাতীয় ৬ দফা দিবস, জুন মাসের ১৩ তারিখ ইভটিজিং বা নারী উত্তক্ত করুন প্রতিরোধ দিবস, এবং মে মাসের ২৩ তারিখে পলাশী দিবস পালন করা হয়। মে মাসের ৪ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি হিসাবে চা বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জুলাই মাসের দিবসের নাম

জুলাই মাসের দিবসের নাম এখন আপনার সামনে উপস্থাপন করছি। জুলাই মাসে দিবসের সংখ্যা খুব কম রয়েছে। জুলাই মাসে যেই দিনে দিবস উদযাপন করা হয় সেই দিনটি হচ্ছে পহেলা জুলাই। আর এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নামের নির্দিষ্ট দিবসটি উদযাপন করা হয়, বাংলাদেশের অনেক পুরনো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ ঈসায়ী সালের জুলাইয়ের প্রথম তারিখে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী হিসেবে উদযাপন করা হয়।

আগষ্ট মাসের দিবসের নাম

হ্যাঁ, এই স্থানে আগস্ট মাসের দিবসের নাম নিয়ে লিখছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা এর জন্মবার্ষিকী আগস্ট মাসের ৮ তারিখে খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। এছাড়া, ৯ই আগস্ট এ জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস, ১৫ আগস্ট এ জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশে উদযাপন করা হয়। আর ২৭শে আগস্ট দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস উদযাপন করা হয়। এই মাসেও দিবসে সংখ্যা খুব নগণ্য।

সেপ্টেম্বার মাসের দিবসের নাম

সেপ্টেম্বর মাসের দিবসের নাম কি কি রয়েছে এখানে পড়ুন। সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখে মোহন শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়। এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বরে কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস,২৩ শে সেপ্টেম্বর প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস এবং ২৯ শে সেপ্টেম্বরে গোপালপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গণহত্যার জন্য মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস নামে একটি দিবস উদযাপন হয়। এছাড়াও, .৩০ এ সেপ্টেম্বর কন্যা শিশু দিবস পালিত হয়।

অক্টোবর মাসের দিবসের নাম

অক্টোবর মাসের দিবসের নাম সম্পর্কে লিখছি। অক্টোবর মাসেও দিবসের সংখ্যা খুব কম পালন করা হয় যেমন অক্টোবরের ২ তারিখে পথ শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। আবার একই তারিখে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদযাপিত হয়। আবার ৫ অক্টোবরে শিক্ষক দিবস, 6 এ অক্টোবর জাতীয় জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন দিবস, ১৮ অক্টোবর জাতীয় শেখ রাসেল দিবস এবং এবং নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয় ২২ শে অক্টোবরে।

নভেম্বর মাসে দিবসের নাম

নভেম্বর মাসের দিবসের নাম লিপিবদ্ধ করছি। নভেম্বর মাসের দিবসের সংখ্যা ভালোই রয়েছে।নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের  শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস, ৩ই নভেম্বরে জেল হত্যা দিবস, চারই নভেম্বরে সংবিধান দিবস, ৭ই নভেম্বরে জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস, ১০ নভেম্বরে নূর হোসেন দিবস, ১৫ নভেম্বরে রেল হত্যা দিবস, একুশে নভেম্বর সন্ত্রাস বাহিনী দিবস এবং বর্তমানে নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে জাতীয় আকবর দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

ডিসেম্বর মাসের দিবসের নাম

এখন ডিসেম্বর মাসের দিবসের নাম আপনি এই জায়গায় পাবেন। ডিসেম্বর মাসের ১লা তারিখে মুক্তিযোদ্ধা দিবস, ৬ ডিসেম্বরে স্বৈরাচার পতন দিবস, ৮ই ডিসেম্বরে জাতীয় যুব দিবস, নয় ডিসেম্বরে বেগম রোকেয়া দিবস, ১০ তারিখ জাতীয় ভ্যাট দিবস, ১২ ডিসেম্বরে স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস, ১৪ এ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ এ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাংলাদেশে খুব মজা করে উদযাপন ও পালন করা হয়।

এছাড়াও, আরও জানা-অজানা কিছু দিবস রয়েছে যেগুলো ক্ষমতার জোরে চাপা পড়ে রয়েছে। আবার কিছু রয়েছে যেগুলো দিবস আর পালন করা হয় না হারিয়ে গেছে বললেই চলে। যে দিবসগুলো এই জায়গায় লিখা হলো এগুলো প্রায়ই বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার আমলে আবর্তন প্রবর্তন ও প্রচলন ঘটেছে। আবার বেশ কিছু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই রয়েছে। বেশ কিছু ক্ষমতার পালাবদলে হয়েছে ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম শিরোনামটির ব্লগটি পড়ে জ্ঞানের সীমানাকে দূর বহুদূর ছড়িয়ে দেন।

বাংলা মাসের দিবসের নাম

বাংলা মাসের দিবসের নাম এই জায়গায় লিখার চেষ্টা করছি। বাংলা বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন চৈত্র ইত্যাদি মাসগুলোতে দিবস পালন ও উদযাপন বেশি দেখা যায় না। তবে যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে বাংলা বছর শেষান্তে বাংলা বছরের প্রথম তারিখে স্মরণীয় বরণীয় করে রাখার জন্য যে দিবসটি পালন করা হয় সেটি হচ্ছে পহেলা বৈশাখ যেটা আমরা ইতিমধ্যেই উপরের লেখায় প্রকাশ করেছি। 
বাংলা-মাসের-দিবসের-নাম
আর এই পহেলা বৈশাখ বাংলা মাসের প্রথম দিন ইংরেজি মাসের সাথে যে তারিখে মিলে সেটি হচ্ছে ১৪ই এপ্রিল। পহেলা বৈশাখে বিশেষতঃ বাংলাদেশের বাঙালিরা দিনটিকে সারা বছরের জন্য স্মরণে রাখতে বিভিন্নভাবে উদযাপন করে থাকে। যেমন কেউ পান্তা ভাতের সাথে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ ও সাদা লবণ মেখে ভাত খায়। আবার কেউ পান্তার সাথে ইলিশ মাছের ভাজা খায়। 

আবার কেউ একসাথে পান্তা ভাতের সাথে সাদা লবণ কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ এবং ইলিশ মাছ সবগুলোকে একসাথে খুব মজা করে খাওয়ার চেষ্টা করে। আবার এই দিনে বিভিন্ন রঙ এবং ঢঙে বৈশাখী কাপড় পরিধান করে দিনটিকে বিভিন্ন গান-বাজনার সাথে রোল ঢোল ঢাক পিটিয়ে উদযাপন করে। বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নামগুলো জেনে জাতীয়ভাবে পালিত দিবস সম্পর্কে ইতিহাস জানুন।

গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহ  দেখুন

গুরুত্বপূর্ণ দিবস সমূহ নিয়ে পড়ার জন্য এই জায়গাটা দেখুন। জায়গাটিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ, উল্লেখযোগ্য ও বাঙালি জাতির দিবস নামে যেগুলো প্রচলিত হয়ে আছে সেগুলো এখানে বর্ণ্নায় আছি। বাংলাদেশে যে সমস্ত দিবস জাতীয়ভাবে খুব গুরুত্বের সাথে পালন করা হয় সেগুলো হলো নিম্নরুপ।

  1. ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস
  2. ২১শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং এই দিনে শহীদ দিবস পালিত হয়।
  3. ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা দিবস
  4. পহেলা (১লা) ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধ দিবস
  5. ৭ ই নভেম্বর সংহতি ও বিপ্লব দিবস
  6. ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
  7. ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস
  8. ১৭ এ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস
  9. ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস
  10. ১৯ এ জানুয়ারি জাতীয় শিক্ষক দিবস

কোন দিন কি দিবস জানুন

কোন দিন কি দিবস বিষয়টি লিপিচরণ করছি। জানুয়ারি মাসে ১৯ তারিখে জাতীয় শিক্ষক দিবস, ২৪ তারিখে গণঅভ্যুত্থান দিবস, এবং ২৫ জানুয়ারিতে কম্পিউটার এর মাঝে বাংলা ভাষার প্রথম চালু করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে ২১ ফেব্রুয়ারিতে সড়ক হত্যা দিবস, ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সুন্দরবন দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা দিবস এবং ২৮ ফেব্রুয়ারীতে জাতীয়ভাবে ডায়াবেটিস সচেনতা দিবস সতর্কতার সহিত পালিত ও উদযাপিত হয়ে আসছে। 

মার্চ মাসের প্রথম তারিখে জাতীয়ভাবে বীমা দিবস, চার তারিখ টাকা দিবস, ৬ তারিখ পাট দিবস, ৭ তারিখ ৭ ই মার্চ দিবস, ৮ তারিখ জাতীয় নারী দিবস, ১৭ তারিখ শিশু দিবস এবং ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এপ্রিল মাসে 2 তারিখ জাতীয়ভাবে প্রতিবন্ধী দিবস, ১৪ তারিখ পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়। আবার এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখ স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয় জাতীয়ভাবে সেফটির জন্য। 
কোন-দিন-কি-দিবস
মে মাসে পহেলা মেতে শ্রমিক দিবস, ছোট মে তে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস, ২৫ মে তে বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। জুন মাসে 4 তারিখ চা দিবস, ১৩ তারিখ ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। জুলাই মাসে পহেলা জুলাইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হয়। সেপ্টেম্বর মাসে ১৭ তারিখে মহান শিক্ষক দিবস এবং ৩০ তারিখে কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়। 

অক্টোবর মাসে ২ তারিখ সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশু দিবস, ২২ তারিখ নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়। নভেম্বর মাসে ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস, একুশে নভেম্বর সন্ত্রাস বাহিনী দিবস এবং 30 শে নভেম্বর জাতীয় আকবর দিবস উদযাপিত হয়। ডিসেম্বর মাসে ছয় তারিখে স্বৈরাচার প্রথম দিবস, ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস, বারো ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ১৯ তারিখে বাংলা ব্লগ দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও, আরো অনেক দিবস রয়েছে যেগুলো এখানে লিখা হয়নি উল্লেখযোগ্য গুলো লেখার চেষ্টা করেছি।

জাতীয় দিবস কয়টি শুনুন

জাতীয় দিবস কয়টি ব্যাপারটি লিখছি। বাংলাদেশের মাঝে জাতীয় যে কয়টি দিবস পালন করা হয় সেগুলো প্রায়ই আমাদের সবার জানা আছে। তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সময় দেখা যায় যে বাংলাদেশের এই জাতীয়ভাবে পালিত দিবসগুলো নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিদ্যালয়, পাঠশালার এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পর্যন্ত সঠিক তারিখ এবং কি ঘটেছিল এই দিনে সেটি বলতে পারেন না।

আরো পড়ুনঃ অত্যাধুনিক যুগে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কত রকম জানতেই হবে

সাধারণ জনগণের কথা তো দূরেই রাখলাম। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে যে দিবসগুলো পালন হয় সেগুলোর একটি হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারি যেটা শুধু বাংলাদেশী নয় দেশ-বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকভাবেও অর্থাৎ বিদেশী মানুষেরাও এটি পালন করে। এরপরে জাতীয়ভাবে যে দিবস পালন হয় সেটি হচ্ছে মার্চ মাসের ২৬ তারিখ, এই তারিখে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালে বেনিয়া পাকিস্তানিদের হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়ে, এবং এই তিনটি স্বাধীনতা পালনের জন্য ব্যবহার হয়।

এছাড়াও, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ যে দিবসটি সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান বেনিয়াদের হাত থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয় এবং এই দিনে বিজয় লাভ হয়, আর সেই দিনটির নাম হচ্ছে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। তাছাড়াও, জাতীয়ভাবে আরো বিভিন্ন দিবস পালন করা হয় যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই উক্ত আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখ করেছি।

লেখকের শেষ মন্তব্য

বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের নাম সহকারে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এই ব্লগটির মধ্যে বিস্তারিতভাবে লিখেছি। সম্মানিত ও সুপ্রিয় পাঠক, আপনি এ আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ার মনস্থ করে থাকলে এবং যদি ইতিমধ্যেই পড়েই থাকেন তাহলে আশা করছি যে বাংলাদেশের জাতীয়ভাবে পালিত দিবস গুলোর নাম কি এবং আরো বিভিন্ন পালিত উদযাপিত দিবস বা দিনের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আরো এরকম জ্ঞান সমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url