খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করেছেন তাই না? আসলে অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন সেরা ও সহজ উপায় রয়েছে। তবে আপনি আমাদের এই পোস্ট ক্লিক করেছেন তার মানে আপনি সঠিক ও যথার্থ স্থানে এসেছেন।
আপনি যে উদ্দেশ্যে এসেছেন তা অনলাইনে কিভাবে সহজে ইনকাম করবেন এ ব্যাপারে তাইনা? আপনি জেনে খুশি হবেন যে আমরা এখানে আপনার জন্য অনলাইনে উপার্জনের ২০টি উপায় বলব। আশা রাখছি আপনি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।
পেজ সূচীপত্রঃ খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায় সংশ্লিষ্ট বিষয় সহকারে জানুনখুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায়
খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায় এখানে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা
করতেছি। সম্মানিত প্রিয় পাঠক আপনি যদি খুব সহজে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে
চান তাহলে নিম্নের ইনকাম সম্পর্কিত এই পয়েন্টগুলো ভালোভাবে মনোযোগ সহাকারে
পড়বেন এবং উপলদ্ধি করবেন। তবেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন থেকে অনলাইন থেকে
ইনকাম পারবেন ইনশাআল্লাহ।
ব্লগারে বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে আয়
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর একটি হচ্ছে ব্লগারে বা ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে আয় করা। আর এটা যেভাবে ইনকাম করা যায় সেটা হচ্ছে যে আপনি
যদি গুগলের প্রোডাক্ট ব্লগারে একটা ব্লগ সাইট যাকে ব্লগস্পট বলে খুলে বিভিন্ন
নিছ বা ক্যাটাগরীর আর্টিকেল পোস্ট করে ইনকাম করতে পারবেন। তদ্রুপ, ওয়ার্ডপ্রেস
সিএমএস (পূর্ণরুপ হলো কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এর মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইট
ক্রিয়েট করে আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট করে ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে
পারবেন।
তবে ব্লগারে আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য একটা ফ্রি ব্লগস্পট সাইট খুলতে হয় অথবা
অল্প টাকা খরচ করে নেমচিপ(namecheap) বা হোস্টিংগার(hostinger) থেকে একটা
ডোমেইন ক্রয় করে ব্লগারে সেট করে আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট করলে একটু প্রোফেশনাল
হয় এবং আর্টিকেলগুলো গুগলে র্যাংক করতে সুবিধা হবে। আর গুগলে র্যাংক করলে
অতিদ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া এবং সেটার মাধ্যমে অ্যাড এর দ্বারা ইনকাম
হবে।
আরো পড়ুনঃ 2024 সালের ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৫টি সহজ কাজ
এছাড়াও, বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট থেকে ম্যানুয়ালি অ্যাড বসিয়ে ইনকাম
করা যায়। তবে, প্রিয় পাঠক আপনি যদি টাকা খরচ না করেও ফ্রি ব্লগারের ব্লগস্পট
সাইট থেকেও আর্টিকেল লেখেও মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারেন। কারণ, ফ্রি
ব্লগস্পটের ও গুগল অ্যাডসেন্স মনিটাইজ অনুমোদন দিয়ে থাকে। আর ব্লগারে যেমন আপনি
ওয়েবসাইট সৃজন করে ইনকাম করতে পারবেন অনুরুপভাবে ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ওয়েব
সাইট খুলে ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
আর একটা কথা না বল্লেই নয় যে এই ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস এর মাধ্যমে পুরো বিশ্বে
হাজার হাজার ওয়েব সাইট মানুষ তৈরী হাজারও কাজ করছে। এমনকি, ওয়ার্ডপ্রেস এর
দ্বারা মানুষ ব্যবসায়িক ওয়েব সাইট খুলে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। তো আপনিও
পারেন একটা ওয়েব সাইট খুলে ইনকাম করতে। তবে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েব সাইট
খুলতে চাইলে একটা ডোমেইন এবং হোস্টিং খরিদ করতে হয় যা সামান্য একটা
ইনভেস্টমেন্ট বা ব্যয়বহুল।
ব্যয়বহুল হলেও এখানে এসইও ভিত্তিক আর্টিকেল লেখার জন্য খুব ই সুবিধাজনক। আর এই
আর্টিকেলই এমন ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে বেষি ভূমিকা পালন করে। আর আপনি যদি এই
লাইনে নূতন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আমরা ব্লগারের ব্লগস্পট ফ্রি বা পেইড টা
সাজেস্ট করি।
সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম
করা। সুপ্রিয় পাঠক, আপনি সিপিএ মার্কেটিং করে ইনকাম করতে
পারবেন। সিপিএ মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা। সিপিএ
মার্কেটিং এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রয় একই রকম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
হলো বিভিন্ন কোম্পানির বা বিজনেসের কোন সার্ভিস সেল করে দেওয়া বা সেল কনভার্ট
করা, এটা করতে পারলে যেটা সেল হল সেটা থেকে কিছু কমিশন পাওয়া যায়।
আর সিপিএ মার্কেটিং হল খুব সহজ একটা মার্কেটিং। সিপিএ এর পূর্ণরূপ হলো
(CPA= Cost Per Action Or Cost Per Acquisition) কস্ট পার একশন বা কস্ট পার
একুইজিশন, অর্থাৎ কোন ব্র্যান্ড বা কোম্পানির বা বিজনেসের কোন লিড সংগ্রহ
করতে পারা বা ইমেল কালেক্ট করা বা সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডাউনলোড করতে
পারা ইত্যাদি এগুলো করতে পারলেই অর্থাৎ শুধু একশন হলেই একটা কমিশন ইনকাম
করা যায়।
মার্কেটিং এর জন্য ট্রাফিক দরকার, আর এই ভিজিটর বা ট্রাফিকগুলো বিভিন্ন
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, লিংকডিন,
ইউটিউব ইত্যাদিতে মার্কেটিং করার মাধ্যমে পাওয়া যায়। আর এই
মার্কেটিং দুই ধরনের হতে পারে একটা হচ্ছে ফ্রি মার্কেটিং আর একটা হচ্ছে পেইড
মার্কেটিং। ফ্রি মার্কেটিং করে ভিজিটর পাওয়া একটু কষ্টসাধ্য হয় তবে
পেইড মার্কেটিং বা কিছু টাকা খরচ করে ভালো মানের ট্রাফিক বা ভিজিটর পাওয়া
যায়।
ট্রাফিক বা ভিজিটর যত বেশি হবে তত বেশি সিপিএ মার্কেটিং বা যে কোন মার্কেটিং এ
বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। সম্মানিত পাঠক আপনি যদি এই অনলাইনে নতুন হয়ে
থাকেন এবং অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে সিপিএ মার্কেটিং
হতে পারে আপনার জন্য খুব সুন্দর সহজ একটা মাধ্যম।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
ইনকাম করা। উপরে সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে বলা হলো। বলছিলাম যে ডিজিটাল
মার্কেটিং এর আরেকটি শাখা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং যেটার মাধ্যমে ও আপনি
খুব সহজে ইনকাম করতে পারেন। তো আপনি যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন
থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে খুব সহজেই আপনি
অনলাইন থেকে আয় বা উপার্জন করতে পারেন। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
হচ্ছে কোন কোম্পানি বা বিজনেস বা ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট
সংক্রান্ত একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করে তাদের প্রোডাক্ট বা
পন্যগুলো বা সার্ভিস বা পরিষেবা গুলো মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যদি
সেলে কনভার্ট করতে পারেন।
তাহলে সেই ওয়েবসাইট বা কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি কমিশন আপনি পেতে
পারেন। এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক মানুষ অনেক ইনকাম করছে। যেমন
বাংলাদেশের টেন মিনিট স্কুল এর অ্যাফিলিয়েট শাখায় যুক্ত হয়ে তাদের কোর্স বা
বই বা পিডিএফ বিক্রি করে নির্দিষ্ট কমিশন এর অধিকারী হতে পারে
না। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা ওয়েবসাইট অ্যামাজনে অ্যাফিলিয়েট
অ্যাকাউন্ট তৈরী করে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বা সেবা বা যে কোন
অ্যাফিলিয়েট পন্য মার্কেটিং করে কমিশন ইনকাম করতে পারেন।
এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে
অ্যাফিলিয়েটপ্রোগ্রাম হয়েছে, সে সমস্ত ওয়েবসাইট গুলোর অ্যাফিলিয়েট
শাখায় যুক্ত হয়ে আপনি আয় করতে পারেন। এজন্য আপনাকে গুগলে সার্চ করতে হবে যে
অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটগুলো কি কি বা অ্যাফিলিয়েট বা এফিলিয়েট লিখলে আপনাকে
বিভিন্ন কীওয়ার্ড সাজেস্ট করবে সেগুলোতে ক্লিক করে দেখলে আপনি সন্ধান পেয়ে
যাবেন যে কোন ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। বিভিন্ন
সফটওয়্যার কোম্পানির সফটওয়্যারগুলো সেল করতে পারলে একটা মোটা
অংকের প্রফিট বা কমিশন পাওয়া যায়।
ইমেইল মার্কেটিং ইনকাম করবেন যেভাবে
খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায়গুলর আরো একটি হচ্ছে ইমেইল
মার্কেটিং করে ইনকাম করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা
হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। তো বুঝতে আর বাকি নেই যে আপনি ইমেইল মার্কেটিং
করেও ইনকাম করতে পারবেন। তো কিভাবে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
করবেন সেটি হচ্ছে যে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা পণ্য
রয়েছে সেগুলো অনেক সময় প্রমোশন বা প্রচারণার দরকার
পড়ে। এক্ষেত্রে যারা মার্কেটিং করতে দক্ষ বিশেষ করে ঐ নির্দিষ্ট
কোম্পানির কাছে তাদের পণ্যের কাস্টমার বা গ্রাহকদের লিড বা তথ্য
আছে।
সুতরাং সেই প্রোডাক্ট বা পণ্যগুলো একটা ইমেইলে ডিজাইন করে
সুনির্দিষ্ট কাস্টমার বা গ্রাহকদের কাছে কোম্পানির ওই পণ্য সম্পর্কে
আপডেট এসেছে সেগুলো ইমেইলের মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়া।
আর এই ইমেইল ডিজাইন করা বিভিন্ন উপায়ে হয়ে থাকে যে সম্পর্কে আপনাকে
দক্ষতা বা জ্ঞান অর্জন করতে হবে, তাহলে আপনি নির্দিষ্ট কোম্পানি থেকে
ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ নিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করে আপনি টাকা ইনকাম বা
উপার্জন করতে পারবেন। আর এই ইমেইল মার্কেটিং শিখাটা খুবই সহজ একটি
কাজ।
আজকাল ইউটিউব বা ফেসবুকে ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন কোর্স লক্ষ্য
করা যায়। সেগুলো থেকে কোর্স ক্রয় করে ইমেইল মার্কেটিং এর উপরে কাজ শিখে
বা ডিজাইন শিখে একটা দক্ষতা অর্জন করে আপনি এই কাজে নেমে যে তে পারেন
এবং একটা মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন। অথবা, অনলাইনে একটু
করলে স্ক্রলিং করলে ইভেন মার্কেটিং এর উপরে দক্ষ কিছু মেন্টর পাওয়া
যাবে যাদের কাছ থেকে আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ শিখে নিতে পারেন। এবং কাজ
শিখে মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি থেকে
কাজ নিয়ে কইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম করার পদ্ধতি
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় সার্ভে করে ইনকাম করা।
অনলাইনে সার্ভে করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর সার্ভে মানে হচ্ছে
ইন্টারনেটে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে নির্ধারিত কিছু কাজ দিয়ে
থাকে। এবং সেই কাজগুলোর কিছুই স্টেপ বা ধাপ রয়েছে। সে ধাপগুলোকে
এক এক করে কমপ্লিট করতে পারলে সেটি একটি সার্ভে হিসাবে পরিগণিত হয়ে
থাকে। আর এই সার্ভে করার কিছু সাইট রয়েছে যেমন বর্তমানে সবচেয়ে উন্নত
মানের একটি সাইট হচ্ছে স্প্রাউটগিগস(Sproutgigs)।
এই সাইটে আপনি আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুসারে আপনার নাম এবং জিমেইল
এর মাধ্যমে সর্বপ্রথমে একটা অ্যাকাউন্ট করতে হবে। এবং সেই
একাউন্টটাকে ইমেইল ভেরিফাই করতে হবে। ইমেইল ভেরিফাই করে যখন আপনার
অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করা সম্পূর্ণ হবে তখন আপনি সেখানে সার্চ অপশনের মাধ্যমে
সার্ভে লিখলে আপনার সামনে অনেকগুলো সার্ভের কাজ চলে আসবে। আর সেই কাজ গুলো
দেখে তাদের শর্ত মেনে কাজ করতে পারলেই আপনি সহজে ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করুন সহজে
আপনার জন্য ইনকামের আরো একটি সহজ রাস্তা হচ্ছে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে
আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর এটি হচ্ছে এইভাবে যে আপনি ব্লগার বা
ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে কিছু আর্টিকেল পোস্ট
করতে হবে। এরপর অনেক ধরনের এ্যাড নেটওয়ার্ক রয়েছে যেগুলো থেকে
আপনি এড নিয়ে আপনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটটিতে এড গুলো বসাতে হবে।
আর এই অ্যাডগুলো আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে দেখাবেন তখন আপনি ইনকাম করতে
পারবেন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটটিতে বেশ কিছু আকর্ষণীয় পোস্ট
থাকা লাগবে আর এই পোস্টগুলো আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটররা যখন
দেখবে তখন তাদের সামনে ওয়েবসাইটে বসানো এড গুলো দেখতে পাবে।
অথবা, এড বিভিন্ন ধরনের হয়।
এক্ষেত্রে যদি পপআপ বা পপআন্ডার অ্যাড হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে
যেকোনো জায়গাতে ভিজিটররা ক্লিক করলেই তাকে অন্য একটি সাইটে নিয়ে
যাবে যেটি পপআন্ডার অ্যাড বসানোর কারণেই হয়ে থাকে। আর এ অ্যাডগুলো
দেখলেই আপনাকে একটা ইনকাম দেবে ঐ এড নেটওয়ার্কগুলো। সুতরাং এভাবেও আপনি
ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি বুঝতে পারেন তাহলে এই পদ্ধতিও ইনকামের জন্য
অনেক সহজ এবং সুন্দর।
অনলাইনে সম্প্রচার করে ইনকাম
অনলাইনে সম্প্রচার করেও আপনি ইনকাম করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার যদি একটা
ফেসবুক আইডি থাকে এবং সেটি প্রফেশনাল হয়ে থাকে অথবা একটি ফেসবুক পেজ থাকে
অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে এইগুলোতে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির
প্রমোশনের জন্য তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গুলো সম্পর্কে আপনার নির্দিষ্ট যে
ফ্যান ফলোয়ার থাকবে বা সাবস্ক্রাইবার থাকবে তাদের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট
কোম্পানির আপনি প্রচারণা চালাইতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি তাদের থেকে সপন্সর হিসেবে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট নিতে
পারেন। অথবা আপনি অনেক সময় অনেক ধরনের খেলা যেমন ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা
হয়ে থাকে যেগুলো আপনি লাইভ করতে পারেন বা আপনার ফলোয়ার বা
সাবস্ক্রাইবারদের আপনি খেলা লাইভ দেখাতে পারেন আর এটি হচ্ছে
অনলাইনে সম্পচার করা। আর এই সম্প্রচার বা লাইভের মাধ্যমে আপনি একটা
নির্দিষ্ট পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।
ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং করে ইনকাম
ই-কমার্স মানে হচ্ছে অনলাইনে ব্যবসা করা আর এই ই-কমার্সের মাধ্যমেও আপনি
ইনকাম করতে পারেন। অথবা, ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে
পারেন। আজকের অনলাইনে অনেক ধরনের ব্যবসা হচ্ছে, আর আপনি ইন্টারনেট
কে কাজে লাগিয়ে সহজেই ব্যবসা করে একটা ইনকাম বা আয় করতে পারেন। আবার অনলাইনে
একটা ওয়েবসাইট খুলে যেটা হবে ই-কমার্স ভিত্তিক সেটাতে বিভিন্ন
আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট বা পণ্য আপলোড করে সেল দেওয়ার মাধ্যমে আপনি ইনকাম
করতে পারেন।
এটি যদি আপনি করতে পারেন তাহলে এটার মাধ্যমে অনেক লাভজনক একটা ব্যবসা দাঁড়
করাতে পারবেন। আর যেটি আপনার লাইফ চেঞ্জ করে দিবে। আজ অনলাইনে লক্ষ
লক্ষ ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যেমন আলিবাবা
(alibaba), অ্যামাজন(amazon), আলিএক্সপ্রেস(aliexpress), দারাজ(daraz)
ইত্যাদি। আর অন্যদিকে ড্রপশিপিং করেও আপনি ইনকাম করতে
পারেন।
ড্রপশিপিং মানে হচ্ছে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট আর সেখান থেকে একটা
পণ্যের লিংক নিয়ে ঐটা নিজের একটা ওয়েবসাইটে সেট করে আর ঐ লিংকটা কোন সোশ্যাল
সাইটে শেয়ার করে বা আপনার সাইট যদি এসইও ভিত্তিক হয় তাহলে অটো আপনার
ওয়েবসাইটে ভিজিটরেরা এসে সেই পণ্যটি buy বা ক্রয় করলে সেখান থেকে আপনি একটা
কমিশন পাবেন, আর এটি হচ্ছে ড্রপ শিপিং। সুতরাং আপনি ড্রপশিপিং এর মাধ্যমেও
ইনকাম করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং করে আয়
আপনি কোন টিম রাইটিং করেও আয় করতে পারে। সুপ্রিয় পাঠক, আজকাল অনেক
ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে এবং ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট
রয়েছে। যেগুলোর জন্য সর্বদাই প্রত্যহ প্রত্যেকদিন কনটেন্ট বা আর্টিকেলের
দরকার পড়ে। আর আর্টিকেল বা কন্টেনগুলো বিভিন্ন নিছে বা টপিকে বা
ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে। আর এই নির্দিষ্ট টপিক বা বিষয়ে সুন্দর করে
সাজিয়ে গুছিয়ে আপনি যদি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে এই
কন্টেন্ট রাইটিং করে আপনি একটা লাভজনক আয় করতে পারেন।
আর এই কনটেন্ট গুলো বিভিন্ন ইউটিউবার বা ব্লগার তাদের নির্দিষ্ট চ্যানেল বা
ওয়েবসাইটে প্রত্যেকদিন একটা নির্দিষ্ট সময় প্রকাশ করে থাকে। যেহেতু
প্রত্যেকদিন কনটেন্ট প্রকাশ করা প্রয়োজন পড়ছে, সেহেতু আপনি যদি নির্দিষ্ট
youtube চ্যানেলের মালিকদের সাথে অথবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের এডমিনদের সাথে
যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদেরকে আপনার দক্ষতাপূর্ণ বায়োগ্রাফি পোর্টফোলিও
পেশ করতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই কন্টেন্ট রাইটিং এর একটা চাকরি পেতে
পারেন এবং চাকরি করে ইনকাম করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম
অদ্য অনলাইনে অনেক ধরনের অ্যাপ পাওয়া যায় যে অ্যাপগুলো গুগল
প্লেস্টোর থেকে অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে, অথবা
বিভিন্ন ব্রাউজার থেকে সার্চ বা রিসার্চ করে কাঙ্খিত অ্যাপ গুলো
ডাউনলোড করে করতে হবে। ডাউনলোড করার পর সেগুলোতে এপ্সগুলোর
রুলস এবং রেগুলোশন বা টার্মস এ্যান্ড কন্ডিশন অনুসারে একাউন্ট তৈরি করতে
হবে। এবং সেই অ্যাপগুলোতে নির্দিষ্ট কোম্পানি কিছু অ্যাড
দেখাবে, সেগুলো দেখে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অথবা কিছু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি একটা একাউন্ট ক্রিয়েট
করে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর এই ওয়েবসাইট গুলিরই
নির্দিষ্ট কিছু মোবাইল অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো গুগল প্লেস্টোর
থেকে অথবা যদি আইফোন হয় তাহলে এ্যাপলের অ্যাপস্টোর
থেকে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে অ্যাড দেখে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আজকাল facebook বা youtube এ অযথা সময় নষ্ট না করে এই এডগুলো দেখে আপনি
ইনকাম করতে চাইলে youtube বা ফেসবুকে ই অথবা google chrome গুগলিং করতে
পারেন।
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিয়ে মনেটাইজ করে উপার্জন
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
সর্বপ্রথম একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। আর এই চ্যানেল গুলো খুব
সহজ। আপনার যদি একটি গুগল এর ইমেইল থাকে অর্থাৎ জিমেইল থাকে তাহলে আপনি
এই জিমেইলের মাধ্যমে খুব সহজেই একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আর এই
ইউটিউব চ্যানেল খুলে একটা নির্দিষ্ট টপিকে বা বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে সেগুলো
ইউটিউব চ্যানেলটিতে আপলোড দিতে হবে। এবং সেই ভিডিওগুলো নির্দিষ্ট টপিকে কিওয়ার্ড দিয়ে এবং হ্যাশট্যাগ দিয়ে
সাজাতে হবে।
শুধু তাই নয় এই ভিডিওগুলো আপলোড দিয়ে একটা সুন্দর ডেস্ক্রিপশন দিতে হবে। আর
একটি আকর্ষণীয় থাম্বনেইল বানিয়ে আপলোড দিতে হবে। তাহলে ভিউ বাড়বে এবং যত বেশি
ভিউ হবে তত আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে আপনার যখন ১ বছরের ভিতর এক
হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম হবে তখন আপনার মনিটাইজ হবে। আর
এরপর থেকেই ইনকাম শুরু হতে লাগবে।
মাইক্রো সাইটে ডিজাইন করে বিক্রি করা
ছোট ছোট কিছু সাইট রয়েছে যেগুলোকে মাইক্রোসাইট বলে। এই সাইটগুলোতে আপনি
আপনার ক্রিয়েটিভ ডিজাইন আপলোড দিয়ে সেগুলো ডাউনলোড করিয়ে বা সেল করে আপনি
ইনকাম করতে পারবেন। মাইক্রো বা ক্ষুদ্র ওয়েবসাইটের কিছু নাম সম্পর্কে আপনাকে
জানতে হবে, আর সে নামগুলো হচ্ছে যেমন ভেক্টরস্টক(Vectorstock),
আইস্টক(iStock) ফ্রিপিক(freepik) ইত্যাদি।
আপনি যদি ডিজাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন বা এক্সপার্ট ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে
আপনার জন্য এই সাইটগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সাইটগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার
নিজের হাতে তৈরি করা সুন্দর সুন্দর ডিজাইন এই সাইট গুলোতে আপলোড দিলে আর সেগুলো
আপনার ভিজিটর বা ট্রাফিকগন ডাউনলোড করলে আপনি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
সম্পাদনা করে ও অনুবাদ করে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় সম্পাদনা করে ও অনুবাদ করে
ইনকাম করা। অনেক সময় অনেক লেখক আছেন যারা লিখতে পছন্দ করেন এবং বৈচিত্র বিষয়ে
বই লিখে থাকেন। এক্ষেত্রে, আপনি যদি একজন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার
বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান থাকে এবং বুঝেন, তাহলে আপনার জন্য
সম্পাদনা খুব চমৎকার একটি মাধ্যম। যেটির মাধ্যমে আপনি ইনকাম জেনারেট করতে
পারবেন।
অর্থাৎ বই লেখকগণ আপনাকে তাদের বইটি দিয়ে আপনি সেই বই রিভিশন করতে গিয়ে যে
ভুলগুলো আপনার কাছে ধরা পড়বে সেগুলো সংশোধন করে দেয়া। আর এটাকেই বলে
সম্পাদনা। আর এই সম্পাদনার মাধ্যমেই আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধু
তাই নয়, আপনি যদি বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে জ্ঞানী হয়ে থাকেন অথবা আপনি এক ভাষা
থেকে আরেক ভাষায় রূপান্তর করতে পারেন বা পরিবর্তন করতে পারেন।
তাহলে এটির মাধ্যমেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর এই এটিকে বলে অনুবাদ। আর এই
সম্পাদনা বা অনুবাদের কাজটা আপনি দেশীয় ওয়েবসাইটেও পেতে পারেন আবার বিদেশি
কিছু নামিদামি সাইট রয়েছে যেগুলোকে মার্কেটপ্লেস বলে যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক,
guru.com, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি সাইট থেকে কাজ নিয়ে আপনি কাজগুলো সম্পন্ন
করে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস দিয়ে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে
সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করা। আপনার যদি কিছু এক্সপার্টিজ বা স্কিলস বা দক্ষতা
থেকে থাকে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও এ্যাপ
ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। তাহলে এই সমস্ত যোগ্যতা বা দক্ষতার মাধ্যমে আপনি একটা
ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি এগুলোতে দক্ষতা অর্জন করে না
থাকেন তাহলে আপনার যে দক্ষতা গুলো আছে সেগুলো আপনি যাচাই করবেন।
এবং অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে উপরে যেমনটি বলেছি অর্থাৎ
ফাইভার(fiverr) আপওয়ার্ক(upwork) ফ্রিল্যান্সার(freelancer) পিপল পার
আওয়ার(people per hour) ও গুরু.কম (guru.com) ইত্যাদি। যে সাইটগুলো রয়েছে
সেগুলোতে আপনি আপনার নির্দিষ্ট যোগ্যতাগুলো দিয়ে একটি প্রোফাইল সাজাতে হবে
এবং আপনাকে ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় খুব ভালো দক্ষ হতে হবে।
তবে আজকাল ইংরেজি ভাষায় খুব বেশি দক্ষ না হলেও চলে। কেননা, বিভিন্ন ধরনের
ট্রান্সলেটর রয়েছে যে ট্রান্সলেটর গুলো আপনাকে ভাষা সম্পর্কে সাহায্য করবে।
বলছিলাম যে এই স্কিলগুলো দিয়ে আপনি ঐ মার্কেটপ্লেস গুলিতে একটি হাই প্রোফাইল
ক্রিয়েট করে বায়ার বা ক্লাইন্টদের কাছ থেকে আপনার নির্দিষ্ট দক্ষতার কাজ
নিয়ে তাদেরকে সার্ভিস দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
করে ইনকাম করা। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া বলতে ফেসবুক, instagram, টুইটার, লিংকেডিন বা youtube ইত্যাদি।
তো এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ম্যানেজ করে আপনি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
অর্থাৎ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে বা বিভিন্ন জব সাইট থেকে, বা মাইক্রো জব সাইট
থেকে আপনি এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ পেতে পারেন।
আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় যে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের বিভিন্ন ধরনের বিজনেস
সংক্রান্ত বা ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যস্ততা থাকতে পারে, আর তাদের নির্দিষ্ট সোশ্যাল
মিডিয়াও রয়েছে যেগুলোতে তারা সময় দিতে পারে না। ফলে তারা সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজ করতে পারে এমন দক্ষ লোক খুঁজে।
আর এক্ষেত্রে, তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলোতে বায়ার একাউন্ট করে
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর জন্য ফ্রিল্যান্সার বা দূর থেকে কাজ করতে পারে
এমন লোক খুঁজে। আর আপনি যদি এই বিষয়ে অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সম্পর্কে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি এখান থেকে কাজ নিয়ে তাদের সোশ্যাল
মিডিয়াগুলো ম্যানেজ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা সহযোগী হিসাবে কাজ করে ইনকাম
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করে আমি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট মানে আপনার বায়ার বা ক্লায়েন্ট থাকবে বিদেশে আর
আপনি থাকবেন আপনার স্বস্থানে বা আপনি আপনার বাড়িতে বা আপনার নিজস্ব স্থানে
থেকে বা অবস্থান করে আপনি বিদেশী মানুষের কাজ করে দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ
করতে পারেন এবং একটা চাকরির মতো নির্দিষ্ট বেতনে কাজ করে ইনকাম করতে
পারেন।
আর্টিকেল রাইটার হিসাবে কাজ করে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়গুলোর আরো একটি উপায় আর্টিকেল রাইটার হিসাবে
কাজ করে ইনকাম করা। আপনার যদি কোন দক্ষতা না থাকে আপনার শুধু রয়েছে আর্টিকেল
রাইটিং এর উপরে দক্ষতা অর্থাৎ আপনি সুন্দর সুন্দর করে ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে
পারেন, আর এটি করেই আপনি একটা ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিষয়টি
আরো স্পষ্ট করে বলছি যে, বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা
ব্লগিং ওয়েবসাইট অ্যাডমিনদের তাদের আর্টিকেল রাইটারদের অনেক সময় প্রয়োজন
পড়ে। সুতরাং এক্ষেত্রে, আপনি যদি আর্টিকেল রাইটার হিসাবে সুযোগ্য, সুদক্ষ হয়ে
থাকেন এবং এসইও ভিত্তিক আর্টিকেল লিখতে পারেন।
সাথে সাথে আর্টিকেল লিখার যে সমস্ত নিয়মকানুন আছে সেগুলো আপনার জানা আছে এমন
এক্সপার্ট বা দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি বসে না থেকে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে যেখানে আর্টিকেল রাইটারদের কাজ দেওয়ার জন্য যে
অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম রয়েছে, সে ফর্মগুলো পূরণ করে আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য বা
ব্লগ লেখার জন্য আপনি আবেদন করতে পারেন। এবং নির্দিষ্ট চাকরিটার সুযোগ পেলে সে
অনুযায়ী কাজ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফি করে ফটো বা ছবি বিক্রি করে ইনকাম
ফটোগ্রাফি করে ফটো বা ছবি বিক্রি করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। সুতরাং
এক্ষেত্রে, আপনার যদি একটা ডিএসএলআর ভালো ক্যামেরা থাকে, অথবা, আপনার হাতের
স্মার্টফোনটি দিয়েও আপনি সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে সেই ছবিগুলো একটু আধটু এডিট
করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করলে সেখান থেকে আপনি একটা সুন্দর ইনকাম
করতে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো 2024
বিভিন্ন কাজে অযথা সময় নষ্ট হয়ে যায়, সুধী পাঠক, আপনার হাতে যদি একটা
অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকে থাকে, তাহলে আর দেরি কিসের এই মুহূর্তেই বিভিন্ন
প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার ফোনটিতে ধারণ করে সুন্দর বন-বনানী, জঙ্গল, নদ-নদী,
খাল-বিল, পাহাড়-পর্বত ও আকাশ-পাতাল বৈচিত্রময় প্রকৃতির আপনার ক্যামেরা টির
মাধ্যমে দৃশ্য ধারণ করে সেই ফটোগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড দেবেন এবং সেগুলো
যদি আপনার ভিজিটররা ডাউনলোড করে তাহলে এখান থেকেও ইনকাম করতে
পারবেন।
অ্যাপ ডেভলপমেন্ট করে ইনকাম
আপনার যদি কোডিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে আপনি
ইনকাম করতে পারবেন, প্রোগ্রামিং করে বা কোডিং করে আপনি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
করতে পারেন। আর অ্যাপগুলো গুগল প্লে-স্টোরে বা অ্যাপ-স্টোর এ দিবেন। আর গুগল
প্লে-স্টোর থেকে অথবা অ্যাপলের অ্যাপ-স্টোর থেকে বিভিন্ন মানুষ সেই অ্যাপগুলো
ডাউনলোড করলে আপনার ইনকাম জেনারেট হবে। অথবা, আপনার অ্যাপ গুলোতে বিভিন্ন
কোম্পানির এড বসিয়ে অ্যাপগুলো ভিজিটররা ডাউনলোড করে এড গুলো দেখলে আপনি
ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ইনকাম
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আপনি খুব ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যদি খুব
মোটা অংকের টাকা ইনকাম করার আগ্রহ থাকে, তাহলে ওয়েবসাইট ডিজাইন করাই আপনার
জন্য খুব মুখ্য মাধ্যম হতে পারে। একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আপনি যদি সেল
দিতে পারেন অথবা মার্কেটপ্লেস থেকে বায়ারদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে যদি
ওয়েবসাইট বানায়ে দিতে পারেন, তাহলে এই ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আপনি অনেক বড়
মাপের বা বড় মানের একটা ইনকাম আপনার হাতে আসতে পারে।
লেখকের সমাপনী কথা
খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করার ২০টি সেরা উপায় সহকারে সংশ্লিষ্ট বিষয় এই
আর্টিকেলে বিবরণের চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে
থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি অনেক ইনকাম সংক্রান্ত বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। আরো
এরকম নিত্য নূতন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আর চোখ রাখুন আমাদের এই
ওয়েবসাইটে আর সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পড়ে জ্ঞানের ঝুলি বাড়িয়ে নেন
ইনশাআল্লাহ্।
আব্দুন নূর আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url