ঘরে বসে আয় করার ১০টি নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত উপায় জেনে নিন
ডিজিটাল মার্কেটিং a to zঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় জানার জন্য আপনি এখানে এসেছেন। মানুষ আয় করার জন্য কত রকমভাবে চেষ্টা করছে। কেউ ঘরের বাইরে গিয়ে, কেউ ঘরে বসে, কেউ অনলাইনে, কেউ অফলাইনে আয় করছে।
প্রিয় পাঠক, আপনাকে আজকের ব্লগটিতে কিভাবে অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করবেন তার ১০টি নিশ্চিত উপায় নিয়ে জানাব। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায়!
পেজ সূচীপত্রঃ ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় ১০টি জানুনঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় সম্পর্কে জানার জন্য সবাই আগ্রহী। কিন্তু ঘরে বসে নিশ্চিত উপায় গুলো যে কি সেগুলো অনেকেই জানেনা। তাই ঘরে বসে অনলাইন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিশ্চিত যে উপায় গুলোর মাধ্যমে ইনকাম করা যায় তার মূল্যবান কিছু তথ্য আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনার সামনে উপস্থাপন করছি।
তো সম্মানিত পাঠক সত্যি বলতে অনলাইন বা ইন্টারনেটে ইনকাম করার জন্য যে সমস্ত উপায় রয়েছে সেগুলোর খুব সঠিক তথ্য সম্পর্কে আজকে যারা নতুন ভাবে অনলাইন জগতে আসতেছে অর্থাৎ নবাগত যাদের অনেকেরই অজানা। প্রিয় সুধী, আপনি যদি একজন ইন্টারনেট জগতে নতুন ও আয়ের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ ২০টি খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়
তাহলে এই আর্টিকেলটিতে এমন দশটি নিশ্চিত উপায় বলবো যেগুলো আপনি আপনার জীবনে বাস্তবায়ন করলে খুব সত্তর আয় করতে পারবেন। আজকের ব্লগটিতে আয়ের জন্য যে সমস্ত নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত উপায় গুলো বলবো সেগুলোর একটি হচ্ছে ইউটিউবিং করে আয় করা, এরপরে ফেসবুকে একটি প্রফেশনাল আইডি বা একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয় করা।
এরপরে আর্টিকেল রাইটিং এর চাকরি করে আয় করা, এরপরে ব্লগিং করে ঘরে বসেই আয় করা। এরপর ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা, অতঃপর ভিডিও এডিটিং করে ঘরে বসে থেকেই উপার্জন করা। তারপর ভয়েস ওভার আর্টিস্ট বা শিল্পী হয়ে কাজ করে ইনকাম করা বাই করা। এরপরে ওয়েবসাইট ডিজাইন বা বানিয়ে বিক্রি করে আয়-ইনকামের পথ ধরা।
এরপর যেগুলো ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস বা সেবা প্রদান করে অথবা সার্ভিসটাকে বিক্রি করে উপার্জন করা। অতঃপর শেষমেষ কেডিপি বা কিন্ডেল ডাইরেক্ট পাবলিশিং বা অ্যামাজনে ডিজিটালই কিছু বই ডিজাইন করে সেল করে ঘরে বসে আয় করা এই ইত্যাদি ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
ইউটিউবিং করে ঘরে বসেই আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়গুলোর একটি হচ্ছে ইউটিউবিং করা। ইউটিউবিং মানে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে নিজের চাহিদা ও পছন্দনীয় টপিক কেন্দ্রিক ভিডিও বানিয়ে আপলোড করা। আর এই ভিডিওগুলো সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো করে খুব আকর্ষণীয় এডিটিং করে ইউটিউবে ভালোভাবে সঠিক স্ট্রাটেজি মেইন্টেন করে আপলোড করলে খুব অল্প সময়ের ভিতরে আয় করা যাবে।
গোটা পৃথিবীতে ইউটিউব থেকে মানুষ ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতেছে। একেকজন একেক ভাষায় এবং একেক জন একেকটা বিষয়কে সামনে রেখে ভিডিও বানাচ্ছে। পুরো বিশ্ব ইউটিউবের ভিডিও থেকে কিভাবে উপকৃত সুবিধা পাচ্ছে। বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন জন আজ ইউটিউবে বিশাল একটা জায়গা দখল করে ক্যারিয়ার গঠন করছে।
YouTube এ সব বিষয়ের ভিডিও রয়েছে কি নাই? গান, গল্প, কবিতা, ছন্দ, নাটক, সিনেমা, ড্রামা, ধর্মীয় বিষয়াদি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সংবাদ এবং আরো নানা বিষয়ে সব পাওয়া যায়। পৃথিবীর যারা ইউটিউবে কন্টেন্ট দিয়ে আয় করে তাদেরকে ইউটিউবার বলে। বিশ্বজুড়ে ইউটিউবে দুইশ মানুষ ভিডিও দেখে আর লাইভ স্ট্রিম হয় প্রতি মিনিটে ৫০০ ঘন্টার ও বেশি।
বিভিন্ন রুলস এবং রেগুলেশন ফলো করে youtube এ ভিডিও দিতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আপনার অডিয়েন্স করা হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে। অডিয়েন্স বা দর্শককে সামনে রেখে একটা নিশ (টপিক বা ক্যাটাগরি) বিষয়ের ওপরে ভিডিও বানাতে হবে। তার আগে গুগলে জিমেইলের মাধ্যমে লগইন করতে হবে, এরপর ইউটিউব ওয়েবসাইট বা অ্যাপসে গিয়ে একটি প্রফেশনাল একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
এই একাউন্টটা কে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করতে হবে। এরপরে নিয়মিত আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আর আয়ের জন্য প্রথম থেকেই ইচ্ছা পোষণ করা যাবে না। আপনাকে প্রথমত ধৈর্যের সাথে প্রায় একই সময় মেন্টেন করে হয় ডেইলি বা সাপ্তাহিক দুইটি বা তিনটি বা কমপক্ষে সপ্তাহে দুইটি অথবা একটি করে খুব জমকপূর্ণ ভিডিও বানাতে হবে।
এবং প্রতি দুই দিন বা তিনদিন পরে যে ভিডিওটা আপলোড দিবেন সেটিকে একই সময়ে যদি সকাল হয় তাহলে সকালে আর সন্ধ্যা হলে সন্ধ্যায় আর বিকেল হলো বিকেলে। তবে বিকেল বেলায় বা সন্ধ্যার পরে বিশেষ করে ছয়টা সাতটা বা আটটার দিকে অডিয়েন্স বা দর্শক বা ভিজিটররা বেশি ইউটিউব স্ক্রলিং করে। তাই এই সময় দিলেই আপনার ভিডিওর ইমপ্রেসন এবং ভিউ দুটোই বাড়বে।
ভিডিও আপলোডের পর সব সময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে যে কেউ কমেন্ট করলে কমেন্টের উত্তর দিতে হবে তাহলে ইম্প্রেশন বা মানুষের সামনে বেশি ভিডিওটা যাবে পৌঁছবে। যত বেশি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার হবে আপনার ভিডিও তত বেশি মানুষের কাছে রিচ যাবে। আবার এক্ষেত্রে ভিডিওটি যে সুন্দরভাবে এসইও করতে হবে, ভিডিওটির মধ্যে টাইটেল, ডিসক্রিপশন, ট্যাগস বা কিওয়ার্ড ইত্যাদি সুন্দরভাবে বসাতে হবে তাহলে এই ভিডিওটি আরো বেশি রিচ হবে।
আর আরেকটা বিষয় সেটা হচ্ছে ভিডিও আপলোডের সময় একটা সুন্দর থাম্বনেইল বানাইয়া আপলোড দিতে হবে। আর থাম্বেলটা এমন হবে যেন মানুষ ক্লিক করতে বাধ্য হয় যাকে বলা হয় ক্লিকবেইট। তবে ভিডিওর থাম্বনেইল এবং ভিডিওর বিষয়বস্তু যেন এক রকম হয় আর না হলে সমস্যা হবে। এই সমস্ত রুলস বা স্ট্রাট্রেজি ফলো করে কাজ করলে ইউটিউবিং এই লাইনটা অনেক শক্ত ও পাকা পোক্ত হবে।
এরকমভাবে টানা তিন মাস ভিডিও আপলোড করলে আপনি সফল হবেন এবং একটা সময় আপনার যখন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূরণ হবে তখন চ্যানেলটি মনিটাইজড বা ডলার আয় বা ইনকামের অপশনটা খুলে যাবে। এরপর থেকে আপনার চ্যানেলে খুব বেশি অ্যাড শো করবে তার এই অ্যাডগুলোর মাধ্যমে গুগল এডসেন্সে আপনার ডলার জমা হবে।
Youtube নিয়ে আরো লম্বা কথা বলা যাবে। তো সম্মানিত দর্শক শ্রোতা আপনার সামনে শুধু ইউটিউবিং নিয়ে একটা পুরো আর্টিকেল নিয়ে এক সময় হাজির হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। শুধু আপনাকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে যে আব্দুর নূর আইটি কখন ব্লগ বা আর্টিকেল নিয়ে আসেনিয়ে আসে এ ব্যাপারটিতে। তাহলে আপনি দেখবেন যে আমি একসময় আপনার সামনে youtube এর পুরো একটি আয়ের জন্য প্রসেস দেখাইয়া দিব।
ফেসবুক পেজ খুলে ঘরে বসে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়গুলোর আরো একটি উপায় হচ্ছে ফেসবুকে একটি প্রফেশনাল আইডি ক্রিয়েট করে অথবা একটা ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। এরপরে ফেসবুক পেজ টা কি সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে। এক্ষেত্রে একটি লোগো দিতে হবে, এটি কভার ফটো দিতে হবে, আপনার ফেসবুক পেজটি সম্পর্কে একটা সুন্দর ডিসক্রিপশন বা বর্ণনা দিতে হবে।
এরপরে সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট বা কনটেন্ট এর ওপর ভিডিও তৈরি করতে হবে। আর এই ভিডিওগুলো রেগুলার বা নিয়মিত আপলোড দিতে হবে। শুধু ভিডিওই নয় দারুন দারুন ছবি পোস্ট করতে হবে। আবার আকর্ষণীয় ফেসবুকের সাইজে পোস্টার বানাইয়া ছাড়তে হবে। আবার বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট করতে হবে। যেমন বিভিন্ন ভাইরাল বিষয়ে, বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে।
আবার যে সময় যেটা ট্রেন্ডিং বা রেঙ্কে থাকবে বা আলোচনায় থাকবে সে বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করতে। তাহলে এই সমস্ত পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেজের লাইকার ও ফলোয়ার বাড়বে। আর বিশেষ করে যে ভিডিওগুলো আপনি আপলোড দিবেন সেগুলোতে ভিউ বাড়বে। আর এক্ষেত্রে আপনার পেজটির যত ফলোয়ার এবং ভিডিওগুলো যতই আপনার জন্য আপনার কাঙ্ক্ষিত আয় বা উপার্জনের বিষয়টি আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে।
আপনি এই ফেসবুক পেজটি থেকে ইনকামের জন্য যে দুইটি স্ট্রাটেজি বা কৌশল আপনাকে ওভারকাম করতে হবে সেগুলোর একটি হচ্ছে আপনার ফলোয়ার বা অনুসারী সংখ্যা দশ হাজার হতে হবে দ্বিতীয়টি হচ্ছে আপনার ভিডিওগুলোর ৬ লাখ মিনিট অফ টাইম হতে হবে। আর ৬ লাখ মিনিট ওয়াচ টাইমটা গত দুই মাসের মধ্যে হতে হবে তাহলে আপনার ফেসবুক পেজটি মনিটাইজ বা টাকা ইনকামের জন্য যোগ্য বা উপযুক্ত হয়ে যাবে।
অর্থাৎ আপনার মনিটাইজ অপশনটা যে তালা লাগা থাকবে সেটার তালা ছুটে যাবে। এরপর আপনি রেগুলার যত সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করবেন আর আপনার ভিডিওগুলো আপনার ফলোয়ারগন দেখবে এক্ষেত্রে আপনার ভিউ বেশি বাড়বে আর যত বেশি ভিউ হবে তত বেশি আয় বা ইনকাম হবে। তাই ধৈর্য নিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে থাকতে হবে আর এ বিষয়টর দৈনিক করতে করতে পারলে ভালো আর কমপক্ষে সপ্তাহে দুইটি করে ভিডিও আপলোড দিতে হবে যেটা করতে থাকতে হবে লাগাতার তিন মাস তাহলে ইনশাল্লাহ আপনি সফলতার মুখ দেখতে পাবেন।
আর্টিকেল রাইটিং এর জব করে ঘরে বসে আয় করুন
ব্লগিং করে ঘরে থেকেই আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলোর আরও একটি হচ্ছে ব্লগিং করে আয় বা ইনকাম করা। ব্লগিং মানে হচ্ছে নিজে একটা ওয়েবসাইট খুলে বা তৈরি করে বা ডিজাইন করে ওই ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন টপিকের উপর বা বিষয়ের ওপর আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে পোস্ট করার বিষয়টি হচ্ছে ব্লগিং করা। অর্থাৎ উপরে আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে অন্যের অধীনে থেকে চাকরি করা।
আর এটি হচ্ছে নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে আয় বা ইনকাম করার এই তথ্যটি হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং ওয়েবসাইট গুগলের একটি প্রোডাক্ট ব্লগার এর মাধ্যমে বিভিন্ন থিম কাস্টমাইজ করে সুন্দর করে ওয়েবসাইট টিকে একটি প্রাণ দিয়ে সাজালে সেটি ব্লগিংয়ের জন্য উপযুক্ত একটি ওয়েবসাইট হয়ে যায়। আবার ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস বা কন্টেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে একটি ডোমেন এবং হোস্টিং ক্রয় করে ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং করা যায়।
যেভাবে ব্লগিং করেন ব্লগিংয়ের জন্য একটি ওয়েবসাইট লাগবেই আর এই ওয়েবসাইটটি হয়তো ব্লগার এর মাধ্যমে হতে পারে অথবা ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে। আর ওয়েবসাইটটি বানিয়ে তো ওয়েবসাইটটির সাথে একটি ডোমেইন কানেক্ট করতে হয়। আর এই ডোমেইনটা বিভিন্ন বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন ডট এক্স ওয়াই জেড, ডট ইনফো, ডট ইন এবং ডট কম ইত্যাদি। তবে ডট কম ডোমেইন নিলে যে সুবিধা হবে সেটি হচ্ছে যে এসইওর ক্ষেত্রে বা google রেংকিং এর ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়।
আর ডট কম ডোমেইনে একটু খরচ বেশি হয় যেমন কমপক্ষে এক হাজার টাকা তো অবশ্যই। আর আপনি সামনে আয় করতে বা ইনকাম করতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে একটু যদি ইনভেস্ট না করেন তাহলে হয়। তবে ফ্রিতেও আপনি ব্লগারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং করতে পারবেন, তবে এ প্রচেষ্টা একটু লম্বা হবে। তো একটা ডোমেইন নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
যাই হোক আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে একটা হোস্টিং হোক আপনাকে নিতে হবে আর হোস্টিংয়ের দাম প্রায় 1000 দেড় হাজার টাকা খরচ হবে। সবমিলিয়ে দুই আড়াই হাজার টাকার মাধ্যমে হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে ব্লগারের মাধ্যমে এই ১০০০ বা ১২০০ বা দেড় হাজারের মধ্যেই হয়ে যাবে। এরপরে নিয়মিত প্রায় একমাস ব্লগ লিখে পোস্ট করতে হবে।
আর যখন আপনার আর্টিকেলগুলো গুগলের রেংক করবে এবং ডেইলি ১০০ করে ভিউ হবে তখন আপনাকে গুগল এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। গুগল এডসেন্সের এ বিষয়টি খুব সেনসিটিভ আপনি যে আর্টিকেলগুলো পাবলিশ করবেন এগুলো আপনার নিজের হতে হবে অন্যের কোন কপি করা যাবেনা ইত্যাদি শর্ত ফুল ফিল করতে হবে। আর যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে যে এই গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার আয় বা ইনকামটা হবে।
ডাটা এন্ট্রি করে ঘরে বসে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলোর আরও একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করা। ডাটা এন্ট্রি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা। ডাটা এন্ট্রি মানে একটা ডাটা বা তথ্যকে বিভিন্ন ভাবে এন্ট্রি বা প্রবেশ করানো। এক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রির কিছু কাজের উদাহরণ পেশ করলে বুঝতে পারবেন। যেমন কবি পেস্ট করা, ট্রান্সক্রিপশন করা, ক্যাপচা পূরণ করা, অনুবাদ করা, সার্ভে করা ইত্যাদি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির কাজ।
কপি পেস্ট মানে বিভিন্ন ডাটা কে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে সেই ডাটা বা তথ্যগুলো কোন সংখ্যা হতে পারে, অক্ষর হতে পারে, কোন হিসাব নিকাশ হতে পারে ইত্যাদি। অর্থাৎ কিছু ডাটা এক জায়গায় রয়েছে সে ডাটা গুলোকে কপি বা অনুলিপি করে আরেক জায়গায় পেস্ট বা স্থাপন করা এটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির কপি পেস্ট এর কাজ।
আর ক্যাপচা পূরণের কাজ হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে বিভিন্ন অক্ষর, সংকেত, সংখ্যা বা কিছু চিহ্ন দিয়ে থাকে যেগুলো একটা বক্সের ভিতরে ফিলাপ বা পূরণ করতে হয় আর সেটি সঠিক হলে এবং যত বেশি করা যাবে তত বেশি ইনকাম করা যাবে। তবে ডাটা এন্ট্রির ক্যাপচা পূরণের কাজ খুবই সহজ এবং এই ইনকামগুলো খুব কম হয়ে থাকে অর্থাৎ সেন্ট বা পয়সা আকারে হয়ে যাবে।
আবার ট্রান্সক্রিপশন এর কাজ হচ্ছে বিভিন্ন অডিও বা ভিডিও ফাইল দেওয়া থাকবে যে অডিও এবং ভিডিও ফাইলগুলোকে টেক্সট বা লেখায় রূপান্তরিত করতে হবে। অর্থাৎ অডিও এর যে বক্তব্য থাকবে সে বক্তব্যগুলোকে হুবহু একটা লেখাতে কনভার্ট বা রূপান্তর করতে হবে। আবার ভিডিও এর মধ্যে যে কথাগুলো থাকে সেগুলোকে রাইটিং বা লেখায় রূপ দিতে হবে আর এটি হচ্ছে ট্রান্সক্রিপশন। এই কাজটা করেও অনেক টাকা আয় করা যায়।
আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে ডাটা এন্ট্রিট যেগুলো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক, গুরু, পিপল পার আওয়ার অথবা ফ্রিল্যান্সার ডট কম এর মত ওয়েবসাইট গুলোতে খুঁজলে অনেক কেমন কাজই পাওয়া যাবে যে কাজগুলো হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির এবং এই কাজগুলো করা ও খুব সহজ এবং দারুন আয় করা যায়।
ভিডিও এডিটিং করে ঘরে বসে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়গুলোর আরো একটি হচ্ছে ভিডিও এডিটিং করে আয় করা। ভিডিও এডিটিং মানে বিভিন্ন ভিডিওকে এডিট বা সম্পাদনা বা বিভিন্নভাবে কাটছাঁট করে সাজায়ে কিছু সংযোজন করে কিছু বিয়োজন করে ভিডিও তৈরি করা। কিছু ফটোকে একসাথে করে ভিডিও তৈরি করা যায়।
আবার কিছু ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও করে সেই ভিডিওটাকে বিভিন্নভাবে কাটছাঁট করে ভিডিও তৈরি করা যায়। আবার প্রফেশনাল ভাবে বিভিন্ন ওয়ে তে ভিডিও এডিটিং করা যায়। মোবাইল স্মার্টফোন বা এন্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমেও যেমন এডিটিং করা যায় তার চেয়ে বেশি সুন্দর ও সহজ পন্থায় ভিডিও এডিটিং করা যায় ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে।
মোবাইলে বিভিন্ন অ্যাপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে এডিটিং করা যায় যেমন ইনশট অ্যাপ, ক্যাপকাট অ্যাপ আবার কাইনমাস্টার অ্যাপ এর মাধ্যমেও খুব সুন্দর করে ভিডিও এডিটিং করা যায়। এই অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে ইউটিউবে যেগুলো দেখে খুব প্রফেশনাল এবং এক্সপার্ট ওয়েতে হয়েছে ভিডিও এডিটিং করা যায়।
আর ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করার সফটওয়্যার গুলো হচ্ছে যেমন সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো, এডোবি আফটার ইফেক্টস, ফিলমোরা, ক্যামতাসিয়া ও ডব্লিউএমভি এবং আরও ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করা যায়। আর ভিডিও এডিটিং করার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করা যায়।
আবার বিভিন্ন কোম্পানিতে ভিডিও এডিটর হিসেবে চাকরি করে আয় করা যাবে। আবার অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনের জন্য ভিডিও তৈরি করতে হয় যেগুলোতে এডিটর হিসেবে কাজ করে আয় করা যাবে। আরো বিভিন্ন উপায়ে রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং এর বিষয়টি প্রতিফলন করে আয় করা যায়।
ভয়েস ওভার শিল্পি হয়ে ঘরে বসে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলোর আরো একটি হচ্ছে ভয়েস ওভার করে আয় করা। ভয়েস ওভার মানে হচ্ছে আপনার ভয়েস বা গলার স্বরটাকে বা কণ্ঠস্বরটাকে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে যে কথাটা বলা হয় সেটাই হচ্ছে ভয়েস ওভার আর যে এই কাজটা করে সে হচ্ছে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট একজন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে।
যেমন কার্টুন চরিত্র এর অ্যানিমেশন ভিডিও গুলোর মধ্যে বিভিন্ন চরিত্র কে ব্যাক সাইট থেকে কথা বলে ফুটিয়ে তোলা হয়। এরপরে বিভিন্ন ভাষার সিনেমাকে আরেক ভাষাতে ডাবিং করতে গিয়ে ভয়েস আবার আর্টিস্ট ভিডিওর চরিত্রগুলোকে কেন্দ্র করে ভয়েস বা কণ্ঠস্বর প্রদান করে। আমরা যে ট্রেনে, বাসে, উড়োজাহাজে এবং বিভিন্ন পডকাস্টে যে অডিও গুলো শুনতে পায় সেগুলো একজন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট কাজ করে বিধায় শুনতে পাই।
তো এই ভয়েস ওভার করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ নিয়ে আয় করা যায়। আবার নিজের দেশে অনেক সময় ভয়েস ওভার আর্টিস্ট এর প্রয়োজন হয় সেগুলোতে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে আপনি চাকরি নিয়ে আয় করতে পারবেন। ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম, স্ট্রাটেজি বা কৌশল এবং শিখার বিষয় রয়েছে।
যেমন আপনার ভাষা সুন্দর হতে হবে নির্ভুল ব্যাকরণ সমর্থিত, শুদ্ধ উচ্চারণ এবং গলার ভয়েস বা স্বর সুন্দর ফ্রেশ এবং হাই কোয়ালিটি হলেই আপনি ভয়েস অফার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আর ভয়েস ওভারটাকে সুন্দর করার জন্য কিছু টেকনোলজি প্রয়োজন হতে পারে যেমন মাইক্রোফোন, হেডফোন, মাইক্রো স্ট্যান্ড ইত্যাদি। আর এক্ষেত্রে ভয়েস ওভারটাকে এডিটিং করার জন্য সবচেয়ে সুন্দর সফটওয়্যার হচ্ছে এডোবি কোম্পানির অডাসিটি।
ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে ঘরে বসে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলোর আরো একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে আয় করা। আর এই ওয়েবসাইট গুলো বিভিন্নভাবে বানানো যায় যেমন কোডিং বা প্রোগ্রামিং করে বানানো যায় আমার খুব সহজ পন্থা সিএমএস বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যেমন ওয়ার্ডপ্রেস ড্রুপাল ও জুমলার ইত্যাদির মাধ্যমে ওয়েবসাইট বানানো যায়।
ই-কমার্স বা অনলাইনে প্রোডাক্ট বা বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রাখার জন্য যে সমস্ত ওয়েবসাইট বানানো হয় সেগুলো শপিফাই এর মাধ্যমে। আর এই শপিফাই মাধ্যমে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানো অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সুন্দরহয়। আরো সহজভাবে বিভিন্ন থিম কাস্টমাইজ করে ওয়েবসাইট বানানো যায় যার মাধ্যমে সেটি হচ্ছে গুগলের প্রোডাক্ট ব্লগার।
ব্লগার এর মাধ্যমে খুব সহজ পন্থায় ওয়েবসাইট বানানো যায়। আপনি বুঝতে পারবেন না যে যদি ব্লগারের যে থিমগুলো আছে সেগুলো একটু সময় নিয়ে নাড়াচাড়া করে এডিটিং করলে বা কাস্টমাইজ করলে খুব সুন্দর প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট হয়। আরে ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি আর্ন বা আয় করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইট গুলো বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন পার্সন বা ব্যক্তি ক্রয় করে নেয়। কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করার জন্য আর ব্যক্তি বা পার্সনগুলো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে সেল করতে পারে আবার ব্লগিং করে আয় বা ইনকাম করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধ করে একটা সুন্দর পোর্টফোলিও তৈরি করার মাধ্যমে বিদেশি বায়ার বা ক্লায়েন্ট থেকে ওয়েবসাইট বানানোর কাজ দিতে পারেন।
এবং তাদেরকে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার আয় করতে পারবেন। ওয়েবসাইট বানানোর এই কাজটি একটু কঠিন হলেও একটু ভালোভাবে সময় দিয়ে কাজটা শিখে নিলে অত্যন্ত হাই ডিমান্ডের আয় বা ইনকাম করা যায়। সম্মানিত পাঠক, আপনি একটা উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন কাজটি করতে চাইলে আজই শিখা শুরু করে দিতে পারেন এবং খুব হ্যান্ডসাম আয় করতে পারেন।
সার্ভিস বিক্রি করে ঘরে বসে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত উপায় গুলোর আরো একটি হচ্ছে বিভিন্ন ডিজিটাল সার্ভিস বা সেবা প্রদান করে আয় করা। যেমন আপনার যে স্কিলসগুলো রয়েছে সেগুলো অনলাইন বা ইন্টারনেট সংক্রান্ত আর এই অনলাইন বা ইন্টারনেট সংক্রান্ত স্কিলস বা দক্ষতা গুলোই হচ্ছে ডিজিটাল এক্সপার্টিজ বা দক্ষতা।
আর এই ডিজিটাল দক্ষতা গুলো সার্ভিস বা সেবা আকারে বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে হয় অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে হবে। অথবা আপনার স্কিলস গুলোকে ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে এবং রেকর্ডের ভিডিও গুলো কে হয় গুগল ড্রাইভে বা ইউটিউবে আনলিস্টেড করে রাখতে হবে অথবা যে কোন অনলাইন ড্রাইভে আপলোড করে রাখতে হবে।
এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে ভালো মানের একটা অডিয়েন্স তৈরি করতে হবে আর যে অডিয়েন্স গুলোকে আপনার স্কিলস সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্ট করার মাধ্যমে আগ্রহ তৈরি করতে হবে। আর আপনার অডিয়েন্স বা দর্শক শ্রোতা আগ্রহী হলেই এই ডিজিটাল দক্ষতার সার্ভিস সার্ভিস বা সেবাগুলোকে আপনার অডিয়েন্সদের কাছে সেল বা বিক্রি করতে পারেন।
বিক্রি করার পরে ড্রাইভে রাখা লিংকগুলো তাদেরকে দিয়ে দিতে পারেন এভাবেও ইনকাম করা যায়।আবার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ক্লায়েন্ট বা বায়ারদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে আপনার ডিজিটাল সার্ভিসগুলো প্রদান করে আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল সার্ভিস গুলো বিক্রি করার সবচেয়ে সহজ কোনটা হচ্ছে বর্তমানে ফেসবুকে অ্যাড বা অ্যাডভারটাইজমেন্ট বা বিজ্ঞাপন দিয়ে কিছু টাকা খরচ করে আমরা সার্ভিস গুলো সেল করতে পারেন এক্ষেত্রে একটা হ্যান্ডসাম আয় হয়ে যেতে পারে যেটা অকল্পনীয় যদি ফেসবুক অ্যাড টা ভালোভাবে অপ্টিমাইজ করা যায় তাহলে।
কিন্ডেল বই বিক্রি করে ঘরে আয় করুন
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত ও বিশ্বস্ত উপায়গুলোর আরো একটি হচ্ছে কেডিপি বা কিন্ডেল ডাইরেক্ট পাবলিশিং এর মাধ্যমে আয় করা। কেডিপি এর ফুল মিনিং হচ্ছে কিন্ডেল ডাইরেক্ট পাবলিশিং। অর্থাৎ এটি একটি অ্যামাজনের সেলিং এবং বাইং করার প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট কিছু বই বানাতে হয় (আবার যেটিকে সেলফ পাবলিশিং বলায় মানে নিজে বই লিখে নিজের পাবলিশারে প্রকাশ করা)
যেগুলো কয়েক ধরনের রয়েছে যেমন ই-বুক রয়েছে, আবার কিন্ডেল বই বা পেপারব্যাক বুক (যেটি কয়েট পৃষ্ঠার চটি বইয়ের মতো) রয়েছে আবার হার্ড কভার বা ডাইরী সিস্টেম বই রয়েছে। আর কেডিপি হচ্ছে যেমন ধরনের বই যে বইটিতে একটি কভার ডিজাইন করতে হয় এবং তার ভিতরে কিছু পৃষ্ঠা থাকে বা পেজ থাকে যে পেজগুলোকে ইন্টেরিয়র বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ 2024 সালের ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সহজ কাজ
আর এই ইন্টেরিয়র গুলোতে বিভিন্ন নিশ বা টপিকে বা ক্যাটাগরি এর উপর বিভিন্ন কনটেন্ট লেখা হয়। আর এই বুক কভার এবং কন্টেন্ট ভিত্তিক ইন্টেরিয়র এর মাধ্যমে একটি বই হয় যে বইটির নাম হচ্ছে কিন্ডেল বই। আর এই কিন্ডেল বই টাকে অ্যামাজনের কেডিপি সেকশনে একটা একাউন্ট করে সেখানে পাবলিশ করা হয়। আর এই পাবলিশ করা বইটি যদি অডিয়েন্স বা গ্রাহকরা দেখে পছন্দ করে।
তাহলে সেটি তারা ক্রয় করে নেয় এবং এটি সেল হলেই একটা সেখান থেকে ডলার আয় হয়। আর এ ডলারগুলো নিম্ন দুই ডলার থেকে আরম্ভ করে সর্বোচ্চ ৪৮+ একটা বই বিক্রি করে আয় হতে পারে। তাই প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমাজনের এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে ই-বুক, পেপারব্যাক ও হার্ডকভার বুক বা বই সেল করতে চাইলে আজই শিক্ষা নেওয়া আরম্ভ করে দিতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
ঘরে বসে আয় করার নিশ্চিত উপায়গুলোর দশটি উল্লেখযোগ্য ও খুব চাহিদা সম্পন্ন বিষয়গুলো উল্লেখিত আর্টিকেল বা ব্লগটিতে লিখেছি। সুপ্রিয় পাঠক, মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি প্রয়োজনে কয়েকবার পড়ুন এবং বুঝুন। পাশাপাশি শিখার জন্য বিভিন্নভাবে শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম খুঁজুন, এক্সপার্টমেন্টর বা অনলাইন শিক্ষক খুঁজুন এবং ইনকাম করার উপায় গুলো শিখা শুরু করে দেন। ইনশাআল্লাহ দেখবেন আপনি যদি আর্টিকেলটির দশটি উপায়ের যেকোনো একটির উপরে স্কিল অর্জন করতে পারেন এবং এই স্কিল টা বিভিন্ন ওয়েতে প্রতিফলন করতে পারেন তাহলে একটা সময় আপনি সুদীর্ঘ ও সুন্দর একটা ক্যারিয়ার স্টাবলিশ বা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
যাইহোক আপনি যদি আমার এই লেখা আর্টিকেলটির দ্বারা কিছুটা হলে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের কে বিভিন্ন সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করতে। আর ব্লগ বা আর্টিকেলগুলো পারলে অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন এবং আমাদের সাথেই থাকবেন তাহলেই আরো নিত্য নতুন আর্টিকেল আপনার সামনে নিয়ে হাজির হয়ে যাব আর আপনি সেগুলো পড়ে আপনার জ্ঞান ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবেন।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url