দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী?
অতিরিক্ত ঘুম কিসের লক্ষণ?দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী? এই আর্টিকেলে দাঁতের রুট ক্যানেলের এই বিষয়টি বিশদভাবে আপনার সামনে তুলে ধরব। আসলে, রুট ক্যানেল মানে দাঁত এর মূল পর্যন্ত জীবাণুতে খেয়ে নিলে রুট ক্যানেল চিকিৎসাটি করা হয়।
আর দাঁতের রুট বা দাঁতের মূলে ক্যানেল বা গর্ত জনিত অসুবিধে হলে কী চিকিৎসা লাগে এটিও এখানে আলোচনা করা হবে। আর দাঁত হচ্ছে এক অমূল্য জিনিস, একবার নষ্ট হলে সারা জীবনের জন্য কান্না হয়ে দাঁড়ায়। তো চলুন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আরম্ভ করি।
পেজ সূচীপত্রঃ দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী?দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী?
দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী? এখানে দু'টো বিষয়ে বলা হবে প্রথমে দাঁতের রুট ক্যানেল কেন বা কি জন্য করা লাগে এটি এবং দ্বিতীয়ত আপনার সামনে আনব দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসাটা কী? এগুলো পর্যায়ক্রমে আপনার সামনে আলোচনা করব। প্রথমে জানতে হবে যে রুট ক্যানেলটা কী? তো চলুন জেনে নিই।
দাঁতের রুট ক্যানেল হচ্ছে দাঁতের শেকড়ে একটা ক্যানেল বা ড্রেইন থাকে আর সেখানে পাল্প বা প্রকৃত মজ্জা থাকে। আর মজ্জায় জীবাণূ দ্বারা সংক্রামিত হয়। ফলে সংক্রামিত মজ্জাকে কৃত্রিম উপায়ে দূষণমুক্ত করা হয়, আর এটিই রুট ক্যানেল নামে পরিচিত। এটি আবার এন্ডোডেন্টিক ট্রিটমেন্ট বা থেরাপি নামে চিহ্নিত। আর এটি দাঁতের সুরক্ষার জন্য সঠিক একটা চিকিৎসা।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী বিস্তারিত জানুন
রুট ক্যানেল কেন করা হয়? যখন একটি দাঁতের উপরের যে অংশ থাকে সেটিকে এনামেল বলে, এই এনামেল সর্বপ্রথমে ক্ষয় হয়, এরপর যে অংশ থাকে সেটি হচ্ছে ডেন্টিন সেটি ক্ষয় হয়, এরপর জীবাণুর দ্বারা যে প্রদাহ বা সংক্রমণ হয় সেটি দাঁতের পাল্প বা মজ্জা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এরপরে দাঁতে ব্যথা শুরু হতে থাকে। আর এই ব্যথা দূর করতেই রুট ক্যানেল বা এন্ডোডেন্টিক নামক চিকিৎসার করতে হয়।
রুট ক্যানেল চিকিৎসা কী? বর্তমান সময়ে রুট ক্যানেল চিকিৎসা একদিনেও দেওয়া সম্ভব হয়, তবে এটি রোগীর অবস্থাভেদে হয়ে থাকে। অর্থাৎ রোগীর বাসা যদি ডাক্তারের চেম্বার থেকে দূরে হয় এবং রোগীর অবস্থা খুব বেশি করুন না হয় তাহলে এক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হয় এবং একদিনই ডেন্টিস্ট বা দন্ত চিকিৎসক রুট ক্যানেল করে ফেলেন এবং দাঁতের নিরাময় হয়ে যায়।
এ ছাড়াও, রুট ক্যানেলের চিকিৎসা একটু সময় নিয়ে হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে এটি চার সপ্তাহে বা এক মাসে সম্পন্ন হয়।অর্থাৎ এক মাসে প্রতি ৭ দিন পর পর ডেন্টিস্ট বা দন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। এবং ডেন্টিস্ট রোগীর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা করেন এবং রোগীর উন্নতি হচ্ছে কি না মানে ব্যথা বা অন্য সমস্যা হচ্ছে কি না জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং শেষ চিকিৎসা দিয়ে কমপ্লিট করেন।
রুট ক্যানেল করার নিয়ম বা পদ্ধতি কী
দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসাটা কী? এই টাইটেলের আরো একটি পর্যায় হচ্ছে রুট ক্যানেল করার নিয়ম বা পদ্ধতি যা আপনাকে জানতেই হবে। যেহেতু দাঁতের সমস্যা হয়ে গিয়েছে আর এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্য কোন পদ্ধতি বা নিয়ম নেই, রুট ক্যানেলই একমাত্র পদ্ধতি অথবা দাঁতকে তুলে ফেলে দিতে হবে। তাই আপনি যদি রুট ক্যানেল করতে চান তাহলে রুট ক্যানেল কি নিয়মে করতে হয় বা এর পদ্ধতি কি, এটা আপনি পরিষ্কার ধারণা হলে, রুট ক্যানেল সম্পর্কে আপনার আর কোন ভয় থাকবে না।
রুট ক্যানেলের জন্য সর্বপ্রথম একজন ডেন্টিস্ট বা এন্ডোডন্টিক ডেন্টিস্ট সংক্রমণে আক্রান্ত দাঁতটিকে ভালো করে স্যালাইন পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়। এরপর সেটিতে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে অ্যানেসথেসিয়া বা অবশ এর জন্য ইনজেকশনের মাধ্যমে ঔষধ পুশ করা হয়, যাতে রোগির চিকিৎসা করতে গিয়ে কোন ব্যথা না পায় এবং তার কষ্ট না হয়।
এরপরে দাঁতের যে ক্যারেজ বা ছিদ্র হয়েছে সেখানে মেশিন বা যন্ত্রের সাহায্যে
মিররযন্ত্র সহকারে ডেন্টিস্ট গভীরভাবে দেখে সংক্রামিত দাঁতটির প্রদাহ জনিত
যে মজ্জা সেগুলো বের করে। এবং বারবার করে স্যালাইন পানি দিয়ে পরিষ্কার
করে।এবার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গাটা পারচা দিয়ে রুট বা দাঁতের গোড়া
পূরণ করে। অবশেষে, ফিলিং বা পূর্ণকারী এক ধরনের মেটেরিয়াল বা পদার্থ
দ্বারা উপরের অংশটি পূরণ করে ফেলে।
রুট ক্যানেলের খরচ কত কেমন?
দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ কত বা কেমন হয় এটি জায়গা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। দেশের সবচেয়ে নামকরা হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকা ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।এই জায়গাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দাঁতের রোগীরা এসে ভীড় করে থাকে। আর এখানে দাঁতের চিকিৎসার খরচ বেশ ব্যয়বহুল।
এছাড়াও, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা গুলিতে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে সেগুলিতেই দাঁতের চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং চিকিৎসার খরচ একটু কম রাখা হয়। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডেন্টাল চেম্বার বা প্রাইভেট ডেন্টাল ক্লিনিক রয়েছে। আর এই ক্লিনিক বা হাসপাতাল গুলিতে দাঁতের চিকিৎসার খরচ একটু বেশি হয়।
আর দাঁতের চিকিৎসার খরচ অন্যান্য রোগের খরচের তুলনায় একটু বেশি হয়ে থাকে। মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন বেসরকারি হাসপাতালের একজন দন্ত চিকিৎসক জানান দাঁতের চিকিৎসার খরচগুলো কিরূপ হয়ে থাকে। তো এগুলো নিচে ছক বা টেবিল আকারে দেওয়া হলো যে গুলো মন দিয়ে দেখলে আইডিয়া পাবেন।
দাঁতের চিকিৎসার নাম | খরচের পরিমাণ |
---|---|
দাঁতের ইমপ্লান্ট করলে | ৪৫-৬০ হাজার টাকা |
ক্যাপ লাগালে (একিবারে ক্ষয় হওয়া দাঁতের ক্ষেত্রে) | ২০-৩০ হাজার টাকা |
ক্যাপ লাগালে (খুব বেশি ক্ষয় হয়নি এমন দাঁতের ক্ষেত্রে | ১২-২০ হাজার টাকা |
দাঁত লাগালে | ২-৩ হাজার টাকা |
দাঁত পরিষ্কার করলে | দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বা |
রুট ক্যানেল করলে | ১৫০০, ২০০০ কিংবা ৩০০০-৪০০০ টাকা জায়গাভেদে |
শুধু ফিলিং বা গর্ত পূরণ করল | ৪০০-১০০০ টাকা |
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সরকারি বেসরকারি
হিসাবে দাঁতের চিকিৎসার খরচ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে, যেগুলো উপরের
টেবিলটিতে বলা হয়েছে, প্রায় এরকমই হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়গুলো ভালোভাবে
জেনে খরচ সম্বন্ধে অবগত হয়ে তারপরে একটা ভালো ক্লিনিক যাচাই করে বা অনুসন্ধান
করে দাঁতের চিকিৎসা করা ভালো।
রুট ক্যানেল ও ক্যাপ দুটো মিলে খরচ কতো?
দাঁতের রুট ক্যানেল ও ক্যাপ দুইটা মিলে খরচ কত হতে পারে এ বিষয়টি উপরের ছকটি অবলোকন করলে বুঝতে পারবেন। আর আপনি যদি আরো স্পষ্ট করে জানতে চান তাহলে আপনি এই শিরোনামটি পড়ুন। আর এ খরচগুলো সরকারী এবং বে-সরকারী ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। প্রাইভেট ক্লিনিক বা ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও ভিন্ন রকম হতে পারে। তবে, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে এ খরচগুলো খুব বেশি পার্থক্য হয়ে যায়।
দাঁতের রুট ক্যানেলের খরচ প্রায় চার হাজার টাকা এবং একটি ক্যাপ লাগাতে খরচ
হয় দুই হাজার টাকা মোট ৬ হাজার টাকা। আমরা সরে জমিনে একজন প্রাইভেট অভিজ্ঞ
ডাক্তারের কাছে একজন রোগীর চিকিৎসা করায়েছি অর্থাৎ সেই রোগীর রুট ক্যানেল ও
ক্যাপ করিয়েছি। তো এক্ষেত্রে সর্বমোট রুট ক্যানেলে ৪০০০ এবং ক্যাপে ২ হাজার
টাকা নিয়েছে। একটু কথা বলে কম করা যায় ৫০০ বা ৭০০ টাকা।
রুট ক্যানেলের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি হতে পারে?
রুট ক্যানেল করলে ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশি। তবে, এক্ষেত্রে, রোগিকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, রুট ক্যানেল করলে ডাক্তার যদি ভালো না হয় বা অভিজ্ঞ না হয় বা ডাক্তার অভিজ্ঞ হলেও যদি ডেন্টিস্ট সঠিক চিকিৎসা না করে, অথবা, রোগি তার সমস্যা ডাক্তারের কাছে যথার্থভাবে তুলে ধরতে না পারে তাহলে রোগির কিছু সমস্যা বা ক্ষতি হতে পারে।
যেমন রুট ক্যানেল করার পরও দাঁতে ব্যথা বা দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া অথবা দাঁত দিয়ে শক্ত কিছু খেলেই ব্যথা তাই যতদূর সম্ভব সাবধানতার সাথে রোগিকেও সঠিক তথ্য দিয়ে ডাক্তারকে হেল্প বা সহায়তা করতে হবে। এবং ডাক্তারকেও দেখতে হবে যে যদি তিনি তার চোখ দিয়ে দাঁতের কন্ডিশন বা অবস্থা বুঝে তাহলে তা অনুযায়ী চিকিৎসা করবে আর যদি এক্সরে প্রয়োজন হয়।
তাহলে ডেন্টিস্ট তার রোগিটিকে এক্সরে এর পরামর্শ দিবেন। এবং রোগিটি এক্সরে করে
ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখালে তিনি রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন। তাহলে এভাবে
ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে বাঁচতে পারবেন। কাজেই রোগি আপনি হয়ে থাকলে আপনিও সুরক্ষা
পাবেন এবং ডেন্টিস্টও বদনাম থেকে রক্ষা পাবেন।
রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয়? জানতে হবে
রুট ক্যানেল আপনি করলেন মানে আপনার দাঁতটি মরে গেল।কারণ, রুট ক্যানেলের মাধ্যমে
দাঁতকে ছিদ্র করে যে জীবন্ত মজ্জা ছিল সেগুলো বের করে নেওয়া হয়। এবং
সেখানে কৃত্রিম এক ধরনের মেডিসিন দেওয়া হয়, ফলে সেটাতে একটু শক্ত হাড় চিবালে
বা বা শক্ত যে কোন কিছু চিবালে দাঁতটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশের এক জায়গায় রুট ক্যানেল করতে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার
টাকা নেয়। আর তারা অভিজ্ঞতা হিসেবে বলে যে তারা নাকি আমেরিকান ডাক্তার।আর তাদের
নির্দিষ্ট কিছু কাস্টমার বা গ্রাহক রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে আরেক জায়গাতে
রুট ক্যানেল করতে ইন্টার্নি ডেন্টিস্ট হলে ২৫০০ টাকা, আর প্রফেসর হলে ৩৫০০ টাকা
নেয়।
যাই হোক, রুট ক্যানেল প্রায় ৫ বছর থেকে নিয়ে ২০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। রুট ক্যানেল করে যদি তার উপরে ক্যাপ পড়ানো হয় আর ক্যাপটি ভালো হয় তাহলে ক্যাপের তারতম্য অনুসারে কোন রুট ক্যানেল সাড়ে ছয় বছর, কোন রুট ক্যানেল ১১ বছর, আবার কোনোটি ১৫ বছর পর্যন্ত চলে যায়।অর্থাৎ রুট ক্যানেল এর উপর এক ধরনের মুকুট পড়ানো হয়। এটা অনুসারেই রুট ক্যানেল স্থায়ী হয়।
রুট ক্যানেল করার পর কি খাওয়া যায়?
দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী? এই শিরোনামের আরো একটি
প্রশ্ন হচ্ছে রুট ক্যানেল করার পর সবকিছুই খাওয়া যাবে কি না। ডাক্তাররা বা
ডেন্টিস্টরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে আপনি যখন রুট ক্যানেল করবেন তখন যে ডাক্তারের
কাছে করবেন সে ডাক্তার আপনাকে বলবে যে আপনি সবই খেতে পারবেন। হালকা খাবার থেকে
নিয়ে শক্ত খাবার এমনকি শক্ত হাড্ডি বা হাড় পর্যন্ত খেতে পারবেন। যেটাই খান না
কেন খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হয়ে খেতে হবে।
যেহেতু আপনার এই দাতটি আর মায়ের পেট থেকে হওয়ার পর যে দুধে দাঁত হয় সেটি আর
নাই। আর সেই দাঁতটি উঠার পর যে শক্ত দাঁত হয় সেগুলিই হচ্ছে মজবুত বা
স্থায়ী দাঁত। ঐ দাঁত যেহেতু আপনি অসতর্কতার কারণে প্রতিদিন ব্রাশ
না করে বা মিসওয়াক না করার জন্য দাঁতে জীবাণু লেগে থাকে।আর জীবাণুগুলো
দাঁতগুলোকে খেয়ে নেয় বা ক্ষয় করে দেয়।
বিশেষ করে কোরবানির ঈদে যখন আপনি দীর্ঘ সময় ধরে কুরবানীর গোশত খান এবং ব্রাশ করার মাধ্যমে দাঁতগুলোকে পরিষ্কার না করেন। তখন জীবাণুরা স্থায়ী হয়ে দাঁতগুলোর সর্ব প্রথমে এনামেল এরপরে ডেন্টিন এরপরে পাল্প বা মজ্জা টিস্যু পর্যন্ত খেয়ে শেষ করে দেয়। তখন দাঁতগুলো দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় বা হাড্ডি চিবানোর ফলে বা খাওয়ার ফলে দাঁত ভেঙে যেতে পারে বা ফেটে যায় বা ব্যথা সৃষ্টি হয়।
এজন্য সতর্ক থাকা অতীব জরুরী, যেহেতু দাত আর আগের দাঁত নেই। তবে, আপনি সব কিছু খেতে পারবেন। আমার একটা দাঁত প্রায় ৫-৬ বছর হয়ে গেল রুট ক্যানেল এবং ক্যাপ লাগানো। আল্লাহর রহমতে আমি সব কিছু খাই। কোন সমস্যা হয়নি এ পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ। তবে, সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। যেহেতু এখন এই দাঁতটি হচ্ছে কৃত্রিম, মায়ের পেট থেকে হওয়া সেই প্রাকৃতিক দাঁত নয়। তাই সতর্কতার জুড়ি নেই।
রুট ক্যানেল করা দাঁতে ব্যথা নাই কেন?
রুট ক্যানেল করা দাঁতে ব্যথা হয় না এজন্য যে আপনি যেহেতু দাঁতের ভেতরের যে মজ্জা যেটি ঐ দাঁতটি বেঁচে থাকার মূল উপাদান বা টিস্যু, সেটিই দাঁতটি থেকে বের করে নেওয়া হয়েছে। কারণ এই দাঁতের ভিতরে মজ্জা থাকলে বা মজ্জা সঠিকভাবে দাঁতের ভিতরে থাকলে বা একেবারে গভীরে থাকলে দাঁত সুস্থ থাকে। আর দাঁতটি যখন সংক্রমণ বা প্রদাহে আক্রান্ত হয় বা যেকোনো উপায়ে সংক্রামিত হয়, তখন এই দাঁতটিতে ব্যথা শুরু হয়।
আরো পড়ুনঃ ২০টি খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়
আর এই ব্যথা দাঁতের গর্তের নিচে ঐ মজ্জার উপস্থিতির কারণেই হয়। আর যখন রুট ক্যানেল করা হয় তখন যেহেতু ঐ মজ্জাগুলো বের করে না হয়। তাই রুট ক্যানেল করলে দাঁতে আর ব্যথা হয় না। সম্মানিত পাঠক, আপনার দাঁতে যদি ব্যথা হয় আর সেটি রুট ক্যানেল ছাড়া সম্ভব না হয় ব্যাথা দূর হওয়ার। তাহলে আপনি আজই রুট ক্যানেল করে নিতে পারেন। তবেই আপনি ব্যথা থেকেও মুক্ত হবেন এবং সুন্দর লাইফ স্টাইল পরিচালনা করতে পারবেন।
রুট ক্যানেল কিভাবে করে? তার ভিডিও
রুট ক্যানেল যেভাবে করা হয় উপরে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। রুট ক্যানেল সাধারণত সংক্রামিত বা অ্যাক্সিডেন্টে ভেঙে যাওয়া বা যেকোনো উপায়ে ফেটে যাওয়া বা বা পড়ে গিয়ে ফ্যাকচার হওয়া দাঁত এর ব্যথা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অথবা দাঁতটিকে সুন্দর রাখার জন্য এই রুট ক্যানেল করা হয়। নিম্নে রুট ক্যানেল কিভাবে করতে হয় এমনি একটি ভিডিও দেওয়া হলো।
আর তাই রুট ক্যানেল করে দাঁতকে সুরক্ষা দেন। আর আপনি যদি রুট ক্যানেল নামক চিকিৎসায় দাঁতকে মেরে ফেলা থেকে বাঁচাতে চান। তাহলে প্রত্যহ বা প্রত্যেক দিন দুই বেলা খাবারের পর ব্রাশ করবেন। আর সাথে সাথে আপনি যদি একজন নামাজী ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মেসওয়াক করবেন। পাঁচ ওয়াক্ত না পারলেও কমপক্ষে তিন বা চার ওয়াক্ত অথবা দিনে দুইবার মেসওয়াক করবেন। তাহলে নবীজির সুন্নত ও পালন করা হলো আর দাঁতও সুন্দর থাকলো
লেখকের শেষ মন্তব্য
দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং মূলতঃ চিকিৎসা কী? এ সম্পর্কে অন্যান্য বিষয়গুলো সহকারে আলোচনা করেছি। যদি আপনি আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে রুট ক্যানেল বিষয়টা কী? এটি কেন করতে হয়? এর চিকিৎসা কী বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন বলে বিশ্বাস করছি। আরো এ রকম নিত্য নূতন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। তবেই উপকারী সুন্দর সুন্দর লেখাগুলো পাইতে থাকবেন এবং জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে থাকতে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url